ঝাঁকুনি বিশোষক – এই পাঠটি “অটোমোবিল ইঞ্জিনিয়ারিং” বিষয়ের “সাসপেনশন ও স্টিয়ারিং ব্যবস্থা” অধ্যায়ের একটি পাঠ। ইঞ্জিনের সিলিন্ডার বিভিন্ন কারণে ক্ষয়প্রাপ্ত হয়। নিম্নে এর বিবরণ দেওয়া হলো : (ক) বহু পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর দেখা গেছে যে, নতুন ইঞ্জিনের প্রথম ৫ হতে ১০ হাজার মাইল চলার পর সিলিন্ডার বেশী ক্ষয় হয়। কারণ নতুন অবস্থায় পিস্টন রিং এবং রিং-এর খাঁজের (groove) মধ্যে এবং সিলিন্ডারের সাথে খুব বেশী রিজ (ridge) থাকার জন্যই ঐরূপ হয়। রিজ যখন মুক্ত হয়ে যায় তখন সিলিন্ডারের ক্ষয়ের পরিমাণ কমে যায়।
ঝাঁকুনি বিশোষক
রাস্তায় নিরাপদে গাড়ী চালানোর জন্য শুধুমাত্র কয়েল বা লীফ স্প্রিংই যথেষ্ট নয়। এর জন্য ঝাঁকুনি বিশোষক বা শক অ্যাবজর্বার একান্ত প্রয়োজন। গাড়ীতে বিভিন্ন ধরনের শক অ্যাবজর্বার ব্যবহার করা হয়। (যেমন : (ক) হাইড্রলিক শক অ্যাবজর্বার, (খ) কম্প্রেস্ট এয়ার শক অ্যাবজর্বার, (গ) ফ্রিকশন শক অ্যাবজর্বার। এদের মধ্যে হাইড্রলিক শক অ্যাবজর্বার সব থেকে বেশি ব্যবহৃত হয়।
শক অ্যাবজর্বারের কার্যপ্রণালী :
১২:৫ চিত্রে শক অ্যাবজর্বারের গঠন ও কার্যক্রম দেখানো হয়েছে। চেসিস আই এবং অ্যাক্সেল আই এর মাধ্যমে এটি গাড়ীতে লাগানো থাকে। এতে একটি অয়েল রিজার্ভার, অয়েল সীল চেক ভাল্ভ, একটি পিস্টন রড ও একটি পিস্টন আছে। গাড়ী যখন রাস্তায় উঠানামা করে সেই ধাক্কা পিস্টন রডের মাধ্যমে শক অ্যাবজর্বারের মধ্যে আসে। উপরের চেক ভাল্ভ নীচের চেক ভাল্ভকে চাপ দেয় এবং নীচের চেক ভাল্ভ এর চাপে তেল তখন রিজার্ভারে যায়। গাড়ীর ধাক্কা যখন কমে যায় তখন চেক ভাল্ভগুলি এবং পিস্টন রড তাদের স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে যায়। যতবার গাড়ীতে ধাক্কা লাগে ততবার এরূপ হতে থাকে। ফলে রাস্তায় ধাক্কা প্রতিহত হয়।
আরও দেখুনঃ
- হাইড্রলিক ব্রেকের যন্ত্র পরিচিতি | অটোমোবিল -ইঞ্জিনিয়ারিং
- ডুয়েল অথবা স্প্লিট ব্রেকিং পদ্ধতি | অটোমোবিল- ইঞ্জিনিয়ারিং
- মাস্টার সিলিন্ডার খোলা এবং লাগানো | অটোমোবিল -ইঞ্জিনিয়ারিং
- হুইল সিলিন্ডার লাগানোর নিয়ম | ব্রেক পদ্ধতি | অটোমোবিল -ইঞ্জিনিয়ারিং
- প্রেসার ট্যাঙ্কের সাহায্যে এয়ার ব্লিডিং পদ্ধতি | ব্রেক পদ্ধতি | অটোমোবিল -ইঞ্জিনিয়ারিং
- মোটরগাড়ি শিল্প