ইঞ্জিন নিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি – পাঠটি “অটোমোবিল ইঞ্জিনিয়ারিং” বিষয়ের “অটোমোবাইলের ইতিহাস” পাঠের অংশ। ই.সি.ইউ পদ্ধতিতে ইঞ্জিনকে দুইভাবে নিয়ন্ত্রণ করা হয়ে থাকে। যেমন– (ক) খোলা লুপ ইঞ্জিন নিয়ন্ত্রণ –পদ্ধতি এবং (খ) বন্ধ লুপ ইঞ্জিন নিয়ন্ত্রণ- পদ্ধতি। চিত্রে খোলা এবং বন্ধ লুপ ইঞ্জিন- নিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি দেখানো হয়েছে।
ইঞ্জিন নিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি
খোলা লুপ পদ্ধতিতে ই.সি.ইউ এর সাথে ইঞ্জিনের গতি নিয়ন্ত্রণ সেনসর যাহা ফ্লাই– হুইল বা ইগনিশন কয়েল বা ডিস্ট্রিবিউটরের সাথে সংযুক্ত থাকে। ইঞ্জিনের বোঝা (Load) পরিমাপের জন্য পটেনটিও মিটার ব্যবহার করা হয়। উহা থ্রোটল স্পিন্ডিলের ঘূর্ণায়ন নিরূপণ করে সিলিন্ডারে বাতাস প্রবাহের পরিমাণ নির্ণয় করে থাকে।
ইঞ্জিনের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রক সেনসরটি ইঞ্জিন ব্লকের সাথে সংযুক্ত থাকে। উহা ই.সি.ইউকে প্রয়োজনীয় উপাত্ত পাঠায়। ইনটেক মেনিফোল্ড দিয়ে যে বাতাস ইঞ্জিনে প্রবাহিত হয় উহার তাপমাত্রা নিরূপণের জন্য একটি সেন্সর এখানে স্থাপন করা হয়। উহা ই সি.ইউ–তে জরুরী উপাত্ত পাঠায় যাহা ইঞ্জিন পরিচালনা অতি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। এ সমস্ত কার্যক্রম চিত্রের সাহায্যে দেখানো হয়েছে।
পেট্রোল জ্বালানি পদ্ধতি ইঞ্জিন থেকে ভাল কাজ ও বেশী মিতব্যয়িতা এবং অধিক শক্তি পাওয়ার জন্য ই.সি.ইউ এর সাথে ইগনিশন পদ্ধতি ও জ্বালানি নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা সংযুক্ত থাকে। এসব উপাত্তের বদৌলতে ই.সি.ইউ. (তার সুনির্দিষ্ট সার্কিট, ডায়ডস, রীলের সাহায্যে) সঠিক ফায়ারিং এবং জ্বালানির পরিমাণ নির্ণয় করে থাকে। খোলা লুপ পদ্ধতি সব থেকে বড় অসুবিধা হচ্ছে পোড়া গ্যাস নিয়ন্ত্রণ এবং ইঞ্জিনের নক, পিংকিং শব্দ নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা থাকে না। এই পদ্ধতিতে প্রায় প্রতি নিয়তই কিছু না কিছু ছোটখাট (minor) সমন্বয় (adjustment) করতে হয়।
আরও দেখুনঃ
- সি পাম্প | পেট্রোল জ্বালানি ব্যবস্থা | অটোমোবিল ইঞ্জিনিয়ারিং
- কার্বুরেটরের সার্কিট পরীক্ষা | পেট্রোল জ্বালানি ব্যবস্থা | অটোমোবিল -ইঞ্জিনিয়ারিং
- পেট্রোল জ্বালানি ব্যবস্থা | অটোমোবিল -ইঞ্জিনিয়ারিং
- অয়েল প্রেসার গেজ | আলো ব্যবস্থা | অটোমোবিল -ইঞ্জিনিয়ারিং
- ইঞ্জিন চালুকরণ পদ্ধতি | চার্জিং ও স্টার্টিং পদ্ধতি | অটোমোবিল- ইঞ্জিনিয়ারিং
- মোটরগাড়ি শিল্প