মোটরযান চালানোর ক্ষেত্রে অপরাধ, শাস্তি ও পদ্ধতি , মোটরযানসমূহ রেজিস্ট্রিকরণ, মোটরযানের ব্যাপারে “সংযোজক” বা “এসেমরার” অর্থ প্রস্তুতকারক বা নির্মাণকারকের কর্তৃত্বসম্পন্ন এমন প্রতিষ্ঠান যেখানে মোটরযানের বিভিন্ন অংশ সংযোজিত হয় এবং যেখানে প্রস্তুতকারক বা নির্মাণকারকের কর্তৃত্বাধীনে একটি বিশেষ ধরনের চেসিস উৎপাদন করা হয়, চেসিসের সহিত বডি সংযুক্ত করা হউক বা না হউক, এবং উক্ত প্রতিষ্ঠান সেই প্রস্তুতকারক বা নির্মাণকারকের অনুকূলে অন্য কোন কার্য সম্পাদন করুক বা না করুক।
দশম অধ্যায়
মোটরযান চালানোর ক্ষেত্রে অপরাধ, শাস্তি ও পদ্ধতি | মোটরযান আইন
ধারা–১৩৭। অপরাধের শাস্তি প্রদানের জন্য সাধারণ প্রবিধান:
কোন ব্যক্তি এই আইনের কিংবা এতদসংশ্লিষ্ট কোন বিধি বা প্রবিধান লংঘন করিলে, যদি সংশ্লিষ্ট অপরাধের জন্য অন্য কোন শাস্তির ব্যবস্থা না থাকে, তবে সর্বোচ্চ দুইশত টাকা পর্যন্ত জরিমানা হইবে, এই আইনের বর্ণনা অনুযায়ী পূর্বে কোন অপরাধের দায়ে দোষী সাব্যস্ত হইবার পর পুনরায় এই আইন মতে কোন অপরাধ করিলে সর্বোচ্চ চার শত টাকা জরিমানা হইবে ।
ধারা–১৩৮। লাইসেন্স ব্যতীত গাড়ি চালনা:
কোন ব্যক্তি ৩ ধারার (১) উপধারা লংঘন করিয়া কোন মোটরযান অথবা যাত্রীবাহী মোটরযান চালাইলে বা চালনা করিতে দিলে সর্বোচ্চ চার মাসের কারাদণ্ডে অথবা পাঁচশত টাকা পর্যন্ত জরিমানা, অথবা উভয়বিধ শাস্তি পাইতে হইবে।
ধারা–১৩৯। নিষিদ্ধ হর্ণ কিংবা শব্দ উৎপাদনকারী যন্ত্র লাগান ও ব্যবহার ঃ
কোন ব্যক্তি কিংবা মোটরগাড়ির মালিক বা দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যক্তি মোটরযানে এমন ধরনের হর্ণ বা শব্দ উৎপাদনকারী যন্ত্র সংযোজন বা ব্যবহার করে, যাহা সংশ্লিষ্ট এলাকায় যথাযোগ্য কর্তৃপক্ষ এই আইন মোতাবেক নিষিদ্ধ করিয়াছেন কিংবা কোন নির্দিষ্ট স্থানে অনুরূপ হর্ণ বা যন্ত্র ব্যবহার নিষিদ্ধ থাকা সত্ত্বেও তাহা ব্যবহার করেন তবে সর্বোচ্চ একশত টাকা পর্যন্ত জরিমানা হইবে।
১৪০। আদেশ অমান্য, বাধা সৃষ্টি এবং তথ্য প্রদানে অস্বীকৃতি ঃ
(১) এই আইন অনুযায়ী ক্ষমতাপ্রাপ্ত কোন ব্যক্তি বা কর্তৃপক্ষের আইনানুগ নির্দেশ ইচ্ছাকৃতভাবে কেহ অমান্য করিলে, কিংবা এই আইন অনুযায়ী ক্ষমতাপ্রাপ্ত ব্যক্তি বা কর্তৃপক্ষের কোন করণীয় কাজকর্ম বা তাহার কোন কাজকর্ম করিবার প্রয়োজন দেখা দিলে উহা পালনে কেহ বাধা প্রদান করিলে, কিংবা এই আইন অনুযায়ী কেহ প্রয়োজনীয় সংবাদ প্রদানে অস্বীকৃতি জানাইলে অথবা ভুল তথ্য পরিবেশন করিলে বা যদি এমন তথ্য পরিবেশন করে যাহা তাহার নিকট সত্য নয় বলিয়া প্রতীয়মান হয়, তবে অন্য কোন শাস্তির ব্যবস্থা না থাকিলে, এই অপরাধের জন্য সর্বোচ্চ এক মাসের কারাদণ্ড অথবা পাঁচশত টাকা পর্যন্ত জরিমানা, কিংবা উভয়বিধ শাস্তি হইবে।
(২) আইনানুগ কর্তৃত্ব কিংবা যুক্তিসঙ্গত কারণ ব্যতীত কেহ ‘ওয়ান ওয়ে” সড়কে বিপরীত দিকে, কিংবা কোন বিজ্ঞপ্তি অমান্য করিয়া বিপরীতভাবে গাড়ি চালাইলে বা চালানোর অনুমতি দিলে দুইশত টাকা পর্যন্ত জরিমানা যোগ্য শাস্তি বলিয়া গণ্য হইবে।
১৪১। লাইসেন্স সংক্রান্ত অপরাধসমূহ :
(১) এই অধ্যাদেশ অনুসারে ড্রাইভিং লাইসেন্স ধারণ করিবার ও পাওয়ার অযোগ্য কোন ব্যক্তি প্রকাশ্য স্থানে কোন মোটরযান চালাইলে কিংবা ডাইভিং লাইসেন্স যোগাড় বা উহার জন্য আবেদন করিলে, এনডোর্সমেন্ট ব্যতীত সে ড্রাইভিং লাইসেন্স পাওয়ার অযোগ্য হওয়ার পর তাহার পূর্ববর্তী ড্রাইভিং লাইসেন্সের এনডোর্সমেন্টের কথা প্রকাশ না করিয়া পুনরায় ড্রাইভিং লাইসেন্স সংগ্রহ করিলে কিংবা এই আইন অনুসারে ড্রাইভিং লাইসেন্স ধারণ করিবার বা পাওয়ার অযোগ্য হওয়ার পর ১০ ধারার (২) উপধারার বর্ণনা অনুযায়ী ড্রাইভিং লাইসেন্স বাংলাদেশে ব্যবহার করিলে সর্বোচ্চ তিন মাসের কারাদণ্ড, অথবা পাঁচশত টাকা পর্যন্ত জরিমানা অথবা উভয়বিধ শাস্তি হইবে এবং অনুরূপভাবে প্রাপ্ত ড্রাইভিং লাইসেন্স বৈধ হইবে না।
(২) এই আইন অনুসারে কন্ডাক্টরের লাইসেন্স ধারণ করিবার ও পাওয়ার অযোগ্য কোন ব্যক্তি প্রকাশ্য স্থানে ‘স্টেজ-ক্যারেজ’ কিংবা ভাড়ার ভিত্তিতে চালিত কোন মোটরযানের কন্ডাক্টর হিসাবে কাজ করিলে, কিংবা কন্ডাক্টরস লাইসেন্স যোগাড় করিলে বা উহার জন্য আবেদন করিলে কিংবা বিনা এনডোর্সমেন্টে কন্ডাক্টরের লাইসেন্স পাওয়ার অযোগ্য হওয়া সত্ত্বেও তাহার পূর্ববর্তী লাইসেন্সের এনডোর্সমেন্টের কথা প্রকাশ না করিয়া পুনরায় কন্ডাক্টরস লাইসেন্স সংগ্রহ করিলে বা উহার জন্য আবেদন করিলে সর্বোচ্চ এক মাসের কারাদণ্ড, কিংবা দুইশত টাকা পর্যন্ত জরিমানা কিংবা উভয়বিধ শাস্তি পাইতে হইবে এবং অনুরূপভাবে সংগৃহীত কন্ডাক্টরের লাইসেন্স বৈধ বলিয়া গণ্য হইবে না।
