পেট্রোলজাত পদার্থের উদ্বায়িত্ব এবং তলানি পরীক্ষা

পেট্রোলজাত পদার্থের উদ্বায়িত্ব এবং তলানি পরীক্ষা নিয়ে আজকের। এই পাঠটি “অটোমোবিল ইঞ্জিনিয়ারিং” বিভাগ এর “ফুয়েলস এন্ড লুব্রিক্যান্টস” বিষয়ের একটি পাঠ। এই পাতন পরীক্ষা দ্বারা গ্যাসোলিন, ন্যাপথা, কেরোসিন এবং সমমানের পেট্রোলিয়াম পদার্থের উদ্বায়ীর প্রথম ও সর্বশেষ তাপমাত্রা নির্ণয় করা যায়। এই পরীক্ষা দ্বারা পেট্রোলিয়াম পদার্থের মধ্যে কি পরিমাণ অপরিশোধিত পদার্থ (তলানি) আছে তাও নির্ণয় করা যায়। এই পরীক্ষার জন্য প্রয়োজন একটি ফ্লাক্স, একটি থার্মোমিটার, বুনসেন বার্নার, কন্ডেন্সার, ঠাণ্ডা পানির টব এবং একটি দাগ-কাটা পানির পাত্র।

পেট্রোলজাত পদার্থের উদ্বায়িত্ব এবং তলানি পরীক্ষা

এই পরীক্ষা-পদ্ধতিতে যন্ত্রপাতি স্থাপন এবং পরীক্ষা পরিচালনা ও সম্পাদন ১৬.২২ চিত্রে দেখানো হল।

 

পেট্রোলজাত পদার্থের উদ্বায়িত্ব এবং তলানি পরীক্ষা | ফুয়েলস এন্ড লুব্রিক্যান্টস | অটোমোবিল ইঞ্জিনিয়ারিং

 

পাতন পরীক্ষা সম্পাদনের সময় অপ্রত্যাশিতভাবে উদ্বায়িত্বের জন্য যেটুকু ক্ষতি হয় এবং তলানি হিসেবে যেটুকু ফ্লাক্সের নিচে পথে থাকে তা ১৬.২৩ চিত্রে নিখুঁতভাবে দেখানো হয়েছে।

 

পেট্রোলজাত পদার্থের উদ্বায়িত্ব এবং তলানি পরীক্ষা | ফুয়েলস এন্ড লুব্রিক্যান্টস | অটোমোবিল ইঞ্জিনিয়ারিং

 

পেট্রোলিয়াম জ্বালানিতে নানারকম উপাদান থাকে। প্রত্যেকটির নিজ নিজ স্ফুটনাঙ্ক থাকে। তাই জ্বালানিতে (পেট্রোল) তাপ দিলে দেখা যাবে যে তেলের সম্পূর্ণ অংশ এক সাথে বাষ্পে পরিণত হচ্ছে না। প্রথমে অল্প পরিমাণ তেল কম তাপমাত্রায় বাষ্পে পরিণত হয় এবং বাকি তেল বাষ্পে পরিণত করতে আরও বেশী তাপমাত্রার দরকার হয়।

চিত্রানুসারে ফ্লাক্সে ১০০ মি. লিটার নমুনা তেল নেওয়া হয়। এখন বুনসেন বার্নার দিয়ে ফ্লাক্সটিকে তাপ দিলে তেল বাষ্পে রূপ নেবে। ঐ বাষ্প কন্ডেন্স টিউবের মধ্য দিয়ে দাগ-কাটা গ্লাস জারে ফোটা ফোঁটা আকারে পড়তে থাকবে। বাষ্প কন্ডেন্স টিউবের মধ্য দিয়ে যাওয়ার সময় ঠাণ্ডা পানির প্রভাবে তরলে রূপান্তরিত হয়।

প্রথম এক ফোঁটা তেল যখন কণ্ডেন্স টিউব থেকে দাগ-কাটা কাচের জারে পড়বে তখনই তাপমাত্রা লিপিবদ্ধ করতে হবে। তারপর ৫, ১০, ১৫ এইভাবে ফোঁটা পড়তে থাকবে এবং তাপমাত্রাও লিপিবদ্ধ করতে হবে। এক সময় দেখা যাবে ফ্লাক্সে আর তেল নেই।

 

পেট্রোলজাত পদার্থের উদ্বায়িত্ব এবং তলানি পরীক্ষা | ফুয়েলস এন্ড লুব্রিক্যান্টস | অটোমোবিল ইঞ্জিনিয়ারিং

 

পাস্তরিত হয়ে তেল দাগ-কাটা পাত্রে জমা হয়েছে। তবে এর পরিমাণ প্রথমে নেওয়া ১০০ মি. লিটারের সমান নয়, এর কিছু কম। এর কারণ দুটি—প্রথমটি হচ্ছে অপ্রত্যাশিতভাবে কিছু তেল বাষ্পীভূত হয়ে গেছে। দ্বিতীয়ত, কিছু তলানি ফ্লাক্সের তলায় জমে আছে।

এই ক্ষতিসমূহ ১৬.২৩ চিত্রে দেখানো হয়েছে। এই ক্ষতিকে পাতন পরীক্ষার ক্ষতি বলা যায়। দাগ-কাটা কাচপাত্রে প্রথম ফোঁটা তেল পড়ার তাপমাত্রাকে প্রাথমিক স্ফুটনাঙ্কের তাপমাত্রা (Initial boiling teruperature) বলে। দাগ কাটা পাত্রে সর্বশেষ যে ফোঁটাটি পড়ে তখন যে তাপমাত্রা পাওয়া যায় তাকে বলে ডিউ পয়েন্ট বা শেষ বিন্দু তাপমাত্রা (End-point temperature)।

 

আরও দেখুনঃ