Site icon অটোমোটিভ গুরুকুল [ Automotive Gurukul ], GOLN

এল. পি. জি গ্যাস

এল. পি. জি  গ্যাস – – নিয়ে আজকের আলোচনা। এই পাঠটি “অটোমোবিল ইঞ্জিনিয়ারিং” এর “বাষ্পীয় বয়লার বা জেনারেটর” বিষয়ক পাঠ।

 

এল. পি. জি গ্যাস

 

এটি পেট্রোলিয়াম শোধনাগারের একটি উপজাত দ্রব্য। অপরিশোধিত তেল শোধন করার সময় এই গ্যাস (L.P.G) বা উপজাত বের হয়। বর্তমানে আমাদের দেশে এই জাতীয় জ্বালানি উৎপন্ন হয়। এই গ্যাস ট্যাঙ্কে সংরক্ষিত করা হয়। এই গ্যাস গাড়ীতে পেট্রোলের পরিবর্তে ব্যবহার করা হয় এবং জ্বালানির কাজেও ব্যবহার করা যায়।

এল.পি.জি যেসব গাড়ীতে ব্যবহার করা হয় সেসব গাড়ীতে একটি এল.পি.জি ইউনিট ব্যবহার করা হয়। যার সাহায্যে গ্যাসের প্রবাহ কম বেশী করা যায়। আমাদের দেশে বর্তমানে কিছু কিছু গাড়ী আছে ; সেসব গাড়ীতে এল.পি.জি এবং পেট্রোল উভয় জ্বালানিই ব্যবহার কা যায়। তবে একত্রে নয়। যখন পেট্রোল ব্যবহার করা হয় তখন এল.পি.জি ব্যবহার করা হয় না। আবার যখন এল.পি.জি ব্যবহার করা হয় তখন পেট্রোল ব্যবহার করা হয় না।

 

ওয়াটার স্লাজ (Water sluge) :

এটি এক প্রকার ঘন কাল ক্রিমের ন্যায় পদার্থ। এটি প্রায়ই ক্র্যাঙ্ককেসে জমা থাকে। পানি, কার্বন, লুব অয়েল একত্রে মিশ্রিত হয়ে এই স্লাজ সৃষ্টি হয়। ইঞ্জিনের কম্প্রেশন স্ট্রোকের সময় কিছু মিশ্রণ সিলিন্ডারের মধ্যে ঢুকে যায়। ঠাণ্ডা হলে মিশ্রণের কিছু অংশ পানিতে রূপ নেয়। ক্র্যাঙ্ককেস ভেন্টিলেশনের মাধ্যমে বাতাস ক্র্যাঙ্ককেসে প্রবেশ করে, বাতাসের জ্বলীয় অংশ ঘনীভূত হয়ে লুব অয়েলের সাথে মিশে ওয়াটার স্লাজের জন্ম দেয়। ওয়াটার স্লাজ হলে অয়েল গ্যালারীগুলি বন্ধ হয়ে যায় এবং সংযোগ কমে যায়। ফলে ইঞ্জিন গরম বেশী হয় এবং যন্ত্রাংশ দ্রুত হয়। 

 

ভারী জ্বালানি (solid fuel) :

ভারী জ্বালানিকে নিম্নলিখিত ভাগে ভাগ করা যায়। যেমন : (ক) পাথুরে কয়লা (coal), (খ) কোক (coke), (গ) কাঠ (wood), (ঘ) কাঠ কয়লা (charcoal), (ঙ) আখের ছোবড়া, (চ) গোবর, (ছ) পাতা (জ) ইউরেনিয়াম। কয়লাকে আবার কয় ভাগে ভাগ করা যায়। যেমন : (ক) লিগনাইট (Lignite) বা বাদামী কয়লা, (খ) সাব-বিটুমিনাস (sub-bituminus), (গ) বিটুমিনাস (Bituminus), (ঘ) সেমি-বিটুমিনাস (semi-bituminus), (ঙ) অ্যান্থ্রাসাইট (anthracite)।

সিনথেটিক রাবার কারখানায় এল.পি.জি কাঁচামাল হিসাবে ব্যবহার করা হয়। বর্তমানে আমাদের দেশে প্রাকৃতিক গ্যাসকে তরলীকৃত গ্যাসে (liquidified natural gas, LNG ) পরিণত করার কারখানা করার কাজ চলছে। এই গ্যাস প্লান্ট বাস্তবায়িত হলে মোটর গাড়ীতে এবং জ্বালানি হিসাবে সারাদেশে ব্যবহার করা যাবে। ফলে আমাদের শত শত কোটি টাকার বৈদেশিক মুদ্রা বেঁচে যাবে।

 

এল.পি.জি বা তরলীকৃত গ্যাসের সুবিধা :

(ক) ট্যাঙ্কে ভর্তি করে বিভিন্ন স্থানে সরবরাহ করা যায়। (খ) ক্যালোরিফিক ভ্যালু বেশী। (গ) অকটেন রেটিং বেশী বলে নকিং কম হয় এবং ইঞ্জিন ভালভাবে চলে। (ঘ) ইঞ্জিনের প্রজ্বলন প্রকোষ্ঠে কার্বন কম জমে। (ঙ) দহনকার্য সুচারুরূপে সম্পন্ন হয়। (চ) মিতব্যয়ী।

 

এল.পি.জি বা তরলীকৃত গ্যাসের অসুবিধা :

(ক) ট্যাঙ্কে ভর্তি করার জন্য বিশেষ ধরনের যন্ত্রপাতির দরকার হয়। (খ) বিশেষ ধরনের ট্যাঙ্ক ব্যবহার করা হয়। (গ) পেট্রোল ইঞ্জিনে তরলীকৃত গ্যাস ব্যবহারের জন্য বিশেষ ধরনের ফুয়েল সিস্টেম ব্যবহার করতে হয়। (ঘ) অস্বস্থিকর গন্ধ বের হয়।

 

 

 

 

লুবরিকেশনের স্থানসমূহ (মোটরযানে):

(ক) ইঞ্জিনে                       SAE 30 বা SAE 40

(খ) চেসিস                         SAE 250 বা গ্রীজ 

(গ) গিয়ার বক্স                   SAE 90

(ঘ) ডিফারেন্সিয়াল             SAE 90

(ঙ) অ্যাক্সেল                      SAE 90 এবং SAE 250

(চ) ব্রেকের পিভেটসমূহে    SAE 250 বা গ্রীজ

(ছ) স্টিয়ারিং গিয়ার বক্সে     SAE 90

(জ) ক্র্যাঙ্কিং মটর               SAE 250 বা গ্রীজ

(ঝ) সাসপেনশন পদ্ধতিতে  SAE 250 বা গ্রীজ

(ঞ) হুইল বিয়ারিং               SAE 250 বা গ্রীজ

(ট) ইউনিভারসেল জয়েন্ট    SAE 250 বা গ্রীজ

 

নিম্নে প্রদত্ত চিত্রসমূহের সাহায্যে অটোমোবিল ইঞ্জিনিয়ারিং-এর বিভিন্ন পদ্ধতি ও ইউনিটের অবস্থান, কার্যক্রম, খোলা এবং লাগানোর অবস্থা দেখানো হলো বা পূর্বেই আলোচনা করা হয়েছে।

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

আরও দেখুনঃ

 

Exit mobile version