(৩) প্রকাশ্য স্থানে যেকোন সময় মোটরযান চালনাকালে এই আইন কিংবা এতদসংশ্লিষ্ট কোন বিধিবিধান অনুযায়ী কর্মরত যেকোন কৃর্তপক্ষ কর্তৃক চাহিবামাত্র বৈধ ড্রাইভিং লাইসেন্স প্রদর্শন করিতে ব্যর্থ হইলে দন্ডস্বরূপ পঞ্চাশ টাকা জরিমানা করা হইবে।
ধারা–১৪২। নির্ধারিত গতির চেয়ে দ্রুতগতিতে গাড়ি চালাইলে:
(১) কোন ব্যক্তি ৮৫ ধারা লংঘন করিয়া কোন মোটযান, ট্রাক্টর বা মালবাহী গাড়ী চালাইলে তিনি প্রথমবার অপরাধের জন্য সর্বোচ্চ এক মাস কারাদণ্ড কিংবা সর্বাধিক তিনশত টাকা অর্থদণ্ড অথবা উভয়বিধ দণ্ডে দণ্ডনীয় হইবেন এবং তৎপরবর্তী অনুরূপ অপরাধের জন্য সর্বোচ্চ তিন মাস কারাদণ্ড কিংবা সর্বাধিক পাঁচশত টাকা অর্থদণ্ড অথবা উভয়বিধ দণ্ডে দণ্ডনীয় হইবেন এবং তাহার ড্রাইভিং লাইসেন্স অনধিক এক মাস মেয়াদের জন্য সাসপেন্ড করা হইবে।
(২) যে কেহ ৮৫ ধারা ভঙ্গ করে তৎকর্তৃক নিয়োজিত অথবা নিয়ন্ত্রিত কোন মোটরযান চালাবার দায়িত্ব প্রদান করিলে সেই ব্যক্তি প্রথমবার অপরাধের জন্য সর্বোচ্চ একমাস কারাদণ্ড কিংবা সর্বাধিক তিনশত টাকা অর্থদণ্ড বা উভয়বিধ দণ্ডে দণ্ডনীয় হইবেন এবং তৎপরবর্তী অনুরূপ কোন অপরাধের জন্য সর্বোচ্চ তিন মাস কারাদণ্ড কিংবা সর্বাধিক পাঁচশত টাকা অর্থদণ্ড অথবা উভয়বিধ দণ্ডে দণ্ডনীয় হইবেন:
(৩) বিলুপ্ত Act xix মত ১৯৯০ এর Section ২০ দ্বারা
(৪) বিলুপ্ত Act xix মত ১৯৯০ এর Section ২০ দ্বারা।
(৫) কোন এক ব্যক্তি বেআইনী গতিতে গাড়ি চালাইয়াছে—এই মর্মে প্রদত্ত কোন একক সাক্ষীর সাক্ষ্যের ভিত্তিতে অনুরূপ (প্রথমোক্ত) ব্যক্তিকে (১) উপধারায় বর্ণিত অপরাধের জন্য দোষী সাব্যস্ত করা যাইবে না, যদি না উক্ত সাক্ষীর মত কোন যান্ত্রিক কৌশল ব্যবহারের মাধ্যমে গৃহীত একটি হিসাবের ভিত্তিতে প্রকাশিত হয়।
(৬) যে সময়সূচী অনুযায়ী কিংবা যে নির্দেশক্রমে একটি নির্ধারিত সময়ের মধ্যে একটি নির্দিষ্ট পথের বা তাহার অংশবিশেষের ভ্রমণ সমাপ্ত করিতে বলা হইয়াছে, আদালতের মতে ৮৫ ধারার বিধিবিধান লংঘন ব্যতীতই উল্লেখিত নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে উপরোক্ত ভ্রমণ কিংবা তাহার অংশবিশেষ সমাপ্ত করা বাস্তবসম্মত নহে, তবে ধরিয়া লওয়া হইবে যে বিষয়টি তদন্ত না করিয়াই উপরোক্ত সময়সূচি প্রকাশ করা হইয়াছে এবং যিনি উহা প্রকাশ করিয়াছেন কিংবা অনুরূপ নির্দেশ দিয়াছেন–তিনি (২) উপধারা অনুযায়ী শাস্তিযোগ্য অপরাধ করিয়াছেন বলিয়া গণ্য হইবেন ।
ধারা–১৪৩। বেপরোয়াভাবে কিংবা বিপজ্জনকভাবে গাড়ি চালনা:
যেইস্থান দিয়া গাড়ি চালান হইতেছে, উহার প্রকৃত, অবস্থা, কিভাবে উহা ব্যবহৃত হইতেছে, গাড়ি চালনার সময় যেখানে চলাচলকারী অন্যান্য যানবাহনের সংখ্যা সেইস্থানে কি ঘটিতে পারে বলিয়া বাস্তবিকভাবে মনে হয়—এই সকল কিছু বিবেচনায় থাকিবার পরও জনসাধারণ বিপদের সম্মুখীন হইতে পারে এমনভাবে কিংবা এমন গতিতে যে–কেহ উক্ত স্থান দিয়া গাড়ি চালাইলে তিনি অপরাধী বলিয়া গণ্য হইবেন এবং প্রথমবার এই অপরাধ করিলে সর্বোচ্চ ছয় মাসের কারাদণ্ড কিংবা পাঁচশত টাকা জরিমানা হইবে এবং তাহার ড্রাইভিং লাইসেন্স একটা নির্ধারিত মেয়াদের জন্য সাসপেন্ড থাকিবে এবং ইহার পর পূর্ববর্তী অপরাধ করিবার তিন বৎসরের মধ্যে অপরাধ করিলে সর্বোচ্চ ছয় মাস কারাদণ্ড কিংবা এক হাজার টাকা জরিমানা, কিংবা উভয়বিধ দণ্ড হইবে এবং তাহার ড্রাইভিং লাইসেন্স অনধিক এক মাসের জন্য সাসপেন্ড করা হইবে।
ধারা–১৪৪। মদ্যপান কিংবা মাদকদ্রব্য সেবনের পর মাতাল অবস্থায় গাড়ি চালানো:
যে কোন ব্যক্তি মদ্যপান কিংবা মাদকদ্রব্য সেবনের পর এতটা মাতাল হইয়াছেন যে তিনি গাড়ির উপর যথাযথ নিয়ন্ত্রণ কার্যকর করিতে অক্ষম, যদি তিনি এমতাবস্থায় গাড়ি চালান কিংবা চালানোর চেষ্টা করেন তবে অনুরূপ অপরাধ প্রথমবার সংঘটনের জন্য অন্যূন তিন মাস কারাদণ্ড, কিংবা এক হাজার টাকা অর্থদণ্ড, কিংবা উভয়বিধ দণ্ডে দণ্ডিত হইবে, এবং দ্বিতীয়বার ও পরবর্তী সময়ে প্রতিবার অনুরূপ অপরাধ সংঘটনের জন্য সর্বোচ্চ দুই বৎসরের কারাদণ্ড কিংবা সর্বোচ্চ এক হাজার টাকা অর্থদণ্ড কিংবা উভয়বিধ দণ্ডে দণ্ডযোগ্য হইবে এবং তাহার ড্রাইভিং লাইসেন্স নির্দিষ্ট মেয়াদের জন্য বাতিল করা হইবে ।
ধারা–১৪৫। শারীরিক কিংবা দৈহিকভাবে অনুপযুক্ত অবস্থায় গাড়ি চালনা:
প্রকাশ্য স্থানে গাড়ি চালনাকালে যদি জানা থাকে যে, নিজের রোগ বা অনুপযুক্ততার কারণে জনসাধারণ বিপদের সম্মুখীন হইতে পারে তবে সেমতাবস্থায় গাড়ি চালাইলে প্রথমবার অপরাধের জন্য সর্বোচ্চ পাঁচশত টাকা পর্যন্ত অর্থদণ্ড হইবে এবং তাহার ড্রাইভিং লাইসেন্স নির্দিষ্ট মেয়াদে বাতিল করা হইবে এবং পরবর্তী কোন অপরাধের জন্য তিন মাস পর্যন্ত কারাদণ্ড বা পাঁচ শত টাকা পর্যন্ত জরিমানা অথবা উভয়বিধ দণ্ডে দণ্ডনীয় হইবেন ।
