মোটর গাড়ীর অয়েল লেভেল ইনডিকেটর

মোটর গাড়ীর অয়েল লেভেল ইনডিকেটর – এই পাঠটি “অটোমোবিল ইঞ্জিনিয়ারিং” বিষয়ের “মোটর গাড়ীর বিভিন্ন পদ্ধতি” অধ্যায়ের একটি পাঠ।

Table of Contents

মোটর গাড়ীর অয়েল লেভেল ইনডিকেটর

 

মোটর গাড়ীর অয়েল লেভেল ইনডিকেটর

 

অয়েল প্যানে কতটুকু লুব অয়েল আছে তা সঠিকভাবে জানার জন্য অয়েল লেভেল দণ্ড বা ডিপস্টিক ব্যবহার করা হয়। এই দণ্ডটি সবসময় ইঞ্জিনের সাথেই থাকে। যখন পরীক্ষা করা প্রয়োজন হয় তখন ঐ দণ্ডটি ইঞ্জিন থেকে বের করে আনা হয় এবং দেখা হয় তেল ঠিক আছে কিনা। ঐ দণ্ডে দাগ কাটা থাকে। যদি উপরের দাগে তেল থাকে তাহলে ঠিক আছে আর যদি তেল নীচের দাগে থাকে তাহলে বুঝতে হবে ইঞ্জিনে তেল একান্ত প্রয়োজন। যদি উপর ও নীচের দাগের মধ্যখানে তেলের লেভেল থাকে তা হলেও তেল পূর্ণ করা ভাল।

 

ক্রাঙ্ককেস ভেনটিলেশন (Crankcase ventilation ):

ফ্র্যাঙ্ককেস ভেনটিলেশন সবসময়ই থাকা একান্ত বাঞ্ছনীয়। ইঞ্জিন চললে ক্র্যাঙ্ককেসের মধ্যে বাতাস প্রবাহিত হয়। সিলিন্ডার হতে কিছু বাতাস এবং পানি ক্র্যাঙ্ককেসে আসে। এদেরকে ক্র্যাঙ্ককেস হতে বের করে দেওয়ার নামই ক্র্যাঙ্ককেস ভেনটিলেশন। ক্র্যাঙ্ককেস হতে বের করে না দিলে বহু অসুবিধার সৃষ্টি হয়।

যেমন ক্র্যাঙ্ককেসে এবং অয়েল প্যানে স্লাজ পড়ে এবং এসিড জমা হয়। স্লাজ তেলের পথকে বন্ধ করে দিতে পারে। ফলে ইঞ্জিনে লুবরিকেশনের অভাব ঘটতে পারে। এর ফলে ইঞ্জিনটি সম্পূর্ণ ধ্বংস বা নষ্ট হয়ে যেতে পারে এবং এসিডে যন্ত্রাদি নষ্ট হয়ে যেতে পারে।

প্রতিটি ইঞ্জিনেই ক্র্যাঙ্ককেস ভেনটিলেশনের ব্যবস্থা থাকে। ক্র্যাঙ্ককেস হতে যেসব দূষিত বাতাস, গ্যাস, পানি, তেলের বাষ্প ইত্যাদি বের করে নেওয়া হয় তার দরুন বায়ুমণ্ডল কলুষিত হয় । বায়ুমণ্ডলকে কলুষিত করার হাত থেকে রক্ষা করার জন্য বর্তমানে সব মোটরযানে পজেটিভ ক্র্যাঙ্ককেস পদ্ধতি ব্যবহার করা হয়।

একে ক্লোজ সিস্টেমও বলে। এই সিস্টেমে ক্র্যাঙ্ককেসের সব পানি, গ্যাস, বাতাস, তেলের বাষ্প এবং তরল গ্যাসোলিন ইত্যাদিকে বায়ুমণ্ডলে ছেড়ে দেওয়া হয় না বরং পাইপ সংযোগের মাধ্যমে এদেরকে এয়ার ক্লিনারে নিয়ে যাওয়া হয় এবং এয়ার ক্লিনারের সাহায্যে পরিশোধিত করে পুনরায় চার্জ হিসাবে সিলিন্ডারে পাঠানো হয়।

স্লাজ পড়া বা হওয়া (Sludge formation):

