ফিটিং কার্যক্রমের যন্ত্রপাতি – পাঠটি “অটোমোবিল ইঞ্জিনিয়ারিং” বিষয়ের “শীট মেটাল ফিটিং, ওয়েল্ডিং-ডেনটিং ও পেইন্টিং” পাঠের অংশ। ফিটিং কার্যক্রমে সাধারণ হস্তচালিত যন্ত্রপাতি ব্যবহার ছাড়াও অন্য যেসব বিশেষ বিশেষ যন্ত্রপাতি ব্যবহার করা হয় তার একটি তালিকা নিম্নে দেওয়া হল ।
ফিটিং কার্যক্রমের যন্ত্রপাতি
(ক) আউটসাইড মাইক্রোমিটার (Outside Micromter)
(খ) ইনসাইড মাইক্রোমিটার (Inside Micrometer)
(গ) টিউব মাইক্রোমিটার (Tube Micrometer)
(ঘ) পেপার মাইক্রোমিটার ( Paper Micrometer)
(ঙ) স্ক্রু-থ্রেড মাইক্রোমিটার (scrrew micrometer)
(চ) ভানিয়ার বিভেল ক্যালিপার (vernier Calliper)
(ছ) ভার্নিয়ার হাইট গেজ (Vernier height gauge)
(জ) ভার্নিয়ার বিভেল প্রটেকটর (vernier Bevel Protector)
(ঝ) ডায়াল গেজ (Dial gauge)
(ঞ) সিলিণ্ডার গেজ (cylinder gauge)
(ট) GIFT 15 (TOF (Dial sheet gauge)
(ঠ) (599) (167 (depth gauge)
(ড) ফীলার গেজ (Feeler gauge)
(ঢ) স্ক্রু পিচ গেজ (screw pitch gauge)
(ণ) রেডিয়াস বা ফিলেট গেজ (Radius or Fillet gauge)
(ত) ওয়্যার গেজ (Wire gauge),
(থ) সেন্টার গেজ (Centre gauge)
(দ) টেলিস্কোপিং গেজ (Telescoping ga gauge)
(ধ) লিমিট গেজ (Limit gauge)
(ন) প্লায়ার্স (Plairs)
(প) সেটিং হ্যামার (Setting hammer)
(ফ) রেইজিং হ্যামার (Raising hammer)
(ব) রিভেটিং হ্যামার (Riveting hammer)
(ভ) ব্লোয়ার (Blower)
(ম) হ্যাণ্ড ব্লোয়ার (Hand Blower)
(য) পোকার (Poker)
(র) স্প্রিঙ্কলার ( Sprinkler)
(ল) স্পেড (Sdade)
(শ) সেট হ্যামার (set hammer)
(স) সোল্ডারিং (soldering)।
সাধারণত একে ‘ঝালাই করা বলে। দুটি ধাতুখণ্ড একত্রে স্থায়ীভাবে জোড়া দেওয়ার যে সব পদ্ধতি আছে তার মধ্যে সোল্ডারিং একটি। এই পদ্ধতিতে সাধারণত পাতলা শীট জোড়া দেওয়া হয়।
নিয়ম:
যে দুটি ধাতুখণ্ড একত্রে জোড়া লাগানো প্রয়োজন তা ভালভাবে পরিষ্কার করতে হয়। তারপর তাতাল বা সোল্ডারিং আয়রন ব্লু-ল্যাম্প দ্বারা উত্তপ্ত করে সোল্ডার নামক বস্তুর সাহায্যে লাগানো হয়। সোল্ডার খুব কম তাপে গলে যায়। যে ধাতু ঝালাই করতে হয় সোল্ডার তার চেয়েও কম তাপে গলে যায়। তাতালের গরমে সোল্ডার গলে যায় এবং তাতালের সাহায্যে ঐ সোল্ডারকে জোড়ার স্থানে লাগানো হয়। ঠাণ্ডা হয়ে ঐ সোল্ডার দুই
ধাতুকে জোড়া লাগায়। রাং বা সোল্ডার সীসা ও টিন ধাতু মিশিয়ে তৈরী করা হয়। সাধারণ কাজে যে রাং বা সোল্ডার ব্যবহার করা হয় তাতে এক ভাগ সীসা এবং এক ভাগ টিন থাকে এবং ১৬০° সেলসিয়াস তাপমাত্রায় গলে যায়। টিনের কাজে যে রাং ব্যবহার করা হয় তা দুই ভাগ সীসা ও তিন ভাগ টিন মিশিয়ে তৈরী করা হয়। প্লাম্বারের কাজে যে রাং ব্যবহার করা হয় তাতে তিন ভাগ সীসা এবং এক ভাগ টিন ব্যবহার করা হয়। এটি ২৫০° সে: তাপমাত্রায় গলে যায়।
