যানবাহন নিয়ন্ত্রণ, মোটরযানসমূহ রেজিস্ট্রিকরণ, মোটরযানের ব্যাপারে “সংযোজক” বা “এসেমরার” অর্থ প্রস্তুতকারক বা নির্মাণকারকের কর্তৃত্বসম্পন্ন এমন প্রতিষ্ঠান যেখানে মোটরযানের বিভিন্ন অংশ সংযোজিত হয় এবং যেখানে প্রস্তুতকারক বা নির্মাণকারকের কর্তৃত্বাধীনে একটি বিশেষ ধরনের চেসিস উৎপাদন করা হয়, চেসিসের সহিত বডি সংযুক্ত করা হউক বা না হউক, এবং উক্ত প্রতিষ্ঠান সেই প্রস্তুতকারক বা নির্মাণকারকের অনুকূলে অন্য কোন কার্য সম্পাদন করুক বা না করুক।
সপ্তম অধ্যায়
যানবাহন নিয়ন্ত্রণ | মোটরযান আইন
ধারা–৮৫। গতি–সীমা:
(১) কোন মোটরগাড়ির সর্বোচ্চ যে গতি–সীমা এই আইন অনুসারে অথবা বর্তমানে বলবৎ অপর কোন আইন অনুসারে নির্দিষ্ট করিয়া দেওয়া হইয়াছে, কেহ তদপেক্ষা অধিক গতিতে গাড়ি চালাইবে না বা অন্য কাহাকেও চালাইতে দিবে না।
তবে শর্ত এই যে, উক্ত সর্বোচ্চ গতি কোনক্রমেই অষ্টম তফসিলে সেই গাড়ির জন্য নির্দিষ্ট সর্বোচ্চ গতির অধিক হইবে না।
(২) সরকার অথবা সরকারের নিকট হইতে এই বিষয়ে ক্ষমতাপ্রাপ্ত অন্য কোন কর্তৃপক্ষ যদি এই মর্মে সন্তুষ্ট হন যে, জনসাধারণের নিরাপত্তার খাতিরে অথবা কোন সড়ক বা সেতুর অবস্থার কারণে মোটরযানসমূহের গতি–নিয়ন্ত্রণ করা প্রয়োজন, তবে সরকারী গেজেটে বিজ্ঞপ্তি প্রচার করিয়া এবং ৮৯ ধারা অনুসারে উপযুক্ত যানবাহন সংকেত স্থাপন বা উত্তোলন করিয়া মোটরযানসমূহের জন্য বা কোন নির্দিষ্ট শ্রেণীর মোটরযানসমূহের জন্য বা ট্রেলারযুক্ত মোটরযানসমূহের জন্য বা সাধারণভাবে বা কোন নির্দিষ্ট এলাকায় বা সড়কে যেইরূপ উপযুক্ত বিবেচনা করে সেইরূপ সর্বোচ্চ গতি নির্দিষ্ট করিয়া দিবে :
তবে শর্ত এই যে, এই ধারা অনুসারে আরোপিত নিয়ন্ত্রণ যেক্ষেত্রে এক মাসের অধিক সময় বলবৎ থাকিবে না সেক্ষেত্রে সরকারী গেজেটে বিজ্ঞপ্তি প্রচারের প্রয়োজন নাই ।
ধারা–৮৬। ওজন, সীমা ও ব্যবহারের সীমাবদ্ধতা:
(১) পরিবহন কমিটির দ্বারা ভারী মোটরযানের পারমিট প্রদানের ব্যাপারে সরকার শর্তাবলী নির্ধারণ করিতে পারিবে এবং বাংলাদেশের কোন এলাকায় বা রুটে উক্তরূপ যান চলাচল নিষিদ্ধ বা নিয়ন্ত্রিত করিতে পারিবে।
(২) অন্যরূপ নির্ধারিত না হইলে, বায়ু স্ফীত টায়ার সংযুক্ত নহে এমন কোন মোটরযান কেহ সর্বসাধারণের ব্যবহার্য কোন স্থানে চালাইবে না বা চালাইতে দিবে না।
(৩) কেহ নিম্নলিখিত প্রকার কোন মোটরযান সর্বসাধারণের ব্যবহার্য কোন স্থানে চালাইবে না বা চালাইতে দিবে না–
(ক) গাড়ির রেজিস্ট্রেশন সার্টিফিকেট বোঝাই–বিহীন অবস্থায় গাড়ির যে ওজন নির্ধারিত হইয়াছে তদপেক্ষা অধিক ওজনসম্পন্ন গাড়ি; অথবা
(খ) গাড়ির রেজিস্ট্রেশন সার্টিফিকেটে বোঝাই অবস্থায় গাড়ির যে ওজন নির্ধারিত হইয়াছে তদপেক্ষা অধিক ওজনসম্পন্ন গাড়ি; অথবা
(গ) গাড়ির রেজিস্ট্রেশন সার্টিফিকেটে এক্সেলের যে সর্বোচ্চ ওজন নির্ধারিত হইয়াছে তদপেক্ষা অধিক এক্সেল ওজনসম্পন্ন গাড়ি।