স্লাজ হচ্ছে এক প্রকার ঘন, কাল, ক্রীমের মত পদার্থ, যা সহসা ক্র্যাঙ্ককেসের মধ্যে পড়তে দেখা যায়। ইহা অয়েল প্যানেও জমা হয়। ইহা তেলের পথ বন্ধ করে দেয় অথবা তেলের সরবরাহ কমিয়ে দেয়। ফলে তেলের অভাবে ইঞ্জিন দারুণভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হতে বাধ্য। ক্র্যাঙ্ককেসের মধ্যে পানি, ধুলাবালি ইত্যাদি যাওয়ার ফলে স্লাজের সৃষ্টি হয়।

ক্র্যাঙ্ককেসের মধ্যে দুইভাবে পানি যেতে পারে দহন হওয়ার ফলে এবং ক্র্যাঙ্ককেস ভেনটিলেটিং পদ্ধতির সাহায্যে। ইঞ্জিন যন্ত্রাংশ যখন ঠাণ্ডা হয় তখন বাষ্প পানিতে পরিণত হয় এবং ইহারা লুব ওয়েলের সাথে মিশে যায় এবং আঠালো চিটা গুড়ের মত হয়ে ইঞ্জিন যন্ত্রাদিতে ও ক্র্যাঙ্ককেসে জমা হয় এবং ময়লা ও কারবন এর সঙ্গে মিশ্রিত হয় বলে স্লাজের রং কাল হয়।

গাড়ী কম চালালে স্লাজ বেশী পড়ে। শীতকালে তুলনামূলকভাবে বেশী স্লাজ পড়ে। দুই, চার, পাঁচ মাইল চালালে বেশী স্লাজ পড়ে। স্লাজ বেশী পড়ার হাত থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য গাড়ী প্রতিদিন অন্ততঃ ১৫/২০ মাইল চালাতে হবে। বেশী মাইল চালালে আরও বেশী ভাল। শীতকালে গাড়ী একটু বেশী চালাতে হয় এবং লুব অয়েল তাড়াতাড়ি বদলাতে হয়।

লুব অয়েল পরিবর্তন:

বর্তমানে উৎপাদনকারকগণ মনে করেন গরমকালে ইঞ্জিনের তেল ১০০০ মাইল চালানোর পর পরিবর্তন করতে হয় এবং শীতকালে ৫০০ মাইল চালানোর পর তেল পরিবর্তন করতে হয়। যেসব ইঞ্জিন শর্ট রান, শর্ট স্টপ এবং শহর এলাকায় চলাচল করে যেসব ইঞ্জিনের তেল তাড়াতাড়ি পাল্টাতে হয়।

আবার যেসব মোটরযান দীর্ঘপথ চলাচল করে সেসব গাড়ীর মোবিল ৬০০০ মাইল চালানোর পরে তেল পরিবর্তন করলেও চলে। যখনই ইঞ্জিনের অয়েল পরিবর্তন করার প্রয়োজন হয় তখন ইঞ্জিন অনেক সময় চালনা করার পর অর্থাৎ লুব অয়েল, গরম হওয়ার পরে ড্রেন প্লাগ খুলে সব তেল ভালভাবে বের করে ফেলতে হয়। এরপর ড্রেন প্লাগ ভালভাবে লাগিয়ে পুনরায় ভাল লুব অয়েল দ্বারা অয়েল সাম্প পূর্ণ করতে হয়। লুব অয়েল পরিবর্তন করার সময় অয়েল ফিল্টার পরিবর্তন করা বাঞ্ছনীয়।

সান্দ্রতা (Viscosity):

সান্দ্রতা লুব অয়েলের এমন একটি গুণগত মান যা সাধারণ প্রবাহে বাধাদান করে। যখন লুব অয়েল গরম হয় তখন এর সান্দ্রতা কমে যায় অর্থাৎ তখন এটি তাড়াতাড়ি প্রবাহিত হতে পারে। কিন্তু ঠাণ্ডা হলে এর সান্দ্রতা বেড়ে যায় এবং প্রবহমান ক্ষমতা লোপ পায়। যে তেলের সান্দ্রতা বেশী সেই তেল তত ঘন।

