আজকে আমাদের আলোচনার বিষয় CNG, LPG, EFI পর্যবেক্ষণ করার দক্ষতা অর্জন
CNG, LPG, EFI পর্যবেক্ষণ করার দক্ষতা অর্জন
CNG, LPG ইঞ্জিনে ব্যবহারের কৌশল জানতে পারবে।
সিএনজি/এলপিজি একধরনের জ্বালানি বা অটোমোটিভ ইঞ্জিনের দহন কার্যে ব্যবহৃত হয়ে তাকে। বর্তমানে পেট্রোল বা ডিজেলের পরিবর্তে ছোট ছোট ভেহিক্যাল যেমন, অটোরিক্সা, ফুটার, টেক্সিক্যাব, মাইক্রোবাস এমনকি বৃহৎ বাস-এর ক্ষেত্রেও ব্যবহৃত হতে দেখা যায় ।
CNG, LPG, EFI এর প্ররোগ কৌশল জানতে পারবে।
প্রথমে সিএনজি/এলপিজি গ্যাস ভর্তিকৃত সিলিন্ডার হতে গ্যাস সার্ট অব ভালব-এর মধ্যদিয়ে হাই প্রেসার স্টিল পাইপে প্রবেশ করে। এরূপ পাইলে কম্প্রেসড ন্যাচারাল গ্যাস (সিএসজি)/লিকুইড প্রেসারাইজ গ্যাস (এলপিজি) হাই প্রেসারে প্রবাহিত হয়। হাই প্রেসার স্টিল পাইপ থেকে জ্বালানি রিফুয়েলিং ভাত-এর মধ্যদিয়ে গ্যাস রেগুলেটরের ইনটেক পোর্টে প্রবেশ করে।
এক্ষেত্রে গ্যাসের প্রেসার ডারাল গেজের ইন্ডিকেটর দেখে জেনে নেয়া যার । সাধারণত সিএনজি গ্যাসের প্রেসার গ্যাস সিলিন্ডার এর সাইজ ও ইঞ্জিনের আকার আকৃত অনুযায়ী ২০০ বার থেকে ৩০০ বার পর্যন্ত হয়ে থাকে এবং এলপিজি এর চাপ ১০ বার থেকে ১৪ বার পর্যন্ত হয়ে থাকে । উপরোক্ত চাপে প্যামির জ্বালানি হোজ পাইপ এর মধ্যদিয়ে মিক্সচার চেম্বারে প্রবেশ করে ।
মিকচার চেম্বারে উক্ত গ্যাসীয় জ্বালানি বাতাসের সাথে মিশ্রিত হয়ে ইনটেক মেনিফোল্ড করে ইঞ্জিন সিলিন্ডারে প্রবেশ করে। এক্ষেত্রে সিএনজি/এলপিজি গ্যাস ও বাতাসের অনুপাত ১২:১ হতে ১৫৫১ হয়ে থাকে। ইঞ্জিন সিলিন্ডারে উক্ত জ্বালানি দহন হয়ে অ্যাপজস্ট পোর্ট দিয়ে পোড়া গ্যাস রূপে বের হয়ে যায় ।
চিত্র : পিএসজি চালিত কার।
এরূপে অল্টারনেটিভ ফুয়েল চালিত ইঞ্জিনে (সিএনজি/এলপিজি) কার্য সম্পন্ন করে থাকে।
চিত্র : CNG ফুয়েল সিস্টেম
CNG, LPG, EFI এর দোষ-ত্রুটি জানতে পারবে
সিএনজি/এলপিজি ফুয়েল চালিত ইঞ্জিন
১. জ্বালানি খরচ তুলনামূলক অনেক কম ।
২. তুলনামূলক কম যন্ত্রাংশের প্রয়োজন হয় ।
৩. পরিবেশবান্ধব।
৪. জ্বালানি প্রজ্বালনে তুলনামূলক অধিক টাইমিং অ্যাডভান্স প্রয়োজন হয় ।
৫. ইনস্যুলেটর প্রয়োজন হয় ।
৬. সিএনজি/এলপিজি গ্যাস সিলিন্ডারের প্রয়োজন হয়।
৭. তুলনামূলক যন্ত্রাংশ কম বিধায় মেরামত ও রক্ষনাবেক্ষণ কার্য সহজ হয়।
৮. অধিক পথ যাওয়ার ক্ষেত্রে তুলনামূলক কম উপযোগী ।
৯. তুলনামূলকভাবে সিএনজি/এলপিজি ঝুঁকিপূর্ণ ও বিপজ্জনক। দুর্ঘটানায় ত্বরিত আগুন ছড়িয়ে পড়ে বিধায় চালক ও যাত্রীকে সদা সতর্ক থাকতে হয়।
অন্য ফুয়েল (ডিজেল/পেট্রোল) চালিত ইঞ্জিন
১. জ্বালানি খরচ বেশি ।
২. বেশি পার্টস বা যন্ত্রাংশের প্রয়োজন হয়।
৩. পরিবেশের দূষণকারী ।
৪. তুলনামূলক কম জ্বালানি অ্যাডভান্সের প্রয়োজন হয়।
৫. ইন্স্যুলেটর প্রয়োজন হয় না ।
৬. এরূপ গ্যাস সিলিন্ডারের প্রয়োজন হয় না । তবে ডিজেল বা পেট্রোল রিজার্ভার-এর প্রয়োজন হয়।
৭. মেরামত ও রক্ষণাবেক্ষণ কার্য জটিল ।
৮. অধিক পথে চলার ক্ষেত্রেও উপযোগী
৯. দুর্ঘটনায় আগুন ধরার আশঙ্কা কম বিধায় চালক ও যাত্রীকে ততটা সতর্ক থাকতে হয় না।
আরও দেখুন :