Site icon অটোমোটিভ গুরুকুল [ Automotive Gurukul ], GOLN

মোটরযানসমূহ রেজিস্ট্রিকরণ | মোটরযান আইন

মোটরযানসমূহ রেজিস্ট্রিকরণ,  মোটরযানের ব্যাপারে “সংযোজক” বা “এসেমরার” অর্থ প্রস্তুতকারক বা নির্মাণকারকের কর্তৃত্বসম্পন্ন এমন প্রতিষ্ঠান যেখানে মোটরযানের বিভিন্ন অংশ সংযোজিত হয় এবং যেখানে প্রস্তুতকারক বা নির্মাণকারকের কর্তৃত্বাধীনে একটি বিশেষ ধরনের চেসিস উৎপাদন করা হয়, চেসিসের সহিত বডি সংযুক্ত করা হউক বা না হউক, এবং উক্ত প্রতিষ্ঠান সেই প্রস্তুতকারক বা নির্মাণকারকের অনুকূলে অন্য কোন কার্য সম্পাদন করুক বা না করুক।

 

চতুর্থ অধ্যায়

  মোটরযানসমূহ রেজিস্ট্রিকরণ |মোটরযান আইন

 

ধারা৩২। রেজিস্ট্রিকরণের আবশ্যকতা:

সর্বসাধারণের ব্যবহার্য কোন স্থানে বা অপর কোন স্থানে যাত্রী বা মাল পরিবহনের উদ্দেশ্যে কোন মোটরযান কেহ চালাইবে না অথবা কোন মোটরযানের মালিক তাহার মোটরযান উক্ত উদ্দেশ্যে কাহাকেও চালাইতে দিবে না বা চালাইবার অনুমতি দিবে না যদি না সেই মোটরযান এই অধ্যায় অনুসারে রেজিস্ট্রিকৃত হইয়া থাকে, এবং যদি রেজিস্ট্রেশন সার্টিফিকেট স্থগিত বা বাতিল হইয়া থাকে এবং যদি না রেজিস্ট্রেশনচিহ্ন নির্ধারিত পদ্ধতিতে গাড়িতে প্রদর্শিত হইয়া থাকে। 

ধারা৩৩। রেজিস্ট্রি যেখানে করিতে হইবে:

প্রত্যেক মোটরযানের মালিক ৩৫, ৩৭ ৪৮ ধারার বিধানসাপেক্ষে, যে এলাকায় যে বসবাস করে বা ব্যবসায় করে এবং সাধারণত গাড়ি রাখে, তথাকার রেজিস্ট্রিকারী কর্তৃপক্ষের দ্বারা তাহার গাড়ি রেজিস্ট্রি করাইয়া লইবে।

ধারা৩৪। রেজিস্ট্রি যেভাবে করিতে হইবে:

() কোন মোটরযান রেজিস্ট্রিকরণের জন্য সেই মোটরযানের মালিক কর্তৃক বা তাহার পক্ষ হইতে প্রথম তফসিলে বর্ণিতফরমে আবেদন করিতে হইবে, আবেদন ফরমের প্রয়োজনীয় তথ্য সন্নিবেশিত হইতে হইবে এবং আবেদনের সহিত নির্ধারিত ফী দাখিল করিতে হইবে:

তবে শর্ত এই যে, যেক্ষেত্রে একাধিক ব্যক্তি যৌথভাবে কোন মোটরযানের মালিক সেইক্ষেত্রে মালিকদের সকলের পক্ষ হইতে একজনের আবেদন করিতে হইবে এবং এই আইনের উদ্দেশ্যে সেই আবেদনকারী সেই মোটরযানের মালিক বলিয়া বিবেচিত হইবে।

() রেজিস্ট্রিকারী কর্তৃপক্ষ রেজিস্ট্রিকৃত মোটরযানের মালিককে প্রথম তফসিলে বর্ণিতফরমে রেজিস্ট্রেশন সার্টিফিকেট প্রদান করিবে এবং তৎকর্তৃক সংরক্ষিত একটি দলিলে সার্টিফিকেটের বিবরণ লিপিবদ্ধ করিয়া রাখিবে।

() রেজিস্ট্রিকারী কর্তৃপক্ষ সংশ্লিষ্ট গাড়িতে নির্ধারিত পদ্ধতি অনুসারে প্রদর্শনের একটি সুস্পষ্ট চিহ্ন (যাহা এই আইনে রেজিস্ট্রেশন চিহ্ন বলিয়া উল্লিখিত হইয়াছে) বরাদ্দ করিবে; উক্ত চিহ্নে সংশ্লিষ্ট জেলার বা জেলার অন্তর্গত এলাকাবিশেষের জন্য ষষ্ঠ তফসিলে বরাদ্দকৃত বর্ণসমষ্টি থাকিবে, তৎপর সংশ্লিষ্ট মোটরযানের শ্রেণী নির্দেশক এক বা একাধিক বর্ণ থাকিবে এবং অনধিক অংক বিশিষ্ট একটি নম্বর থাকিবে। 

ধারা৩৫। কূটনৈতিক কর্মকর্তাবৃদ্ধ ইত্যাদির মোটরযান রেজিস্ট্রিকরণ

() যখন কোন কূটনৈতিক কর্মকর্তা বৈদেশিক দূতাবাসের কর্মকর্তা বা অনুরূপ অন্য কোন সুবিধাভোগী ব্যক্তি কর্তৃক বা তাহার পক্ষ হইতে কোন মোটরযান রেজিস্ট্রি করিবার জন্য আবেদন করা হয়, তখন এই ধারায় যাহাই থাকুক না কেন, সরকার কর্তৃক এতদুদ্দেশ্যে নিযুক্ত বিশেষ রেজিস্ট্রিকারী কর্তৃপক্ষ উপধারা () অনুসারে প্রণীত বিধিমালায় বর্ণিত পন্থায় পদ্ধতি অনুসারে সেই মোটরজান রেজিস্ট্রি করিবে এবং উপরোক্ত বিধি মালায় বর্ণিত বিধান অনুসারে উক্ত মোটরযান প্রদর্শনের জন্য একটি বিশেষ রেজিস্ট্রেশন চিহ্ন বরাদ্দ করিবেন এবং এই মর্মে একটি সার্টিফিকেট প্রদান করিবেন যে, সেই মোটরযানটি এই ধারা অনুসারে রেজিস্ট্রি করা হইয়াছে, এবং তৎপর উক্তরূপ রেজিস্ট্রিকৃত মোটরযানটি যতদিন কোন কূটনৈতিক কর্মকর্তা, দূতাবাসের কর্মকর্তা বা অন্য কোন সুবিধাভোগী ব্যক্তির সম্পত্তি থাকিবে, ততদিন তাহা আইন আনুসারে ব্যতীত অন্য কোন প্রকারে আর রেজিস্ট্রি করা প্রয়োজন হইবে না

() এই ধারা অনুসারে রেজিস্ট্রিকৃত কোন মোটরযান যদি কোন কূটনৈতিক কর্মকর্তা, দূতাবাস কর্মকর্তা বা অন্য কোন সুবিধাভোগী ব্যক্তির সম্পত্তি আর না থাকে, তবে এই ধারা অনুসারে প্রদত্ত রেজিস্ট্রেশন সার্টিফিকেটও আর কার্যকরী থাকিবে না এবং তৎপর ৩৩ ধারার বিধান এইরূপ ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হইবে।