(৪) যেক্ষেত্রে (২) উপধারা অথবা (৩) উপধারা (ক) অনুচ্ছেদের বিধান লংঘন করিয়া চালিত মোটরযান বা ট্রেলারের চালক বা ভারপ্রাপ্ত ব্যক্তি উহার মালিক নহে, সেইক্ষেত্রে আদালত অনুমান করিতে পারে যে, সংশ্লিষ্ট মোটরযান বা ট্রেলারের মালিকের জ্ঞাতসারে বা তাহার আদেশক্রমেই অপরাধ সংঘটিত হইয়াছে।
ধারা–৮৭। গাড়ি ওজন করাইবার ক্ষমতা:
(১) সরকার কর্তৃক এই বিষয়ে ক্ষমতাপ্রাপ্ত কোন ব্যক্তির যদি এইরূপ বিশ্বাস করিবার কারণ ঘটে যেকোন মালবাহী গাড়ি বা ট্রেলার ৮৬ ধারা লংঘন করিয়া ব্যবহৃত হইতেছে, তবে তিনি এই ড্রাইভারকে সম্মুখবর্তী পথে এক মাইলের মধ্যে অথবা গাড়ির গন্তব্য স্থান হইতে পাঁচ মাইলের মধ্যে যেখানে ওজন যন্ত্র স্থাপিত আছে সেখানে গাড়িটি ওজন করিবার উদ্দেশ্যে লইবার জন্য নির্দেশ দিতে পারিবেন; এবং উক্তরূপে ওজন করিয়া যদি দেখা যায় যে, গাড়িটি ওজন সম্পর্কে ৮৬ ধারার বিধান কোনভাবে লংঘন করিয়াছে, তবে তিনি লিখিত আদেশদান করিয়া আদেশে উল্লিখিত নিকটবর্তী যে স্থানে মাল গুদামজাত করিবার সুবিধা রহিয়াছে সংশ্লিষ্ট গাড়ি বা ট্রেলার সেইখানে লইয়া যাইবার নির্দেশ দিতে পারিবেন এবং গাড়ির বোঝাই অবস্থায় ওজন বা এক্সেল ওজন হ্রাস না করা পর্যন্ত অথবা গাড়িটিকে ৮৬ ধারার বিধানসম্মত অবস্থায় পরিবর্তিত না করা পর্যন্ত গাড়ি বা ট্রেলার সেখান হইতে অপসারিত না করার নির্দেশ দিতে পারিবেন ।
(২) যেইক্ষেত্রে কোন মালবাহী গাড়ি বা ট্রেলার হইতে (১) উপধারা অনুসারে অতিরিক্ত মাল অপসারণ করা হইয়াছে, সেইক্ষেত্রে সরকার কর্তৃক এই বিষয়ে ক্ষমতাপ্রাপ্ত ব্যক্তি গাড়ি বা ট্রেলারের মালিকের উপর লিখিত নোটিশ জারি করাইয়া এই মর্মে নির্দেশ দান করিবেন যে নোটিশে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে উক্ত মাল অপসারণ করিতে হইবে এবং গাড়ি বা ট্রেলারের মালিক উক্তরূপ নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে সেই মাল অপসারণ করিতে অস্বীকার করিলে বা ব্যর্থ হইলে ক্ষমতাপ্রাপ্ত ব্যক্তি উক্ত মাল প্রকাশ্য নিলামে বিক্রয় করিতে পারিবেন এবং বিক্রয়লব্ধ টাকা হইতে মাল গুদামজাত করিবার ব্যয় এবং নিলাম বিক্রয়ের আনুষঙ্গিক খরচ বাদ দিয়া অবশিষ্ট টাকা গাড়ি বা ট্রেলারের মালিককে দিতে পারিবেন :
তবে শর্ত এই যে, অপসারিত মাল যদি পচনশীল হয়, তবে গাড়ি ট্রেলারের চালককে নোটিশ দেওয়ার পর অবিলম্বে নিলাম বিক্রয় করিতে পারা যাইবে।
ধারা–৮৮। গাড়ির ব্যবহার নিয়ন্ত্রিত করিবার ক্ষমতা:
সরকার অথবা এই বিষয়ে সরকার কর্তৃক ক্ষমতাপ্রাপ্ত কোন ব্যক্তি যদি এই মর্মে সন্তুষ্ট হন, জনগণের নিরাপত্তা বা সুবিধার খাতিরে অথবা কোন সড়ক বা সেতুর অবস্থার কারণে ব্যবস্থা গ্রহণ করা প্রয়োজন তবে সরকারী গেজেটে বিজ্ঞপ্তির প্রচার করিয়া বিজ্ঞপ্তিতে উল্লিখিত ব্যতিক্রম বা শর্তসাপেক্ষে সাধারণভাবে নির্ধারিত কোন এলাকায় অথবা কোন নির্দিষ্ট সড়কে মোটরযানসমূহ অথবা কোন নির্দিষ্ট শ্রেণীর মোটরযান চালনা বা ট্রেলার নিষিদ্ধ বা নিয়ন্ত্রিত করিতে পারিবেন এবং যেইক্ষেত্রে উক্তরূপ নিষেধাজ্ঞা বা নিয়ন্ত্রণ আরোপিত হইবে, সেইক্ষেত্রে কর্তৃপক্ষ উপযুক্ত স্থানে যানবাহন সংকেত স্থাপন বা উত্তোলনের ব্যবস্থা করিবেন ঃ
