গ্যারেজ এবং সার্ভিস স্টেশন – নিয়ে আজকের আলোচনা। এই পাঠটি অটোমোবাইল ইঞ্জিনিয়ারিং এর একটি গুরুত্বপূর্ণ পাঠ।
গ্যারেজ এবং সার্ভিস স্টেশন
গ্যারেজ বলতে আমরা সাধারণত বুঝি যেখানে সকল প্রকার মোটরযান মেরামত, পরিবর্তন এবং রক্ষণাবেক্ষণের কার্যাদি সম্পন্ন করা হয়। যেমন : (ক) টায়ার টিউব মেরামত, (খ) বড়ি | রিভিটিংকরণ, ডেনটিং এবং রংকরণ, (গ) ব্রেক সার্ভিসিং, (ঘ) ইঞ্জিন ওভারহলিং, (ঙ) ইঞ্জিন টিউনিং, (চ) ক্লাচ সমন্বয়করণ, (ছ) ক্লাচ লাইনিং এবং ব্রেক লাইনিং পরিবর্তনকরণ বা (জ) প্রেসার প্লেট টারনিং বা প্রয়োজনে শুধু ঘষেমেজে হাল্কা দাগ ও ময়লা তুলে ফেলা, (ঝ) এয়ার ব্লিডিংকরণ (Air bleeding), (ঞ) কারবুরেটর টিউনিং এবং সমন্বয়করণ অথবা কিটস পরিবর্তনকরণ, (ট) জ্বালানি লাইন পরীক্ষাকরণ,
(ঠ) ব্যাটারীর ইলেকট্রোলাইট পরীক্ষাকরণ, সেল পরীক্ষাকরণ, পোস্ট পরীক্ষাকরণ ইত্যাদি, (ড) হর্ণ, লাইট, ইণ্ডিকেটর, রীলে, ইগনিশন সিস্টেম, সি. বি. পয়েন্ট, কণ্ডেন্সার, স্পার্ক প্লাগ, হাইটেনশন লীড ইত্যাদি পরীক্ষাকরণ, (ঢ) সেলফ স্টার্টার, ডায়নামো বা অলটারনেটর পরীক্ষাকরণ, প্রয়োজনে পরিবর্তন বা মেরামতকরণ, (ণ) ইলেকট্রিক্যাল লাইন চেকিং (ত) প্যানেল বোর্ড পরীক্ষাকরণ, (থ) গিয়ার বক্স, ডিফারেনশিয়াল, স্টিয়ারিং গিয়ার বক্স পরীক্ষাকরণ এবং তেল পরিবর্তন ও সমন্বয়করণ। (দ) ফ্র্যাঙ্কশ্যাফট,
ক্যামশ্যাফট, পিস্টন, কানেকটিং রড, ভাল্ভ, ভাল্ভ সিট, গাজন পিন, এ. সি. পাম্প, লুব অয়েল পাম্প, ওয়াটার পাম্প, স্লিপ জয়েন্ট, সিলিণ্ডার হেড, সিলিণ্ডার ব্লক ইত্যাদি পরীক্ষাকরণ, মেরামত অথবা বদলীকরণ। (ধ) স্টিয়ারিং ব্যবস্থা, ট্রান্সমিশন ব্যবস্থা, চার্জিং ব্যবস্থা, ব্রেক ব্যবস্থা, লাইটিং ব্যবস্থা, হর্ণ ব্যবস্থা, জ্বালানি পদ্ধতি, শীতলীকরণ পদ্ধতি, পিচ্ছিলকরণ পদ্ধতি, স্টাটিং পদ্ধতি, ইগনিশন পদ্ধতি পরীক্ষাকরণ, মেরামত অথবা বদলীকরণ ইত্যাদি গ্যারেজে সুসম্পন্ন করা হয়।
সার্ভিস স্টেশন বলতে আমরা সাধারণত সেই স্থানই বুঝি যেখানে মোটরযানে পাম্পের সাহায্যে ডিজেল ও পেট্রোল সরবরাহ করা হয়। সেখানে মোটরযানের জন্য মোবিল বিভিন্ন গ্রেডের (SAE-30, SAE-40), গিয়ার অয়েল (SAE-90, SAE-100), ফ্লাশিং অয়েল, ব্রেক অয়েল, গ্রীজ, কেরোসিন, পাতনকৃত পানি (Distilled water) ইত্যাদি পাওয়া যায়।
তাছাড়া গাড়ীর চাকায় হাওয়া দেওয়ার ব্যবস্থাও থাকে। গাড়ী ধোয়া, মোছা, লুব অয়েল, গিয়ার অয়েল, ফুয়েল ফিলটার, মোবিল ফিলটার ইত্যাদি বদলী করে পুনরায় সংযোজন করা হয়। সার্ভিস স্টেশন আকারে বড় হলে সেখানে মোটরযান বিভিন্নভাবে মেরামতের ব্যবস্থা থাকে।
আমাদের দেশে সাধারণত সার্ভিস স্টেশনে মোটরযান ধৌতকরণ, অয়েলিং, গ্রীজিং, চেকিং, ইঞ্জিন অয়েল ফ্লাশিং, রেডিয়েটর ফ্লাশিং এবং মোটরযানের ডিজেল, পেট্রোল, মোবিল, গ্রীজ, ব্রেক অয়েল, পাতনকৃত পানি, ফ্লাশিং অয়েল ইত্যাদি রক্ষণাবেক্ষণ, মেরামত এবং সরবরাহ করা হয়ে থাকে।
আবার কোন কোন সার্ভিস স্টেশন শুধু ডিজেল, পেট্রোল, মোবিল, গ্রীজ এবং পাতনকৃত পানি সরবরাহ করে থাকে। এইসব সার্ভিস স্টেশনকে ফিলিং স্টেশনও বলা হয়। বড় বড় সার্ভিস স্টেশনে ধৌতকরণ, জ্বালানি সরবরাহ, রক্ষণাবেক্ষণ, মেরামত, বদলীকরণ, সংযোজন ইত্যাদি সম্পাদনের ব্যবস্থা থাকে।
কোন কোন গ্যারেজ ও সার্ভিস স্টেশনে থাকা-খাওয়া, ‘শৌচাগার, গ্রন্থাগার, বিশ্রামাগার, চিত্তবিনোদন কেন্দ্র ও গোসলের সুব্যবস্থা থাকে। কোন কোন সার্ভিস স্টেশন ফিলিং তথা সার্ভিস স্টেশন হিসাবে কাজ করে থাকে। সার্বিক অবস্থা ও কাজের প্রকৃতির উপর ভিত্তি করে গ্যারেজকে সাধারণত চার ভাগে ভাগ করা যায়। যেমন (ক) ছোট আকারের গ্যারেজ, (খ) মধ্যম আকারের গ্যারেজ, (গ) বড় আকারের গ্যারেজ এবং (ঘ) ইঞ্জিনিয়ারিং গ্যারেজ। ইঞ্জিনিয়ারিং গ্যারেজে সাধারণত
মোটরযান ক্রাঙ্কশ্যাফট, ক্যামশ্যাফট, গ্রাইণ্ডিংকরণ, সিলিণ্ডার বোরিং ও হনিংকরণ, ভাল্ভ সিট কাটিং, ভাল্ভ রিফেসিংকরণ, ব্রেক ড্রাম টারনিং, প্রেশার প্লেট টারনিং ইত্যাদি কাজ করা হয়। এখানে মোটরযান মেরামত বা রক্ষণাবেক্ষণ নাও হতে পারে। যদি মেরামত ও রক্ষণাবেক্ষণ এবং অন্যান্য লেদের কাজ, বোরিং, হনিং ও টারনিং কাজও একই গ্যারেজে সম্পন্ন হয় তাহলে – এই জাতীয় কারখানাকে ইঞ্জিনিয়ারিং গ্যারেজ বলা হয়। –
কাজ এবং অবস্থার ভিত্তিতে সার্ভিস স্টেশনকে নিম্নলিখিত তিন ভাগে ভাগ করা যায়।
(ক) স্থায়ী সার্ভিস স্টেশন, (খ) অস্থায়ী সার্ভিস স্টেশন, (গ) ভ্রাম্যমাণ সার্ভিস স্টেশন।
গ্যারেজ এবং সার্ভিস স্টেশনের স্থান নির্বাচন :
গ্যারেজের জন্য স্থান নির্বাচনের সময় নিম্নলিখিত বিষয়সমূহ অত্যন্ত গুরুত্বের সাথে বিবেচনা করা প্রয়োজন।
ক. গ্যারেজ এমন স্থানে স্থাপন করতে হবে যেখানে গ্রাহক সহজে গাড়ী নিয়ে যাতায়াত
করতে পারে।
খ. গ্যারেজের স্থানটি এমন হওয়া দরকার যেন এর পাশেই বড় রাস্তা, মার্কেট বা বাস, ট্রাক স্ট্যান্ড থাকে।
গ. গ্যারেজের স্থানটি বেশ লম্বা-চওড়া হওয়া দরকার যেন অনেকগুলি গাড়ী রাখার স্থান সঙ্কুলান হয়। কাজের জন্য যথেষ্ট খোলামেলা জায়গাও থাকা প্রয়োজন।
ঘ. ‘গ্যারেজের কাছে বড় নদমা বা ডোবা না থাকাই বাঞ্ছনীয়।
ঙ. গ্যারেজে যেন সবদা বিদ্যুৎ, পানি, গ্যাস পাওয়া যায় তার প্রতি লক্ষ্য রাখা প্রয়োজন।
চ. কোন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, মসজিদ, আবাসিক এলাকা, আদালত-এর আশেপাশে গ্যারেজ না থাকাই বাঞ্ছনীয়।
ছ. একই এলাকায় একাধিক গ্যারেজ থাকা উচিত।
জ. অলিগলি, নির্জন এলাকা অথবা মোটরযান চলাচল কম এমন এলাকায় বা বড় বড় গাছের নীচে গ্যারেজ স্থাপন করা উচিত নয় ।
গ্যারেজ বা সার্ভিস স্টেশনের টুলসসমূহ
১. হ্যামার ১/২ কেজি ২টি, ১ কেজি ২টি।
২. প্লাস্টিক হ্যামার ১৫০ গ্রাম ২টি, ২৫০ গ্রাম ২টি।
৩. অ্যাম্পিয়ার মিটার ২টি, ভোল্ট মিটার ২টি।
(০-২০০ অ্যাম্প) ( ০-২৪ ভোল্ট )
৪. হাইড্রোমিটার ৩টি
৫. সেল টেস্টার ২টি
৬.অ্যাভোমিটার ২টি
৭. টায়ার প্রেশার গেজ ২টি
৮. স্লাইড রেঞ্চ ১২” ২টি
স্লাইড রেঞ্চ ১০” ২টি
স্লাইড রেঞ্চ ৮” ২টি
স্লাইড রেঞ্চ ৬” ২টি
৯.প্লায়ার ৮” ২টি
প্লায়ার ৬” ২টি
১০. ইনসুলেটেড প্লায়ার ৮” ২টি
১১. ইনসুলেটেড প্লায়ার ৬” ২টি
১২. কাটিং প্লায়ার ৬” ২টি
১৩. কাটিং প্লায়ার ৮” ২টি
১৪. নোজ প্লায়ার ৮” ২টি
১৫. নোজ প্লায়ার ৬” ২টি
১৬. হুইল রেঞ্জ ২টি।
১৭. পাইপ রেঞ্চ ১৮” ২টি।
১৮. হস্তচালিত গ্রীজ গান ২টি।
১৯, সেন্টার পাঞ্চ (punch) ১ সেট। ২০. কাটিং পাঞ্চ ১ সেট।
২১. ক্রু-ড্রাইভার হেভী ডিউটি ১৮” ২টি।
স্ক্রু-ড্রাইভার হেভী ডিউটি ১২” ২টি।
স্ক্রু-ড্রাইভার হেভী ডিউটি ১০” ২টি।
স্ক্রু-ড্রাইভার হেভী ডিউটি ৮” ২টি।
স্ক্রু-ড্রাইভার হেভী ডিউটি ৬” ২টি।
২২. স্ক্রু–ড্রাইভার হাল্কা ১২” ২টি।
স্ক্রু-ড্রাইভার হাল্কা ১০” ২টি।
ক্রু-ড্রাইভার হাল্কা ৮” ২টি।
ক্রু-ড্রাইভার হাল্কা ৬” ২টি।
২৩.ফিলিপ্স স্ক্রু-ড্রাইভার ১২” ২টি।
ফিলিপ্স স্ক্রু-ড্রাইভার ১০” ২টি।
ফিলিপ্স স্ক্রু-ড্রাইভার ৮” ২টি।
ফিলিপ্স স্ক্রু-ড্রাইভার ৬” ২টি।
২৪. ম্যাগনেটিক টিপ ক্রু-ড্রাইভার ১২” ২টি।
ম্যাগনেটিক টিপ স্ক্রু-ড্রাইভার ১০” ২টি।
ম্যাগনেটিক টিপ ক্রু-ড্রাইভার ৮” ২টি।
২৫. রীমার সেট ১ সেট।
২৬. হলো পাঞ্চ ১ সেট।
২৭. গ্রীপ প্লায়ার ১২” ২টি।
২৮. ক্রোবার ১৮% ১টি।
ক্রোবার ১২” ১টি।
২৯. স্ক্রু ইন্সট্রাকটর ১ সেট।
৩০. টুল্স বক্স ৬ সেট ।
৩১. বক্স স্প্যানার তিন সেট ৪.৫ মি.মি.-২৫ মি.মি ।
৩২. ডাবল এন্ডেড স্প্যানার তিন ৪.৫ সেট মি.মি.-২৫ মি.মি. । ৩৩. রিং স্প্যানার ৩ সেট ৪.৫ মি.মি-২৫ মি.মি.
৩৪. স্লাইড বা অ্যাডাজাস্ট্যাবল রেঞ্চ ২৫০ মি.মি-৫০ মি.মি.।
৩৫. ফিলার গেজ ২ সেট ২৫ মি.মি-১.৫০ মি.মি।
৩৬. কানেক্টর স্ক্রু ড্রাইভার-২ (দুই)।
৩৭, কাঁচি ১০” ২টি ।
৩৮. প্লাগ রেঞ্চ ৪টি । ৩৯. ওয়্যার ব্রাশ ১০” ৪টি।
৪০. ব্যাটারী সার্ভিসিং টুল্স কিটস ১ সেট।
৪১.ভাল্ভ স্প্রিং কম্প্রেসরস ২টি।
গ্যারেজ বা সার্ভিস স্টেশনের যন্ত্রপাতি
১. উদ্ধারকারী মোটরযান ১টি।
২. উদ্ধারকারী যন্ত্রপাতি (salvage
৩.কাজ করার বেঞ্চ ১ সেট।
- ভাইস ২টি।
৫. সঙ্কুচিত বাতাসের সকল যন্ত্রপাতি।
৬. এয়ার প্রেসার গেজ।
৭. লুবরিকেশন বে (Lubrication Bay) ।
৮.ব্যাটারী চার্জিং এবং টেস্টিং যন্ত্রপাতি।
৯. হাইড্রলিক লিফট ১টি।
১০. হাইড্রলিক জ্যাক ২ টি।
১১. কার লিফট (Car lift) ২টি।
১২. এসেল স্ট্যাণ্ড (Axle stand) ৪টি।
১৩. জ্যাক কেন ১টি (এক টনবিশিষ্ট)।
১৪. গ্যারেজ জ্যাক ১টি (এক টনবিশিষ্ট)।
১৫. ইনজেকটর টেস্টার ১ টি।
১৬. হাইপ্রেসার পাম্প টেস্টিং মেশিন বা ফেসিং কেলিব্রেশন মেশিন ১টি।
১৭. স্পার্ক প্লাগ টেস্টার ১ টি।
১৮. স্প্রিং টেস্টার ১টি।
১৯.টিউন-আপ টেস্টার ১টি।
২০. ফুয়েল ব্যয় নির্ণয় টেস্টার ১টি।
২১. ভ্যাকুয়াম টেস্টার ১ টি।
২২.কম্প্রেসরস টেস্টার ১টি।
২৩. লিকেজ টেস্টার ১টি।
২৪, টো-ইন-টো-আউট টেস্টার ১টি।
২৫. ক্লিনিং হোস ৪টি।
২৬. ওয়াশিং র্যাক ২টি।
২৭. নায়লনের ব্রাশ ও ওয়্যার ব্রাশ ১২টি।
২৮, ডি-কারবোনাইজিং সেট ১ সেট।
২৯. ইলেকট্রিক্যাল টেস্ট বেঞ্চ ১ সেট।
৩০. টেকোমিটার (৫০০-৫০০০) আর. পি. এম. ।
৩১ টায়ার মেরামত করার যন্ত্রপাতি ১ সেট।
৩২. হুইল ব্যালান্সার ১টি।
৩৩. ভাল্ভ মাস্টার রিফেসার ১টি।
৩৪, হনিং মেশিন (বিভিন্ন সাইজের হনিং স্টোনসহ) ১ সেট।
৩৫. বোরিং মেশিন (আনুষঙ্গিক যন্ত্রপাতি এবং আপারেটিং ম্যানুয়ালসহ) ১ সেট।
৩৬. আরবার প্রেস ১টি।
৩৭, ইঞ্জিন স্ট্যাণ্ড ৬টি।
৩৮. ট্রে ১ মিটার x মিটার সাইজের ১২টি।
৩৯. পিস্টন রিং কম্প্রেসরস ১৫০ মি. মি. ২০০ মি. মি ২টি।
‘’ ‘’ ১৫০ মি. মি. —৩০০ মি. মি. ২টি।
‘’ ‘’ ২০০ মি. মি—৪০০ মি. মি ২টি।
‘’ ‘’ ৩৫০ মি. মি—৫০০ মি. মি. ১টি।
৪০. পিস্টন রিং এক্সপাণ্ডার ২টি। ‘গ্রুপ ক্লিনার ২টি।
৪২. গজনপিন রিমোভার ২টি।
৪৩. ডেনটিং-পেনটিং পূর্ণাঙ্গ ২ সেট।
৪৪. পোর্টেবল কম্প্রেসরস (স্প্রে পেইন্টিং-এর জন্য ৫-১০ কেজি / সে. মি) ১ সেট।
৪৫. স্প্রে-পেন্টিং পূর্ণাঙ্গ ১ সেট।
৪৬. বাবার হ্যামার (১০০-৫০০ গ্রাম) ৫টি।
৪৭. হেক্স ফ্রে (ব্লেডসহ) ৩ সেট।
৪৮. ব্লু ল্যাম্প (blue lamp) ৩ সেট।
৪৯. ইগনিশন টুলস কিট্স ২ সেট।
৫০. চেইন হোয়েস্ট (chain hoist)
৫১. – গ্যারোলার টেস্টার ১টি।
৫২. অগ্নিনির্বাপক যন্ত্রপাতি ৩টি।
৫৩. বালু ভর্তি বালতি ৩টি।
৫৪. প্রাথমিক চিকিৎসার বাক্স ২টি।
৫৫. স্টিয়ারিং জিওমেট্রি এলাইনমেন্ট যন্ত্রপাতি ১ সেট।
৫৬. ফুয়েল পাম্প টেস্ট রিগ ১ সেট।
৫৭. ব্রেক সিস্টেম পরীক্ষাকরণ যন্ত্রপাতি ১ সেট।
৫৮. ভলকানাইজার ১ সেট।
৫৯. টাইমিং লাইট বা স্ট্রোবোসকোপিং গেজ ১টি।
৬০. টায়ার ও টিউব টেস্ট ট্যাঙ্ক ১টি।
৬১. কানেকটিং রড এলাইনমেন্ট ১ সেট ।
৬২. গ্রাইন্ডিং মেশিন ১টি। ৬৩. ইলেকট্রিক এবং গ্যাস ওয়েল্ডিং ২ সেট।
৬৪. হ্যাণ্ড গ্লোভস ১২টি।
৬৫. হেড লাইট টেস্টার ১টি।
৬৬. ড্রিলিং মেশিন।
৬৭ স্ট্যাণ্ড-বাই জেনারেটর ১টি।
৬৮. ক্ল্যাঙ্কশ্যাফট গ্রাইন্ডিং মেশিন ১টি।
৬৯. অসিলোস্কোপ ১টি।
৭০. ইটের তৈরী র্যাম ২টি।
৭১. হাইড্রলিক টুলি জ্যাক ২টি।
৭২ হোস পাইপ ১০০ মিটার।
৭৩. নায়লনের রাশ ১০০ মিটার।
৭৪. এপ্রোন (কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের জন্য) ৫০ টি।
৭৫. ফ্র্যাঙ্কশ্যাফট গ্রাইণ্ডার ১ টি।
৭৬, লেদ মেশিন ১টি ।
৭৭, পোড়া গ্যাস বিশ্লেষণকারী যন্ত্র ১টি।
গ্যারেজ ও সার্ভিস স্টেশনে সাধারণত নিম্নলিখিত কক্ষ এবং বিভাগ থাকে।
১। ম্যানেজার বা ব্যবস্থাপকের কক্ষ, ২। অভিযোগ এবং অনুসন্ধান কক্ষ, ৩। হিসাবরক্ষকের কক্ষ, ৪। বিক্রয় বিভাগ : (ক) ফোরম্যানের কক্ষ (খ) প্রধান অফিস (গ) ভাণ্ডার রক্ষকের কক্ষ ও অফিস (ঘ) সার্ভিসিং বে (ঙ) ধৌতকরণ বে (চ) গাড়ী পার্কিং (ছ) কারিগর ও কর্মচারীদের সাধারণ কক্ষ, ৫। ওভারহলিং বিভাগ, ৬। রানিং বিভাগ ৭। ওয়েল্ডিং বিভাগ, ৮। সিট এবং হুড় তৈরীকরণ বিভাগ, ৯। ডেটিং এবং পেইন্টিং বিভাগ,
১০। মেশিনিং অর্থাৎ লেদ, বোরিং, হনিং, ল্যাপিং ইত্যাদি বিভাগ : (ক) খুচরা যন্ত্রাংশ ভাণ্ডার। (খ) পেট্রোল, মোবিল, গ্রীজ, ব্রেক অয়েল, ফ্লাশিং অয়েল ইত্যাদি সংরক্ষণাগার (গ) ডিজেল ফিলিং পাম্প (ঘ) পেট্রোল ফিলিং পাম্প (ঙ) পানি সরবরাহের পাম্প স্টেশন (চ) বায়ু- সঙ্কোচন প্লান্ট।
গ্যারেজ এবং সার্ভিস স্টেশন স্থাপনে আর্থিক ব্যয় গ্যারেজ বা সার্ভিস স্টেশন স্থাপনে আর্থিক ব্যয়ের ক্ষেত্রে নিম্নলিখিত বিষয়গুলি বিশেষ গুরুত্বের সাথে বিবেচনা করতে হয়। অবশ্য স্থান, কাল, অবস্থা এবং গ্যারেজ ও সার্ভিস স্টেশনের আকার ও আকৃতির উপরও তা নির্ভর করে।
১। জমির মূল্য (আনুমানিক) ৩৫০০০০.০০ টাকা
২। জমি উন্নয়ন খরচ ১১০০০.০০ ‘’
৩। গ্যারেজ বা সার্ভিস স্টেশনের নির্মাণ বয় ৫০০০০০.০০ ‘’
8। গ্যারেজ বা সার্ভিস স্টেশনের নকশা প্রণয়ন ব্যয় ১০০০০.`০০ ‘’
৫। গ্যারেজের টুলস এবং যন্ত্রপাতি ২০০০০০.০০ ‘’
৬। ফিলিং স্টেশন বসানো ডিজেল ও পেট্রোল ২০০০০.০০ ‘’
৭। ফিলিং স্টেশনের ভূ-গর্ভস্থ ট্যাঙ্ক ১০০০.০০ ‘’
৮। গ্যারেজ এবং সার্ভিস স্টেশন বৈদ্যুতিকরণ” ১০০০০.০০ ‘’
৯। আসবাবপত ২০০০০.০০ ‘’
১০। আনুষঙ্গিক খরচ ২০০০০.০০ ‘’
মোট ব্যয় = ১৫,৫০,০০০.০০
(পনের লক্ষ পঞ্চাশ হাজার টাকা মাত্র)
গ্যারেজ ও সার্ভিস স্টেশনের জব কার্ড (Job card)
গ্যারেজ এবং সার্ভিস স্টেশনে কাজের শৃঙ্খলা রক্ষা সমন্বয়বিধান ও সময় সংক্ষেপ করার জন্য জব-কার্ড নমুনা দেওয়া হল।
প্রশ্নমালা
১. ১ (এক) মিটার = ? ইঞ্চি।
২. ১ ইঞ্চি = ? মিলিমিটার।
৩. ১ মিটার = ? মিলি. মি. ? সে. মি ।
- ১ কিলো = ? গ্রাম।
৫. ১ মি. মি = ? ইঞ্চি।
৬. কারখানার সাধারণ নিয়মাবলী কি কি? উহা পালন না করলে কি হয় ?
৭. গাড়ী চালাবার পূর্বে কি কি পরীক্ষা করা প্রয়োজন ? পরীক্ষা না করলে কি হবে ?
৮. পাঁচটি হ্যান্ড টুলস, পাঁচটি মেজারিং এবং পাঁচটি পাওয়ার এর নাম ও ব্যবহার লিখ।
৯. গাড়ীর বড় বড় যন্ত্রাংশ ধৌত করার জন্য কি ধরনের ক্লিনার ব্যবহার করা হয়?
১০. মেইন বিয়ারিং, ইঞ্জিন হেড বিগ এন্ড বিয়ারিং ইত্যাদি নাটসমূহ কিসের সাহায্যে আঁটানো উচিত এবং কিভাবে তা আঁটানো হয় ?
১১. রিংসহ পিস্টন সিলিন্ডারের প্রবেশ করাতে কি ধরনের যন্ত্রাদি ব্যবহার করা হয়? না
করলে কি হবে?
১২. কারখানার পরিবেশ কেমন হওয়া প্রয়োজন? অগ্নিনির্বাপনের জন্য কি কি ব্যবস্থা থাকা উচিত ?
১৩. শিক্ষানবিসের যন্ত্রবাক্সে কি কি ধরনের যন্ত্র এবং অন্যান্য জিনিসপত্র থাকা বাঞ্ছনীয় । ১৪. একটি আধুনিক অটোমোবিল কারখানার কি কি দ্রব্যাদি থাকা প্রয়োজন বলে তুমি মনে কর তার বর্ণনা দাও ।
১৫. অটোমোবিল কারখানায় সাধারণত কি কি কাঁচামাল ব্যবহৃত হয় তার একটি তালিকা প্রস্তুত কর।
১৬. শূন্যস্থান পূর্ণ কর :
ক) এক সের সমান …… …… …… কেজি।
খ) এক পাউন্ড সমান…… …… …… গ্রাম …… …… …… কি.গ্ৰা ।
গ) এক মিটার সমান… ইঞ্চি …… ফুট।
ঘ) ১ সেন্টিমিটার সমান …… মিটার।
ঙ) এক কিলোমিটার সমান …… . মিটার ।
চ) দশ ডেসি মিটার সমান…… মিটার
চ) এক কিলোমিটার সমান …… . মিটার ।
ছ) এক হাজার কিলোগ্রাম সমান …. পাউন্ড।
১৭. গ্যারেজ এবং সার্ভিস স্টেশন বলতে কি বুঝ? গ্যারেজ এবং সার্ভিস স্টেশনের গুরুত্ব বর্ণনা কর।
১৮. গ্যারেজ, সার্ভিস স্টেশন এবং ফিলিং স্টেশন-এর পার্থক্য সংক্ষেপে বর্ণনা কর।
১৯. একটি সর্বাধুনিক সার্ভিস স্টেশন অথবা গ্যারেজের নক্সা অঙ্কন করে দেখাও।
২০. গ্যারেজ কত প্রকার ও কি কি? গ্যারেজের জন্য অথবা সার্ভিস স্টেশনের জন্য স্থান নির্বাচন করার সময় কি কি বিষয় বিবেচনা করতে হয় ?