() সরকার কূটনৈতিক কর্মকর্তা, দূতাবাসের কর্মকর্তা অন্যান সুবিধাভোগী ব্যক্তিদের মোটরযান রেজিস্ট্রি করিবার জন্য নিযুক্ত বিশেষ রেজিস্ট্রিকরণ কর্তৃপক্ষ অনুরূপ মোটরযান রেজিস্ট্রি করিতে যে পদ্ধতি অনুসরণ করিবে, অনুরূপ মোটরযানের জন্য রেজিস্ট্রেশন সার্টিফিকেট যে ফরমে প্রদান করিতে হইবে, মোটরযানের মালিকের নিকট রেজিস্ট্রেশন সার্টিফিকেট যে পন্থার প্রেরণ করিতে হইবে, মোটরযান যে পন্থায় হাতেনাতে পরীক্ষা করিতে হইবে এবং অনুরূপ মোটরযানের জন্য যে বিশেষ রেজিস্ট্রেশন চিহ্ন বরাদ্দ করিতে হইবে, তৎসম্পর্কে বিধান সম্বলিত বিধিমালা প্রণয়ন করিতে পারিবেন।

ব্যাখ্যা:  এই ধারার উদ্দেশ্যেকূটনৈতিক কর্মকর্তা“, “দূতাবাসের কর্মকর্তাবাসুবিধাভোগী ব্যক্তিবলিতে সরকার কর্তৃপক্ষ অনুরূপ মর্যাদাসম্পন্ন বলিয়া স্বীকৃত ব্যক্তিগণকে বুঝাইবে এবং কোন ব্যক্তি অনুরূপ কোন কর্মকর্তা বা ব্যক্তি কিনা সে বিষয়ে কোন প্রশ্ন উঠিলে তৎসম্পর্কে সরকারের সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত হইবে।

ধারা৩৬। অস্থায়ী রেজিস্ট্রেশন:

() ৩৩ ধারায় যাহাই বিহিত থাকুক না কেন, মোটরযানের মালিক নির্ধারিত কর্তৃপক্ষের নিকট নির্ধারিত পন্থায় তাহার মোটরযান অস্থায়ীভাবে রেজিস্ট্রি করিবার জন্য এবং নির্ধারিত পন্থায় অস্থায়ী রেজিস্ট্রেশন সার্টিফিকেট রেজিস্ট্রেশন চিহ্ন প্রদানের জন্য আবেদন করিতে পারিবে।

 () এই ধারা অনুসারে কৃতরেজিস্ট্রেশন মাত্র অনধিক এক মাস মেয়াদের জন্য বৈধ থাকিবে এবং তাহা নবায়নযোগ্য হইবে না:

তবে শর্ত এই যে, যেক্ষেত্রে উক্তরূপে রেজিস্ট্রিকৃত মোটরযান এমন একটি চেসিস, যাহার সহিত বডি সংযুক্ত হয় নাই, এবং যাহা বডি সংযুক্ত করিবার জন্য এক মাসের অধিককাল যাবত কারখানায় আটক আছে, সেক্ষেত্রে নির্ধারিত ফী প্রদান করা হইলে, উক্ত রেজিস্ট্রেশনের মেয়াদ এমন পরিমাণে বর্ধিত করা যাইবে, যাহাতে অস্থায়ী রেজিস্ট্রেশনের মোট মেয়াদ কোনক্রমেই চার মাসের অধিক না হয়।

ধারা৩৭। রেজিস্ট্রি করিবার সময় মোটরযান উপস্থিত করা:

রেজিস্ট্রিকারী কর্তৃপক্ষ কোন মোটরযান রেজিস্ট্রি করিবার পূর্বে রেজিস্ট্রিকরণের জন্য আবেদনকারী ব্যক্তিকে সংশ্লিষ্ট মোটরযানটি মোটরযানসমূহের ইন্সপেক্টরের অথবা এতদলক্ষে কর্তৃপক্ষ কর্তৃক বিনির্দিষ্ট কোন ব্যক্তির নিকট উপস্থিত করিবার নির্দেশ দিবেন, যাহাতে রেজিস্ট্রিকারী কর্তৃপক্ষ এই মর্মে সন্তুষ্ট হইতে পারেন যে, আবেদনপত্রে প্রদত্ত বিবরণসমূহ সত্য এবং সংশ্লিষ্ট মোটরযানটি ষষ্ঠ অধ্যায় তদনুসারে প্রণীত প্রবিধান অনুসারে প্রয়োজনীয় শর্তাবলী পূরণ করে এবং মোটরযানটির যান্ত্রিক ত্রুটি নাই।

 ধারা৩৮। রেজিস্ট্রিকরণে অস্বীকৃতি:

কোন মোটরযানে যদি যান্ত্রিক ত্রুটি থাকে, অথবা ষষ্ঠ অধ্যায় তদনুসারে প্রণীত প্রবিধান অনুসারে প্রয়োজনীয় শর্তাবলী পূরণ না করে অথবা আবেদনকারী

যদি সেই মোটরযান রেজিস্ট্রিকরণের আবেদনপত্রে মোটরযানটি পূর্ববর্তী রেজিস্ট্রেশনের বিবরণ বা চেসিস সনাক্তকরণ নম্বর সরবরাহ করিতে ব্যর্থ হয় অথবা ভুল বিবরণ সরবরাহ করে, তবে রেজিস্ট্রিকারী কর্তৃপক্ষ সেই মোটরযান রেজিস্ট্রি করিতে অস্বীকার করিবে এবং যে মোটর-যানের রেজিস্ট্রিকরণ অস্বীকৃত হইল উহার আবেদনকারীকে অস্বীকৃতির কারণ লিখিতভাবে জানাইবে।

 ধারা৩৯। বাসস্থান বা ব্যবসায়ের স্থান পরিবর্তন:

() কোন মোটরযানের মালিক যদি তাহার মোটর-যানের রেজিস্ট্রেশন সার্টিফিকেটে লিপিবদ্ধ ঠিকানায় আর বসবাস না করে, বা ব্যবসা না করেন, তবে ঠিকানা পরিবর্তনের পর ত্রিশ দিনের মধ্যে যে তাহার নূতন ঠিকানা রেজিস্ট্রেশন সার্টিফিকেট প্রদানকারী রেজিস্ট্রিকারক কর্তৃপক্ষকে যে কর্তৃপক্ষ যোগ্যতার সার্টিফিকেট দিয়াছে বা সর্বশেষে তাহা নবায়ন করিয়াছে নেই কর্তৃপক্ষকে জানাইবে; অথবা তাহার নূতন ঠিকানা যদি অন্য কোন রেজিস্ট্রিকারক কর্তৃপক্ষের এখতিয়ারাধীন এলাকাভুক্ত হয়, তবে সেই কর্তৃপক্ষকে জানাইবে। একই সঙ্গে সে. নির্ধারিত ফিসসহ রেজিস্ট্রেশন সার্টিফিকেট কর্তৃপক্ষের নিকট পাঠাইয়া দিবে যাহাতে নূতন ঠিকানা উহাতে লিপিবদ্ধ করা যায়।

() আদি রেজিস্ট্রিকারক কর্তৃপক্ষ ভিন্ন অপর কোন রেজিস্ট্রিকারক কর্তৃপক্ষ উপরোক্তরূপ পরিবর্তন লিপিবদ্ধ করিলে তাহা আদি রেজিস্ট্রিকারক কর্তৃপক্ষকে এবং যে কর্তৃপক্ষের দ্বারা যোগ্যতার সার্টিফিকেট প্রদান বা নবায়ন করা প্রয়োজন হইতে পারে সেই কর্তৃপক্ষকে জানাইবে