ধারা-১৪৬। দুর্ঘটনা সংক্রান্ত অপরাধের জন্য শাস্তি:
কোন ব্যক্তি ১০২ ধারার (১) উপধারার (গ) অনুচ্ছেদে, কিংবা ২৪০ ধারায় বর্ণিত ব্যবস্থা মানিয়া চলিতে ব্যর্থ হইলে সর্বোচ্চ তিন মাসের কারাদণ্ড, কিংবা সর্বোচ্চ পাঁচ শত টাকা অর্থদণ্ড, কিংবা উভয়বিধ দণ্ডে দণ্ডিত হইবে, কিংবা এই ধারায় বর্ণিত উপরোক্ত অপরাধের জন্য পূর্বে দোষী সাব্যস্ত হইলে, পরবর্তী সময়ে অনুরূপ অপরাধের জন্য সর্বোচ্চ ছয় মাসের কারাদণ্ড, কিংবা এক হাজার টাকা অর্থদণ্ড, কিংবা উভয়বিধ দণ্ডে দণ্ডনীয় হইবেন ।
ধারা-১৪৭। কতিপয় অপরাধ করিতে সহায়তার জন্য শাস্তি ঃ
কোন ব্যক্তি ১৪৩ কিংবা ১৪৫ ধারা অনুযায়ী কোন একটি অপরাধ সংঘটনের সহায়তা করিলে তিনি সেই অপরাধের জন্য নির্ধারিত শাস্তি পাওয়ার যোগ্য হইবেন।
ধারা-১৪৮। মোটরগাড়ির দৌড়বাজি কিংবা গতি পরীক্ষা:
সরকারের লিখিত অনুমোদন ব্যতীত কোন ব্যক্তি যেকোন স্থানে একাধিক মোটরযানসমূহের মধ্যে মোটরগাড়ির দৌড়বাজি (race) কিংবা গতি পরীক্ষার অনুমতি দিলে কিংবা উহাতে অংশগ্রহণ করিলে সর্বোচ্চ এক মাস কারাদণ্ড অথবা পাঁচশত টাকা অর্থদণ্ড, কিংবা উভয়বিধ শাস্তি পাইবার যোগ্য হইবেন এবং তাহার ড্রাইভিং লাইসেন্স সর্বোচ্চ এক মাসের জন্য সাসপেন্ড করা যাইবে।
ধারা-১৪৯। নিরাপত্তাবিহীন অবস্থায় গাড়ি ব্যবহার:
ত্রুটি সম্পর্কে অবহিত থাকা সত্ত্বেও এবং স্বাভাবিক সতর্কতা অবলম্বনে জানতে পারতেন তথাপি যদি কোন ব্যক্তি কোন প্রকাশ্য স্থানে এমন ত্রুটিযুক্ত মোটর গাড়ি বা ট্রেইলার চালান, চালনা করান কিংবা চালনার অনুমতি দেন যাহা উক্ত স্থানে ব্যবহারকারী অন্য কোন ব্যক্তি বা মোটর গাড়ির জন্য বিপদের কারণ হইতে পারে বলিয়া তিনি জানেন তাহা হইলে তিনি সর্বোচ্চ এক মাস কারাদণ্ড কিংবা সর্বাধিক দুইশত পঞ্চাশ টাকা অর্থদণ্ড বা উভয়বিধ দণ্ডে দণ্ডনীয় হইবেন, অথবা অনুরূপ ত্রুটির ফলে সংঘটিত দুর্ঘটনায় কাহারও দৈহিক জখম বা কোন সম্পত্তির ক্ষতি হইলে তিনি সর্বোচ্চ তিন মাস কারাদণ্ড কিংবা সর্বাধিক এক হাজার টাকা অর্থদণ্ড অথবা উভয়বিধ দণ্ডে দণ্ডনীয় হইবেন।
ধারা-১৫০। ধোঁয়া বাহির হওয়া মোটরযান ব্যবহার:
(১) যে মোটরগাড়ি হইতে এমনভাবে ধোঁয়া বাহির হয় যাহার ফলে স্বাস্থ্যের ক্ষতি হইতে পারে, অনুরূপ মোটরগাড়ি কেহ প্রকাশ্য স্থানে চালাইলে, চালানোর অনুমতি দিলে কিংবা চালানোর জন্য ভাড়া দিলে সর্বোচ্চ দুইশত টাকা জরিমানা হইবে ।
(২) এই ক্ষেত্রে সরকার কর্তৃক অনুমোদিত কমপক্ষে সাব-ইন্সপেক্টরের পদমর্যাদাসম্পন্ন ঊর্ধ্বধারী যেকোন পুলিশ অফিসার অথবা মোটরযানের যেকোন ইন্সপেক্টর অথবা কর্তৃপক্ষ কর্তৃক অনুমোদিত যেকোন ব্যক্তি অনুরূপ মোটরগাড়ি আটক করিতে পারিবেন এবং নির্গত ধোঁয়া স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর কি-না, সেই ব্যাপারে নিশ্চিত হওয়ার জন্য তিনি প্রয়োজনীয় সময় পর্যন্ত উক্ত গাড়ি আটক রাখিতে পারিবেন।
(৩) (১) উপধারায় বর্ণিত শাস্তিযোগ্য অপরাধের জন্য কাহাকেও শুধুমাত্র একজন স্বাক্ষীর উপর নির্ভর করিয়া দোষী সাব্যস্ত করা যাইবে না, যতক্ষণ না উপরোক্ত মত একজন যথোপযুক্ত ব্যক্তির পরীক্ষার ভিত্তিতে প্রতিষ্ঠিত হয়।
ধারা-১৫১। এই অধ্যাদেশের সাথে সঙ্গতিবিহীন অবস্থায় গাড়ি বিক্রয় অথবা গাড়ির পরিবর্তন সাধন:
কোন মোটরগাড়ির আমদানিকারক কিংবা ব্যবসায়ী যদি কোন একটি মোটরযান বা ট্রেইলর এমন অবস্থায় বিক্রয় বা সরবরাহ করেন কিংবা বিক্রয় বা সরবরাহের প্রস্তাব দেন, যাহাতে প্রকাশ্য স্থানে উহার ব্যবহার ষষ্ঠ অধ্যায় কিংবা উহার যেকোন বিধি লংঘনের শামিল হয়, কিংবা উক্ত গাড়ি বা ট্রেইলর এমনভাবে পরিবর্তন করা হয় যে, প্রকাশ্য স্থানে উহার ব্যবহার ষষ্ঠ অধ্যায় বা ঐ অধ্যায়ের যেকোন বিধি লংঘনের শামিল হয়, তাহা হইলে সর্বোচ্চ দুই বৎসর মেয়াদী কারাদণ্ড, কিংবা পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা অথবা উভয়বিধ দণ্ড দেওয়া হইতে পারে:
তবে শর্ত এই যে, কোন ব্যক্তিকে এই ধারা অনুযায়ী দোষী সাব্যস্ত করা যাইবে না যদি তিনি প্রমাণ করিতে পারেন যে, তাঁহার বিশ্বাস করিবার যুক্তিসঙ্গত কারণ রহিয়াছে যে, মোটরযানটি আইনানুগভাবে ব্যবহারের উপযোগী না করা পর্যন্ত উহা প্রকাশ্য স্থানে ব্যবহৃত হইবে না।
ধারা-১৫২। রেজিস্ট্রেশন, ফিটনেস সার্টিফিকেট অথবা পারমিট ব্যতীত মোটরগাড়ি ব্যবহার:
(১) কোন ব্যক্তি ৩২ ধারার বিধি-ব্যবস্থা লংঘনপূর্বক, কিংবা ৪৭ ধারায় বর্ণিত ফিটনেস সার্টিফিকেট ব্যতীত, কিংবা ৫১ ধারার (১) উপধারা অনুযায়ী পারমিট ব্যতীত, কিংবা নির্দিষ্ট রুট, গাড়ি ব্যবহারের উদ্দেশ্যে সর্বাধিক যাত্রী পরিবহন বা মাল বোঝাই সংক্রান্ত পারমিট ব্যতীত কোন মোটর গাড়ি চালাইলে, চালানোর অনুমতি দিলে কিংবা ব্যবহারের জন্য অনুরূপ গাড়ি ভাড়া দিলে এইরূপ প্রথমবারের অপরাধের জন্য সর্বাধিক তিন মাস কারাদণ্ড, অথবা সর্বোচ্চ দুই হাজার টাকা পর্যন্ত জরিমানা, কিংবা উভয়বিধ শাস্তি পাওয়ার যোগ্য হইবেন এবং পরবর্তী সময়ে অনুরূপ অপরাধ করিলে সর্বাধিক ছয় মাস কারাদণ্ড, অথবা সর্বাধিক পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা, কিংবা উভয়বিধ শাস্তি পাওয়ার যোগ্য হইবেন ।
(২) জরুরী অবস্থায় কোন রুগ্ন অথবা আহত ব্যক্তিকে বহন, কিংবা কাহারও দুর্ভোগ মোচনের জন্য খাদ্য ও অন্যান্য সামগ্রী বা অনুরূপ উদ্দেশ্যে মেডিক্যাল দ্রব্যাদি বহনের জন্য গাড়ি ব্যবহার করা হইলে সেইক্ষেত্রে এই ধারা প্রযোজ্য হইবে না :
তবে শর্ত এই যে, অনুরূপ উদ্দেশ্যে গাড়ি ব্যবহার করা হইলে তাহা সাত দিনের মধ্যে আঞ্চলিক পরিবহন কর্তৃপক্ষকে জানাইতে হইবে।
ধারা-১৫৩। অনুমোদিত এজেন্ট ও ক্যানভাসার:
কোন ব্যক্তি ৭৯ ধারা কিংবা উহার কোন প্রবিধান লংঘনপূর্বক একজন এজেন্ট অথবা ক্যানভাসার হিসাবে নিয়োজিত হইলে, প্রথমবার এইরূপ অপরাধের জন্য সর্বোচ্চ এক হাজার টাকা জরিমানা এবং দ্বিতীয়বার বা পরবর্তী সময়ে অনুরূপ অপরাধের জন্য ছয় মাস পর্যন্ত কারাদণ্ড, অথবা কমপক্ষে দুই হাজার টাকা জরিমানার যোগ্য হইবেন।
ধারা-১৫৪ । অনুমোদিত ওজন অতিক্রমপূর্বক গাড়ি চালনা :
কোন ব্যক্তি ৮৬ ধারার বিধান কিংবা উহাতে বর্ণিত শর্তাদি, কিংবা ৮৬ অথবা ৮৮ ধারার অধীনে আরোপিত কোন নিষেধাজ্ঞা বা কড়াকড়ি লংঘন করিয়া গাড়ি চালাইলে বা চালানোর অনুমতি দিলে, এইরূপ অপরাধ প্রথমবার সংঘটনের জন্য এক হাজার টাকা জরিমানা, এবং দ্বিতীয়বার বা পরবর্তী সময়ে অনুরূপ অপরাধের জন্য ছয় মাস কারাদণ্ড, অথবা দুই হাজার টাকা জরিমানা, অথবা উভয়বিধ দণ্ডে দণ্ডনীয় হইবেন।
ধারা-১৫৫ । অবীমাকৃত মোটরযান চালনা:
কোন ব্যক্তি ১০৯ ধারার বিধান লংঘন করিয়া কোন মোটরযান চালাইলে কিংবা চালনার অনুমতি দিলে সর্বোচ্চ দুই হাজার টাকা জরিমানা শাস্তি পাইবার যোগ্য হইবেন ।
ধারা-১৫৬। অনুমতি ব্যতীত গাড়ি চালনা:
কোন ব্যক্তি কোন মোটরযানের কিংবা অন্য কোন আইনানুগ কর্তৃপক্ষের অনুমতি ব্যতীত সংশ্লিষ্ট মোটরগাড়ি চালাইয়া বাহিরে লইয়া গেলে সর্বোচ্চ তিন মাস কারাদণ্ড, অথবা দুই হাজার টাকা জরিমানা, অথবা উভয়বিধ দণ্ডে দণ্ডনীয় হইবে এবং পরবর্তী অপরাধের জন্য ছয় মাস পর্যন্ত কারাদণ্ডে অথবা দুই হাজার টাকা পর্যন্ত অর্থদণ্ডে কিংবা উভয়বিধ দণ্ডে দণ্ডনীয় হইবেন।
ধারা-১৫৭। প্রকাশ্য সড়কে অথবা প্রকাশ্য স্থানে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি:
কোন ব্যক্তি প্রকাশ্য সড়কে বা প্রকাশ্য স্থানে মোটরগাড়ি রাখিয়া উহা মেরামত করাইলে অথবা বিক্রয়ের জন্য সেখানে মোটরগাড়ির যন্ত্রাংশ বা অন্য কোন জিনিস রাখিলে বা মওজুদ করিলে কিংবা অন্য কোন উদ্দেশ্যে যেকোন জিনিসপত্র রাখিলে যদি যানবাহন চলাচলে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি হয় তাহা হইলে সর্বোচ্চ পাঁচশত টাকা জরিমানা হইবে এবং অনুরূপ মোটরযান কিংবা খুচরা যন্ত্র বা জিনিসপত্র বাজেয়াপ্ত করা হইতে পারে ।
ধারা-১৫৮। মোটরযানে অনুমোদিত হস্তক্ষেপ:
আইনানুগ কর্তৃপক্ষ কিংবা যুক্তিসঙ্গত কারণ ব্যতীত কোন ব্যক্তি দাঁড়াইয় থাকা কোন মোটরযানে প্রবেশ বা আরোহণ করিলে কিংবা ব্রেক কিংবা কোন যন্ত্র কিংবা গাড়ির বড়ি, কিংবা স্পীড গভর্ণর কিংবা স্পীড গভর্ণর সীল, কিংবা ট্যাক্সি-মিটার (ভাড়ার মিটার), কিংবা ট্যক্সিমিটার সীলের উপর অন্যায় হস্তক্ষেপ করিলে সর্বোচ্চ তিন মাস কারাদণ্ড, অথবা এক হাজার টাকা পর্যন্ত জরিমানা, অথবা উভয়বিধ শাস্তি পাইবার যোগ্য হইবেন।
ধারা-১৫৯। অপরাধসমূহের বিচারের জন্য বিশেষ পদ্ধতি:
(১) ১৮৯৮ সালের ফৌজদারী কার্যবিধিতে (১৮৯৮ সালের ৫নং অ্যাক্ট) যাহাই থাকুক না কেন, কমপক্ষে সাব-ইন্সপেক্টর বা সার্জেন্ট পদমর্যাদার কোন পুলিশ অফিসার, অথবা এইক্ষেত্রে অনুমোদিত মোটরযান পরিদর্শক, অথবা কর্তৃপক্ষ কর্তৃক এই ব্যাপারে অনুমোদিত অপর কোন ব্যক্তি ১৩৭, ১৩৯, ১৪০, ১৪২, ১৪৬, ১৪৯, ১৫০, ১৫১, ১৫২, ১৫৩, ১৫৪, ১৫৫, ১৫৬, ১৫৭, এবং ১৫৮ ধারার অধীনে শাস্তিযোগ্য অপরাধসমূহের জন্য অভিযোগ প্রণয়ন করিবেন, যাহার একটি কপি অভিযুক্ত ব্যক্তিকে হস্তান্তর করিতে হইবে, যে (অভিযুক্ত ব্যক্তি) নিজের স্বাক্ষর বা বৃদ্ধাঙ্গুলির ছাপ দিয়া উহার প্রাপ্তি স্বীকার করিতে এবং অপর কপি এস.পি. অথবা মেট্রোপলিটান এলাকার ক্ষেত্রে ডেপুটি কমিশনার অব পুলিশ (ট্রাফিক) কিংবা এই ব্যাপারে সরকার কর্তৃক নির্ধারিত সংশ্লিষ্ট এলাকার যেখানে অপরাধ সংঘটিত হইয়াছে) যথাযথ কর্তৃপক্ষের নিকট হস্তান্তর করিতে হইবে ।