তবে শর্ত এই যে, যেইক্ষেত্রে ধারা অনুসারে আরোপিত নিষেধাজ্ঞা বা নিয়ন্ত্রণাদেশ এক মাসের অধিক সময় বলবৎ থাকিবে না, সেইক্ষেত্রে সরকারী গেজেটে বিজ্ঞপ্তি প্রচার আবশ্যক হইবে না, তবে স্থানীয়ভাবে উক্ত নিষেধাজ্ঞা বা নিয়ন্ত্রণাদেশের বিষয় অবস্থানুসারে উপযুক্তরূপে প্রচার করিতে হইবে।
ধারা–৮৯। যানবাহন চলাচলের সংকেত স্থাপনের ক্ষমতা:
(১) ৮৫ ধারার (২) উপধারা অনুসারে নির্দিষ্ট কোন গতিসীমা, অথবা ৮৮ ধারা অনুসারে আরোপিত কোন নিষেধাজ্ঞা বা নিয়ন্ত্রণ; অথবা সাধারণভাবে মোটরযানসমূহের চলাচল নিয়ন্ত্রণ করিবার উদ্দেশ্যে সরকার অথবা সরকার কর্তৃক এই বিষয়ে ক্ষমতাপ্রাপ্ত অন্য কোন কর্তৃপক্ষ সর্বসাধারণের ব্যবহার্য কোন স্থানে যানবাহন চলাচলের সংকেত স্থাপন বা উত্তোলন করাইতে পারিবেন।
(২) নবম তফসিলের বিধান মোতাবেক (১) উপধারা অনুসারে যেই সকল যানবাহনে সংকেত উত্তোলন করা হইবে সেইগুলির আকার, রং ও ধরন এবং সেইগুলির অর্থ নবম তফসিলে যেইরূপ বর্ণিত রহিয়াছে সেইরূপ হইবে, তবে সরকার অথবা সরকার কর্তৃক এই বিষয়ের ক্ষমতাপ্রাপ্ত অন্য কোন কর্তৃপক্ষ উক্ত তফসিলে বর্ণিত সংকেতে কিছু সংযোজন অথবা সরকার যেইরূপ উপযুক্ত মনে করেন সেইরূপ কোন কথা, অক্ষর বা অংক উহার উপর লিখিবার ক্ষমতাদান করিতে পারিবেন, তবে এইরূপ কোন কিছু লিখা হইলে তাহার আকার ও রং নবম তফসিলে বর্ণিত কথা, অক্ষর বা অংকের অনুরূপ হইবে।
(৩) এই আইন বলবৎ হইবার পর (১) উপ-ধারায় যেইরূপ বিহিত হইয়াছে তাহা ব্যতীত কোন যানবাহন সংকেত কোন রাস্তার উপর বা নিকটে স্থাপন বা উত্তোলন করা যাইবে না, তবে এই আইন বলবৎ হইবার পূর্বে যেইসকল যানবাহন সংকেত উপযুক্ত কর্তৃপক্ষ দ্বারা উত্তোলিত হইয়াছে এই আইনের উদ্দেশ্যে সেইগুলি সমস্তই (১) উপধারার বিধান অনুসারে উত্তোলিত বলিয়া বিবেচিত হইবে।
(৪) সরকার সরকারী গেজেটে বিজ্ঞপ্তি প্রচার করিয়া কোন জেলা ম্যাজিস্ট্রেট, পুলিশ সুপারিন্টেন্ডেন্ট বা মহানগরী এলাকার পুলিশ কমিশনার বা নির্ধারিত অন্য কোন কর্তৃপক্ষকে কোন যানবাহন সংকেত দৃষ্টির আড়াল করে এমন কোন সাইন বোর্ড বা বিজ্ঞাপন অথবা তাহার মতে যানবাহন সংকেতের সহিত যাহা এমন সাদৃশ্যপূর্ণ যাহাতে বিভ্রান্তি ঘটিতে পারে এমন কোন সাইনবোর্ড বা বিজ্ঞাপন অপসারণ করিবার বা করাইবার ক্ষমতাদান করিতে পারিবেন।
(৫) এই ধারা অনুসারে স্থাপিত বা উত্তোলিত কোন যানবাহন সংকেত কেহ ইচ্ছাকৃতভাবে অপসারণ, পরিবর্তন বা বিকৃত করিতে অথবা অন্য কোনভাবে উহাতে হস্তক্ষেপ করিতে পারিবে না।