() যেক্ষেত্রে রেজিস্ট্রেশন সার্টিফিকেটে লিপিবদ্ধ ঠিকানা অনধিক তিন মাসের ইস্পিত অনুপস্থিতির দরুন পরিবর্তিত হয় অথবা যেক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট মোটর-যান লিপিবদ্ধ ঠিকানা ব্যতীত অন্য কোথাও ব্যবহৃত হয় না বা অপসারিতও হয় না, সেইক্ষেত্রে () উপধারার কোন বিধান প্রযোজ্য হইবে না। 

ধারা৪০। মালিকানা হস্তান্তর:

() এই অধ্যায় অনুসারে রেজিস্ট্রিকৃত কোন মোটর-যানের মালিকানা হস্তান্তরিত হইলে:

() হস্তান্তরের চৌদ্দ দিনের মধ্যে যে রেজিস্ট্রিকারক কর্তৃপক্ষের এখতিয়ারাধীন এলাকায় হস্তান্তর সম্পন্ন হইয়াছে হস্তান্তরকারী সেই কর্তৃপক্ষকে হস্তান্তরের বিষয় জানাইবে এবং একই সঙ্গে উক্ত রিপোর্টের একটি অনুলিপি হস্তান্তর গ্রহীতার নিকট পাঠাইবে।

() হস্তান্তরের ত্রিশ দিনের মধ্যে হস্তান্তর গ্রহীতা যে রেজিস্ট্রিকারক কর্তৃপক্ষের এখতিয়ারাধীন এলাকায় বাস করে সেই কর্তৃপক্ষকে হস্তান্তরের বিষয় জানাইবে এবং হস্তান্তরের বিবরণ যাহাতে রেজিস্ট্রেশন সার্টিফিকেটে লিপিবদ্ধ করা যায়, সেইজন্য রেজিস্ট্রেশন সার্টিফিকেট তৎসহ নির্ধারিত ফী এবং হস্তান্তরকারীর নিকট হইতে প্রাপ্ত রিপোর্টের অনুলিপি সেই রেজিস্ট্রিকারক কর্তৃপক্ষের নিকট পাঠাইবে।

() রেজিস্ট্রিকারক কর্তৃপক্ষ ৩৭ ধারায় উল্লিখিত কর্তৃপক্ষের দ্বারা সরেজমিনে বিবরণসমূহ পরীক্ষা করাইবে এবং হস্তান্তরের যথার্থতা সম্পর্কে সন্তুষ্ট হইলে () দফার অধীন রিপোর্ট প্রদানের ত্রিশ দিনের মধ্যে হস্তান্তরের বিবরণসমূহ রেজিস্ট্রেশন সার্টিফিকেটে লিপিবদ্ধ করিবে।

() আদি রেজিস্ট্রিকারক কর্তৃপক্ষ ভিন্ন অপর কোন রেজিস্ট্রিকারক কর্তৃপক্ষ উত্তরূপ বিবরণ লিপিবদ্ধ করিলে হস্তান্তরের বিষয় আদি রেজিস্ট্রিকারক কর্তৃপক্ষকে এবং যে কর্তৃপক্ষের দ্বারা যোগ্যতার সার্টিফিকেট প্রদান বা নবায়ন করা প্রয়োজন হইতে পারে সেই কর্তৃপক্ষকে জানাইবে।

ধারা৪১। কিস্তিতে ক্রয়ের চুক্তিআবদ্ধ মোটরযানসমূহের বিষয়ে বিশেষ বিধান:

() যেক্ষেত্রে কিস্তিতে মূল্য পরিশোধের চুক্তির মাধ্যমে ক্রয় করা কোন মোটরযান রেজিস্ট্রি করিবার জন্য আবেদন করা হয়, সেইক্ষেত্রে রেজিস্ট্রিকারী কর্তৃপক্ষ রেজিস্ট্রেশন সার্টিফিকেটে অনুরূপ চুক্তির অস্তিত্বের বিষয়টি লিপিবদ্ধ করিবে।

() যেক্ষেত্রে এই অধ্যায় অনুসারে রেজিস্ট্রিকৃত কোন মোটরযান হস্তান্তরিত হয় এবং হস্তান্তর গ্রহীতা কোন ব্যক্তির সহিত কিস্তিতে মূল্য পরিশোধের শর্তে বিক্রয় চুক্তিতে আবদ্ধ হয়, সেইক্ষেত্রে রেজিস্ট্রিকারী কর্তৃপক্ষ চুক্তির পক্ষগণের নিকট হইতে কোন আবেদনপত্র পাইবার পর রেজিস্ট্রেশন সার্টিফিকেটে অনুরূপ চুক্তির অস্তিত্বের বিষয় লিপিবদ্ধ করিবে।

() সংশ্লিষ্ট পক্ষগণের দ্বারা কিস্তিতে মূল্য পরিশোধের শর্তে বিক্রয়চুক্তির অবসান ঘটিয়াছে বলিয়া প্রামণিত হইলে () বা () উপধারা অনুসারে যাহা লিপিবদ্ধ করা হয় তাহা বাতিল করা যাইবে।

() কিস্তিতে মূল্য পরিশোধের চুক্তিবলে প্রাপ্ত কোন মোটরযানের রেজিস্ট্রেশন সার্টিফিকেটে মালিকানা হস্তান্তরের বিষয় কিছু লিপিবদ্ধ করা হইবে না, যদি না রেজিস্ট্রিকৃত মালিক যে ব্যক্তির সহিত কিস্তিতে মূল্য পরিশোধের চুক্তিতে আবদ্ধ হইয়াছে বলিয়া রেজিস্ট্রেশন সার্টিফিকেটে নির্দিষ্টরূপে উল্লেখ করা হইয়াছে সেই ব্যক্তি লিখিত অনুমতি দান করে।

()  () উপধারায় যাহা কিছুই থাকুক না কেন, কর্তৃপক্ষ সরকারী গেজেটে প্রজ্ঞাপনের দ্বারা প্রজ্ঞাপনে উল্লিখিত শর্তসাপেক্ষে একই ধরনের একাধিক যানবাহনের মালিককে, রেজিস্ট্রিকারক কর্তৃপক্ষের অনুমোদন ব্যতীত অনুরূপ যানবাহনে একই ধরনের ইঞ্জিন প্রতিস্থাপন করিয়া উক্ত যানবাহনের পরিবর্তন সাধনের জন্য কর্তৃত্ব প্রদান করিতে পারেন ।

() উপধারা  (হইতে  (এর বিধানসমূহ কিস্তিতে মূল্য পরিশোধের শর্তে বিক্রয় চুক্তি অনুসারে প্রাপ্ত মোটরযানের ক্ষেত্রে যেরূপ প্রযোজ্য, বন্ধকে আবদ্ধ মোটরযানের ক্ষেত্রেও যতদূর সম্ভব সেইভাবে প্রযোজ্য হইবে। 

 

 

ধারা৪২। মোটরযানে রদবদল:

() কোন মোটর-যানের মালিক তাহার গাড়ির এমন কোন পরিবর্তন সাধন করিবে না যাহাতে রেজিস্ট্রেশন সার্টিফিকেটে উল্লিখিত বিবরণসমূহ অসত্যে পরিণত হয়, যদি না

