Site icon অটোমোটিভ গুরুকুল [ Automotive Gurukul ], GOLN

বিদ্যুতচালিত যানবাহন

বিদ্যুতচালিত যানবাহন

আজকে আমাদের আলোচনার বিষয়-বিদ্যুতচালিত যানবাহন

বিদ্যুতচালিত যানবাহন (Electric Driven Vehicle)

 বিদ্যুচ্চালিত যানবাহন

যে সকল যানবাহন রিচার্জেবল ব্যাটারি থেকে প্রাপ্ত বিদ্যুৎ শক্তিতে চলে সেগুলোকে বিদ্যুৎচালিত যানবাহন বলে । অর্থাৎ ব্যাটারি থেকে প্রাপ্ত বিদ্যুৎ ব্যবহার করে যে সকল যানবাহন চলে, সেগুলোকে বিদ্যুৎত্তালিত যানবাহন বলে । এ ক্ষেত্রে গাড়িতে রক্ষিত ব্যাটারি থেকে প্রাপ্ত বিদ্যুৎশক্তি বৈদ্যুতিক মোটরের মাধ্যমে যান্ত্রিক শক্তিতে রূপান্তর করে যানবাহনকে চালানো হয়। যখন মোটর ঘোরে- মোটর শ্যাফটে সংযুক্ত স্পোকেট চেইনের মাধ্যমে উক্ত ঘূর্ণন শক্তি চাকাকে ঘোরায়। ফলে যানবাহনটি চালিত হয়।

 বিদ্যুৎচালিত যানবাহনের বিভিন্ন অংশ :

বিদ্যুৎত্তালিত যানবাহনের বিভিন্ন অংশের নাম নিম্নে উল্লেখিত হলো

১। ব্যাটারি Inside an EV

২। ডিসি কন্ট্রোলার

৩। ডিসি মোটর

৪। পটেনশিয়াল মিটার

৫। এক্সিলারেটর

৬। ব্যাটারি চার্জার

 

 

 

বিদ্যুচ্চালিত যানবাহনের গঠন ও কার্যপ্রণাি আধুনিক গ্যাসোলিন ইঞ্জিনের পরিবর্তে ইলেকট্রিক্যাল যানবাহনের ব্যবহার দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। এ ক্ষেত্রে কেবল একটি ঘূর্ণায়মান মোটর থাকায় এবং খুবই স্বল্প সংখ্যক পার্টস নিয়ে গঠিত হওয়ায় এ যানবাহনের চাহিদা ব্যাপক থেকে ব্যাপকতর হচ্ছে। এটি মূলত স্টোরেজ ব্যাটারি প্যাক কন্ট্রোলার, ডিসি মোটর, পটেনশিয়াল মিটার, এক্সিলারেটর ইত্যাদি নিয়ে গঠিত।

রিচার্জেবল ব্যাটারি থেকে প্রাপ্ত বৈদ্যুতিক শক্তি প্রথমে কন্ট্রোলারে যায় এবং বৈদ্যুতিক মোটর উক্ত কন্ট্রোলার থেকে শক্তি নিয়ে চালিত হয়। বিদ্যুৎচালিত যানবাহন বিদ্যুৎ/কারেন্টের নীতিতে চলে। ইলেকট্রিক মটরে বিদ্যুৎ সরবরাহের জন্য রিচার্জেবল ব্যাটারি প্যাক ব্যবহার করা হয়।

মোটর ব্যাটারি থেকে প্রাপ্ত ক্ষমতা ব্যবহার করে ট্রান্সমিশন গিয়ারকে ঘুরায়। ট্রান্সমিশন গিয়ারের উক্ত ঘূর্ণন শক্তি তার সাথে সংযুক্ত চাকাতে প্রেরণ করে। ফলে চাকা ঘোরে এবং গাড়িও চলতে বাধ্য হয়।
যখন ড্রাইভার প্যাডেলে পা রাখেন তখন, পটেনশিয়াল মিটার প্রস্তুতিমূলক সিগনাল প্রাপ্ত হয়।