(৬) যদি কেহ দুর্ঘটনাক্রমে কোন যানবাহন সংকেতের এমন ক্ষতিসাধন করে যাহাতে যে উদ্দেশ্যে এই ধারা অনুসারে উহা স্থাপিত বা উত্তোলিত হইয়াছে সেই উদ্দেশ্য সাধনের অযোগ্য হইয়া পড়ে, তবে সেই ব্যক্তি যথাসম্ভব শীঘ্র ঘটনাটি সম্পর্কে কোন পুলিশ কর্মকর্তার নিকট বা কোন থানায় সংবাদ দিবে এবং এই ঘটনার চব্বিশ ঘণ্টার মধ্যে অবশ্যই সংবাদ দিতে হইবে।
(৭) নবম তফসিলে বর্ণিত সংকেতসমূহ যাহাতে আন্তর্জাতিক মোটরযান সম্পর্কিত সম্মেলনে, সরকার যাহার অন্যতম পক্ষ, সিদ্ধান্তের সহিত সামঞ্জস্যপূর্ণ হয় তজ্জন্য সরকার সরকারী গেজেটে বিজ্ঞপ্তি প্রদানপূর্বক অনুরূপ বিজ্ঞপ্তির যেকোন সংযুক্তি কিংবা পরিবর্তন সাধন করিতে পারেন এবং সেমতাবস্থায় নবম তফসিল তদনুসারে সংশোধিত হইয়াছে বলিয়া ধরিয়া লইতে হইবে ।
ধারা-৯০। গাড়ি পার্কিং-এর স্থান ও থামিবার স্টেশন ঃ
সরকার অথবা এই ব্যাপারে সরকার কর্তৃক অনুমোদিত কোন কর্তৃপক্ষ সীমানাধীন স্থানীয় কর্তৃপক্ষের সঙ্গে পরামর্শপূর্বক মোটরগাড়িসমূহ কোন স্থানে অনির্দিষ্টকালের জন্য কিংবা নির্দিষ্ট সময়ের জন্য দাঁড়াইবে তাহা নির্ধারণ করিবেন, এবং যাত্রী উঠা-নামার জন্য যেটুকু সময়ের দরকার হয়, তাহার চেয়ে অধিক সময়ের জন্য পাবলিক সার্ভিস মোটরগাড়ি কোথায় থামিবে—তাহা নির্ধারণ করিতে পারেন।
ধারা-৯১। প্রধান সড়ক:
দশম তফসিলে বর্ণিত বিধি-বিধানের উদ্দেশ্যে সরকার অথবা এই ব্যাপারে সরকারের অনুমোদিত কোন কর্তৃপক্ষ সরকারী গেজেটে বিজ্ঞপ্তি প্রদানের মাধ্যমে কিংবা উপযুক্ত স্থান সমূহে নবম তফসিলের ক অংশে উল্লিখিত যথাযথ ট্রাফিক সংকেত স্থাপন করিয়া কতিপয় সড়ককে প্রধান সড়ক (Main road) হিসাবে আখ্যায়িত করিতে পারেন।
ধারা-৯২। ট্রাফিক সংকেত মানিয়া চলিবার ব্যাপারে কর্তব্য ঃ
(১) যে কোন মোটরগাড়ির প্রত্যেক চালককে বাধ্যতামূলক ট্রাফিক সংকেত মানিয়া এবং দশম তফসিলের বর্ণিত গাড়ি চালনার বিধানের সহিত সঙ্গতি রাখিয়া গাড়ি চালাইতে হইবে, এবং যে কোন প্রকাশ্য স্থানে গাড়ি চলাচল নিয়ন্ত্রণকারী পুলিশ অফিসারের সকল নির্দেশ তাকে মানিয়া চলিতে হইবে ।
(২) এই ধারার “বাধ্যতামূলক ট্রাফিক সংকেত”-এর অর্থ নবম তফসিলের ‘ক’ অংশে বর্ণিত কোন ট্রাফিক সংকেত অথবা অনুরূপ ধরনের অন্য কোন ট্রাফিক সংকেত, যেমন একটি গোলাকৃতি চাকতিতে বর্ণিত কোন নক্শা, শব্দ বা সংখ্যা বুঝাইবে। উপরোক্ত চাকতির জমিন কিংবা কিনারা হইবে লাল রং-এর। ৯০ ধারার (১) উপধারা অনুযায়ী মোটরগাড়ি নিয়ন্ত্রণের উদ্দেশ্যে রাস্তার ধারে এ ধরনের গোলাকৃতির চাকতি স্থাপিত হয়।
(৩) রাস্তায় পথচারী পারাপারের জন্য নির্ধারিত সীমানার উপর দিয়া পথচারী পারপার হইবার সময় যেকোন মোটরগাড়ির প্রত্যেক চালককে নিকটবর্তী যথোপযুক্ত লাইন বরাবর অবশ্যই গাড়ি থামাইতে হইবে। মোটরযান আইন
ধারা-৯৩। সংকেত ও সংকেত দেওয়ার কায়দা:
(১) ডানহাতি স্টিয়ারিং বিশিষ্ট মোটরগাড়ির চালককে একাদশ তফসিলে বর্ণিত প্রয়োজনীয় সংকেত দিতে হইবে।