(২) অনুমোদিত পুলিশ অফিসার অথবা অপর কোন কর্তৃপক্ষ বিধি মোতাবেক অভিযোগ ও সংশ্লিষ্ট ধারা অনুযায়ী একটি নির্দিষ্ট অংকের জরিমানা আরোপ করিবেন, এবং যদি উক্ত জরিমানা নির্দিষ্ট তারিখে বা তৎপূর্বে নগদ অথবা মানি অর্ডারের মাধ্যমে নির্ধারিত স্থানে প্রদান করা হয়, তাহা হইলে উক্ত অপরাধ সম্পর্কে অপরাধীর বিরুদ্ধে অতিরিক্ত কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করা যাইবে না।
(৩) উপরে বর্ণিত উপায়ে জরিমানার অর্থ প্রদান করা না হইলে, যেখানে অপরাধ করা হইয়াছে সেই এলাকার এস.পি কিংবা মেট্রোপলিটান এলাকায় ডেপুটি কমিশনার অব পুলিশ (ট্রাফিক), অথবা এই ব্যাপারে অনুমোদিত কোন পুলিশ অফিসার বা অপর কোন যথাযথ কর্তৃপক্ষের নিকট হইতে একটি রিপোর্ট পাইবার পর অপরাধীর বিরুদ্ধে উপযুক্ত আদালতে অভিযোগ দায়ের করিবেন।
(৪) জরিমানার অর্থ পরিশোধে ব্যর্থ হইবার পর কোন অপরাধীকে (৩) উপধারা অনুযায়ী বিচার করা হইলে তাহার ক্ষেত্রে ১৬৫ ধারার (১) উপধারার (খ) অনুচ্ছেদের বিধান প্রযোজ্য হইবে না।
(৫) কোন ব্যক্তি এই ধারার বর্ণনা অনুযায়ী তাহার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগনামার কপি গ্রহণে অস্বীকার করিলে বা উহা এড়াইয়া গেলে, কিংবা সংশ্লিষ্ট রসিদ গ্রহণে অস্বীকার করিলে এই ধারা অনুযায়ী দায়িত্বপ্রাপ্ত অফিসার তাহাকে ওয়ারেন্ট ব্যতীতই গ্রেফতার করিতে পারিবেন এবং একজন ম্যাজিস্ট্রেট কর্তৃক দোষী সাব্যস্ত হইলে সংশ্লিষ্ট অপরাধের জন্য যথাযথভাবে বর্ণিত শান্তি ব্যতীতও তাহাকে অতিরিক্ত শাস্তি পাইতে হইবে যাহা সর্বোচ্চ আড়াই শত – টাকা পর্যন্ত জরিমানার সমান হইতে পারে।
ধারা-১৬০। ওয়ারেন্ট ব্যতীত গ্রেফতারের ক্ষমতা:
(১) একজন ইউনিফরমধারী পুলিশ অফিসারের সামনে কেহ ৩২, ৫১, ১৪৩, ১৪৪, ১৪৫, ১৪৬, ১৪৭, ১৪৮, ১৪৯, ১৫৪ কিংবা ১৫৬ ধারা অনুযায়ী। শাস্তিযোগ্য কোন অপরাধ করিলে তিনি উক্ত অপরাধীকে ওয়ারেন্ট ব্যতীতই গ্রেফতার করিতে পারেন ।
(২) ইউনিফরমধারী একজন পুলিশ অফিসার নিম্নবর্ণিত ব্যক্তিকে ওয়ারেন্ট ব্যতীত গ্রেফতার করিতে পারেন—
(ক) এই আইনের বিধান অনুযায়ী যাহার নাম-ঠিকানা দেওয়ার প্রয়োজন রহিয়াছে সেই ব্যক্তি যদি তাহার নাম-ঠিকানা প্রদানে অস্বীকার করে, কিংবা এমন নাম বা ঠিকানা দেয় যাহা মিথ্যা বলিয়া পুলিশ অফিসারের বিশ্বাস করিবার কারণ রহিয়াছে ।
(খ) এই আইনে বর্ণিত কোন অপরাধের সহিত সংশ্লিষ্ট যেকোন ব্যক্তি, কিংবা অনুরূপভাবে জড়িত আছে বলিয়া যুক্তিসঙ্গতভাবে যাহাকে সন্দেহ করা হইতেছে—যদি পুলিশ অফিসারের বিশ্বাস করিবার কারণ থাকে যে, উক্ত ব্যক্তি পালাইয়া যাইবে কিংবা তাহাকে তলব করা হইলে তাহা এড়াইয়া যাইবে।
(৩) পরিস্থিতির প্রয়োজনে কোন পুলিশ অফিসার ওয়ারেন্ট ব্যতীতই কোন মোটরযানের চালককে গ্রেফতার করিলে তিনি উক্ত মোটরযানের নিরাপদ হেফাজতের জন্য যথাযথ পদক্ষেপ নিবেন বা ব্যবস্থা গ্রহণ করিবেন, অথবা তিনি মোটরযানটি নিকটতম থানায় লইয়া যাইবেন।
(৪) এই ধারা অনুযায়ী কর্মরত পুলিশ অফিসার ঘটনা ঘটিবার পর যত শীঘ্র সম্ভব এবং উহা সম্ভব না হইলে যেভাবেই হউক সর্বাধিক চব্বিশ ঘণ্টার মধ্যে মালিককে খবর দিবেন যে, মোটরযানটি কোথায় স্থানান্তর করা হইয়াছে এবং চালককে কোথায় লইয়া যাওয়া হইয়াছে।
ধারা-১৬১। পুলিশ অফিসার কর্তৃক কাগজপত্র আটক করিবার ক্ষমতা:
(১) যদি কমপক্ষে সাব-ইন্সপেক্টর বা সার্জেন্ট পদমর্যাদার অনুমোদিত কোন পুলিশ অফিসার অথবা মোটরযান পরিদর্শক, কিংবা কর্তৃপক্ষ কর্তৃক এই ব্যাপারে অনুমোদিত অপর কোন ব্যক্তির ইহা বিশ্বাস করিবার মত যুক্তিসঙ্গত কারণ থাকে যে, কোন মোটরগাড়ির সনাক্তকরণ চিহ্ন কিংবা কোন লাইসেন্স বা পারমিট, রেজিস্ট্রেশন সার্টিফিকেট, ফিটনেস সার্টিফিকেট, বীমা সার্টিফিকেট, কিংবা অন্য কোন কাগজপত্র যাহা চালক কিংবা মোটরগাড়ির দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যক্তি তাঁহাকে প্রদর্শন করিয়াছে—উহা দণ্ডবিধির ৪৬৪ ধারার বর্ণনা অনুযায়ী মিথ্যা, তাহা হইলে তিনি উক্ত চিহ্ন বা কাগজপত্র আটক করিবেন এবং উক্ত চিহ্ন বা কাগজপত্র নিজের নিকট বা গাড়িতে রাখিবার জন্য কৈফিয়ত দিতে উক্ত গাড়ির চালক অথবা মালিককে তলব করিবেন।
