আজকে আমাদের আলোচনার বিষয় “মোটর বাইক এর এনাটমি”। মোটর সাইকেল, মোটর বাইক, বাইক (ইংরেজি: motorcycle, motorbike, bike, moto) যন্ত্রচালিত পরিবহণের একটি বিশেষ রূপ; যার সাহায্যে একজন মোটর চালক একস্থান থেকে অন্যস্থানে দ্রুত গমন করে থাকেন। সাধারণতঃ এ পরিবহনটি দ্বি-চক্রযানের ন্যায় দুই চাকাবিশিষ্ট ও মোটর যুক্ত থাকে।
মোটর বাইক Motor Byike
মোটর বাইক /টু হুইলার যানবাহন:
দুই চাকা বিশিষ্ট মোটরযানকে মোটরবাইক বা টু হুইলার যানবাহন বলে। যেমন ভুটার, মোটরসাইকেল ইত্যাদি। যদিও বা স্কুটার এবং মোটরসাইকেল টু হুইলার যানবাহনের পর্যায়ে পড়ে তবু এগুলোর নকশা ও কার্যপ্রণালির মধ্যে কিছুটা তফাৎ আছে।
যেমন কতকগুলো ছুটারে ভার্টিক্যাল ইঞ্জিন এবং কতকগুলোতে হরাইজন্টাল টাইপ টু-স্ট্রোক ই বসানো থাকে।
টু-স্ট্রোক মোটরবাইকের গঠন ও কার্যপ্রনা
টু-স্ট্রোক মোটরবাইক এর কতকগুলোতে ভার্টিক্যাল ইঞ্জিন এবং কতকগুলোতে হরাইজন্টাল টাইপ টু-স্ট্রোক ইঞ্জিন বসানো থাকে। অনুভূমিক ইঞ্জিন-এ কোনো কোনো মোটরসাইকেলে টু-স্ট্রোকের স্থলে ফোর-স্ট্রোক ইঞ্জিন বসানো থাকে।
এটির ইগনিশান সিস্টেমে পার্থক্য দেখা যায়। কতকগুলো মোটরসাইকেলে নিয়ামক চক্র ত্বরিত প্রবাহ উৎপাদন করার যন্ত্র আছে (ফ্লাই হুইল মেগনেটো টাইপ) আবার কতকগুলোতে (ফ্লাই হুইল যেগনেটো) ছাড়া ব্যাটারি থাকে ।
মোটরসাইকেল এবং স্কুটারের নকশা দেখতে একরকম নয়। এ ছাড়া টানসমিশন (সিস্টেম) পদ্ধতি এবং ইলেকট্রিক্যাল ওয়ারিং-এ তফাৎ আছে। মোটরসাইকেলের ইঞ্জিন থেকে স্কুটার ইঞ্জিন বেশি ঘন সব হওয়ায় ইঞ্জিন কম জায়গা নেয় এবং হাল্কা হয়।
যখন একটি সাইকেল ছেয় টু-স্ট্রোক ইঞ্জিন বসানো হয় এবং এর সহিত পাওয়ার ট্রান্সমিশন থাকে এর গতিকে (কন্ট্রোল) নিয়ন্ত্রণ করার জন্য এবং একে থামাবার জন্য ব্রেক ইত্যাদির প্রয়োজনীয়তা দেখা দেয়।
টু স্ট্রোক ইঞ্জিনের কার্যপ্রণালী
১। আপওয়ার্ড স্ট্রোক (ঊর্ধ্বমূখী নেট্রাক) দুই-স্ট্রোক (টু-স্ট্রোক) ইঞ্জিনে কোন ভাত থাকে না, ভাতের মারগায় পোর্ট বা ি পিস্টন (আপওয়ার্ড গ্রোকে ঊর্ধ্বমুখী স্ট্রোক (বিডিসি) নিম্ন নি স্থিভি থেকে ডে (ঊর্ধ্বে নিক্রিয় স্থিতি) সেন্টারে যাওয়ার সময় দুইটি কাজ করে।