() প্রস্তাবিত পরিবর্তন সম্পর্কে তাহার বাসস্থান এলাকার উপর এখতিয়ারসম্পন্ন রেজিস্ট্রিকারী কর্তৃপক্ষকে লিখিত নোটিশ দিয়া থাকে; এবং

() উক্তরূপ পরিবর্তন সম্পর্কে রেজিস্ট্রিকারী কর্তৃপক্ষের অনুমোদন গ্রহণ করিয়া থাকে;

তবে শর্ত এই যে, প্রস্তাবিত পরিবর্তনের দরুন রেজিস্ট্রেশন সার্টিফিকেটে উল্লিখিত ওজনের শতকরা দুইভাগ ওজন পরিবর্তিত না হইলে গাড়ির খুচরা যন্ত্রাংশ ইত্যাদি সংযোজন বা বিয়োজনের ফলে বোঝাই না করা অবস্থায় গাড়ির ওজন পরিবর্তনের জন্য রেজিস্ট্রিকারী কর্তৃপক্ষের অনুমোদন গ্রহণ করা আবশ্যক হইবে না।

() এমন কোনরূপ পরিবর্তন করিতে দেওয়া যাইবে না, যদ্ধারা চেসিস সনাক্তকরণ নম্বর, চেসিস নির্মাণ ব্যাহত হইতে পারে, অথবা যানবাহনের নির্মাণ মডেল ক্ষুণ্ণ হইতে পারে, অথবা নির্মাতা কর্তৃক প্রদত্ত সার্টিফিকেটে বর্ণিত বোঝাই অবস্থার ওজন প্রভাবিত হইতে পারে।

() যে পরিবর্তনের ফলে যানবাহনের শ্রেণী প্রভাবিত হয়, সেইক্ষেত্রে উহার রেজিস্ট্রিকরণ নূতন বলিয়া বিবেচিত হইবে এবং তাহার ফলে অনুরূপক্ষেত্রে ৩০ ৩৪ ধারার বিধানসমূহ প্রযোজ্য হইবে।

() যেক্ষেত্রে রেজিস্ট্রিকারী কর্তৃপক্ষ () উপধারা অনুসারে নোটিশপ্রাপ্ত হইবে, সেইক্ষেত্রে কর্তৃপক্ষ প্রস্তাবিত পরিবর্তন সম্পর্কে সংশ্লিষ্ট মোটরধান ইন্সপেক্টরের মতামত গ্রহণ করিবে এবং নোটিশপ্রাপ্তির তারিখ হইতে চৌদ্দ দিনের মধ্যে যানবাহনের মালিককে প্রস্তাবিত পরিবর্তন অনুমোদন করা বা না করিবার বিষয় (প্রাপ্তি স্বীকারযোগ্য ডাকযোগে রেজিস্ট্রিকৃত চিঠি দ্বারা) অবগত করিবে।

() উপধারা () যাহাই বিহিত থাকুক না কেন, কর্তৃপক্ষ সরকারী গেজেটে বিজ্ঞপ্তি প্রচার করিয়া, বিজ্ঞপ্তিতে নির্ধারিত শর্তাবলী সাপেক্ষে, একই বৈশিষ্ট্য সম্পন্ন একাধিক যানবাহনের মালিককে তাহার অনুরূপ কোন যানবাহনের এইরূপ পরিবর্তনের ক্ষমতাদান করিতে পারিবেন যাহাতে মালিক রেজিস্ট্রেশন কর্তৃপক্ষের অনুমোদন ব্যতীতই উক্ত যানবাহনে একই বৈশিষ্ট্য সম্পন্ন ইঞ্জিন প্রতিস্থাপন করিতে পারে।

() যেক্ষেত্রে রেজিস্ট্রিকারী কর্তৃপক্ষের অনুমোদনক্রমে মোটরযানের কোন পরিবর্তন করা হইয়াছে, অথবা () উপধারা অনুসারে উক্তরূপ অনুমোদন ব্যতীতই ইঞ্জিন নম্বর পরিবর্তন করা হইয়াছে, সেই ক্ষেত্রে মোটরযানের মালিক অনুরূপ পরিবর্তন সাধনের তারিখ হইতে চৌদ্দ দিনের মধ্যে সে যে এলাকায় বসবাস করে সেখানকার এখতিয়ার সম্পন্ন রেজিস্ট্রিকারী কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি জানাইবে এবং পরিবর্তনের বিবরণ লিপিবদ্ধ করিবার উদ্দেশ্যে নির্ধারিত ফসীহ রেজিস্ট্রেশন সার্টিফিকেট সেই কর্তৃপক্ষের নিকট প্রেরণ করিবে।

() আদি রেজিস্ট্রিকারক কর্তৃপক্ষ ভিন্ন অপর কোন কর্তৃপক্ষ যদি উক্ত বিবরণ লিপিবদ্ধ করে তবে সে উক্ত লিপিবদ্ধকরণের বিস্তারিত বিবরণ আদি রেজিস্ট্রিকারক কর্তৃপক্ষের নিকট এবং সর্বশেষ যে কর্তৃপক্ষ যোগ্যতার সার্টিফিকেট প্রদান বা নবায়ন করিয়াছে তাহার নিকট প্রেরণ করিবে।

ধারা৪৩। সাময়িকভাবে রেজিস্ট্রেশন বাতিল:

() যদি কোন রেজিস্ট্রিকারী কর্তৃপক্ষ বা নির্ধারিত অন্য কোন কর্তৃপক্ষের এইরূপ বিশ্বাস করিবার কারণ থাকে যে উহার এখতিয়ারাধীন এলাকায় কোন মোটরযান

() এমন অবস্থায় আছে যে উহা সর্বসাধারণের ব্যবহার্য স্থানে ব্যবহৃত হইলে সর্বসাধারণের বিপদ ঘটিতে পারে অথবা উহা ষষ্ঠ অধ্যায়ের বা তদধীনে প্রণীত প্রবিধানে শর্তাবলী পূরণ করে না, অথবা

 () ভাড়া খাটাইবার জন্য বৈধ পারমিট ব্যতীতই উহা ভাড়া খাটান হইতেছে অথবা বৈধ যোগ্যতার সার্টিফিকেট ব্যতীতই উহা ব্যবহার করা হইয়াছে বা হইতেছে;

তবে রেজিস্ট্রিকারী কর্তৃপক্ষ মালিককে তাহার বক্তব্য পেশ করিবার সুযোগদানের পর (রেজিস্ট্রেশন সার্টিফিকেটে উল্লিখিত ঠিকানার প্রাপ্তি স্বীকারযোগ্য রেজিস্ট্রি ডাকে মালিকের নিকট নোটিশ পাঠাইয়া) কারণ লিপিবদ্ধ করিয়া নিম্নরূপ শর্তে কোন মোটর-যানের রেজিস্ট্রেশন সার্টিফিকেট সাময়িকভাবে বাতিল করিতে পারেন

(এক) যেক্ষেত্রে () অনুচ্ছেদ প্রযোজ্য, সেক্ষেত্রে কর্তৃপক্ষের সন্তুষ্টি অনুযায়ী ত্রুটি মেরামত না করা পর্যন্ত; এবং