(২) এই ব্যাপারে কমপক্ষে সাব-ইন্সপেক্টর বা সার্জেন্ট পদমর্যাদার অনুমোদিত কোন পুলিশ অফিসার অথবা কোন মোটরযান পরিদর্শক কিংবা এইক্ষেত্রে কর্তৃপক্ষ কর্তৃক অনুমোদিত অপর কোন ব্যক্তি যদি বিশ্বাস করিবার কারণ থাকে যে, যাহাকে এই আইন অনুযায়ী অভিযুক্ত করা হইয়াছে সেই চালক কিংবা কন্ডাক্টর, যদি থাকে, পলায়ন করিতে কিংবা সমন জারি করা হইলে উহা এড়াইয়া যাইতে পারে, তাহা হইলে তিনি অনুরূপ চালক বা কন্ডাক্টরের লাইসেন্স আটক করিয়া উহা সংশ্লিষ্ট আদালতে পাঠাইয়া দিবেন এবং চালক বা কন্ডাক্টর প্রথমবার হাজির হইবার সংগে সংগে উক্ত আদালত তাহাকে (৩) (উপধারা অনুযায়ী সাময়িক প্রাপ্তিস্বীকারপত্রের বিনিময়ে তাহাকে লাইসেন্স ফেরত দিবেন।)
(৩) (২) উপধারা মোতাবেক লাইসেন্স আটককারী পুলিশ অফিসার কিংবা মোটরযান পরিদর্শক কিংবা অপর কোন ব্যক্তি লাইসেন্স অর্পণকারী ব্যক্তিকে, একটি সাময়িক প্রাপ্তিস্বীকারপত্র প্রদান করিবেন এবং প্রাপ্তিস্বীকারপত্রধারী ব্যক্তি উহার সুবাদে লাইসেন্স ফেরত না পাওয়া পর্যন্ত কিংবা পুলিশ অফিসার বা মোটরযান চালক কর্তৃক প্রাপ্তিস্বীকারপত্রে বর্ণিত তারিখ পর্যন্ত (এই দুইয়ের মধ্যে যেটি পূর্বে হয় সেই পর্যন্ত) গাড়ি চালাইতে কিংবা কন্ডাক্টর হিসাবে দায়িত্ব পালন করিতে পারিবে যদি আদালত অপর আদেশ না দেয়।
ধারা-১৬২। রেজিস্ট্রেশন সার্টিফিকেট কিংবা ফিটনেস সার্টিফিকেট কিংবা পারমিট ব্যতীত ব্যবহৃত মোটরযান আটক করিবার ক্ষমতা:
এই ব্যাপারে অনুমোদিত কোন পুলিশ অফিসার অথবা মোটরযান পরিদর্শক অথবা এইক্ষেত্রে কর্তৃপক্ষ কর্তৃক অনুমোদিত অপর কোন ব্যক্তির যদি বিশ্বাস করিবার কারণ থাকে যেকোন নির্দিষ্ট মোটরযান ৩২ ধারার (১) উপধারা লংঘনপূর্বক কিংবা ৪৭ ধারার (১) উপধারায় বর্ণিত ফিটনেস সার্টিফিকেট কিংবা ৫ ধারার (১) উপধারায় বর্ণিত পারমিট ব্যতীত কিংবা রুট বা গাড়ি ব্যবহারের উদ্দেশ্য-সংক্রান্ত বিধি-বিধান ও শর্তাবলী লংঘন করিয়া উক্ত গাড়ি ব্যবহার করা হইতেছে, তাহা হইলে তিনি উক্ত মোটরযান আটক করিয়া রাখিয়া দিবেন এবং উহার সাময়িক নিরাপদ হেফাজতের জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ লইবেন।
কোন মোটরযান ৪৭ ধারার (১) উপধারায় বর্ণিত তবে শর্ত এই যে, অনুরূপ অফিসার কিংবা অনুমোদিত ব্যক্তির যদি বিশ্বাস ফিটনেস সার্টিফিকেট কিংবা ৫১ ধারার (১) উপধারায় বর্ণিত পারমিট ব্যতীতই ব্যবহৃত হইতেছে, তবে তিনি মোটরযানটি আটক করিবার পরিবর্তে উহার রেজিস্ট্রেশন সার্টিফিকেট আটক করিবেন এবং উহার বিনিময়ে একটি প্রাপ্তিস্বীকার পত্রপ্রদান করিবেন।
ধারা–১৬৩। ঘটনাস্থলে কতিপয় শ্রেণীর অপরাধীকে জরিমানা আরোপ করিবার ক্ষমতা:
(১) এই আইনে কিংবা বর্তমানে প্রচলিত অপর কোন আইনে বিপরীত যাহা কিছুই লিখা থাকুক না কেন, কর্তৃপক্ষের বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখিত যে কোন এলাকায় কোন ব্যক্তি যদি কমপক্ষে সাব–ইন্সপেক্টর কিংবা সার্জেন্টের পদমর্যাদাসম্পন্ন পুলিশ অফিসার যিনি উপযুক্ত কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে এই ক্ষেত্রে বিশেষ ক্ষমতাপ্রাপ্ত, কিংবা এই ব্যাপারে কর্তৃপক্ষ কর্তৃক অনুমোদিত কোন মোটরযান পরিদর্শক বা অপর কোন ব্যক্তির সামনে দ্বাদশ তফসিলে বর্ণিত কোন অপরাধ করে, তবে উক্ত অফিসার বা অনুমোদিত ব্যক্তি ঘটনাস্থলেই তাহাকে জরিমানা আরোপ করিতে পারিবেন ।
ব্যাখ্যা: বর্ণিত “উপযুক্ত কর্তৃপক্ষ‘ বলিতে সরকার কর্তৃক নির্ধারিত কর্তৃপক্ষকে বুঝাইবে।
(২) (১) উপধারা অনুযায়ী কর্মরত অফিসার অপরাধের ধরন এবং দ্বাদশ তফসিলের বর্ণনা অনুযায়ী সংশ্লিষ্ট অপরাধের জন্য দেয় জরিমানা ইত্যাদি নির্ধারিত ফরমে লিখিবেন এবং অভিযুক্ত ব্যক্তি স্ট্যাম্পের মাধ্যমে উক্ত অফিসারকে জরিমানা প্রদান করিবে এবং তাহার নিকট হইতে প্রাপ্তি স্বীকার পত্র লইবে।
(৩) অভিযুক্ত ব্যক্তি অভিযোগের কপি লইতে অস্বীকার করিলে কিংবা (২) উপধারার বর্ণনা অনুযায়ী যদি জরিমানা পরিশোধ না করা হয়, তবে (১) উপধারা অনুযায়ী কর্মরত অফিসার যে গাড়িটি অপরাধ সংঘটনে ব্যবহৃত হইয়াছে সেইটি নিকটবর্তী থানায় ওসির নিকট পাঠাইবার ব্যবস্থা করিবেন, ওসি গাড়িটি তাহার হেফাজতে রাখিয়া দিবেন এবং জরিমানা পরিশোধ করিবার পর যত তাড়াতাড়ি সম্ভব গাড়িটি ছাড়িয়া দিবেন এবং যে অফিসার গাড়িটি থানায় পাঠাইয়াছিলেন – বিষয়টি তাহাকে জানাইবেন ।
(৪) অভিযুক্ত ব্যক্তি তৃতীয় শ্রেণীর ম্যাজিস্ট্রেটের আদেশ বা রায়ের বিরুদ্ধে যে উপযুক্ত আদালতে আপীল পেশ করা যায়, সেখানে আপীল করিতে পারেন এবং এইক্ষেত্রে আপীলেট কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্তই হইবে চূড়ান্ত ।
ধারা–১৬৪। ড্রাইভিং লাইসেন্স হইতে বঞ্চিতকরণ :