প্রথমত পেট্রোল এবং বায়ুর মিশ্রণকে সংকোচন (কেরে এবং দ্বিতীয়ত পিস্টন উপরের দিকে উঠবার সময় ক্র্যাংক কেসের মধ্যে (জ্যাকুয়ামের) শূন্যতার সৃষ্টি করে এবং আগমন বি (ইনটেল পোর্ট) খোলার সাথে সাথে কার্বুরেটর থেকে বায়ু এবং পেট্রোলের বিষণ আগম ছিদ্রের (ইনলেট পোর্টের মাধ্যমে প্রাগ দ্বারা (কথাপন চেম্বারে প্রকোষ্ঠে প্রজ্জ্বলন করা হয় ।
২। ভাওয়ার্ড যোক (নিম্নমুখী ক) নিম্নমুখী স্ট্রোক (ডাটা স্ট্রোকে পিস্টন (টল ডেড সেন্টার) উর্ম নিষ্ক্রিয় স্থিতি থেকে (বটম ডেড সেন্টারে) নামতে থাকাকালীন দুইটি কাজ করে। প্রথমত নির্গমন (একজ এবং দ্বিতীয়ত ক্ৰাংক কেসের ভিতরে যে চার্জ ছিল নিম্নের নিচক সংকোচন (কম্প্রেসড) করা ৷
পিস্টন যখন ঊর্ধ্ব শিক্ষির স্থিতি (টপ ফ্রেঙ্ক সেন্টার) থেকে নিম্ন নিক্ষির স্থিতি (টম ডেড সেন্টারে) পাওয়ার স্ট্রোকে মামাকালীন প্রথমে নির্গমন বি (একজন পোর্ট) খোলে এবং পোড়া প্যাস বের হয়ে যায়। পিস্টন আবার নিচে নামাকালীন ট্রান্সফার পোর্ট ভুলে যায় এবং (ইনলেট পোর্ট) আপম মিত্র বন্ধ হয়ে যায় ।
পিস্টন জ্যাক ফেসের ভিতরকার চার্জকে নিচের দিকে (কম্পেন) সংকোচন করার ফলে গ্রাফার ছিদ্রের (পোর্টের) মারফত উর্ধ্বে নিষ্ক্রিয় স্থিতিতে (টপ ডেড সেন্টারে) দহন প্রকোষ্ঠে কেম্বাশন চেম্বারে আসে এবং রে ডিলেটরজনিত আগেকার পোড়া গন্যাল দক্ষ প্রকোষ্ঠে কেম্বাশন চেম্বারে) কিছুটা যা থাকে নতুন আগত চার্জ ঠেলে (এক) নির্গম দিয়ে বের করে দেয় এবং এর সাথে নতুন কিছু চার্জ বাহিরে চলে যায়। এভাবে দুই-স্ট্রোক (টু-স্ট্রোক) ইঞ্জিন কাজ করে।
ফোর স্ট্রোক মোটরবাইক-এর গঠন ও কার্যপ্রণালি :
এরপ ইঞ্জিন পিস্টনের প্রতি চারটি স্ট্রোক (ফাংক এর দুই চক মিলে একটি পরিপূর্ণ ওয়ার্কিং সাইকেল হয় । নিজের ডি মাধ্যমে স্ট্রোকের পর্যায়গুলো বিশদভাবে বর্ণনা করা হলো ।
১। এডমিশন বা সংকলন স্ট্রোক (Admission or Suction Stroke) :