গাড়ি ডান কিংবা বামদিকে ফিরাইতে কিংবা থামাইতে হইলে সংশ্লিষ্ট গাড়ির সহিত সংযুক্ত নির্ধারিত যান্ত্রিক বা বৈদ্যুতিক ডিভাইসের সাহায্যে সংকেত দিতে হইবে।
(২) বামহাতি স্টিয়ারিং বিশিষ্ট মোটরগাড়ির ক্ষেত্রে গাড়ি ডান কিংবা বাম দিকে ফিরাইতে কিংবা থামাইতে হইলে সংশ্লিষ্ট গাড়ির সহিত সংযুক্ত নির্ধারক যান্ত্রিক বা বৈদ্যুতিক ডিভাইসের সাহায্যে সংকেত দিতে হইবে, এবং ডিভাইসগুলি যদি আকস্মিকভাবে ঠিকমত কাজ না করে তবে বাম হাত দিয়া সংকেত দেওয়া যাইবে ।
ধারা-৯৪। বামহাত নিয়ন্ত্রিত মোটরগাড়ি:
নির্ধারিত ধরনের যান্ত্রিক কিংবা বৈদ্যুতিক সংকেত ডিভাইস সংযুক্ত না থাকিলে এবং সেইগুলি যদি চালু অবস্থায় না থাকে, তবে কোন ব্যক্তি বামহাতি স্টিয়ারিং বিশিষ্ট কোন মোটরগাড়ি প্রকাশ্য স্থানে চালাইতে পারিবে না অথবা চালাইবার অনুমতি দিতে পারিবে না।
তবে সরকার কোন এলাকা বা রুটের সড়কসমূহের প্রস্থ এবং অবস্থা সম্পর্কে জ্ঞাত হইবার পর সরকারী গেজেটে বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে উপরোক্ত বিধি-নিষেধ শর্তসাপেক্ষে মওকুফ করিতে পারেন এবং উক্ত এলাকায় বা রুটে কোন্ ধরনের কিংবা কোন্ কোন্ শ্রেণীর মোটর গাড়ি চলাচল করিতে পারিবে তাহা জানাইয়া দিবেন ।
ধারা-৯৫। বিপজ্জনক অবস্থায় রাখিয়া গাড়ি ত্যাগ করা :
কোন মোটরগাড়ির দায়িত্বে নিয়োজিত কোন ব্যক্তি তাহার গাড়ি বা ট্রেইলার রাস্তার উপর এমনভাবে কিংবা এমন অবস্থায় কিংবা এমন পরিস্থিতিতে রাখিতে পারিবে না বা রাখার অনুমতি দিবে না যাহাতে রাস্তা ব্যবহারকারী অন্যান্যরা বিপদ বা বাধার সম্মুখীন হয় কিংবা অযথা অসুবিধায় পড়ে কিংবা উল্লিখিত ধরনের অবস্থার সম্মুখীন হইতে পারে।
ধারা-৯৬। চলন্ত গাড়িতে আরোহণ:
কোন মোটরগাড়ির চালক কিংবা কন্ডাক্টর কিংবা দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যক্তি চলন্ত গাড়িতে কিংবা গাড়ির বাম্পার, কিংবা গাড়ির ছাদে কিংবা গাড়ির ভিতর ব্যতীত অন্য কোন স্থানে কোন ব্যক্তিকে আরোহণ করিতে দিতে পারিবেন না এবং অনুমোদিত সংখ্যার বেশি যাত্রীও লইতে পারিবে না বা এইসবের অনুমতিও দিতে পারিবে না।
ধারা-৯৭। পাবলিক সার্ভিস মোটরযানে আরোহণে বিধি-নিষেধ:
(১) যাত্রী সংখ্যার অনুমতিপত্রে অনুমোদিত অতিরিক্ত কোন ব্যক্তি পাবলিক সার্ভিস মোটরযানে, কিংবা উহা চলন্ত অবস্থায়, কিংবা গাড়ির বাম্পারে অথবা ছাদে কিংবা গাড়ির ভিতরে ব্যতীত অন্য কোন জায়গায় আরোহণ করিতে পারিবে না।
(২) এই ক্ষেত্রে সরকার কর্তৃক অনুমোদিত সাব-ইন্সপেক্টরের নিচে নহে এমন পদের পুলিশ অফিসার কিংবা মোটরগাড়িসমূহের পরিদর্শক অনুরূপ যাত্রীকে সঙ্গে সঙ্গে গাড়ি হইতে নামাইয়া দিতে পারেন এবং অনুরূপ যাত্রী গাড়ি হইতে না নামা পর্যন্ত তিনি উক্ত গাড়ি থামাইয়া রাখিতে পারেন এবং অনুরূপ কোন যাত্রী ভাড়া দিয়া থাকিলে তিনি তাহা ফেরত পাইবার যোগ্য হইবেন ।