(১) এই আইনে অথবা বর্তমানে প্রচলিত অপর কোন আইনে বিপরীত যাহাই উল্লিখিত থাকুক না কেন, কোন ব্যক্তি এই ক্ষেত্রে কর্তৃপক্ষ কর্তৃক বিশেষভাবে ক্ষমতাপ্রাপ্ত এস.পি. কিংবা ডেপুটি কমিশনার কিংবা উক্ত এলাকায় এখতিয়ার সম্পন্ন অফিসার যিনি কর্তৃপক্ষের সহকারী পরিচালকের পদের নিম্নপদের কোন অফিসার নহেন, সরকার কর্তৃক বিশেষভাবে এই ব্যাপারে ক্ষমতাপ্রাপ্ত অপর কোন ব্যক্তির সম্মুখে ট্রাফিক বিধি-বহির্ভূত নিম্নবর্ণিত কোন কাজ করিলে, উক্ত অফিসার বা ক্ষমতাপ্রাপ্ত ব্যক্তি তাহাকে ড্রাইভিং লাইসেন্স নিকটে রাখা হইতে সর্বোচ্চ তিন মাস পর্যন্ত বঞ্চিত করিতে পারিবেন—
(ক) লাল বাতির সামনে দিয়া গাড়ি চালান; অথবা
(খ) পথচারী পারাপারের নির্ধারিত স্থানে কিংবা ঠিক উহার নিকট দিয়া, কিংবা যেখানে ওভারটেকিং নিষিদ্ধ—এই সকল স্থানে ওভারটেক করিলে; অথবা—
(গ) গাড়ি না থামাইয়া প্রধান সড়কে যাওয়া কিংবা নির্দেশিত গতি-সীমা অতিক্রম করিয়া গাড়ি চালনা; অথবা
(ঘ) ইচ্ছাকৃতভাবে অপর গাড়িকে পথ ছাড়িয়া না দেওয়া; অথবা
(ঙ) ওয়ান-ওয়ে সড়কে বিপরীত দিকে গাড়ি চালনা; অথবা
(চ) অন্য কোন বিষয়-যাহা নির্ধারিত হইতে পারে।
(২) (১) উপধারা মোতাবেক কর্মরত কোন অফিসার অনুরূপ চালকের – নিকট হইতে ড্রাইভিং লাইসেন্স আটক করিবেন এবং বিনিময়ে তাহাকে একটি প্রাপ্তিস্বীকার পত্র দিবেন – যাহাতে ড্রাইভিং লাইসেন্স বঞ্চিতকরণের মেয়াদ, সংশ্লিষ্ট অপরাধের ধরন এবং লাইসেন্সিং কর্তৃপক্ষের নাম—যাহার নিকট হইতে বর্ণিত মেয়াদ উত্তীর্ণ হইবার পর ড্রাইভিং লাইসেন্স ফেরত পাইবার জন্য হাজির হইতে হইবে তথা উল্লেখ করিতে হইবে ।
(৩) (১) উপধারা মোতাবেক আদেশ প্রদানকারী কর্তৃপক্ষ ড্রাইভিং লাইসেন্সে বঞ্চিতকরণের মেয়াদ এবং সংশ্লিষ্ট কারণ ‘এনডোর্স’ করিয়া উক্ত লাইসেন্স সংশ্লিষ্ট এলাকার লাইসেন্সিং কর্তৃপক্ষ কিংবা উক্ত লাইসেন্সে ইস্যুকারী অথবা সর্বশেষ নবায়নকারী কর্তৃপক্ষের নিকট পাঠাইবেন।
(৪) লাইসেন্সিং কর্তৃপক্ষ ড্রাইভিং লাইসেন্স পাইবার পর উহাতে লিখিত এনডোর্সমেন্ট লিপিবদ্ধ করিবেন এবং বঞ্চিতকরণের মেয়াদ উত্তীর্ণ না হওয়া পর্যন্ত তাহার নিকট লাইসেন্স রাখিয়া দিবেন এবং উহার পর (২) উপধারায় বর্ণিত প্রাপ্তিস্বীকারপত্রেয় বিনিময়ে লাইসেন্সধারীকে সেইটি ফেরত দিবেন। লাইসেন্স না থাকে, তবে (১) উপধারা মোতাবেক কর্মরত কর্তৃপক্ষ বিষয়টি
(৫) অপরাধ করিবার সময় যদি অপরাধকারী ব্যক্তির নিকট ড্রাইভিং নিষ্পত্তির জন্য যথাযথ প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিবেন।
(৬) রহিতকরণ ও হেফাজত – ( ১ ) The motor Vehicles (Adment) Ordinance 1990 (অধ্যাদেশ নং ২২, ১৯৯০) এতদ্বারা রহিত করা হইল। (২) অনুরূপ রহিতকরণ সত্ত্বেও রহিত Ordinance দ্বারা সংশোধিত উক্ত Ordinance-এর অধীনকৃত কোন কাজকর্ম বা গৃহীত কোন ব্যবস্থা এই Act দ্বারা সংশোধিত উক্ত Ordinance-এর অধীনকৃত বা গৃহীত হইয়াছে বলিয়া গণ্য হইবে।
ধারা–১৬৫। মামলাসমূহের সংক্ষিপ্ত নিষ্পত্তি:
(১) এই আইনে বর্ণিত কোন অপরাধ বিচারকারী কোন আদালত, যদি উক্ত অপরাধ পঞ্চম তফসিলের ‘ক‘ অংশে বর্ণিত কোন অপরাধ না হয়, তাহা হইলে অভিযুক্ত ব্যক্তিকে আদালতে তলবকালে জানাইবেন যে—
(ক) সে উকিলের মাধ্যমে হাজির হইতে পারে ব্যক্তিগতভাবে নহে, অথবা
(খ) যে অভিযোগের শুনানি আরম্ভ হইবার পূর্বে নির্ধারিত তারিখের মধ্যে রেজিস্টার্ড চিঠির মাধ্যমে দোষ স্বীকার করিতে পারে এবং এইরূপ ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ আড়াই শত টাকা কিংবা আদালতের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী নির্ধারিত পরিমাণ অর্থ আদালতে পাঠাইবে ।
(২) (১) ধারা অনুযায়ী নিষ্পত্তিকৃত অপরাধটি যদি পঞ্চম তফসিলের ‘খ‘ অংশে বর্ণিত কোন অপরাধ হয়, তবে অভিযুক্ত ব্যক্তি দোষ স্বীকার করিলে তাহার আরজিসহ লাইসেন্স আদালতে পেশ করিবে যাহাতে লাইসেন্সে দণ্ড এনডোর্স উল্লেখ করা যায়।
(৩) অপরাধী ব্যক্তি দোষ স্বীকার করিয়া বর্ণিত অর্থ আদালত সমীপে পাঠাইলে এবং (২) উপধারা মানিয়া চলিবে তাহার বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট অপরাধের ব্যাপারে অতিরিক্ত কোন ব্যবস্থা লওয়া হইবে না বা অপরাধ স্বীকারের জন্য সে লাইসেন্স নিকটে রাখিবার কিংবা লাইসেন্স সংগ্রহের অযোগ্য বলিয়া বিবেচিত হইবে না ।
ধারা–১৬৬। অপরাধসমূহের বিচার:
যথাযোগ্য এখতিয়ারসম্পন্ন প্রত্যেক আদালত অথবা অন্য কোন যোগ্যতাসম্পন্ন কর্তৃপক্ষ, বিপরীত কোন বিষয় উল্লিখিত না হইলে, এই আইন বা ইহার বিধিসমূহে বর্ণিত যে কোন অপরাধের বিচার করিতে পারিবেন। তবে মামলা সম্পর্কে পরিবহন কর্তৃপক্ষের কোন সদস্য বা আঞ্চলিক পরিবহন কর্তৃপক্ষ বা কোন মোটরযান পরিদর্শক বা কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান, আঞ্চলিক পরিবহন কর্তৃপক্ষ অথবা সরকার কর্তৃক এতদুদ্দেশ্যে ক্ষমতা প্রদত্ত পরিবহন বিভাগের কোন কর্মকর্তা পূর্বাহ্নে আদালত বা অনুরূপ উপযুক্ত কর্তৃপক্ষকে অবহিত করিবেন।
