হুইল এন্ড টায়ার ব্যবহার

আজকে আমাদের আলোচনার বিষয় হুইল এন্ড টায়ার ব্যবহার

হুইল এন্ড টায়ার ব্যবহার

 

হুইল এন্ড টায়ার ব্যবহার

 

হুইল এন্ড টায়ার ব্যবহার

গাড়ির টোটাল ভার বহন করার জন্য এবং রাস্তায় চালার জন্য এক্সেলে এর মাথায় যে গোলাকার বস্তু লাগানো হয় তাকে হুইল বলা হয় । টায়ার। ঢাকার বাইরের অংশকে টায়ার বলে। এটি রাবারের তৈরি। যার ভিতর কয়েক স্তরে সুতার জালিকা থাকে ।

টায়ারের বিভিন্ন অংশের নাম নিয়ে টারারের বিভিন্ন অংশের নাম ও চিত্রসহ বর্ণনা দেওয়া হলো

টারার স্ট্রেইভ :

এটা টায়ারের বাহিরের অংশ যা রাস্তার সংস্পর্শে থাকে। টায়ারের ব্যবহার ভেসে এর আকৃতির ও ভিন্নতা রয়েছে। রাবার পলিয়ে প্লাইরের উপর এ জাতীর বিভিন্ন আকৃতির ট্রেইড প্রস্তুত করা হয় ।

গ্রাই :

টায়ারের কেসিং/কাঠামোর স্তর গুলি প্লাই নামে পরিচিত/টায়ার বিভিন্ন সংখ্যা ও বিভিন্ন সাইজে বসানো প্লাই যারা গঠিত। প্লাই যারা গঠিত টায়ারের কাঠামোকে এর খাঁচা বলে। এটা আবার দুই প্রকারের, যেমন: ক্রস প্লাই এবং রেডিয়াল প্লাই। এটার উপরই রাবার ভলকানাইজিং করে বসানো থাকে ।

টায়ার শীল :

টায়ারের যে অংশের রিম যুক্ত অথবা রিমের মধ্যে টায়ারের যে অংশ থাকে, তাকে টায়ার বিডস বলা হয় । চিত্রে টায়ার বিভস দেখানো হলো। টিউববিহীন টায়ার বিভস অবশ্যই এবার টাইট অবস্থায় রিমের সাথে যুক্ত থাকে। এক প্রকার বীভ ওয়ার ব্যবহার করে টায়ার বীভ প্রস্তুত করা হয়ে থাকে। যা রিমের খাঁজের সাথে আবদ্ধ হয় ।

 

হুইল এন্ড টায়ার ব্যবহার

 

ইনার লাইনার :

সিলিন্ডার লাইনার এর ন্যায় এক প্রলেপ রাবার টায়ারের ভিতরের অংশে কম্পোজড করে লাগানো হয়ে থাকে। আবার ট্রেইডের নিচে রাবারের যে প্রলেপ প্লাইয়ের উপর কম্পোজ করে লাগানো হয়ে থাকে, তাকে ওয়াল রাবার বলে।

উচ্চতা ও এলভতা :

ছবিতে টারারের উচ্চতা ও প্রান্ততা দেখানো হয়েছে। টায়ারের সাইজ গুরুত্বপূর্ণ এ সাইজ টায়ারের উচ্চতা ও প্রশস্ততা দ্বারা শনাক্ত করা হয়। টায়ারের প্রচলিত সাইজ হলো ৬০%, ৭০%, ৭৮% ৮৩%। এর মানে টায়ারের উচ্চতা যথাক্রমে এর প্রশস্থতার শতকরা হার হলো, ৬০, ৭০, ৭৮ ও ৮০ ভাগ বা

টারার পরিচা

টায়ারে বাতাসের চাপ নিরীক্ষণ করা একটি নিয়মিত ও গুরুত্বপূর্ণ রক্ষণাবেক্ষণ । কমপক্ষে একটি চলন্ত গাড়ির প্রত্যেকটি যাত্রা আরম্ভ করণের পূর্বে টায়ারের রাঙাসের চাপ পরিমাপপূর্বক প্রস্তুতকারকলণের নির্দেশ অনুসারে সংরক্ষণ করা বাঞ্ছনীয়। ওয়ার্কশপে রক্ষিত গাড়ির বাতাসের চাপ সাহাকে পরিমাপ ও সংরক্ষণ করা উচিত। পাড়ির পরিবর্তনশীল যন্ত্রাংশসমূহের মধ্যে টায়ারের খরচই সর্বাধিক।