প্রকার :
সোল্ডারিং দুই প্রকার : যথা (ক) নরম বা কাঁচা ঝালাই (soft soldering) (খ) শক্ত বা পাকা ঝালাই (hard soldering) বা ব্রেজিং (brazing)। পাকা ঝালাই করার জন্য যে মিশ্রধাতু ব্যবহার করা হয় তাকে পাকা রাং বা স্পেল্টার (spelter) বলে।
পাকা ঝালাই কাজে পিতলের জন্য যে রাং ব্যবহার করা হয় তা তাম্র ৫০ ভাগ এবং জিঙ্ক ৫০ ভাগ মিশিয়ে তৈরী হয়। এর তাপমাত্রা ৮৭০° সেলসিয়াস। তাম্র ঝালাই করার জন্য যে রাং ব্যবহার করা হয় তাতে শতকরা ৬০ ভাগ তাম্র এবং ৪০ ভাগ জিঙ্কে মিশিয়ে তৈরী করা হয়। এর গলন তাপমাত্রা ৮৯০° সেলসিয়াস। স্টীল ঝালাই করার জন্য যে রাং ব্যবহার করা হয় বা ৫৫ ভাগ তামা এবং ৪৫ ভাগ জিঙ্ক মিশিয়ে তৈরী করা হয়। এর গলন তাপমাত্রা ৯১৫° সেলসিয়াস।
সিলভার বা রৌপ্য সোল্ডারিং :
রৌপ্যজাতীয় পদার্থ ঝালাই করার জন্য যে রাং ব্যবহার করা হয় তাকে রৌপ্য সোল্ডারিং বা সিলভার সোল্ডারিং বলে। ছয় ভাগ রৌপ্য, তিন ভাগ তাম্র এবং এক ভাগ জিঙ্ক মিশিয়ে এই রাং সোল্ডার তৈরী করা হয়। এর গলন তাপমাত্রা ৬৯০° সে: হতে ৭৫০° সে: হয়ে থাকে।
সোল্ডারিং কাজে যে ফ্যাক্স ব্যবহার করা হয় তা সোল্ডার অপেক্ষা কম তাপে গলে। ফ্ল্যাক্স ব্যবহার করলে জোড়া ভাল হয় এবং অক্সিডাইজড (oxidised) হওয়ার থেকে জোড়াকে রক্ষা করে থাকে। রেজিন (resin), বোরাক্স (broax), বা সোহাগ, সাল অ্যামোনিয়াক (sal-Ammoniac) বা নিশাদল, হাইড্রোক্লোরিক এসিড (hydrochloric acid), জিঙ্কক্লোরাইড সলিউশন (zincchloride solution) ইত্যাদি দ্রবণ ফ্ল্যাক্স হিসেবে ব্যবহৃত হয়। বৈদ্যুতিক কাজে এসিড ফ্যাক্স ব্যবহৃত হয় না। এতে ক্ষতি হয়। সে কারণে বৈদ্যুতিক ঝালাই কাজে ফ্যাক্স হিসেবে রেজিন (Resia) ব্যবহৃত হয় ।
টায়ার চক্র (Tyre Rotation) :
মোটরযানের টায়ার বিভিন্ন কারণে ক্ষয় হয়। যেমন ঘর্ষণের ফলে, টো–ইন, টো-আউট, কেস্টার, কেম্বার কোণের ফলে এবং কিংপিন ইনক্লিনেশনের ত্রুটির জন্য তা হতে পারে। এই ক্ষয় যাতে সব চাকায় সমভাবে হয় এবং
চাকার আয়ুষ্কাল বৃদ্ধি পায় তার জন্য টায়ারসমূহ তিনটি বিধিবদ্ধ নিয়ম মোতাবেক প্রায় ৫০০০ কিলোমিটার চলার পর বদল করে দিতে হয়। এই বদল কেমন করে করতে হয় তার একটি প্রতিবেদন ১৭.২৩ (ক)চিত্রে দেখানো হল।
আরও দেখুনঃ
- গ্যাস টারবাইন | বাষ্পীয় বয়লার বা জেনারেটর | অটোমোবিল ইঞ্জিনিয়ারিং
- জ্বালানি তেল | বাষ্পীয় বয়লার বা জেনারেটর | অটোমোবিল ইঞ্জিনিয়ারিং
- পেট্রোল পরিশোধন | বাষ্পীয় বয়লার বা জেনারেটর | অটোমোবিল ইঞ্জিনিয়ারিং
- আংশিক পাতন | বাষ্পীয় বয়লার বা জেনারেটর | অটোমোবিল ইঞ্জিনিয়ারিং
- ডিজেল ফুয়েলের গুণাবলী | বাষ্পীয় বয়লার বা জেনারেটর | অটোমোবিল ইঞ্জিনিয়ারিং
- মোটরগাড়ি শিল্প
1 thought on “ফিটিং কার্যক্রমের যন্ত্রপাতি”