ধারা–১৬৭। অপরাধী সাব্যস্ত করিবার ব্যাপারে কড়াকড়ি ঃ
(১) কোন ব্যক্তিকে ১৪২ অথবা ১৪৩ ধারা অনুযায়ী শাস্তিযোগ্য অপরাধের জন্য দোষী সাব্যস্ত করা যাইবে না, যদি না—
(ক) অপরাধ সংঘটনের ২১ দিনের মধ্যে অপরাধের ধরন সংঘটিত হইবার তারিখ ও সময় বর্ণনাপূর্বক একটি নোটিশ তাহাকে কিংবা অপরাধ সংঘটনের সময় সংশ্লিষ্ট মোটরযানের রেজিস্টার্ড মালিকের নিকটে প্রদান কিংবা রেজিস্টার্ড ডাকযোগে পাঠান হয়, অথবা
(খ) অপরাধ সংঘটনের ৩০ দিনের মধ্যে অপরাধের জন্য তাহাকে সমন করা হয়:
তবে এই শর্তে যে, আদালত নিম্নবর্ণিত বিষয়ে সন্তুষ্ট থাকিলে এই ধারার কোন কিছুই প্রযোজ্য হইবে না–
(i) অভিযুক্ত ব্যক্তি কিংবা সংশ্লিষ্ট মোটরযানের রেজিস্টার্ড মালিকের নাম ও ঠিকানা যুক্তি সঙ্গতভাবে চেষ্টা করিয়াও খুজিয়া না পাইবার কারণে এই উপধারায় বর্ণিত নোটিশ বা সমন উহাদের কাহাকেও প্রদানে ব্যর্থতা, অথবা
(ii) অভিযুক্ত ব্যক্তির আচরণের দরুনই অনুরূপ ব্যর্থতা হইয়াছে ।
(২) অন্য কোন শর্ত না থাকিলে কোন আদালত এই আইনে বর্ণিত শাস্তিযোগ্য অপরাধের জন্য নির্ধারিত সর্বোচ্চ জরিমানার শতকরা পঁচিশ ভাগের কম জরিমানা করিয়া কোন রায় দিতে পারিবেন না।
ধারা–১৬৮ । আদালত কর্তৃক দণ্ডাজ্ঞা সম্পর্কে সংবাদ প্রদান ঃ
কোন আদালতে ড্রাইভিং লাইসেন্সধারী, কন্ডাক্টর লাইসেন্সধারী বা পারমিটধারী কোন ব্যক্তি এই আইনে বর্ণিত কোন অপরাধ কিংবা মোটরগাড়ি ব্যবহারের মাধ্যমে কোন অপরাধের দরুন দোষীসাব্যস্ত হইলে, সেই সম্পর্কে আদালত নিম্নবর্ণিত কর্তৃপক্ষের নিকট সংবাদ পাঠাইবেন—
(ক) লাইসেন্সিং কর্তৃপক্ষ যিনি সংশ্লিষ্ট ড্রাইভিং লাইসেন্স বা কন্ডাক্টর লাইসেন্স ইস্যু প্রদান করিয়াছিলেন; (খ) লাইসেন্সিং কর্তৃপক্ষ—যিনি সংশ্লিষ্ট ড্রাইভিং লাইসেন্স বা কন্ডাক্টরস লাইসেন্স সর্বশেষবার নবায়ন করিয়াছিলেন;
(গ) পারমিট ইস্যুকারী পরিবহন কর্তৃপক্ষ এবং যে কর্তৃপক্ষ উহা অনুস্বাক্ষর করিয়াছিলেন ।
এবং অনুরূপ প্রত্যেক সংবাদের সঙ্গে লাইসেন্সধারীর নাম–ঠিকানা, লাইসেন্সের নম্বর উহা ইস্যু ও নবায়নের তারিখ, পারমিট নম্বর, উহা ইস্যু ও নবায়নের তারিখ, অপরাধের ধরন, উক্ত অপরাধের জন্য প্রদত্ত শান্তির বিবরণ এবং নির্ধারিত অন্যান্য বিবরণ লিখিত হইবে।
ধারা–১৬৯। আদালতের এখতিয়ার:
দ্বিতীয় শ্রেণীর ম্যাজিস্ট্রেটের আদালতের চাইতে নিচের কোন আদালত এই আইনে বর্ণিত বা এতদসংশ্লিষ্ট কোন বিধি বা প্রবিধান অনুযায়ী শাস্তিযোগ্য কোন অপরাধের বিচার করিতে পারিবেন না।
ধারা–১৭০। অপরাধ আপসে মিটাইয়া ফেলা:
১৮৯৮ সালের ফৌজদারী কার্যবিধিতে (১৮৯৮–এর ৫নং অ্যাক্ট) যাহাই বর্ণিত থাকুক না কেন, ১৩৭, ১৩৯, ১৪০, ১৪২, ১৪৬, ১৪৯, ১৫১, ১৫২, ১৫৩, ১৫৪, ১৫৫, ১৫৬, ১৫৮, ধারামতে শাস্তিযোগ্য কোন কোন অপরাধ, প্রথম অথবা দ্বিতীয় শ্রেণীর ম্যাজিস্ট্রেট, কিংবা সরকার কর্তৃক এই ক্ষেত্রে বিশেষভাবে ক্ষমতাপ্রাপ্ত ডিএসপি বা তাঁহার উপরের পদমর্যাদার পুলিশ অফিসার, আপসে মিটাইয়া ফেলিতে পারেন এবং এতদসংক্রান্ত মামলা নির্ধারিত পন্থায় নিষ্পত্তি করা যাইতে পারে ।
ধারা–১৭১। ফী ধার্যের ক্ষমতা:
এই আইনে এবং এতদসংশ্লিষ্ট কোন প্রবিধান অনুযায়ী বিভিন্ন অফিসার বা কর্তৃপক্ষকে বিভিন্ন কাজ বা বিষয়; যেমন – আবেদনপত্র জমা নেওয়া, কাগজপত্র সংশোধন, পরীক্ষা পরিচালনা, এনডোর্সমেন্ট, ব্যাজ, প্লেট সরবরাহ, অনুস্বাক্ষর প্রদান অথরাইজেশন, পরিসংখ্যান কিংবা কাগজপত্র বা আদেশনামার কপি সরবরাহ এবং প্রয়োজনীয় অন্যান্য কাজের জন্য যে সেবা (Service) দিতে হয়, সেইজন্য কর্তৃপক্ষ এই সকল ক্ষেত্রে ফী ধার্য করেন :
তবে শর্ত রহিয়াছে যে, কর্তৃপক্ষ জনস্বার্থে যদি মনে করেন যে, কোন কোন ব্যক্তিকে অনুরূপ ফী প্রদান (সম্পূর্ণ কিংবা আংশিক) হইতে অব্যাহতি দেওয়া দরকার, তবে সাধারণ বা বিশেষ আদেশের মাধ্যমে উল্লিখিত অব্যাহতি দিতে পারে ।
ধারা–১৭২। প্রবিধান ( Regulations ) প্রণয়নের ক্ষমতা ঃ এই অধ্যায়ের উদ্দেশ্যসমূহ সাধনের জন্য কর্তৃপক্ষ প্রবিধান প্রণয়ন করিতে পারেন।
আরও দেখুনঃ
- যানবাহন নিয়ন্ত্রণ | মোটরযান আইন
- অটোমোবিল শপে ব্যবহৃত মেজারিং টুলস | এককের বিভিন্ন পদ্ধতি | অটোমোবিল ইঞ্জিনিয়ারিং
- স্টেজ পরিবহন চুক্তিবদ্ধ পরিবহনযানের কন্ডাক্টরদের লাইসেন্স | মোটরযান আইন
- মোটরযানসমূহের ড্রাইভারদের লাইসেন্স করা | মোটরযান আইন
- অটোমোবিল টুলস এন্ড ইকুইপমেন্টস | এককের বিভিন্ন পদ্ধতি | অটোমোবিল ইঞ্জিনিয়ারিং
- মোটরগাড়ি শিল্প