ধারা-৯৮। চালকের বাধা সৃষ্টিকরণ:
কোন মোটরগাড়ি চালক কোন ব্যক্তিকে এমনভাবে দাঁড়াইবার বা বসার কিংবা জিনিসপত্র গাড়িতে এমনভাবে রাখিবার অনুমতি দিবেন না যাহাতে গাড়ি স্বীয় নিয়ন্ত্রণে রাখিতে চালকের অসুবিধা হয়।
ধারা-৯৯। নিশ্চল মোটরগাড়ি:
গাড়ি চালনায় নিয়োজিত কিংবা দায়িত্বপ্রাপ্ত কোন ব্যক্তি প্রকাশ্য স্থানে গাড়ি নিশ্চল করিয়া রাখিতে পারিবেন না কিংবা রাখিবার অনুমতি দিবেন না যতক্ষণ না চালকের আসনে বৈধ ড্রাইভিং লাইসেন্সধারী ব্যক্তি আসীন থাকেন কিংবা যতক্ষণ গাড়ির যন্ত্রপাতি বন্ধ না করা হয় এবং ব্রেক বা ব্রেকসমূহ কার্যকর করা হয় অথবা যতক্ষণ না অন্যান্য ব্যবস্থা গৃহীত হয় যাহাতে নিশ্চিত হওয়া যায় যে চালকের অনুপস্থিতিতে গাড়িটি দুর্ঘটনাক্রমে বা হঠাৎ করিয়া চলিতে আরম্ভ করিবে না।
ধারা-১০০। মোটর সাইকেলে অতিরিক্ত আরোহী বহন:
(১) দুই চাকাবিশিষ্ট মোটর সাইকেলের কোন চালক নিজেকে ব্যতীত তার সাইকেলে একজনের বেশি লোক বহন করিতে পারিবেন না এবং অনুরূপ ব্যক্তিকে চালকের আসনের পিছনে সাইকেলের সঙ্গে নিরাপদভাবে সংযুক্ত নির্দিষ্ট আসনে বসা অবস্থায় ভিন্ন অন্য কোনভাবে বহন করা যাইবে না ।
(২) দুই চাকাবিশিষ্ট মোটর সাইকেলের কোন চালক নির্ধারিত হেলমেট পরিধান ব্যতীত কোন মোটর সাইকেল চালাইতে পারিবেন না কিংবা কোন ব্যক্তিকে মোটর সাইকেলে বহন করিতে পারিবেন না যতক্ষণ না উক্ত নির্ধারিত হেলমেট মাথায় দেয়।
ধারা-১০১। লাইসেন্স ও রেজিস্ট্রেশন সার্টিফিকেট ইত্যাদি প্রদর্শন ঃ
(১) কোন প্রকাশ্য স্থানে পুলিশ সাব-ইন্সপেক্টরের নিচে নহে এমন পদের ইউনিফরমধারী অফিসার কিংবা মোটর গাড়িসমূহের যেকোন পরিদর্শক কিংবা এইক্ষেত্রে সরকার কর্তৃক অনুমোদিত অন্য কোন ব্যক্তি চাহিবামাত্র মোটরগাড়ির চালক ও কন্ডাক্টরকে তাহার লাইসেন্স পরীক্ষা করিয়া দেখিবার জন্য প্রদর্শন করিবেন; [যাহা পরীক্ষান্তে সঠিক দেখা গেলে অবিলম্বে ফেরত দিতে হইবে ।
(২) ৪৮ ধারা অনুযায়ী রেজিস্ট্রেশন করা হয় নাই, এমন কোন মোটরগাড়ির মালিক, কিংবা তাহার অনুপস্থিতিতে চালক বা সংশ্লিষ্ট মোটরগাড়ির অপুর কোন দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যক্তি চাহিবামাত্র উক্ত গাড়ির রেজিস্ট্রেশন সার্টিফিকেট এবং যেখানে প্রযোজ্য সেইখানে ৪৭ ধারা অনুযায়ী ফিটনেস সার্টিফিকেট রেজিস্টারিং কর্তৃপক্ষ কিংবা সাব-ইন্সপেক্টরের নিচে নহে এমন কোন ইউনিফরমধারী পুলিশ অফিসার কিংবা মোটরগাড়িসমূহের কোন পরিদর্শককে কিংবা এইক্ষেত্রে সরকার কর্তৃক অনুমোদিত যেকোন ব্যক্তিকে প্রদর্শন করিতে হইবে।
ধারা-১০২। কতিপয় ক্ষেত্রে গাড়ি থামান চালকের কর্তব্য ঃ
(১) কোন মোটরগাড়ির চালককে নিম্নলিখিত ক্ষেত্রে গাড়ি থামাইতে হইবে এবং প্রয়োজনবোধে যুক্তিসঙ্গত সময় পর্যন্ত গাড়ি স্থির রাখিতে হইবে:
(ক) ইউনিফরমধারী কোন পুলিশ অফিসার, কিংবা মোটরগাড়িসমূহের পরিদর্শক, কিংবা এইক্ষেত্রে সরকার কর্তৃক অনুমোদিত কোন ব্যক্তি কর্তৃক প্রয়োজন দেখা দিলে, অথবা
(খ) কোন জন্তু বা প্রাণীর দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যক্তি যদি আশংকা করে যে, জন্তুটি মোটরগাড়ি দেখিয়া ভয় পাইতেছে যাহার ফলে উহাকে নিয়ন্ত্রণে রাখা যাইবে না, অথবা
(গ) কোন মোটরগাড়ি দুর্ঘটনার উৎস কিংবা কোন সম্পত্তির ক্ষতির কারণ হউক বা না হউক, উল্লিখিত দুর্ঘটনাকালে, এবং অনুরূপ দুর্ঘটনা কিংবা ক্ষতির দরুন ক্ষতিগ্রস্ত কোন ব্যক্তি দাবি করিলে সংশ্লিষ্ট মোটরগাড়ির চালক তাহার ও গাড়ির মালিকের নাম-ঠিকানা উক্ত ব্যক্তিকে দিবেন। তবে অনুরূপ ব্যক্তিকেও তাহার নাম-ঠিকানা চালককে দিতে হইবে
(২) কোন ব্যক্তি তাহার নাম ও ঠিকানা প্রকাশ করিয়া যদি কোন মোটরগাড়ির চালকের নিকট অভিযোগ করে যে, উক্ত চালক ১৪৩ ধারা অনুযায়ী শাস্তিযোগ্য অপরাধ করিয়াছে, তবে উক্ত ব্যক্তির দাবি অনুযায়ী চালককে তাহার নিকট স্বীয় নাম ও ঠিকানা বলিতে হইবে।
(৩) এই ধারায় জন্তু বা প্রাণী বলিতে কোন ঘোড়া, গবাদিপশু, হাতী, উট, গাধা, খচ্চর, মেষ কিংবা ছাগলকে বুঝান হইয়াছে।
ধারা-১০৩। তথ্য প্রদানের ব্যাপারে মোটরগাড়ির মালিকের কর্তব্য :
কোন মোটরগাড়ির চালক কিংবা কন্ডাক্টর এই আইন অনুযায়ী কোনরূপ অপরাধের দায়ে অভিযুক্ত হইলে, সংশ্লিষ্ট গাড়ির মালিক সরকার কর্তৃক অনুমোদিত যেকোন পুলিশ অফিসার বা অন্য কোন ব্যক্তি কিংবা মোটরগাড়িসমূহের পরিদর্শকের দাবি অনুযায়ী তাহাকে উল্লিখিত চালক কিংবা কন্ডাক্টরের নাম-ঠিকানা, তাহার নিকটে রক্ষিত, কিংবা চেষ্টা করিয়া চালক কন্ডাক্টরের লাইসেন্স প্রদান করিবেন।
ধারা-১০৪। দুর্ঘটনা ঘটিলে এবং কোন ব্যক্তি আহত হইলে চালকের কর্তব্যঃ
কোন মোটরগাড়ির দুর্ঘটনার সহিত জড়িত হইবার ফলে কোন ব্যক্তি আহত কিংবা কোন সম্পত্তি ক্ষতিগ্রস্ত হইলে সংশ্লিষ্ট গাড়ির চালক কিংবা উক্ত গাড়ির দায়িত্বপ্রাপ্ত অন্য ব্যক্তি—
(ক) আহত ব্যক্তির চিকিৎসা নিশ্চিত করিবার জন্য যুক্তিসঙ্গত সকল প্রকার পদক্ষেপ লইবেন, এবং প্রয়োজনবোধে তাহাকে নিকটবর্তী হাসপাতালে স্থানান্তরের ব্যবস্থা করিবেন যদি না আহত ব্যক্তি কিংবা তাহার অভিভাবক (আহত ব্যাক্তি নাবালক হইলে) অন্য রকম ইচ্ছা পোষণ করে;
(খ) কোন পুলিশ অফিসারের দাবি অনুযায়ী তাঁহাকে যেকোন তথ্য প্রদান করিবেন, কিংবা পুলিশ অফিসারের উপস্থিত না থাকিলে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব, এবং যেভাবেই হউক দুর্ঘটনা ঘটার ২৪ ঘণ্টার মধ্যে নিকটবর্তী থানায় গিয়া ঘটনা ব্যাক্ত করিবেন ।
ধারা-১০৫। দুর্ঘটনার সংগে জড়িত যানবাহন পরিদর্শন ঃ