২১. গ্যারেজ এবং সার্ভিস স্টেশনে কি কি টুলস্ প্রয়োজন হয় তার একটি তালিকা প্রস্তুত কর।
২২ গ্যারেজ এবং সার্ভিস স্টেশনে কি কি কক্ষ এবং বিভাগ থাকে তা বর্ণনা কর।
২৩. সার্ভিস স্টেশন অথবা গ্যারেজে জব-কার্ড-এর প্রয়োজনীয়তা কি কি? একটি জব কার্ড-এর নমুনা প্রস্তুত কর।
২৪. কর্মশালার পোশাক কেমন হওয়া উচিত? কর্মশালায় নিষিদ্ধ পোশাকগুলি কি কি ?
২৫. ট্রামেলের কাজ কি? উহা ব্যবহারের সুবিধা কি কি ?
২৬. সারফেস প্লেট কি? উহার প্রয়োজনীয়তা কি কি? এ বিষয়ে একটি বিবরণ লিপিবদ্ধ কর।
২৭. চিত্রের সাহায্যে একটি সারফেস গেজ-এর কার্যক্রম বর্ণনা কর।
২৮. চিত্রের সাহায্যে স্ক্রাইবিং ব্লক (Scribing block)-এর কার্যক্রম বর্ণনা কর।
২৯. ভাইস কত প্রকার ও কি কি? উহাদের প্রয়োজনীয়তা কি কি? চিত্রসহ যে কোন একটি ভাইসের বর্ণনা দাও।
৩০. ফাইল (File) কত প্রকার ও কি কি? বিভিন্ন প্রকার ফাইলের একটি সাধারণ বিবরণ লিখ।
৩১. ফাইলের ব্যবহারগুলি লিখ। “ড্র” ফাইলিং কি? ডায়াগোনাল ও ব্রুস ফাইলিং কি ?
৩২. স্ক্র্যাপার কি? উহা কত প্রকার ও কি কি? উহার কার্যক্রম সম্বন্ধে যা জান লিখ।
৩৩. শান দেওয়ার পদ্ধতি চিত্রের সাহায্যে দেখাও।
৩৪. হ্যাক—স (Hack-saw) ফ্রেম কত প্রকার ও কি কি? চিত্রের সাহায্যে এগুলির পার্থক্য দেখাও।
৩৫.চিত্রের সাহায্যে হ্যাকস ব্লেডের বিবরণ দাও। হ্যাকস ব্লেড ভেঙ্গে যাওয়ার প্রধান কারণসমূহ বর্ণনা কর।
৩৬. চিত্রের সাহায্যে টিউব বা পাইপ কাটারের কার্যক্রম বর্ণনা কর।
৩৭, ভ্রমর কি? উহা কত প্রকার ও কি কি? চিত্রের সাহায্যে এগুলির কার্যক্রম বর্ণনা কর।
৩৮. ড্রিলিং মেশিন কত প্রকার ও কি কি? চিত্রের সাহায্যে যে কোন একটি ড্রিলিং মেশিনের কার্যক্রম বর্ণনা কর ।
৩৯. তুমি একটি আধুনিক অটোমোবিল ওয়ার্কশপ গড়ে তুলতে চাও। এর জন্য একটি ওয়ার্কশপের নক্সা তৈরী কর। প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি এবং টেস্টিং ও মেজারিং টুলস-এর একটি তালিকা প্রস্তুত কর। একটি ওয়ার্কশপ স্থাপনের জন্য খাতওয়ারী আনুমানিক ব্যয়ের তালিকা দাও ।
আর দেখুনঃ
- অটোমোবিল শপে ব্যবহৃত মেজারিং টুলস | এককের বিভিন্ন পদ্ধতি | অটোমোবিল ইঞ্জিনিয়ারিং
- স্টেজ পরিবহন চুক্তিবদ্ধ পরিবহনযানের কন্ডাক্টরদের লাইসেন্স | মোটরযান আইন
- যন্ত্রাংশে রূপ দেওয়ার জন্য ব্যবহৃত ফাইল | অটোমোবিল ইঞ্জিনিয়ারিং
- তৃতীয় পক্ষের ঝুঁকির জন্য মোটরযানের বীমা | মোটরযান আইন
- সাময়িকভাবে বাংলাদেশ হইতে বিদেশগামী | মোটরযান আইন
- মোটরগাড়ি শিল্প
3 thoughts on “গ্যারেজ এবং সার্ভিস স্টেশন”