যে তেলে সান্দ্রতা কম সে তেল তত পাতলা। তেলের সান্দ্রতা সহজেই অনুমান করা যায়, যেমন যে তেল যত বেশী পিচ্ছিল সেই তেলের সান্দ্রতা তত বেশী। আবার দেখা যায় যন্ত্রাংশ তেল ছাড়া ভালভাবে চলাচল করে না। কিন্তু তেল দিলেই উহা খুব সুন্দরভাবে এবং বহুদিন ধরে চলাচল করে।

সুতরাং সান্দ্রতা বর্তমান থাকে বলেই লুব অয়েলের এত গুণাগুণ। লুব অয়েলের সান্দ্রতা কমে গেলে অথবা না থাকলে ঐ তেল ইঞ্জিন হতে পরিবর্তন করতে হয় নতুবা ইঞ্জিনের ক্ষতি হয়। যে তেলে সান্দ্রতা মোটেই নেই সেই তেল হাতে নিয়ে আঙ্গুল দিয়ে পরীক্ষা করলেই বোঝা যায় যে আঠালো নয় ।

সান্দ্রতা রেটিং :

তেলের সান্দ্রতা পরিমাপ করা যায় সান্দ্রতা মিটারের (viscometer) সাহায্যে। এস. এ. ই (SAE) সোসাইটি অব অটোমোটিভ ইঞ্জিনিয়ারস-এর নাম। কোন নির্ধারিত পরিমাণ তেল নির্দিষ্ট তাপমাত্রায়, নির্ধারিত ব্যাস এবং দৈর্ঘ্য বিশিষ্ট অরিফিস দ্বারা নির্গমন হতে যদি ২০, ৩০, ৪০ সেকেন্ড সময় লাগে তবে ঐ মোবিলকে SAE-20, SAE 30, SAE-40, গ্রেডের মোবিল বলে। গ্রেডিং-এর সময় সাধারণত ৬০ মিলিমিটার তেল নেওয়া হয়। ১.২২ সে.মি. দৈর্ঘ্য এবং ১৭৬৫ সে. মিটার ব্যাসবিশিষ্ট অরিফিস ব্যবহার করা হয়। তাপমাত্রা ১০০ ফাঃ হতে ২১০ ফাঃ বা ৯৯° সেন্ট্রিগ্রেড রাখতে হয়।

শীতপ্রধান দেশের জন্য সান্দ্রতা রেটিং সাধারণত SAE-10W, SAE-20W ভাবে করা হয় (W—হচ্ছে শীতকালীন তেলের চিহ্ন)। আমাদের দেশে SAE-30 শীতকালে এবং SAE-40 গরমকালে ব্যবহার করা হয়। গিয়ার বাক্সের জন্যে SAE-80 হতে SAE-90 এবং ডিফারেন্সিয়ালের জন্য SAE-100 থেকে SAE-110 এবং স্টিয়ারিং গিয়ার বাক্সের জন্যে SAE-120—SAE-130 ব্যবহার করা হয়। এই সব তেল গিয়ার অয়েল নামে পরিচিত। বর্তমানে শীতপ্রধান দেশে কিছু কিছু তেলের গ্রেডিং এইভাবে করা হচ্ছে—SAE-10W- 30 এর অর্থ হচ্ছে যখন শীতকাল তখন SAE-10 এবং যখন গরম তখন উহা SAE-30 1

 

 

মোটর গাড়ীর অয়েল লেভেল ইনডিকেটর

 

চেসিস লুবরিকেশন (Chassis lubrication):

চেসিস লুবরিকেশন বলতে আমরা বুঝি চেসিসের নীচের অংশসমূহ, যেমন—(ক) সামনের ও পিছনের হুইল বিয়ারিং, (খ) নাকল, (গ) টাই রড এন্ড, (ঘ) ক্রস বিয়ারিং, (ঙ) ড্রাগলিং, (চ) আপার কন্ট্রোল আর্ম এবং লোয়ার কন্ট্রোল আর্ম, (ছ) ব্রেক প্যাডেল ও ক্লাচ প্যাডেল ইত্যাদিতে লুবরিকেশন করা। এসব জায়গায় গ্রীজ গান দ্বারা লুবরিকেশন করতে হয়। এসব জায়গায় SAE-220 হতে SAE-250 ব্যবহার করা হয়।

