Site icon অটোমোটিভ গুরুকুল [ Automotive Gurukul ], GOLN

মোটর গাড়ীর বিভিন্ন পদ্ধতি

মোটর গাড়ীর বিভিন্ন পদ্ধতি – এই পাঠটি “অটোমোবিল ইঞ্জিনিয়ারিং” বিষয়ের “মোটর গাড়ীর বিভিন্ন পদ্ধতি” অধ্যায়ের একটি পাঠ।  একটি পূর্ণাঙ্গ মোটর গাড়ীকে প্রধানত ৪ ভাগে ভাগ করা যায়। যেমন :

মোটর গাড়ীর বিভিন্ন পদ্ধতি

 

 

 

হুইল বেস (Wheel base):

গাড়ীর সম্মুখে এবং পিছনে চাকা লাগানো থাকে। মোটরযানের যে কোন একদিকের সম্মুখের চাকার মধ্যরেখা হতে একই দিকের পিছনের চাকার মধ্যরেখা পর্যন্ত দূরত্বকে হুইল বেস বলে। হুইস বেস পরিমাপের সময় সম্মুখের চাকা সোজা করে রাখতে হয়। মোটরযানের হুইল বেস বড় হওয়া ভাল। ছোট হ’লে পার্ক করতে সুবিধা হয়। মোটরযানের হুইল বেস সাধারণত ৫০ ইঞ্চি হতে ১৩০ ইঞ্চি পর্যন্ত হয়। কোন বিশেষ ক্ষেত্রে বড়ও হতে পারে। চিত্র ৩.১ (ক) দ্বারা হুইল বেস, হুইল ট্রেড এবং রোড ক্লিয়ারেন্স দেখানো হয়েছে।

 

 

হুইল ট্রেড (Wheel trade):

হুইল ট্রেড হচ্ছে সম্মুখের অথবা পিছনের চাকাদ্বয়ের দূরত্ব। সম্মুখে যে দুইটি ঢাকা থাকে তার একটির মধ্যরেখা হতে অপর ঢাকার মধ্যরেখা পর্যন্ত দূরত্বকে হুইল ট্রেড বলে। অনুরূপভাবে পশ্চাদ্‌ভাগের চাকাদ্বয়ের দূরত্বকে হুইল ট্রেড বলে। হুইল ট্রেড প্রকৃতপক্ষে মোটরযানের চওড়াকে বোঝায়। হুইল বেস বড় হলে বা দৈর্ঘ্য বেশী হলে হুইল ট্রেড চওড়ায় বেশী হয়। চিত্র ৩.১ (ক) দ্রষ্টব্য।

 

 

রোড ক্লিয়ারেন্স (Road clearance):

মোটরযানের সর্বনিম্ন অংশ হতে রাস্তা পর্যন্ত দূরত্বকে রোড ক্লিয়ারেন্স বলে। ডিফারেন্সিয়াল হাউজিং (differential housing) মোটরযানের সর্বনিম্ন অংশ। মোটরযান নির্মাতার নক্সার উপর নির্ভর করে মোটরযানের দৈর্ঘ্য, প্রস্থ এবং রোড ক্লিয়ারেন্স। ৩.১ (ক) চিত্র দ্রষ্টব্য। একটি মোটরযানকে ১২টি পদ্ধতিতে ভাগ করা যায়। যেমন :

১। লুবরিকেটিং পদ্ধতি (lubricating system)

২। কুলিং পদ্ধতি (cooling system)

৩। ট্রান্সমিশন পদ্ধতি (transmission system)

৪। ব্রেক পদ্ধতি (brake system)

৫। ইগনিশন পদ্ধতি (ignition system)

৬। ফুয়েল পদ্ধতি (fuel system)

৭। স্টিয়ারিং পদ্ধতি (steering system)

৮। সাসপেনশন পদ্ধতি (suspension system)

১। চারজিং পদ্ধতি (charging system)

১০। লাইটিং পদ্ধতি (lighting system)

১১। হর্ন পদ্ধতি (horn system )

১২। স্টার্টিং পদ্ধতি (starting system)

 

আরও দেখুনঃ

Exit mobile version