ডি.এফ.আই এবং ইএফ.আই জ্বালানি পদ্ধতির অভিযোগ-কারণ এবং প্রতিকার

ডি.এফ.আই এবং ইএফ.আই জ্বালানি পদ্ধতির অভিযোগ-কারণ এবং প্রতিকার  নিয়ে আজকের আলোচনা। এই পাঠটি “অটোমোবিল ইঞ্জিনিয়ারিং” বিষয়ের “অটোমোবাইলের ইতিহাস” পাঠের অংশ।

ডি.এফ.আই এবং ইএফ.আই জ্বালানি পদ্ধতির অভিযোগ-কারণ এবং প্রতিকার

 

ডি.এফ.আই এবং ইএফ.আই জ্বালানি পদ্ধতির অভিযোগ-কারণ এবং প্রতিকার | অটোমোবাইলের ইতিহাস | অটোমোবিল ইঞ্জিনিয়ারিং

ডি.এফ.আই এবং ইএফ.আই জ্বালানি পদ্ধতির অভিযোগ-কারণ এবং প্রতিকার | অটোমোবাইলের ইতিহাস | অটোমোবিল ইঞ্জিনিয়ারিং

 

ডি.এফ.আই এবং ইএফ.আই জ্বালানি পদ্ধতির অভিযোগ-কারণ এবং প্রতিকার | অটোমোবাইলের ইতিহাস | অটোমোবিল ইঞ্জিনিয়ারিং

 

ডি.এফ.আই এবং ইএফ.আই জ্বালানি পদ্ধতির অভিযোগ-কারণ এবং প্রতিকার | অটোমোবাইলের ইতিহাস | অটোমোবিল ইঞ্জিনিয়ারিং

 

বস্/ বোস্কে টাইপ এবং বস্এল টাইপ :

এই জাতীয় ইঞ্জিন সমূহের অভিযোগ, কারণ এবং প্রতিকার ইত্যাদির সমাধানের সময় আমাদেরকে যা বিশেষ করে মনে রাখতে হবে তা হলো :   . যথাযথ যন্ত্রপাতি এবং টেস্টিং মেশিন ব্যবহার করতে হবে, . বাহ্যিকভাবে উহার অবস্থা, সংযোগ এবং কার্যপযোগিতা পরখ করা, . ওয়ার্মআপ ভাল্ব এবং সাহায্যকারী বাতাস সরবরাহকারী ভাল্ব এর প্লাগসমূহের অবস্থা অর্থাৎ ঢিলা অথবা নষ্ট বা পোড়া অবলোকন করতে হবে, . জ্বালানি সরবরাহ লাইনে কোথাও তেল পড়ে কিনা তাহা চেক করতে হবে, . বাতাস সরবরাহ লাইনে কোথাও বাতাস লিক করে কিনা অর্থাৎ অতিরিক্ত বাতাস প্রবেশ করে কিনা তাহা নিরীক্ষা করা,

. গাড়ীর ধোঁয়া পর্যবেক্ষণ করা, . আগুন লাগার সম্ভাবনা পরখ করা, . জ্বালানি লাইনে বা বাতাস সরবরাহ লাইনে কোন সীল বা হোস পাইপ নষ্ট হলে বদলী করতে হবে, . বাতাস লিক চেক করার জন্য হোস পাইপের এক প্রান্ত বাতাস নিয়ন্ত্রক (Air Regulator) হতে খুলে চাপযুক্ত বাতাস দিলে দুর্বল স্থান দিয়ে বাতাস বের হতে থাকবে। প্রয়োজনে হোস পাইপ এবং সীল বাদ দিয়ে নতুন করে লাগাতে হবে, ১০. এইসব কাজে সব সময়ই তৈরীকারী/উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানের নিয়মাবলী পদ্ধতি আদেশ নিষেধ মেনে চলা একান্ত কর্তব্য।

 

ডি.এফ.আই এবং ইএফ.আই জ্বালানি পদ্ধতির অভিযোগ-কারণ এবং প্রতিকার | অটোমোবাইলের ইতিহাস | অটোমোবিল ইঞ্জিনিয়ারিং

