আজকে আমাদের আলোচনার বিষয় ইঞ্জিন টিউনিং করার দক্ষতা অর্জন
ইঞ্জিন টিউনিং করার দক্ষতা অর্জন
ইঞ্জিন চালু করতে পারা
যে কোনো অ্যাডজাস্টমেন্টের আর ইঞ্জিনকে চালু করে তার কার্যকারী তাপমাত্রায় উন্নীত করতে হয় এজন্য নিম্নের পদ্ধতি অবলম্বন করা হয়-
চিত্র : লোড অবস্থায় ব্যাটারি টেস্টিং
ব্যাটারিরর কার্যকারিতা পরীক্ষা (Testing the Battery Performance) :
ব্যাটারির চার্জের পরিমাণ ও সেলের কন্ডিশন হাইড্রোমিটার দ্বারা পরীক্ষা করে কার্যকারিতা সম্পর্কে নিশ্চিত হতে হবে। ব্যতিক্রম পরিক্ষিত হলে ব্যাটারিকে আন্ডারলোড পরীক্ষা করতে হবে । লোড নিতে না পারলে বাতিল করে নতুন ব্যাটারির সংযোগ দিতে হবে।
ক্র্যাংকিং মোটরের ভোল্টেজ ড্রপের পরিমাণ টেস্টিং করে দেখা যেতে পারে । যদি এ ড্রপের পরিমাণ ১২ ভোল্ট সিস্টেমে ৯ ভোল্টের মধ্যে থাকে তাহলে অবশ্য গ্রহণযোগ্য।
এর চেয়ে বেশি ভোল্টেজ ড্রপ করলে কারণ অনুসন্ধানপূর্বক মেরামত করতে হবে। ক্র্যাংকিং মোটরে স্টার্টিং কারেন্ট গ্রহণের পরিমাণ মিটার দ্বারা মেপে দেখতে হবে । স্টার্টিংয়ের সময় কারেন্ট ১০/১৫ গুণ বেশি নেবে বা প্রস্তুতকারকগণের নির্ধারণ মোতাবেক নেৰে । এর বেশি কারেন্ট গ্রহণ করলে তা কারণ অনুসন্ধানপূর্বক মেরামত/অ্যাডজাস্ট করতে হবে।
চিত্র : বিভিন্ন পয়েন্টে ক্র্যাকিং মোটরের ভোল্টেজ ড্রপ পরিমাপ
ইঞ্জিনের আইডেল স্পিড সমন্বয় সম্পর্কে দক্ষতা অর্জন
ইঞ্জিন আইডেলিং সেটিং (Setting the engine idling)
ইঞ্জিনের প্রাইমারি সার্কিট, আর্থিং ও এক নং সিলিন্ডারের সাথে সংযোগ দিয়ে টাইমিং/ফ্লাসিং গান যুক্ত করতে হবে । স্টোবোক্কাপিক টাইমিং লাইট যুক্ত করতে হবে। স্পার্ক প্লাগ কিনার ও টেস্টারের সাহায্যে প্রত্যেকটি স্পার্ক প্লাগ পরিষ্কার ও গ্যাপ অ্যাডজাস্ট করে পুনঃইঞ্জিনে স্থাপন করতে হবে। ইঞ্জিনকে স্টার্ট দিয়ে কার্যকারী তাপমাত্রায় আসার সুযোগ দিতে হবে । ইঞ্জিনের প্রাইমারি সার্কিট ও আর্থিং-এর সঙ্গে আরপিএম মিটারের সংযোগ দিতে হবে ।
যদি এক্ষেত্রে আইডেলিং স্পিডের পরিমাণ কমে/বেড়ে যায়, তাহালে কারবুরেটর পুনঃ টিউনিং করে এটি সেট করতে হবে। উপরের চিত্রের ন্যায় অ্যাডভান্সের ডিগ্রির পরিমাণ নিরীক্ষণ করতে হবে। প্রস্তুতকারকগণের বিনির্দেশ মোতাবেক অবস্থানে যদি অ্যাডডান্স টাইমিং না দেখায়, তাহলে ডিস্ট্রিবিউটর সামান্য ভাবে আবর্তন করে টাইমিং মার্ক অ্যালাইন করতে হবে।
ইঞ্জিনের কারবুরেটরের আইডেলিং স্ক্রু ও মিকচার ক্রু অ্যাডজাস্ট করে ইঞ্জিনকে আইডেলিং স্পিডে অর্থাৎ ৬০০-৮০০ আরপিএম-এ রাখতে হবে।
ইঞ্জিনের অ্যাগজস্ট গ্যাসের পরিমাণ ও রং সম্বন্ধে দক্ষতা অর্জন ।
অ্যাগজস্ট গ্যাসের পরিমাণ ও রং দেখে ত্রুটি নির্ণয় (Diagnosis the troubles from exhaust colour)
-যদি অ্যাগজস্টের রং/বর্ণ নীলাভ পরিলক্ষিত হয়, তাহলে মনে করতে হবে কম্বাশন চেম্বারে লুব-অয়েল পোড়া যাচ্ছে । কম্বাশন চেম্বারে লুব অয়েল প্রবেশের কারণ শনাক্তপূর্বক একে ত্রুটিমুক্ত করতে হবে।
-যদি অ্যাগজস্ট গ্র্যাসের রং কালো দেখায়, তাহলে মনে করতে হবে মাত্রাতিরিক্ত ও অপ্রয়োজনে রীচ মিকচার তৈরি ও সরবরাহজনিত কারণে তা হতে পারে বা অসমাপ্ত দহন ক্রিয়াজনিত কারণে কালো এগজস্ট গ্যাস বের হতে পারে।
-যদি অ্যাগজস্ট গ্যাসের রং সাদা দেখা যায় বা এগজস্ট এ্যাসের সাথে বাম্প দেখা যায়, তাহলে সহজে অনুমেয় যে, কম্বাশন চেম্বারে ওয়াটার জ্যাকেট হতে কুলিং ওয়াটার প্রবেশ করছে। হেড গ্যাসকেট নষ্ট হয়ে গেলে সাধারণত এ জাতীয় সমস্যা দেখা দেয়। সুতরাং ত্রুটি নির্ণয় করে, তা সমাধান করলে, এ সমস্যার সমাধান সম্ভব ।
-প্রজ্বলন ভালো হলে, সাধারণত এগজস্টের কোনো রং পরিলক্ষিত হয় না। এমতাবস্থায় ঠাণ্ডা অ্যাগজস্ট পাইপ হতে ফোঁটা ফোঁটা পানি পড়বে আর উত্তপ্ত এগজস্ট স্টিম আকারে এগজস্ট পাইপ দিয়ে বের হবে । স্টিমের ন্যায় অ্যাগজস্ট গ্যাস সর্বদায় ইঞ্জিনের উত্তম দহন প্রক্রিয়াকেই শনাক্ত করে ।
আরও দেখুন :