Site icon অটোমোটিভ গুরুকুল [ Automotive Gurukul ], GOLN

নির্দেশিত কৌশল

নির্দেশিত কৌশল নিয়ে আজকের আলোচনা। এই পাঠটি “অটোমোবিল ইঞ্জিনিয়ারিং” বিষয়ের “গিয়ার বক্স বা ট্রান্সমিশন” বিভাগের একটি পাঠ।

মোটরযানের নির্দেশিত কৌশল

 

মোটরযানে সাধারণত চার ধরনের নির্দেশিত কৌশল দেখা যায়। যেমন : (১) অ্যামেটার- ডায়নামো বা অলটারনেটর চার্জ দেয় কিনা তা জানার জন্য, (২) ফুয়েল গেজ ট্যাঙ্কে কতটুকু তেল আছে তা জানার জন্য, (৩) অয়েল প্রেসার গেজ লুবরিকেটিং অয়েলের প্রেসার জানার জন্য এবং (৪) ইঞ্জিন তাপমাত্রা নির্দেশক অর্থাৎ ওয়াটার জ্যাকেটের পানির উষ্ণতা কত আছে তা জানার জন্য।

 

এছাড়া ড্যাশবোর্ডে আরও কয়েকটি নির্দেশক দেখতে পাওয়া যায়। যেমন :

(ক) স্পীডমিটার :

মোটরযানটি কত মাইল বেগে চলছে এর দ্বারা তা জানা যায়।

 

(খ) অডিওমিটার :

এর সাহায্যে একটি মোটরযান সর্বমোট কত মাইল চলে তার হিসাব রাখা যায়। এটিকে মাইলমিটারও বলে। স্পীডমিটারের ক্যাবল সংযোগ ট্রান্সমিটার মেইন শ্যাফটের সাথে অথবা সম্মুখের চাকার সাথে থাকে।

 

(গ) ইগনিশন সুইচ :

ব্যাটারীর সঙ্গে সংযুক্ত তারগুলির সংযোগ এবং বিচ্ছেদ এই সুইচের মাধ্যমে হয়। এই সুইচ অন করার সাথে সাথেই (কয়েকটি লাইন বাদে) সব লাইনে বিদ্যুৎ সরবরাহ হয়।

 

(ঘ) সেল্ফ স্টার্টার সুইচ :

এই সুইচ ইগনিশন সুইচের সাথেই যুক্ত থাকে এবং একই চাবি দ্বারা প্রথমে ইগনিশন সুইচ অন করতে হয় এবং চাবিটি আর একটু ঘুরালেই সেল্ফ স্টার্টার ঘুরে ইঞ্জিনকে চালু করে।

 

(ঙ) ইনডিকেটর সুইচ :

এই সুইচ অন করলে গাড়ী ডানে অথবা বামে যাবে তা নির্দেশ করে। ফলে ট্রাফিক পুলিশ এবং পথচারীরা বুঝতে পারে গাড়িটি কোন দিকে যাবে।

 

(চ) উইপার সুইচ:

এই সুইচ অন করার সাথে সাথে উইপার ব্লেন্ড সম্মুখের গ্লাসের উপর এপাশ ওপাশ করতে থাকে, ফলে গ্লাসের পানি পরিষ্কার হয়ে যায় এবং ড্রাইভারকে বৃষ্টির দিনে গাড়ী চালনা করতে সহায়তা করে থাকে।

 

 

ফুয়েল গেজ (Fuel gauge) :

চিত্র ৯.৭ (খ) দ্বারা ফুয়েল গেজের গঠন ও কার্যপ্রণালী বর্ণনা করা হয়েছে। এই গেজ একটি ফ্লোট, একটি পরিবর্তনশীল (variable) রোধ, একটি ট্যাঙ্ক ইউনিট, একটি ড্যাশ ইউনিট এবং একটি বিন্দু বা নিড্‌ল নিয়ে গঠিত। দুই ধরনের ফুয়েল গেজ দেখা যায়। যেমন (ক) ব্যালান্সিং কয়েল এবং (খ) থার্মোস্টেটিক। এখানে ব্যালান্সিং কয়েল ফুয়েল গেজের বর্ণনা দেওয়া হলো।

 

 

 

 

ইগনিশন সুইচ অন করার সাথে সাথে ব্যাটারী হতে বিদ্যুৎ ড্যাশ ইউনিট এবং ট্যাঙ্ক ইউনিটের মধ্য দিয়ে প্রবাহিত হয়ে বর্তনী পূর্ণ করে থাকে। ব্যাটারীর সাথে এই গেজ সিরিজে অবস্থান করে। ট্যাঙ্ক ইউনিট বর্তনীতে একটি ফ্লোট থাকে যা তেলের পরিমাণের উপর নির্ভর করে পরিবর্তনশীল রোধের উপর উঠানামা করে। ট্যাঙ্কে তেল কম থাকলে ফ্লোটটি ট্যাঙ্কের নীচের দিকে নেমে আসে এবং ট্যাঙ্কের ইউনিটে রোধ কমে যায়।

রোধ কমে যাওয়ার ফলে ড্যাশ ইউনিটের বাম দিকের কয়েলের ভিতর দিয়ে বেশী বিদ্যুৎ প্রবাহিত হতে থাকে। এর ফলে বাম দিকের আর্মেচারটি শক্তিশালী চুম্বকে পরিণত হয় এবং পয়েন্টারকে বাম দিকে টেনে নেয়। অর্থাৎ ফুয়েল গেজে কম ফুয়েল দেখায়। ফুয়েল গেজের কার্যক্রম ৯.৭ (খ) চিত্র দ্বারা দেখানো হয়েছে।

ট্যাঙ্কে যদি বেশী ফুয়েল থাকে তবে ফ্লোটটি উপর দিকে বেশী ভেসে উঠে। ফলে ট্যাঙ্ক ইউনিটটি বেশী রোধের ভিতর দিয়ে বর্তনী পূর্ণ করে। এতে ড্যাশ ইউনিটের ডান দিকের কয়েলটির ভিতর বেশী বিদ্যুৎ সরবরাহ হয় এবং শক্তিশালী চুম্বকে পরিণত হয়। অতঃপর আর্মেচার এবং বিন্দুটি ডান দিকে সরে যায় অর্থাৎ গেজের উপর বেশী তেল দেখায়। থার্মোস্টেটিক ফুয়েল গেজও প্রায় অনুরূপভাবেই কাজ করে থাকে।

 

আরও দেখুনঃ

 

Exit mobile version