(দুই) যেক্ষেত্রে () অনুচ্ছেদ প্রযোজ্য, সেইক্ষেত্রে অনধিক ছয় মাসকালের জন্য  

() রেজিস্ট্রিকারী কর্তৃপক্ষ ভিন্ন অপর কোন কর্তৃপক্ষ () উপধারা অনুসারে সাময়িকভাবে রেজিস্ট্রেশন বাতিল করিবার সময় সংশ্লিষ্ট মোটরযানটি সংশ্লিষ্ট সময়ে যে রেজিস্ট্রিকারী কর্তৃপক্ষের এখতিয়ারাধীন, সেই কর্তৃপক্ষকে লিখিতভাবে সাময়িক বাতিলকরণের বিষয় জানাইবে;

() যেক্ষেত্রে মোটর-যানের রেজিস্ট্রেশন একনাগাড়ে কমপক্ষে এক মাসের জন্য সাময়িক বাতিল করা হয় সেইক্ষেত্রে মোটরযানটির রেজিস্ট্রেশন সাময়িকভাবে বাতিলের সময় যে রেজিস্ট্রিকারী কর্তৃপক্ষের এখতিয়ারাধীন ছিল, সেই কর্তৃপক্ষ যদি আদি রেজিস্ট্রিকারী কর্তৃপক্ষ না হয়, তবে রেজিস্ট্রেশন সাময়িকভাবে বাতিলের বিষয়টি আদি রেজিস্ট্রিকারী কর্তৃপক্ষকে জানাইবে; এবং যেইক্ষেত্রে সাময়িক বাতিলকরণ অব্যাহতভাবে কমপক্ষে ছয় মাস বলবৎ থাকে, সেক্ষেত্রে রেজিস্ট্রেশন সাময়িক বাতিলের সময় মোটরযানটি যে রেজিস্ট্রেশন কর্তৃপক্ষের এখতিয়ারাধীন ছিল সে যদি আদি রেজিস্ট্রিকারী কর্তৃপক্ষ হয়, তবে সে রেজিস্ট্রেশন বাতিল করিতে পারিবে, আর যদি সে আদি রেজিস্ট্রিকারী কর্তৃপক্ষ না হয়, তবে যে কর্তৃপক্ষ উহা বাতিল করিতে পারিবে, অবিলম্বে রেজিস্ট্রেশন সার্টিফিকেট তাহার নিকট পাঠাইয়া দিবে।

রেজিস্ট্রিকারী কর্তৃপক্ষ বা নির্ধারিত অন্য যে কর্তৃপক্ষ রেজিষ্ট্রেশন সার্টিফিকেট এই ধারা অনুসারে সাময়িকভাবে বাতিল করিয়াছে, সেই কর্তৃপক্ষ চাহিবামাত্র রেজিস্ট্রেশন সার্টিফিকেট এবং যানবাহনটি সর্বসাধারণের ব্যবহার স্থানে ব্যবহার করিবার ক্ষমতা সম্বলিত কোন টোকেন বা কার্ড থাকিলে যানবাহনের মালিক তাহা সমর্পণ করিবে।

() রেজিস্ট্রেশন সাময়িকভাবে বাতিলের আদেশ প্রত্যাহৃত হইবার পর সমর্পিত রেজিস্ট্রেশন সার্টিফিকেট এবং টোকেন বা কার্ড মালিককে ফেরত দেওয়া হইবে তৎপূর্বে নহে।

ধারা৪৪। রেজিস্ট্রেশন বাতিলকরণ:

() যদি কোন মোটরযান ধ্বংস হইয়া যায়, অথবা চিরতরে ব্যবহারের অযোগ্য হইয়া পড়ে, তবে উহার মালিক চৌদ্দ দিনের মধ্যে অথবা যথাসম্ভব শীঘ্র যে রেজিস্ট্রিকারী কর্তৃপক্ষের এখতিয়ারাধীন এলাকায় সে বসবাস করে সেই কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি জানাইবে এবং যানবাহনটির রেজিস্ট্রেশন সার্টিফিকেট তৎসহ যানবাহনটি সর্বসাধারণের ব্যবহার্য স্থানে ব্যবহারের কর্তৃত্ব সম্বলিত কোন টোকেন বা কার্ড প্রদত্ত হইয়া থাকিলে তাহা ফেরত পাঠাইয়া দিবে এবং একই সঙ্গে রিপোর্টের একটি অনুলিপি গাড়িটির ব্যবহারযোগ্যতার সার্টিফিকেট প্রদানকারী বা সর্বশেষ নবায়নকারী কর্তৃপক্ষের নিকট পাঠাইবে।

() উক্ত রেজিস্ট্রিকারী কর্তৃপক্ষ যদি রেজিস্ট্রিকারী কর্তৃপক্ষ হয়, তবে সে উক্ত রেজিস্ট্রেশন এবং রেজিস্ট্রেশন সার্টিফিকেট বাতিল করিবে, আর যদি তাহা না হয়, তবে রিপোর্টসহ রেজিস্ট্রেশন সার্টিফিকেট আদি রেজিস্ট্রিকারী কর্তৃপক্ষের নিকট পাঠাইয়া দিবে এবং সেই কর্তৃপক্ষ রেজিস্ট্রেশন রেজিস্ট্রেশন সার্টিফিকেট বাতিল করিবে।

() কোন রেজিস্ট্রিকারী কর্তৃপক্ষ উহার এখতিয়ারাধীন এলাকায় অবস্থিত কোন মোটরযান কর্তৃপক্ষের আদেশবলে নিযুক্ত কোন কর্তৃপক্ষের দ্বারা পরীক্ষা করিবার আদেশ দিতে পারিবে এবং অনুরূপ পরীক্ষার পরও উহার মালিককে (রেজিস্ট্রেশন সার্টিফিকেটে উল্লিখিত ঠিকানায় প্রাপ্তিস্বীকারযোগ্য রেজিস্ট্রি ডাকে পত্র দ্বারা) তাহার বক্তব্য পেশ করিবার সুযোগদানের পর কর্তৃপক্ষ যদি এই মর্মে সন্তুষ্ট হয় যে, যানবাহনটির অবস্থা এমন যে উহা ব্যবহারের অযোগ্য হইয়া পড়িয়াছে, অথবা সর্বসাধারণের ব্যবহার্য স্থানে উহা ব্যবহৃত হইলে জনসাধারণের পক্ষে তাহা বিপজ্জনক হইবে এবং উহা যুক্তিসঙ্গতরূপে মেরামত করিবারও যোগ্য নহে, তবে কর্তৃপক্ষ সেই যানবাহনটির রেজিস্ট্রেশন বাতিল করিতে পারিবে

() কোন রেজিস্ট্রিকারী কর্তৃপক্ষ যদি এই মর্মে সন্তুষ্ট হয় যে, কোন মোটরযান চিরতরে বাংলাদেশের বাহিরে অপসৃত হইয়াছে তবে রেজিস্ট্রিকারী কর্তৃপক্ষ সেই যানের রেজিস্ট্রেশন অবশ্যই বাতিল করিবে।

() কোন রেজিস্ট্রিকারী কর্তৃপক্ষ ৪৩ ধারা বা এই ধারা অনুসারে কোন মোটরযানের রেজিস্ট্রেশন বাতিল করিলে যানের মালিককে লিখিতভাবে তাহা জানাইবে এবং যানের মালিক তৎক্ষণাৎ যানের রেজিস্ট্রেশন সার্টিফিকেট এবং সর্বসাধারণের ব্যবহার্য স্থানে যানটি চালাইবার কর্তৃত্ব সম্বলিত টোকেন বা কার্ড সেই কর্তৃপক্ষের নিকট সমর্পণ করিবে।