পিস্টন সর্বোচ্চ অবস্থান অর্থাৎ টপ ডেড সেন্টার (Top dead centre) বা T.D. C-তে ওঠার থাকালেই ইনটেক পোর্ট খুলে যায় এবং বায়ু বা বায়ু মিশ্রিত গ্যাসে প্রবেশপথ সুগম হয়। অতঃপর পিস্টন যখন T.DC থেকে B.D.C-তে যাত্রা করে, তখন এ পঘাস্ট পোস্ট বন্ধ হয়ে যায়, যার ফলে বায়ু বা বাতাস অতি দ্রুত সিলিন্ডারের ভিতর প্রবেশ করে।
এই বায়ু বা চার্জ এয়ার প্রবেশ গতি জড়তা (Interia of motion ) হেতু পিস্টনটি সর্বনিম্ন অবস্থান অতিক্রম করার পরও কিছুমাত্র চলতে থাকে। এই প্রক্রিয়াকে এডমিশন বা সাকশন স্ট্রোক বলে।
২। কম্প্রেশন নেট্রাক (Compression Stroke) :
ক্র্যাংক শ্যাফট দ্বারা পিস্টন B.D. C (Botton dead centre) থেকে T.D. C (Top dead centre) এর দিকে উঠতে শুরু করে। এ সময় সিলিন্ডার হেড-এর সবগুলো ভালভ বন্ধ থাকায় সিলিন্ডারের ভিতরকার বায়ু বা চার্জ এয়ার-এ অত্যধিক চাপ সৃষ্টি হয়ে থাকে।
এমতাবস্থায় পিস্টন যখন T.D.C-তে পৌঁছে তখন চাপ ৩০ থেকে ৩৫ এটমসফিয়ারে (aum) এবং উত্তাপ প্রায় ৫০০° C-এ উন্নীত হয়। ডিজেল ফুয়েল যা মাত্র ২০০ C উত্তাপেই প্রজ্বলিত হয়। ৫০০ C তাপমাত্রায় প্রবেশ করার সাথে সাথে উক্ত ডিজেল বিস্ফোরক সহকারে খনিকের মধ্যে প্রজ্জ্বলিত হয়।
ডিজেল ফুয়েল পিস্টনের T.D.C-তে পৌঁছানোর ঠি পূর্বক্ষণে ইনজেক্টরের সাহায্যে ইনজেক্ট করে বিস্ফোরণ ঘটানো হয়। এ প্রক্রিয়াকে কম্প্রেশন স্ট্রোক বলে ।
৩। পাওয়ার স্ট্রোক (Power Stroke) :
পূর্বের স্ট্রোকের কম্প্রেসিত চার্জ এয়ারের ভেতরে এই স্ট্রোকে ফুয়েল অয়েল ইনজেক্টর দ্বারা অতি সুক্ষ্ম সূক্ষ্ম কণারূপে সিলিন্ডারের মধ্যে গ্রে করা হয়।
নিলিভারের অভ্যন্তরে প্রচণ্ড চাপের ফলে সৃষ্ট ভাগে ফুয়েল বিস্ফোরণ সহকারে জ্বলে ওঠে ও প্রচণ্ড তাপ শক্তি (Heat Energy) সৃষ্টি করে।
এ অবস্থায় সৃষ্ট চাপ ৫০ থেকে ৬০ এটমসফিয়ারে উন্নীত হয়, তাই চাপ বৃদ্ধি পাবার কথা। কিন্তু পিস্টন সেই সাথে নিচের দিকে নামতে থাকে বলে শূন্যতা সৃষ্টি হয়ে চাপের পরিমাণ ৫০-৬০ এটমসফিয়ারেই স্থির রাখে।
পিস্টন B.D.C- তে পৌঁছানোর আগেই ইনজেকশন বন্ধ হয়ে যায় এবং ততক্ষণে চাপও বেশ কমে যায়। এই প্রক্রিয়াকেই পাওয়ার স্ট্রোক বলে। এই পাওয়ার স্ট্রোকের ইঞ্জিন প্রয়োজনীয় শক্তি উৎপাদন করে।
৪। এগজস্ট স্ট্রোক (Exhaust Stroke) :