উক্ত সিগনাল অস্থায়ী কন্ট্রোলার বিদ্যুৎশক্তি সরবরাহ করে। নিরাপত্তার স্বার্থে দুটি কন্ট্রোলার থাকা ভালো। পটেনশিয়াল মিটার হতে কন্ট্রোলার কী পরিমাণ প্যাডেল চাপিত হয়েছে তা জানতে পারে এবং সেই অনুযায়ী শক্তি ব্যাটারি থেকে গ্রহণ করে মোটরে সরবরাহ করে।

মোটর কন্ট্রোলার থেকে প্রাপ্ত পাওয়ার ট্রান্সমিশনের ঘূর্ণনে ব্যবহার করে। অতঃপর ট্রান্সমিশন হুইলকে ঘূর্ণন গতি প্রদান করে। ফলে গাড়ি সামনে বা পেছনে চলতে সক্ষম হয়। যদি ড্রাইভার এক্সিলেটর প্যাডেল পূর্ণ চাপ দেয়, কন্ট্রোলার মোটরে ফুল ব্যাটারি ভোল্টেজ সরবরাহ করে।

আবার যদি ড্রাইভার প্যাডেল থেকে পা সরিয়ে নেন সে ক্ষেত্রে কন্ট্রোলার মোটরে শূন্য ভোল্টেজ সাপ্লাই দেয়। এ দুইয়ের মধ্যে যে কোনো যাত্রায় ভোল্টেজের সরবরাহ দিয়ে একজন ড্রাইভার ইচ্ছেমাফিক স্পিডে গাড়িকে চালনা করতে পারে।

সাধারণ ও বিদ্যুতচালিত যানবাহনের মধ্যে পার্থক্য :

 

 

 ব্যাটারি চার্জারের গঠন

বিদ্যুতচালিত যানবাহনে যে সকল রিচার্জেবল ব্যাটারি ব্যবহৃত হয় তাতে পুনঃপুনঃ চার্জ প্রদানে ব্যাটারি চার্জার প্রয়োজন হয়। নিম্নে ১২/৬ ভোল্ট ব্যাটারি চার্জার এর গঠন চিত্রসহ উল্লেখ করা হলো : ব্যাটারি চার্জার পার্টসসমূহ :

Battery charger

১। ট্রান্সফরমার

২। রেকটিফায়ার

৩। ফ্যান

৪। সার্কিট ব্রেকার

৫। নেগেটিভ ক্যাবল এসেম্বলি

৬। পজিটিভ ক্যাবল এসেম্বলি

৭। বেট সিলেকটর সুইচ

৮। এমিটার

৯। টাইমার

১০। ভোল্ট মিটার ইত্যাদি উপর্যুক্ত পার্টসগুলো নিয়ে ব্যাটারি চার্জারের ব্লক ডায়াগ্রাম নিচে দেখানো হলো :

 

প্রশ্নমালা- ২৮

অতি সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন :

১. বিদ্যুৎত্তালিত যানবাহন কী?

২. বিদ্যুৎত্তালিত যানবাহন কোন্ শক্তিতে চলে?

৩. বিদ্যুৎচালিত যানবাহনে শক্তির উৎস হিসেবে কী ব্যবহার করা হয়?

৪. ব্যাটারি চার্জার কী?

৫. রিচার্জেবল ব্যাটারি থেকে বিদ্যুৎ প্রথমে কোথায় যায়?

সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন :

১ বিদ্যুৎচালিত যানবাহন বলতে কী বুঝায়?

২ বিদ্যুৎচালিত যানবাহনের গঠন লেখ।

৩ ব্যাটারি চার্জারের গঠন লেখ।

৪. কী কী পার্টস নিয়ে ব্যাটারি চার্জার গঠিত হয়?

৫. সাধারণ ও বিদ্যুৎচালিত যানবাহনের মধ্যে পার্থক্য কী ?

রচনামূলক প্রশ্ন

১ বিদ্যুৎচালিত যানবাহন সম্পর্কে যা জানো লেখ।

২ বিদ্যুৎচালিত যানবাহনে শক্তির উৎস লেখ ।

৩. সাধারণ ও বিদ্যুৎচালিত যানবাহনের মধ্যে প্রভেদ দেখাও ।

8 ব্যাটারি চার্জার সম্পর্কে যা জানো লেখ।

৫ ব্যাটারি চার্জারের গঠন বর্ণনা কর।

আরও দেখুন :

Exit mobile version