দুর্ঘটনার সংগে জড়িত মোটরযান নির্ধারিত ব্যবস্থাধীনে, কোন মোটর-যান পরিদর্শক অথবা এতদুদ্দেশ্যে কর্তৃপক্ষ কর্তৃক যথাযথভাবে ক্ষমতাপ্রদত্ত কোন কারিগরী যোগ্যতাসম্পন্ন অফিসার, কোন পুলিশ অফিসার বা উক্ত যানবাহনের মালিক প্রয়োজনীয় মনে করিলে, পরিদর্শন করিবেন এবং এই উদ্দেশ্যে তিনি গাড়িটি যেইখানে রক্ষিত সেই প্রাঙ্গণে যেকোন যুক্তিসঙ্গত সময়ে প্রবেশ করিবেন এবং পরীক্ষা করিয়া দেখিবার জন্য গাড়িটি স্থানান্তর করিতে পারিবেন:
তবে শর্ত থাকে যে, গাড়িটি যেখানে স্থানান্তরিত করা হইবে সে স্থান সম্পর্কে গাড়ির মালিককে জানাইতে হইবে এবং মেট্রোপলিটান এলাকা হইলে দুর্ঘটনার সময় হইতে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে, তবে অন্যত্র হইলে ৭২ ঘণ্টার মধ্যে উক্ত যানবাহন ফেরত দিতে হইবে।
ধারা-১০৬। বিধি প্রণয়নের ক্ষমতা :
(১) সরকার এই অধ্যায়ে বর্ণিত ব্যবস্থাদি কার্যকর করিবার উদ্দেশ্যে বিধিসমূহ প্রণয়ন করিতে পারেন।
(২) এই আইন জারির পূর্ববর্তী ক্ষমতার সাধারণ বৈশিষ্ট্য ব্যবহৃত না করে বিধি-বিধানে নিম্নলিখিত ব্যবস্থা থাকিবে—
(ক) যান্ত্রিক ও বৈদ্যুতিক উপায়ে সংকেত দেওয়ার ধরন যাহা মোটরগাড়িসমূহে ব্যবহৃত হইতে পারে;
(খ) রাস্তার উপর ভাঙ্গিয়া পড়া কিংবা ফেলিয়া যাওয়া কিংবা পরিত্যক্ত মোটরগাড়ি ও তাহার যাবতীয় মালপত্র ও অন্য কিছু থাকিলে –এই সবের স্থানান্তর ও নিরাপদ হেফাজতকরণ;
(গ) মাপিবার যন্ত্র স্থাপন ও তাহার ব্যবহার;
(ঘ) অতিরিক্ত মাল বোঝাইকৃত মোটরগাড়িসমূহের মালামাল মওজুদের জন্য গুদাম ঘর রক্ষণাবেক্ষণ ও উহার ব্যবস্থাপনা এবং অনুরূপ গুদাম ঘর ব্যবহারের জন্য প্রয়োজনবোধে ফী ধার্যকরণ;
(ঙ) নির্ধারিত কতিপয় শর্তসাপেক্ষে এই অধ্যায়ে বর্ণিত সকল কিংবা কোন কোন বিধির আওতা হইতে দমকল বাহিনীর গাড়ি, এম্বুলেন্স ও অন্যান্য বিশেষ শ্রেণীর গাড়িকে বাদ রাখা;
(চ) গাড়ি পার্কিং-এর স্থান ও স্ট্যান্ড-এর রক্ষণাবেক্ষণ ও ব্যবস্থাপনা এবং সেইগুলি ব্যবহারের জন্য ফী ধার্যকরণ, যদি তাহার প্রয়োজন হয়;
(ছ) ঢালু সড়কপথে সাধারণভাবে কিংবা স্থানবিশেষে গিয়ার ছাড়াই নিচের গাড়ি চালনা নিষিদ্ধকরণ;
(জ) চালু অবস্থায় কোন মোটরগাড়ি ধরা কিংবা উহাতে চড়া নিষিদ্ধকরণ,
(ঝ) মোটরগাড়িসমূহের ফুটপাথ ব্যবহার নিষিদ্ধকরণ;
(ঞ) সাধারণভাবে জনসাধারণের কিংবা কোন ব্যক্তি বিপদ, জখম কিংবা বিরক্তি প্রতিরোধ, কিংবা সম্পত্তির উপর বিপদ বা ক্ষতি কিংবা যানবাহন চলাচলে বাধা-বিপত্তি প্রতিরোধ; এবং
(ট) অন্য কোন বিষয় যাহা বিধি দ্বারা নির্ধারিত হইবে কিংবা হইতে পারে।
আরও দেখুনঃ
- মোটরযান নির্মাণ, সজ্জিতকরণ ও রক্ষণাবেক্ষণ | মোটরযান আইন
- মোটরযানসমূহ রেজিস্ট্রিকরণ | মোটরযান আইন
- অটোমোবিল শপে ব্যবহৃত মেজারিং টুলস | এককের বিভিন্ন পদ্ধতি | অটোমোবিল ইঞ্জিনিয়ারিং
- স্টেজ পরিবহন চুক্তিবদ্ধ পরিবহনযানের কন্ডাক্টরদের লাইসেন্স | মোটরযান আইন
- মোটরযানসমূহের ড্রাইভারদের লাইসেন্স করা | মোটরযান আইন
- মোটরগাড়ি শিল্প
5 thoughts on “যানবাহন নিয়ন্ত্রণ | মোটরযান আইন”