() কোন রেজিস্ট্রিকারী কর্তৃপক্ষ এই ধারা অনুসারে কোন রেজিস্ট্রেশন বাতিল করিলে সেই কর্তৃপক্ষ যদি আদি রেজিস্ট্রিকারী কর্তৃপক্ষ হয় তবে সেই রেজিস্ট্রেশন সার্টিফিকেট এবং খাতাপত্রে উক্ত যান সম্পর্কে যাহা কিছু লিপিবন্ধ আছে সমস্তই বাতিল করিবে, এবং যদি আদি রেজিস্ট্রিকারী কর্তৃপক্ষ না হয় তবে রেজিস্ট্রেশন সার্টিফিকেট সেই কর্তৃপক্ষের নিকট পাঠাইয়া দিবে এবং সেই কর্তৃপক্ষ উক্ত সার্টিফিকেট এবং খাতাপত্রে উক্ত যানবাহন সম্পর্কে লিপিবদ্ধ সবকিছু বাতিল করিবে।

() এই ধারায় এবং ৩৯, ৪০ ৪৩ ধারায় ব্যবহৃতআদি রেজিস্ট্রিকারী কর্তৃপক্ষকথাগুলির অর্থ সেই রেজিস্ট্রিকারী কর্তৃপক্ষ যাহার খাতাপত্রে সংশ্লিষ্টমানের রেজিস্ট্রেশন লিপিবদ্ধ করা হইয়াছে।

ধারা৪৫। আপীল:

() কোন মোটরযানের মালিক ৩৮ ধারা অনুসারে মোটরযান রেজিস্ট্রি করিতে অস্বীকৃতি জানাইয়া প্রদত্ত আদেশ, অথবা ৪৭ ধারার () উপধারা অনুসারে যোগ্যতার সার্টিফিকেট দিতে অস্বীকৃতি জানাইয়া প্রদত্ত আদেশ, অথবা ৪৩ বা ৪৪ ধারা অনুসারে রেজিস্ট্রেশন সাময়িকভাবে বাতিল বা বাতিল করিয়া প্রদত্ত আদেশ, অথবা ৪৭ ধারার () উপধারা অনুসারে প্রদত্ত আদেশ, অথবা ৪৭ ধারার () উপধারা অনুসারে প্রদত্ত বাতিলের আদেশ দ্বারা ক্ষুব্ধ হইলে উক্তরূপ কোন আদেশের নোটিশপ্রাপ্ত হইবার তারিখ হইতে ত্রিশ দিনের মধ্যে নির্ধারিত কর্তৃপক্ষের নিকট সেই আদেশের বিরুদ্ধে আপীল করিতে পারিবে।

() আপীল কর্তৃপক্ষ আদি রেজিস্ট্রিকারী কর্তৃপক্ষকে আপীল সম্পর্কে নোটিশ দিবে এবং আদি কর্তৃপক্ষ আপীলকারীকে ব্যক্তিগতভাবে বা উকিলের দ্বারা বক্তব্য পেশ করিবার সুযোগদানের পর আপীল সম্পর্কে যথোপযুক্ত আদেশ দান করিবে।

তবে শর্ত এই যে, আপীল কর্তৃপক্ষ অন্যবিধ কোন নির্দেশ না দিলে আপীল নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত আদি কর্তৃপক্ষের আদেশ বহাল থাকিবে  

ধারা৪৬। পরিবহনযান রেজিস্ট্রিকরণের ক্ষেত্রে বিশেষ শর্তাবলী:

() মোটরক্যাব ভিন্ন অন্য কোন প্রকারের পরিবহনযানের চাকার সহিত সংযুক্ত টায়ারের সংখ্যা, প্রকৃতি আকৃতি উহার নির্মাণের স্থান মডেল এবং সংশ্লিষ্ট অন্যান্য বিষয় বিবেচনা করিয়া কর্তৃপক্ষ সরকারী গেজেটে বিজ্ঞপ্তি প্রচারের মাধ্যমে প্রত্যেক নির্মিত মডেলের পরিবহনযানের বোঝাই অবস্থায় নিরাপদ সর্বোচ্চ ওজন এবং প্রত্যেক পরিবহনযানের এক্সেলের নিরাপদ সর্বোচ্চ ওজন নির্ধারণ করিয়া দিতে পারিবেন।

() রেজিস্ট্রিকারী কর্তৃপক্ষ কোন পরিবহনযান রেজিস্ট্রি করিবার সময় রেজিস্ট্রিকরণসংক্রান্ত খাতাপত্রে যানবাহনটির রেজিস্ট্রেশন সার্টিফিকেটে নিম্নলিখিত বিবরণগুলি লিপিবদ্ধ করিবে। যথা:

() বোঝাইহীন অবস্থায় যানবাহনের ওজন;

() প্রত্যেক চাকার সহিত সংযুক্ত টায়ারের সংখ্যা প্রকৃত আকৃতি;

() যানবাহনটির বোঝাই অবস্থায় রেজিস্ট্রিকৃত ওজন এবং উহার সকল এক্সেলের রেজিস্ট্রিকৃত ওজন; এবং

() যানবাহনটি যদি কেবলমাত্র যাত্রী বহনের জন্য অথবা মাল যাত্রী বহনের জন্য ব্যবহৃত হয় বা ব্যবহারের উপযোগী করা হয়, তবে যতজন যাত্রীর স্থান সংকুলান করা হইয়াছে, তাহার সংখ্যা;

এবং যানবাহনটির মালিক রেজিস্ট্রেশনসংক্রান্ত উপরোক্ত বিবরণসমূহ মালিকের রেজিস্ট্রিকৃত ঠিকানা নির্ধারিত পদ্ধতিতে যানবাহনের গায়ে প্রদর্শনের ব্যবস্থা করিবে।

() উক্তরূপ কোন যানবাহনের রেজিস্ট্রেশন সার্টিফিকেটে যানবাহনের বোঝাই অবস্থায় এমন ওজন বা উহার কোন এক্সেলের রেজিস্ট্রি লিপিবদ্ধ করা হইবে না, যাহা () উপধারা অনুসারে প্রচারিত বিজ্ঞপ্তিতে উল্লিখিত ওজন অপেক্ষা ভিন্নতর, এবং যানবাহনের নির্মিত মডেলসংক্রান্ত এবং চাকার সহিত সংযুক্ত টায়ারের সংখ্যা, প্রকৃতি আকৃতিসংক্রান্ত কোন বিষয় লিপিবদ্ধ করা হইবে না:

তবে শর্ত এই যে, যেক্ষেত্রে কর্তৃপক্ষের নিকট প্রতীয়মান হইবে যে, কোন স্থান বিশেষে, কোন বিশেষ প্রকারের যানবাহনের ক্ষেত্রে () উপধারায় উল্লিখিত ওজন অপেক্ষা ভারী হালকা ওজন অনুমোদন করা যাইতে পারে, সেইক্ষেত্রে কর্তৃপক্ষ সরকারী গেজেটে বিজ্ঞপ্তি প্রচারের মাধ্যমে প্রদত্ত আদেশক্রমে এইরূপ নির্দেশ দিতে পারিবেন যে, এই উপধারার বিধানসমূহ উক্ত আদেশে উল্লিখিত সংশোধনসাপেক্ষে প্রযোজ্য হইবে।