সুতরাং টায়ার রক্ষণাবেক্ষণের প্রতি যত্নশীল হবে বাঞ্ছনীয়। প্রতি ৫০০০ কি.মি. চলার পর প্রত্যেকটি টায়ার নিরীক্ষণ করা উচিত। অনেক ক্ষেত্রে ত্রুটিপূর্ণ/ভুল হুইল অ্যালাইনমেন্ট অ্যালেন্সের জন্য টায়ার মাত্রাতিরিক্ত ক্ষয় হয়। হুইল অ্যালাইনমেন্টকে সর্বদাই ত্রুটিমুক্ত রাখা উচিত। চিত্রের ন্যায় টায়ারের যদি এক পাশে ক্ষয় বেশি হয় অর্থাৎ ভিতরে/বাহিরের যে কোনো পাশের ক্ষয় পরিলক্ষিত হলে বুঝতে হবে গাড়ির স্টিয়ারিং সিস্টেমের ত্রুটি রয়েছে।

এ ক্ষেত্রে অবশ্যই স্টিয়ারিং ত্রুটিমুক্ত করতে হবে। টারার স্টোরে/কোনো ওয়ার্কশপে সংরক্ষণ করতে হলে একে কখনও স্তূপাকারে অথবা একটির উপর অপরটি রেখে সংরক্ষণ করা উচিত নয়। দরজা জানালাযুক্ত ঘরে পৃথকভাবে এগুলোকে তাকে সংরক্ষণ/জমা রাখা উচিত। টায়ার রক্ষণাবেক্ষণ ও যন্ত্রের ক্ষেত্রে টায়ার রোটেশন একটি গুরুত্বপূর্ণ কাজ।

রেডিয়াল টায়ারের ক্ষেত্রে ১২০০০ কি.মি. ও ক্রস প্লাই টায়ারের ক্ষেত্রে ১২০০০ হতে ১৫০০০ কি.মি. চলার পর এ টায়ার রোটেশন করা আবশ্যক। টায়ার রোটেশন হতে একটি ক্রম ধারা মোতাবেক এক চাকার টারারকে অন্য ঢাকার স্থানান্তরিত করা। চিত্রে ভারী গাড়ি অর্থাৎ হয় ও আট চাকার টায়ার রোটেশন খোনো হলো। ওভার ইনক্লেনেশন অর্থাৎ নির্দেশনার বেশি চাপে ৰাভাস টায়ারে প্রবেশ করানো হলে তা টায়ারে আয়ুষ্কাল কমিয়ে দেয় এবং অনেক ক্ষেত্রে দুর্ঘটনারও কারণ হয়।

গাড়ির প্রত্যেকটি চাকাতে প্রস্তুতকারকপণের নির্দেশিত টায়ার ব্যবহার করতে হয় এবং প্রত্যেকটি ঢাকাতে একই পরিমাপের টায়ার ব্যবহার করতে হয়। টায়ার ভলকানাইজ করা হলে অবশ্য ফুইল ব্যালেন্সিং করে নিতে হবে নতুবা গাড়ির ঝাঁকুনি বাড়াবে ও ফুইল বিয়ারিং ক্ষয় হয়ে যায়। সর্বদা পাড়িতে সমপরিমাপের ও সমকন্ডিশনের স্পেয়ার ঢাকা রাখতে হবে এবং টায়ার এবং টায়ার রোটেশন এটাকেও বিবেচনায় আনতে হবে ।

প্রশ্নমালা- ২২

অতি সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন

১. রিম হুইল কী কী ধাতু দ্বারা তৈরি?

২. স্প্লিট হুইলের খোলার ক্ষেত্রে কোন সাবধানতাটি অবশ্যই পালনীয়

৩. অ্যাপ হুইল কী জাতীয় ধাতু দ্বারা তৈরি এবং কোন কোন জাতীয় গাড়িতে এটা ব্যবহার হয় ?

৪. স্প্লিট রিম বলতে কী বোঝায়?

 

 

সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন

১. টিউবযুক্ত ও টিউববিহীন টায়ারের সুবিধা ও অসুবিধা লেখ।

২. টায়ারের বিভিন্ন অংশের নাম দেখ এবং বর্ণনা কর ।

রচনামূলক প্রশ্ন

১. টায়ারে পরিচর্যা ও রক্ষণাবেক্ষণ বর্ণনা কর।

আরও দেখুন :

 

Leave a Comment