লুবরিটিং পদ্ধতির অভিযোগ, দোষ ত্রুটি ও প্রতিকার

১। অভিযোগ : পিস্টনের মাথায় লুব অয়েল ওঠে

কারণ:

১। অয়েল ক্র্যাপার রিং উল্টা লাগানো
২। অয়েল স্ক্র্যাপার রিং ভেঙ্গে গেলে।

৩। অয়েল রিং ক্ষয় হলে।

৪। অয়েল প্যানে লুব অয়েল বেশী হলে।

প্রতিকার

১। ঠিকমত লাগাতে হবে।
২। অয়েল রিং পরিবর্তন করতে হবে।
৩। অয়েল রিং পরিবর্তন করতে হবে।
৪। পরিমাণমত অয়েল নিতে হবে।

২। অভিযোগ : লুব অয়েল বেশী খরচ হয়

কারণ:

১। পিস্টনের মাথায় লুব অয়েল উঠে একজস্টের সঙ্গে বের হলে।
২। পাইপ বা সংযোগ ছিন্ন হয়ে লুব অয়েল পড়লে।
৩। লুব অয়েলে পানি মিলিত হলে।
৪। লুব অয়েলে ফুয়েল অয়েল মিলিত
৫। অয়েল সীল ছিদ্র বা নষ্ট হলে।
৬। ড্রেন প্লাগ ঢিলা বা নষ্ট হলে।
৭। টাইমিং কভার গ্যাসকেট নষ্ট হলে।
৮। অয়েল পাম্প-এর গ্যাসকেট নষ্ট হলে।
৯। ট্যাপেট কভার গ্যাস ছিদ্র হলে।

প্রতিকার

১। অয়েল রিং পরিবর্তন করতে হবে।
২। পাইপ এবং সংযোগের ছিদ্র বন্ধ করতে হবে।
৩। লুব অয়েল পরিবর্তন করতে হবে এবং সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে।
৪। লুব অয়েল পরিবর্তন করতে হবে।
৫। অয়েল সীল পরিবর্তন করতে হবে।
৬। ড্রেন প্লাগ পরিবর্তন করতে হবে।
৭। গ্যাসকেট পরিবর্তন করতে হবে।
৮। অয়েল পাম্পের গ্যাসকেট পরিবর্তন করতে হবে।
৯। গ্যাসকেট পরিবর্তন করতে হবে।

৩। অভিযোগ : লুব অয়েল গরম হয়

কারণ:

১। গতিদায়ক যন্ত্রাদি বেশী শক্ত হলে।
২। লুব অয়েল সরবরাহ কম হলে।
৩। সঙ্কোচন ছিদ্র হয়ে ক্র্যাক প্রকোষ্ঠে আসলে।
৪। লুব অয়েল পাতলা হলে।
৫। সাম্পে লুব অয়েল বেশী হলে।

প্রতিকার

১। সঠিকভাবে আঁটাতে হবে
২। স্বাভাবিক সরবরাহের ব্যবস্থা করতে হবে। অয়েল প্যানে লুব অয়েল দিতে হবে।
৩। সঙ্কোচন রিং পরিবর্তন করতে হবে।
৪। উপযুক্ত গ্রেডের লুব অয়েল দিতে হবে।
৫। পরিমাণমত তেল দিতে হবে।

৪। অভিযোগ : লুব অয়েলে পানি মিশ্রিত হয়

কারণ:

১। সিলিন্ডার হেড ফাটিয়া গেলে।
২। সিলিন্ডার লাইনার নষ্ট হলে।

৩। সিলিন্ডার ব্লক ফাটিয়া গেলে।

৪। সিলিন্ডার হেড গ্যাসকেট নষ্ট হলে।

৫। ওয়াটার পাম্পের সীল নষ্ট হয়ে গেলে।

প্রতিকার

১। বদলী করতে হবে।
২। লাইনার বদলী করতে হবে।
৩। ব্লক বদলী অথবা মেরামত করতে হবে।
৪। হেড গ্যাসকেট বদলী করতে হবে।
৫। সীল বদলী করতে হবে।

৫। অভিযোগ : লুব অয়েল প্রেসার গেজের কাঁটা নড়ে

কারণ:

১। অয়েল প্যানে তেল কম।
২। অয়েল পাম্প সাকশনের সময় বাতাস টানলে।

৩। লুব অয়েল ঠাণ্ডা অবস্থায় ইঞ্জিন বেশী

প্রতিকার

১। তেলে অয়েল প্যান পূর্ণ করতে হবে।
২। পাম্পের গ্যাসকেট বদলী করতে হবে এবং নাট ভালভাবে টাইট দিতে হবে।
৩। পরিমিত স্পীডে চালনা করতে হবে। স্পীডে চালনা করলে।

৬। অভিযোগ : লুব অয়েল প্রেসার গেজে প্রেসার দেখায় না

কারণ:

১। অয়েল পাম্প কাজ না করলে।
২। সাম্পে লুব অয়েল কম থাকলে (পাম্পের সাকশন না হলে)।

৩। প্রেসার গেজ খারাপ হলে।

প্রতিকার

১। পাম্প ঠিক করতে হবে।
২। পরিমিত পরিমাণে লুব-অয়েল দিতে হবে।
৩। প্রেসার গেজ বদলী অথবা মেরামত করতে হবে।

৭। অভিযোগ : লুব-অয়েল প্রেসার গেজে প্রেসার কম দেখায়

কারণ:

১। পাম্পের গিয়ার ক্ষয়প্রাপ্ত হলে।
২। সাম্পে তেল কম হলে।
৩। পাম্পের সাকশন ছাকনি ময়লা হলে।
৪। প্রেসার রিলিফ ভালভ এডজাস্টমেন্ট কম হলে।
৫। ডেলিভারী পাইপ লিক করলে।
৬। লুব-অয়েল পাতলা হলে।

প্রতিকার

১। পাম্পের গিয়ার পরিবর্তন করতে হবে।
২। সাম্পে তেলে পূর্ণ করতে হবে।
৩। পরিষ্কার অথবা বদলী করতে হবে।
৪। যথাযথভাবে এডজাস্টমেন্ট করতে হবে।
৫। মেরামত করতে হবে।
৬। ভাল গ্রেডের লুব-অয়েল দিতে হবে।

লুব-অয়েল তাপমাত্রা:

সব ইঞ্জিনের জন্য একরকম তাপমাত্রা হয় না। লুব-অয়েলের গ্রেড, ইঞ্জিন স্পীড ও ইঞ্জিনের থ্রাস্ট অনুযায়ী কম বেশী হয়। 

(ক) অয়েল কুলারে যাওয়ার আগে ১২০ ফাঃ-১৮০° ফারেনহাইট

(খ) অয়েল কুলারে ঠাণ্ডা হওয়ার পর-৯০° ফাঃ-১২০° ফারেনহাইট

 

 

মোটর গাড়ীর অয়েল লেভেল ইনডিকেটর

 

লুবরিকেটিং অয়েল প্রেসার:

১। পাম্প প্রেসার ৩০-৬৫ পাউন্ড প্রতি বর্গইঞ্চি ফিল্টারে যাওয়ার সময় ৩০-৬৫ পাউন্ড প্রতি বর্গইঞ্চি

৩। ফিল্টার থেকে বের হওয়ার সময় ২০ পাঃ-২৫ পাউন্ড প্রতি বর্গইঞ্চি

৪। কুলারে যাওয়ার সময় ১৫-২৫ পাউন্ড প্রতি বর্গইঞ্চি ৫। কুলার থেকে বের হওয়ার সময় ১৫-২০ পাউন্ড প্রতি বর্গইঞ্চি

৬। মেইন বিয়ারিং ১৫-২০ পাউন্ড প্রতি বর্গইঞ্চি

৭। রিগ এন্ড বিয়ারিং ১৪-১৮ পাউন্ড প্রতি বর্গইঞ্চি

৮। গাজনপিন ১২–১৬ পাউন্ড প্রতি বর্গইঞ্চি

বিভিন্ন ধরনের ইঞ্জিনে প্রেসারের তারতম্য ঘটে থাকে। নতুন ফিল্টার লাগানোর পূর্বে পুরানো লুব-অয়েল পরিবর্তন করতে হবে। নতুন ফিল্টার লাগালে অবশ্যই নতুন লুব-অয়েল দ্বারা ইঞ্জিন চালনা করতে হবে।

আরও দেখুনঃ

 

7 thoughts on “মোটর গাড়ীর অয়েল লেভেল ইনডিকেটর”

Leave a Comment