ডি.এফ.আই এবং ইএফ.আই জ্বালানি পদ্ধতির অভিযোগ-কারণ এবং প্রতিকার | অটোমোবাইলের ইতিহাস | অটোমোবিল ইঞ্জিনিয়ারিং

ডি.এফ.আই এবং ইএফ.আই জ্বালানি পদ্ধতির অভিযোগ-কারণ এবং প্রতিকার | অটোমোবাইলের ইতিহাস | অটোমোবিল ইঞ্জিনিয়ারিং

ডি.এফ.আই এবং ইএফ.আই জ্বালানি পদ্ধতির অভিযোগ-কারণ এবং প্রতিকার | অটোমোবাইলের ইতিহাস | অটোমোবিল ইঞ্জিনিয়ারিং

 

ডি.এফ.আই এবং ইএফ.আই জ্বালানি পদ্ধতির অভিযোগ-কারণ এবং প্রতিকার | অটোমোবাইলের ইতিহাস | অটোমোবিল ইঞ্জিনিয়ারিং

 

ডি.এফ.আই এবং ইএফ.আই জ্বালানি পদ্ধতির অভিযোগ-কারণ এবং প্রতিকার | অটোমোবাইলের ইতিহাস | অটোমোবিল ইঞ্জিনিয়ারিং

 

উদাহরণ :

একটি ইঞ্জিনের সোয়েপট ভলিউম ৭২০ ঘন সেন্টিমিটার এবং ক্লিয়ারেন্স ভলিউম ৯০ ঘন সেন্টিমিটার হলে ইঞ্জিনের কম্প্রেশন রেশিও কত?

আমরা জানি,

 

ডি.এফ.আই এবং ইএফ.আই জ্বালানি পদ্ধতির অভিযোগ-কারণ এবং প্রতিকার | অটোমোবাইলের ইতিহাস | অটোমোবিল ইঞ্জিনিয়ারিং

 

উদাহরণ :

একটি অত্যাধুনিক মটর গাড়ী ২০০ কি. মি. পথ যেতে ১৬ লিটার জ্বালানি খরচ করে, তাহলে গাড়ীটি লিটার জ্বালানি পুড়িয়ে কত পথ যাবে?

সমাধান:

ডি.এফ.আই এবং ইএফ.আই জ্বালানি পদ্ধতির অভিযোগ-কারণ এবং প্রতিকার | অটোমোবাইলের ইতিহাস | অটোমোবিল ইঞ্জিনিয়ারিং

 

উদাহরণ ১০ :

একটি বহু স্তর (Multi-stage) গিয়ার বক্সে প্রাইমারি ইনপুট শ্যাফটে গিয়ার হুইলে দাতের সংখ্যা ১৫টি, আইডেল গিয়ারে পাতের সংখ্যা ২০টি এবং বহির্গমন (out pur) শ্যাফট গিয়ারে দাঁতের সংখ্যা ৪৫টি হলে উল্টা (Reverse) গিয়ারের অনুপাত কত?

 

ডি.এফ.আই এবং ইএফ.আই জ্বালানি পদ্ধতির অভিযোগ-কারণ এবং প্রতিকার | অটোমোবাইলের ইতিহাস | অটোমোবিল ইঞ্জিনিয়ারিং

 

উদাহরণ ১১ :

আমরা জানি, গিয়ার অনুপাত S+A S = 1 +

আরও            A = S + 2P

এখানে           A = এ্যানুলার গিয়ারে দাঁতের সংখ্যা

                      S = সান গিয়ারে দাঁতের সংখ্যা

                      P = প্লানেট গিয়ারে দাঁতের সংখ্যা।

একটি ইপিসাইকেলিক গিয়ার বক্সে সান এবং এ্যানুলার গিয়ারে দাঁতের সংখ্যা যথাক্রমে ২৮ এবং ৫৬টি। ইঞ্জিন হতে যে শক্তি আসে তাহা যদি সান শ্যাফটকে ৩০০০ বার/মিনিটে ঘুরায়, তাহলে নির্ণয় করতে হবে () সাধারণ গিয়ার অনুপাত () প্লানেট গিয়ারে দাঁতের সংখ্যা এবং () বহির্গমন শ্যাফটের গতি (output speed )

 

ডি.এফ.আই এবং ইএফ.আই জ্বালানি পদ্ধতির অভিযোগ-কারণ এবং প্রতিকার | অটোমোবাইলের ইতিহাস | অটোমোবিল ইঞ্জিনিয়ারিং

 

ডি.এফ.আই এবং ইএফ.আই জ্বালানি পদ্ধতির অভিযোগ-কারণ এবং প্রতিকার | অটোমোবাইলের ইতিহাস | অটোমোবিল ইঞ্জিনিয়ারিং

 

বেশী জ্বালানি খরচ করবে ১২০১১০ = ১০ গ্যালন। (উত্তর)

ইএফ.আই ইঞ্জিন কনভারটার :

আধুনিক বিশ্বে প্রতিটি .এফ.আই ইঞ্জিনে পোড়া গ্যাস বাহির হওয়ার পথে মাফলারের আগে একটি শক্তিশালী থ্রীওয়ে কনভারটার ব্যবহৃত হয়। চিত্র ১৮.২১ (, , , ) দ্বারা কেটালাইটিক কনভারটারের অবস্থান, আকৃতি, ভিতরের কলাকৌশল এবং কার্যক্রম দেখানো হয়েছে। কনভারটারের ভিতরে যে কেটালাইটিক থাকে উহা জালির মত বা ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র ছিদ্র নিয়ে গঠিত।

জালির মধ্য দিয়ে বা ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র ছিদ্রের মধ্য দিয়ে পোড়া গ্যাস যেতে বা বাহির হতে থাকে। প্লাটিনিয়াম, প্লাডিয়াম এবং রেডিয়াম দিয়ে কেটালাইটিক গঠিত অথবা ধাতুগুলি দিয়ে প্রলেপ দেওয়া থাকে। ইঞ্জিনের পোড়া গ্যাস ধাতুর মধ্য দিয়ে প্রবাহিত হওয়ার সময় রাসায়নিক বিক্রিয়ার ফলে উচ্চ ক্ষতিকারক গ্যাস কম দূষিত পদার্থে পরিণত হয়। যেমন হাইড্রোকার্বনপানিতে এবং কার্বন মনঅক্সাইড কার্বন ডাইঅক্সাইড গ্যাসে এবং নাইট্রোজেনঅক্সাইড নাইট্রোজেন গ্যাসে পরিণত হয়। ফলে পরিবেশ দূষণ কম হয়।

 

ডি.এফ.আই এবং ইএফ.আই জ্বালানি পদ্ধতির অভিযোগ-কারণ এবং প্রতিকার | অটোমোবাইলের ইতিহাস | অটোমোবিল ইঞ্জিনিয়ারিং

 

সি.এন.জি (C.N.G = Compressed Natural Gas) : মিথেন সমৃদ্ধ প্রাকৃতিক গ্যাস আমাদের দেশে প্রচুর পাওয়া যায়। একে প্রক্রিয়াজাত করে ডিজেল পেট্রোল গাড়ীতে জ্বালানি হিসাবে ব্যবহার করা যায়। ২১৮ থেকে ২৬২ কে.জি/সে.মি চাপে অথবা (৩০০০ থেকে ৪০০০ পাঃ/বর্গইঞ্চি) মিথেন গ্যাসকে আরও সংকুচিত করেসি.এন.জি. তৈরী করে সিলিন্ডারে পূর্ণ করে যানবাহনে জ্বালানি হিসাবে ব্যবহার করা যায়।

