Site icon অটোমোটিভ গুরুকুল [ Automotive Gurukul ], GOLN

জ্বালানি তেল

জ্বালানি তেল – নিয়ে আজকের আলোচনা। এই পাঠটি “অটোমোবিল ইঞ্জিনিয়ারিং” এর “বাষ্পীয় বয়লার বা জেনারেটর” বিষয়ক পাঠ।

 

জ্বালানি তেল

 

যে সকল দ্রব্য প্রজ্বলন করলে আমরা তাপশক্তি পাই তাকে জ্বালানি বলে। যেমন : ডিজেল, পেট্রোল, কেরোসিন, ফারনেস অয়েল, পাথুরে কয়লা, কাঠ, বাঁশ, তরলীকৃত গ্যাস, প্রাকৃতিক গ্যাস ইত্যাদি।

অপরিশোধিত তেল (crude petroleum) :

– ভূগর্ভ হতে উত্তোলন করা হয়। এই তেল ভূগর্ভে কিভাবে উৎপন্ন হয় তা আজও সঠিকভাবে জানা যায় নি। তবে তেল বিশেষজ্ঞগণ মনে করেন বহু বছর পূর্বে প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের ফলে গাছ-পালা, তরুলতা, জীব-জন্তু মাটির নীচে চাপা পড়ার ফলে কালক্রমে ভূ-গর্ভের চাপে ও তাপে এবং বিভিন্ন জীবাণু ও রাসায়নিক ক্রিয়ার ফলে অপরিশোধিত তেলের সৃষ্টি হয়।

এই তেলের রং অনেকটা লালচে চিটাগুড় গোলানোর মত। এই তেল কূপ খননের মাধ্যমে গভীর নলকূপের সাহায্যে ভূপৃষ্ঠে উত্তোলন করা হয়। এই তেল মাটির নীচে অতি উচ্চচাপে থাকে বলে এই তেল খনিতে পেট্রোলিয়াম ছাড়া গ্যাসও পাওয়া যায়। কূপ খননের ফলে প্রথমেই উচ্চচাপে এ গ্যাস বের হয়ে আসে।

 

 

ভূ-জরিপের সাহায্যে তেলক্ষেত্রের অবস্থান নির্ণয় করা হয়। ভূপৃষ্ঠের মানচিত্র, আকাশ হতে তোলা ছবি, ভূ-পৃষ্ঠের গঠন ও সমুদ্র তলদেশের গঠন এবং মাটির নমুনা যাচাই করে তেলক্ষেত্রের স্থান নির্ণয় করা হয়। পরে কূপ খননের মাধ্যমে উক্ত স্থানে তেল আছে কিনা তা পরীক্ষা করা হয়। যদি তেল থাকে তবে তার পরিমাণ নির্ণয় করা হয়। যদি সবদিক থেকে লাভজনক বলে প্রমাণিত হয় তবে তেল উত্তোলনের ব্যবস্থা নেওয়া হয়। তেল প্রাপ্তির সম্ভাবনা নিশ্চিত করার জন্য নিম্নলিখিত জরিপ ও পরীক্ষা করতে হয়।

 

 

(ক) মৃত্তিকা পরীক্ষা, (খ) ভূকম্পন জরিপ, (গ) রে-পরীক্ষা, (ray-test) (ঘ) খনন কার্য ও (ঙ) মজুদ তেলের পরিমাণ নির্ণয়।

 

আরও দেখুনঃ

Exit mobile version