() যখন কোন যানের টায়ারের নম্বর প্রকৃতি বা আকৃতির পরিবর্তনসহ যানবাহনটির কোনরূপ পরিবর্তনের কারণে যানবাহন বোঝাই অবস্থায় রেজিস্ট্রিকৃত ওজনের অথবা উহার এক্সেলগুলির কোন একটিরও রেজিস্ট্রিকৃত ওজনের আর () উপধারার বিধানের সহিত মিল থাকে না, তখন ৪২ ধারার বিধানসমূহ প্রযোজ্য হইবে এবং রেজিস্ট্রিকারী কর্তৃপক্ষ সেই যানবাহনের রেজিস্ট্রেশন সার্টিফিকেটে উপরোক্ত উপধারার সহিত মিল আছে এইরূপ সংশোধিতরূপে যানবাহনটির বোঝাই অবস্থার ওজন লিপিবদ্ধ করিবে।

() কোন যানবাহনের রেজিস্ট্রেশন সার্টিফিকেটে লিপিবদ্ধ উহার বোঝাই অবস্থায় রেজিস্ট্রিকৃত ওজন যাহাতে () উপধারা অনুসারে সংশোধন করা যায়, সেইজন্য রেজিস্ট্রিকারী কর্তৃপক্ষ সেই যানবাহনের মালিকের নির্ধারিত পদ্ধতিতে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে রেজিস্ট্রেশন সার্টিফিকেট দাখিল করিবার নির্দেশ দিতে পারিবে

() উপধারা () অনুসারে বিজ্ঞপ্তি প্রচারিত না হওয়া পর্যন্ত কোন পরিবহনযানের বোঝাই অবস্থায় সর্বোচ্চ ওজন এবং উহার যেকোন এক্সেলের সর্বোচ্চ নিরাপদ ওজন সপ্তম তফসিল অনুসারে নির্ণয় করা যাইতে পারে।

৪৭। মোটরযানের উপযোগিতার সার্টিফিকেট:

() ৪৮ ধারার বিধানসাপেক্ষে নির্দিষ্ট মোটরযানসমূহ ব্যতীত অন্য কোন মোটরযান ৩২ ধারার উদ্দেশ্যে আইনসম্মতরূপে রেজিস্ট্রিকৃত বলিয়া বিবেচিত হইবে না, যদি না সেই যানবাহনে মোটরযানসমূহের ইন্সপেক্টর অথবা নির্ধারিত অন্য কর্তৃপক্ষ কর্তৃকফরমে প্রদত্ত এই মর্মে একটি সার্টিফিকেট থাকে যে, সংশ্লিষ্ট সময়ে সেই মোটরযানটির ষষ্ঠ অনুচ্ছেদ তদধীনে প্রণীত বিধিমালা সকল শর্ত পূরণ করে; যেক্ষেত্রে মোটরযানসমূহের ইন্সপেক্টর বা নির্ধারিত  অন্য কর্তৃপক্ষ উক্তরূপ সার্টিফিকেট দিতে অস্বীকার করে, সেইক্ষেত্রে কর্তৃপক্ষ মোটরযানের মালিককে অনুরূপ অস্বীকৃতির কারণ লিখিতভাবে জানাইবে ।

() কর্তৃপক্ষ কর্তৃক প্রণীত প্রবিধান সাপেক্ষে সরকারী গেজেটে কর্তৃপক্ষ কর্তৃক প্রচারিত বিজ্ঞপ্তি দ্বারা বিশেষভাবে ক্ষমতাপ্রাপ্ত কোন রেজিস্ট্রিকৃত মোটর গাড়ির কারখানা মোটরযানের উপযোগিতার সার্টিফিকেট নবায়ন করিতে পারিবে।

() উপধারা ()-এর বিধানাবলী সাপেক্ষে একটি উপযোগিতার সার্টিফিকেটএক বৎসর বলবৎ থাকিবে এবং সার্টিফিকেট প্রদানকারী কর্তৃপক্ষ তাহা সার্টিফিকেটে উল্লেখ করিবেন।

() মোটরযানসমূহের কোন ইন্সপেক্টর অথবা অন্য কোন কর্তৃপক্ষ যদি এই মর্মে সন্তুষ্ট হন যে, সংশ্লিষ্ট মোটরযানটি এই আইন তদনুসারে প্রণীত বিধিমালার শর্তাবলী আর পূর্ণ করে না, তবে সেই কর্তৃপক্ষ কারণ লিপিবদ্ধ যেকোন সময় উহার উপযোগিতার সার্টিফিকেট বাতিল করিতে পারিবে; এবং অনুরূপভাবে উপযোগিতার সার্টিফিকেট বাতিল বা উহার মেয়াদ উত্তীর্ণ হইলে সংশ্লিষ্ট যানের রেজিস্ট্রেশন সার্টিফিকেট এবং পঞ্চম অধ্যায় অনুসারে মঞ্জুরকৃত উক্ত যানবাহনের বিষয়ে অপর কোন পারমিট উক্ত যানের জন্য নূতন উপযোগিতার সার্টিফিকেট গ্রহণ না করা পর্যন্ত সাময়িকভাবে অকার্যকরী বলিয়া বিবেচিত হইবে এবং যানবাহনটির মালিক উক্ত যানবাহন সর্বসাধারণের ব্যবহা স্থানে উহা ব্যবহারের কর্তৃত্ব সম্বলিত কোন টোকেন বা কার্ড যে রেজিস্ট্রিকারী কর্তৃপক্ষের এখতিয়ারাধীন এলাকায় যে বসবাস করে তাহার নিকট অর্পণ করিবে।

() নুতন উপযোগিতার সার্টিফিকেট সংগৃহীত হইবার পর () উপধারা অনুসারে অর্পিত টোকেন বা কার্ড মালিককে ফেরত দেওয়া হইবে।

() এই আইন অনুসারে প্রদত্ত একটি উপযোগিতার সার্টিফিকেট কার্যকরী থাকা অবস্থায় উহা প্রদানকারী কর্তৃপক্ষ অন্যরূপ নির্দেশ না দিয়া থাকিলে বাংলাদেশের সর্বত্র বৈধ গণ্য হইবে।

ধারা৪৮। প্রতিরক্ষা বিভাগীয় যানবাহনসমূহের রেজিস্ট্রেশন:

() যে মোটরযান প্রতিরক্ষা বাহিনীর সম্পত্তি অথবা সাময়িকভাবে প্রতিরক্ষা বাহিনীর পূর্ণ নিয়ন্ত্রণাধীন, চতুর্থ তফসিলের অংশে নির্দিষ্ট কর্তৃপক্ষ তাহা রেজিস্ট্রি করিতে পারিবেন, অনুরূপভাবে রেজিস্ট্রিকৃত কোন মোটরযান যতদিন পর্যন্ত প্রতিরক্ষা বাহিনীর সম্পত্তি বা পূর্ণ নিয়ন্ত্রণাধীন থাকিবে, ততদিন উহা এই আইন মোতাবেক ভিন্ন অন্য কোনরূপে রেজিস্ট্রি করিবার প্রয়োজন হইবে না ।

() এই ধারা অনুসারে রেজিস্ট্রিকৃত মোটরযান অন্যরূপ কোন নির্দেশ প্রদত্ত না হইলে () উপধারায় উল্লিখিত কর্তৃপক্ষের দ্বারাফরমে প্রদত্ত একটি যোগ্যতার সার্টিফিকেট বহন করিবে।