ক্র্যাংক শ্যাফটের দ্বারা পিস্টন B.D.C-তে পৌঁছার পূর্বক্ষণেই এগজস্ট ভালভ খুলে যায়। ফলে দাহ্য গ্যাসএগজস্ট পোর্ট দ্বারা বের হতে শুরু করে। পিস্টন পুনরায় নিচ থেকে অর্থাৎ B.D.C থেকে উপরের দিকে T.D.C-তে উঠতে থাকে।
ফলে সিলিন্ডারের ভিতরকার অবশিষ্ট পোড়া গ্যাস নিষ্কাশিত হয়ে যায়। এগজস্ট স্ট্রোকের কাজ এগজস্ট ভালভ বন্ধ হবার আগ পর্যন্ত চলতে থাকে। এই প্রক্রিয়াকে এগজস্ট স্ট্রোক বলে ।
উল্লেখিত চারটি স্ট্রোক সমন্বয়ে ইঞ্জিনের একটি সাইকেল পূর্ণ হয়। যতক্ষণ ইঞ্জিন চলতে থাকে ততক্ষণ এসব স্ট্রোক ও সাইকেল ধারাবাহিকভাবে সংঘটিত হতে থাকে। এভাবে চার স্ট্রোক বিশিষ্ট ইঞ্জিন কার্যসম্পাদন করে থাকে।
মোটরবাইক-এর বিভিন্ন সিস্টেম
মোটর বাইক-এর বিভিন্ন সিস্টেম নিচে প্রদত্ত হলো :
১। রোটারি ভালভ সিস্টেম
২। ফুয়েল সিস্টেম
৩। ইঞ্জিন লুব্রিকেটিং সিস্টেম
৪। ক্লাচ সিস্টেম
৫। পাওয়ার ট্রান্সমিশন সিস্টেম
১। রোটারি ভালভ সিস্টেম :
টু-স্ট্রোক ইঞ্জিনে কোন ভাল্ভ থাকে না। ভালভের জায়গায় ছিদ্র বা পোর্ট থাকে। পিস্টনের গা দিয়ে পিস্টন ওঠা-নামাতে এই পোর্ট খোলে বা বন্ধ হয়।
২। ফুয়েল সিস্টেম :
বেশিরভাগ মোটরবাইকে ফুয়েল এ্যাভেটি পদ্ধতিতে ফুয়েল ট্যাংক থেকে ইঞ্জিন সিলিন্ডারে প্রবেশ করে। এ ক্ষেত্রে পাইপ দ্বারা কার্বুরেটরের ফ্লোট চেম্বারের সহিত ফুয়েল ট্যাংক যুক্ত থাকে ।
৩। ইঞ্জিন লুব্রিকেশন সিস্টেম
বেশিরভাগ টু হুইলারে স্বয়ংক্রিয় লুব্রিকেশন পদ্ধতি ব্যবহৃত হয়। এ ক্ষেত্রে প্রথমে পাম্প দ্বারা মবিল অয়েল ট্যাংক থেকে ওঠানো হয় অয়েল ফিল্টারে এবং দ্বিতীয় পাম্প দ্বারা ইঞ্জিন মেইন বিয়ারিং, বিগ এন্ড বিয়ারিং, টাইমিং গিয়ার ও রকার আর্মসহ বিভিন্ন চলমান সংযোগস্থলে পাঠানো হয় ।
৪। ক্লাচ সিস্টেম:
স্কুটার এবং মোটর সাইকেলে (মাল্টি ডিস্ক ওয়েট টাইপ) একাধিক চাকতি ক্লাচ ব্যবহৃত হয়। স্কুটার বা মোটরসাইকেলে একক বা সিঙ্গেল ডিস্ক প্লেট ক্লাচ ইঞ্জিন হইতে গিয়ার বক্সে পাওয়ার বহন (ট্রান্সমিট) করতে সক্ষম নয় ।