এল.পি.জি (L.P.G = Liquidified Petrolium gas) এল.পি.জি. এবং সি.এন.জি. এর মূল কাজ একই। উভয় গ্যাস যানবাহনের জ্বালানি খরচ কমায় এবং পরিবেশ দূষণ কমায়। এই গ্যাস ডিজেল, পেট্রোল এবং অকটেনের পরিবর্তে অতি সূচারুরূপে ব্যবহৃত হচ্ছে। এতে খরচ প্রায় অর্ধেক হয়। এই গ্যাসে সালফার (S) এবং সীসা (PB) থাকে না, ফলে কার্বন মনোঅক্সাইড (C) নির্গত খুব কম হয়।

ফলে বায়ু দূষণ কম হয়, ইঞ্জিন রক্ষণাবেক্ষণ খরচ কম লাগে, বেশী শক্তি উৎপন্ন হয়, প্লাগ ভাল থাকে, দহনকার্য ভাল হয়, কার্বন কম হয়, লুব অয়েল খরচ কম হয়, লুব অয়েল ময়লা কম হয়, পাতলা কম হয় বা দেরীতে হয়।

ফলে মবিল দেরীতে পরিবর্তন করতে হয়। এতে সার্ভিসিং এবং রক্ষণাবেক্ষণ খরচ কম হয় এবং অনেক দিন পরে করতে হয়। গাড়ী চলে সুন্দরভাবে এবং শব্দ কম হয়। গ্যাস দেশেই তৈরী হয় বিধায় রক্ষণাবেক্ষণ বৈদেশিক মুদ্রা সংরক্ষণ করে থাকে।

 

রূপান্তর পদ্ধতি:

সাধারণ ডিজেল এবং পেট্রোল যানবাহনে সি.এন.জি. অতি সহজে ব্যবহার করা যায়। এর জন্য নিম্নলিখিত ইউনিটসমূহ নূতনভাবে সংযোজিত করতে হয়। () ডিজেল বা পেট্রোল ট্যাঙ্কের অতিরিক্ত আরও একটি ট্যাঙ্কি যার ধারণ ক্ষমতা গাড়ীর ধরনভেদে ১৫ থেকে ২৫ ঘন মিটার, () ত্রিমুখী শাট আফ ভাল্ব একটি, () সি.এন.জি. সলেনয়েড ভাল্ব একটি, () তিন স্তর বিশিষ্ট সি.এন.জি. রেগুলেটর একটি, () মিক্সার, () সিলেক্টর সুইচ, () মিটার, () কানেকটর।

এসব ইউনিটগুলি এমনভাবে লাগানো হয় বাহির থেকে বুঝায় যায় না। সি.এন.জি. হঠাৎ ফুরিয়ে গেলে রেগুলেটর ডিজেল বা পেট্রোল সরবরাহ লাইনের সাথে যুক্ত করে নিমিশের মধ্যে গাড়ীটিকে ডিজেল বা পেট্রোল দ্বারা চালনা করা যায়।হু” (WHO) এর মতে নির্ধারিত ডাস্ট পার্টিকেল নিরাপদ পরিমাণ প্রতি ঘনমিটার বাতাসে ৪০৮০ মাইক্রোগ্রাম।

কিন্তু আমাদের দেশে এর পরিমাণ হচ্ছে দেড় থেকে দুই হাজার মাইক্রোগ্রাম। যা স্বাস্থ্যের জন্য খুবই ক্ষতিকর। কিন্তু সি.এন.জি. এল.পি.জি ব্যবহার করে ওটা নিয়ন্ত্রণ করা যায়। পেট্রোল গাড়ীতে খরচ পড়ে ১৫২৫ হাজার টাকা এবং ডিজেল গাড়ীতে খরচ পড়ে ৭০ হাজার হতে এক লক্ষ টাকা মাত্র। দেশ জাতিকে পরিবেশ দূষণ থেকে বাঁচাতে যানবাহনে গ্যাস ব্যবহার করা অপরিহার্য।

 

ডি.এফ.আই এবং ইএফ.আই জ্বালানি পদ্ধতির অভিযোগ-কারণ এবং প্রতিকার | অটোমোবাইলের ইতিহাস | অটোমোবিল ইঞ্জিনিয়ারিং

 

 

আরও দেখুনঃ

 

Leave a Comment