Site icon অটোমোটিভ গুরুকুল [ Automotive Gurukul ], GOLN

অয়েল প্রেসার গেজ

অয়েল প্রেসার গেজ – এই পাঠটি “অটোমোবিল ইঞ্জিনিয়ারিং” বিষয়ের “আলো ব্যবস্থা” অধ্যায়ের একটি পাঠ।

অয়েল প্রেসার গেজ

অয়েল গেজও দুই ধরনের হয়। যেমন : (ক) ব্যালান্সিং বা সমতাবিধানকারী কয়েল এবং *(খ) থার্মোস্টেটিক। এটি ফুয়েল গেজের মতই কাজ করে থাকে। এখানে কয়েল ব্যবস্থার গেজের বর্ণনা দেওয়া হলো। ৯.৮ চিত্রে এই গেজের গঠন এবং কার্যপ্রণালী দেখানো হয়েছে।

 

 

ইঞ্জিন যখন চলে তখন অয়েল প্রেসার বেড়ে যায়। ঐ চাপ ডায়াফ্রামের উপর বর্তায়। ডায়াফ্রামের সাথে একটি পরিবর্তনশীল রোধের সংযোগ থাকে। অয়েলের চাপ বেড়ে গেলে রোধও বেড়ে যায়। ফলে ড্যাশ ইউনিটের ডান দিকের কয়েলের মধ্য দিয়ে বেশী বিদ্যুৎ প্রবাহিত হয় এবং বাম দিকের কয়েল হতে বেশী শক্তিশালী চুম্বকে পরিণত হয়। এর ফলে আর্মেচার এবং পয়েন্টার ডান দিকে সরে যায়, অর্থাৎ ডায়ালের উপর বেশী প্রেসার দেখায়। এভাবেই অয়েল গেজ কাজ করে থাকে।

 

ইঞ্জিন তাপমাত্রা গেজ (Engine temparature gauge) :

এই গেজও দুই ধরনের। যেমন : (ক) ব্যালান্সিং কয়েল ব্যবস্থা এবং (খ) থার্মোস্টেটিক ব্যবস্থা। এটিও ফুয়েল গেজের মতই কাজ করে থাকে। শুধুমাত্র সংযোগ একটু ভিন্ন ধরনের যা ৯.৯ চিত্রে দেখানো হয়েছে। এতেও দুইটি ইউনিট আছে। একটি ইঞ্জিন ইউনিট এবং অন্যটি ড্যাশ ইউনিট।

৯.৯ চিত্রে এই গেজের গঠন কার্যপ্রণালী দেখানো হয়েছে। ইঞ্জিন যখন চালু করা হয় তখন ইঞ্জিনের ওয়াটার জ্যাকেটের পানি গরম হয়। ফলে ইঞ্জিন ইউনিটের রোধ কমে যায়। এর ফলে ডান দিকের কয়েলের (ড্যাশ ইউনিটের) মধ্য দিয়ে বেশী বিদ্যুৎ প্রবাহিত হয় এবং কয়েলটি শক্তিশালী চুম্বকে পরিণত হয়ে আর্মেচার ও পয়েন্টারটিকে ডান দিকে টানে অর্থাৎ পানির উষ্ণতা বেশী হয়। এভাবেই তাপমাত্রা গেজ কাজ করে।

 

 

ফুয়েল গেজ, অয়েল গেজ তাপমাত্রা ও গেজের রক্ষণাবেক্ষণ : উপরোক্ত গেজসমূহ যদি কাজ না করে তাহলে লাইন পরীক্ষা করতে হবে এবং সংযোগ ঠিক আছে কিনা দেখতে হবে। প্রয়োজনবোধে ইঞ্জিন ইউনিট এবং ড্যাশ ইউনিট পরীক্ষা করতে হবে। এগুলি পরীক্ষা করার জন্য সিরিজ ল্যাম্প অথবা অ্যাভোমিটার ব্যবহার করা যায়।

এসব গেজ নষ্ট হলে যেমন কাজ করে না তেমনিভাবে ট্যাঙ্ক ফুয়েল না থাকলে, অয়েল পাম্পের প্রেসার কম থাকলে বা মোটেই না থাকলে এবং পানি গরম না হলেও কাজ করবে না। যদিও করে তবে বিপরীত কাজ করবে অর্থাৎ গেজসমূহ বিপদ সংকেত দেখাবে। অবশ্য পানি ঠাণ্ডা থাকলে তাপমাত্রা গেজে বিপদ দেখাবার কিছু থাকে না। উপরোক্ত গেজসমূহ নষ্ট হওয়ার সাথে সাথে মেরামত অথবা বদলী করা উচিত। নতুবা সমূহ বিপদের সম্ভাবনা থাকে। 

 

 

আরও দেখুনঃ

 

Exit mobile version