() কোন কর্তৃপক্ষ একটি মোটরযান রেজিস্ট্রি করিবার পর উহার জন্য চতুর্থ তফসিলের বিধান অনুসারে একটি রেজিস্ট্রেশন নম্বর বরাদ্দ করিবেন এবং এই মর্মে একটি সার্টিফিকেট প্রদান করিবেন যে, মোটরযানটি এই ধারা অনুসারে রেজিস্ট্রিকৃত হইয়াছে।

() কোন মোটরযান এই ধারা অনুসারে রেজিস্ট্রিকৃত হইবার পর যদি উহা প্রতিরক্ষা বাহিনীর সম্পত্তি বা পূর্ণ নিয়ন্ত্রণাধীন না থাকে, তখন উহার ক্ষেত্রে ৩৩ ধারার বিধানসমূহ প্রযোজ্য হইবে

() উপধারা () অনুসারে কোন মোটরযান রেজিস্ট্রিকারী কর্তৃপক্ষ যেকোন সময় সরকার চাহিলে মোটরযানটির সাধারণ প্রকৃতি, সাবেক আকৃতি এবং এক্সেল ওজন সম্পর্কিত যাবতীয় তথ্যাদি সরকারের নিকট পেশ করিবে।

ধারা৪৯। ট্রেলারের ক্ষেত্রে চতুর্থ অধ্যায়ের প্রয়োগ

() কোন ট্রেলারের জন্য বরাদ্দকৃত রেজিস্ট্রেশন নম্বর নির্ধারিত পদ্ধতি অনুসারে যানবাহনটির গায়ে প্রদর্শন করিতে হইবে।

() একটি বা একাধিক ট্রেলার সংযুক্ত মোটরযানের রেজিস্ট্রেশন নম্বর নির্ধারিত পদ্ধতি অনুসারে ট্রেলারের গায়ে বা একাধিক ট্রেলারের ক্ষেত্রে সর্বশেষ ট্রেলারের গায়ে প্রদর্শিত না হইলে কেহ সেই মোটরযান চালাইবে না।

 

 

ধারা৫০। প্রবিধান প্রণয়নের ক্ষমতা:

() এই অধ্যায়ের বিধানসমূহ বাস্তবায়িত করিবার উদ্দেশ্যে কর্তৃপক্ষ প্রবিধান প্রণয়ন করিতে পারেন।

() উপরোক্ত সাধারণ ক্ষমতাকে কোনভাবে ক্ষুণ্ণ না করিয়া অনুরূপ প্রবিধান নিম্নলিখিত বিষয়সমূহ সম্পর্কে বিধান সন্নিবেশ করা যাইতে পারে

() এই অধ্যায় অনুসারে দায়েরকৃত আপীল পরিচালনা শুনানি, অনুরূপ আপীলের দরুন দেয় ফী এবং সেই ফী ফেরত দেওয়া;

() রেজিস্ট্রিকারী নির্ধারিত অন্যান্য কর্তৃপক্ষ এবং রেজিস্ট্রিকারী কর্তৃপক্ষ সমূহের কাজে তদারককারী কর্তৃপক্ষের নিয়োগ, কর্তব্যকার্য এখতিয়ারভুক্ত এলাকা;

() রেজিস্ট্রেশন সার্টিফিকেট উপযোগিতার সার্টিফিকেট প্রদান এবং অনুরূপ কোন সার্টিফিকেট হারাইয়া গেলে, বিনষ্ট হইলে বা বিকৃত হইলে তদস্থলে দ্বিতীয়স্থ সার্টিফিকেট প্রদান;

() মোটরযানসমূহের অস্থায়ী রেজিস্ট্রিকরণ এবং অস্থায়ী রেজিষ্ট্রেশন সার্টিফিকেট রেজিস্ট্রেশন নম্বর প্রদান;

() রেজিস্ট্রেশন নম্বর এবং ৪৬ ধারার () উপধারায় উল্লিখিত বিবরণ নির্ধারিত অন্যান্য বিবরণসমূহ প্রদর্শন করিবার পদ্ধতি;

() রেজিস্ট্রেশন সার্টিফিকেট প্রদান উহাতে রদবদল করিবার জন্য, কিস্তিতে খরিদ বন্ধকীর চুক্তি সম্পর্কে রেজিস্ট্রেশন সার্টিফিকেট পৃষ্ঠলিখন করা বা তাহা বাতিল করিবার জন্য, উপযোগিতার সার্টিফিকেটের জন্য, রেজিস্ট্রেশন নম্বরের জন্য এবং মোটরযানসমূহ পরীক্ষা পরিদর্শন করিবার জন্য যে ফিস আদায় করা হইবে;

() এই অধ্যায় অনুসারে আদায়যোগ্য ফিস হইতে নির্ধারিত যেই সকল ব্যক্তিকে বা নির্ধারিত সেই সকল শ্রেণীর ব্যক্তিকে অব্যাহতি দেওয়া হইবে;

() প্রথম তফসিলে প্রদত্ত ফরমসমূহ বাদে এই অধ্যায়ের প্রয়োজনে যে সকল ফরম ব্যবহার করা হইবে;

() রেজিস্ট্রেশন সার্টিফিকেটের বিবরণ সম্পর্কে রেজিস্ট্রিকারী কর্তৃপক্ষদের মধ্যে পত্রালাপ এবং বাংলাদেশের বাহিরে রেজিস্ট্রিকৃত মোটর-যানসমূহের মালিকগণ কর্তৃক উক্ত মোটর-যানসমূহ সেইগুলির রেজিস্ট্রেশনের বিবরণ সম্পর্কে পত্রালাপ;

() কোন ভাড়া চুক্তির শর্তানুসারে মোটর-যানের দখল হস্তান্তরের সময় মোটর-যানের মালিক কর্তৃক রেজিস্ট্রিকারী কর্তৃপক্ষের নিকট যে সকল বিবরণ দাখিল করিতে হইবে;

() উপযোগিতার সার্টিফিকেটের নবায়নের আবেদন বিবেচনাসাপেক্ষে উক্ত সার্টিফিকেটের বৈধতার মেয়াদ বৃদ্ধি করা;

() বিক্রেতাদের দখলে মওজুন মোটরযানসমূহে এই অধ্যায়ের বিধানসমূহ হইতে অব্যাহতি দান এবং তদ্রপ অব্যাহতি দানের শর্তাবলী ফী:

() রোড রোলার, গ্রেডার এবং রাস্তা নির্মাণ, মেরামত পরিচ্ছন্ন করিবার উদ্দেশ্যেবিশেষভাবে নির্মিত অন্যান্য মোটর-যানসমূহকে এই অধ্যায়ের সকল বা যেকোন বিধান হইতে বা তদনুসারে প্রণীত প্রবিধান বিধান হইতে অব্যাহতি দান এবং অনুরূপ অব্যাহতি সম্পর্কিত শর্তাবলী; এবং পরিবহনযান ব্যতীত অনান্য শ্রেণীর মোটর-যানের ক্ষেত্রে যেই সকল শর্তাবলী সাপেক্ষে ৪৭ ধারার বিধান প্রযোজ্য হইবে; এবং

() অন্যান্য যেই সকল বিষয় নির্ধারিত হইবে বা হইতে পারে।

আরও দেখুনঃ

 

Exit mobile version