সেই জন্য মাল্টি প্লেট ক্লাচ ওয়েট টাইপ ক্লাচ ব্যবহৃত হয়। মাল্টি প্লেট ক্লাচে চারটি ডিস্ক প্লেট, চারিটি প্রেসার প্লেট, ক্লাচ হাব এবং স্প্রিং থাকে। যখন নিয়ন্ত্রণ লিভারকে (কন্ট্রোল লিভার) চালিত করা হয় তখন প্রেসার প্লেট, ক্লাচ ডিস্কে থাকা থেকে বিরত থাকে, সেই সময় (ফ্লাই হুইল) নিয়ামক চক্র থেকে গিয়ার বক্সের মাধ্যমে পিছনের চাকায় ইঞ্জিনের পাওয়ার বহন (ট্রান্সমিট) হয় না।
যখন ক্লাচ লিভারকে চালিত করা হয় না, সেই সময় ইঞ্জিনের পাওয়ার নিয়ামক চক্র (ফ্লাই হুইল) এবং গিয়ার বক্সের মাধ্যমে পশ্চাতের ঢাকায় বহন করে।
৫। পাওয়ার ট্রান্সমিশন সিস্টেম
ইঞ্জিনে যে পাওয়ার উৎপন্ন হয় তা ট্রান্সমিশন সিস্টেমের মাধ্যমে পশ্চাৎ এক্সেল গিয়ার এক্সেল শ্যাফটে পাঠায়। ট্রান্সমিশন সাধারণত দুই ধরনের হয় ১। চেইন ড্রাইভ ২। ডাইরেক্ট ড্রাইভ বেশির ভাগই মোটরসাইকেল ক্লাচ এসেম্বলি লাগানো থাকে গিয়ার শ্যাফটের উপর এবং ইঞ্জিনের পাওয়ার
ক্লাচের মাধ্যমে স্প্রোকেট চেইনের মাধ্যমে পাওয়ার প্রেরণ করা হয়। কিন্তু স্কুটারে ক্র্যাংক শ্যাফটের মাধ্যমে
পশ্চাতের ঢাকায় সোজাসুজি পাঠানো হয়।
প্রশ্নমালা- ২৮
অতি সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন :
১. মোটরবাইক বা টু হুইলার যানবাহন কী?
২. টু-স্ট্রোক মোটরবাইকে কী ধরনের ইঞ্জিন বসানো থাকে?
৩. টু-স্ট্রোক ইঞ্জিনে ভালভের জায়গায় কী থাকে?
৪. পিস্টন আপওয়ার্ড স্ট্রোকে কী কাজ করে?
সংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর :
১. মোটরবাইক বা টু হুইলার যানবাহন বলতে কী বোঝায় ?
২. টু-স্ট্রোক মোটরবাইক ইঞ্জিনের ধরন কেমন?
৩. টু-স্ট্রোক মোটরবাইক ইঞ্জিনের গঠন সংক্ষেপে বর্ণনা কর ।
৪. ফোর-স্ট্রোক মোটরবাইকের গঠন সংক্ষেপে বর্ণনা কর।
৫. মোটরবাইকের বিভিন্ন সিস্টেমের নাম লেখ ।
রচনামূলক প্রশ্ন :
১. মোটরবাইক বা টু হুইলার যানবাহন সম্পর্কে যা জানো লেখ ।
২. টু-স্ট্রোক মোটরবাইক ইঞ্জিনের ধরন বিবৃত কর।
৩. টু-স্ট্রোক মোটরবাইক ইঞ্জিনের কার্যাবলি সংক্ষেপে বর্ণনা কর।
৪. ফোর স্ট্রোক মোটরবাইকের কার্যাবলি সংক্ষেপে বর্ণনা কর ।।
৫. মোটরবাইকের বিভিন্ন সিস্টেম বর্ণনা দাও।
আরও দেখুন :
মোটর বাইক গ্যালারি: