মোটরযান এর প্রাথমিক বিষয়াদি মোটরযান আইন | মোটরযান -আইন, মোটর-যানের ব্যাপারে “সংযোজক” বা “এসেমরার” অর্থ প্রস্তুতকারক বা নির্মাণকারকের কর্তৃত্বসম্পন্ন এমন প্রতিষ্ঠান যেখানে মোটর-যানের বিভিন্ন অংশ সংযোজিত হয় এবং যেখানে প্রস্তুতকারক বা নির্মাণকারকের কর্তৃত্বাধীনে একটি বিশেষ ধরনের চেসিস উৎপাদন করা হয়, চেসিসের সহিত বডি সংযুক্ত করা হউক বা না হউক, এবং উক্ত প্রতিষ্ঠান সেই প্রস্তুতকারক বা নির্মাণকারকের অনুকূলে অন্য কোন কার্য সম্পাদন করুক বা না করুক।
মোটরযান এর প্রাথমিক বিষয়াদি | মোটরযান আইন
প্রথম অধ্যায়
ধারা-১। সংক্ষিপ্ত শিরোনাম ও প্রবর্তন :(১) এই আইন মোটর-যান (সংশোধনী) আইন, ১৯৮৮ নামে অভিহিত হইবে।
(২) ইহা ১২ই শ্রাবণ, ১৩৯৪ বাং মোতাবেক ২৯শে জুলাই, ১৯৮৭ ইং
তারিখ হইতে কার্যকর হইয়াছে বলিয়া গণ্য হইবে ।
(২ক) “বাস” বলিতে মিনিবাস এবং অমিনিবাস অন্তর্ভুক্ত হইবে।
ধারা-২। সংজ্ঞাসমূহ :
বিষয়বস্তু বা প্রসঙ্গে বিপরীত কিছু প্রতীয়মান না হইলে এই আইনে :
(১) মোটর-যানের ব্যাপারে “সংযোজক” বা “এসেমরার” অর্থ প্রস্তুতকারক বা নির্মাণকারকের কর্তৃত্বসম্পন্ন এমন প্রতিষ্ঠান যেখানে মোটর-যানের বিভিন্ন অংশ সংযোজিত হয় এবং যেখানে প্রস্তুতকারক বা নির্মাণকারকের কর্তৃত্বাধীনে একটি বিশেষ ধরনের চেসিস উৎপাদন করা হয়, চেসিসের সহিত বডি সংযুক্ত করা হউক বা না হউক, এবং উক্ত প্রতিষ্ঠান সেই প্রস্তুতকারক বা নির্মাণকারকের অনুকূলে অন্য কোন কার্য সম্পাদন করুক বা না করুক।
(১ক) “কর্তৃপক্ষ” বলিতে ২-ক ধারা অনুযায়ী বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ বুঝাইবে।
(২) কোন গাড়ির এক্সেল-সংক্রান্ত ব্যাপারে “এক্সেল ওজন” অর্থ গাড়িটি যে সমতলে অবস্থান করে, গাড়িটির এক্সেলের সহিত সংযুক্ত কতিপয় চাকার ভরে সেই সমতলের উপর নিপতিত মোট ওজন
(২ক) ‘বাস’ বলিতে মিনিবাস, মাইক্রোবাস এবং অমিনি বাসকে বুঝাইবে ।
(৩) রেজিস্ট্রেশন সার্টিফিকেট” অর্থ এই আইনের চতুর্থ অধ্যায়ের বিধান অনুসারে মোটর-যান রেজিস্ট্রিকৃত হইয়াছে এই মর্মে যথোপযুক্ত কর্তৃপক্ষের প্রদত্ত সার্টিফিকেট।
(8) কোন যাত্রীবাহী মোটর-যান প্রসঙ্গে “” অর্থ যাত্রীদের নিকট হইতে ভাড়া আদায় করা, তাহাদের গাড়িতে ওঠা ও গাড়ি হইতে নামা নিয়ন্ত্রণ করা ও অন্যান্য নির্ধারিত কর্তব্য সম্পাদনে নিয়োজিত ব্যক্তি।
(৫) “কন্ডাক্টরের লাইসেন্স” অর্থ এই আইনের দ্বিতীয় অধ্যায়ের বিধান অনুসারে নির্দিষ্ট ব্যক্তিকে কন্ডাক্টর হিসাবে কাজ করিবার কর্তৃত্বদান করিয়া যথোপযুক্ত কর্তৃপক্ষের প্রদত্ত দলিল।
(৬) “চুক্তিবদ্ধ যানবাহন” অর্থ এমন মোটর-যান যাহা ব্যক্ত বা অব্যক্ত চুক্তি অনুসারে নির্ধারিত হারে বা চুক্তি মোতাবেক ভাড়া বা পারিতোষিকের বিনিময়ে নিম্নরূপ শর্তে সমগ্র যানবাহনটি ব্যবহৃত হইতে দেয় বা যাত্রী বহন করে :
(1) কোন নির্দিষ্ট পথ বা দূরত্বের জন্য হউক বা না হউক সময়ের ভিত্তিতে,
অথবা
(II) একটি নির্দিষ্ট স্থান হইতে অন্য একটি স্থান পর্যন্ত, অথবা
(III) উভয় ক্ষেত্রেই চুক্তিবহির্ভূত যাত্রীদিগকে পথিমধ্যে গাড়িতে উঠাইবার বা গাড়ি হইতে নামাইবার জন্য না থামিয়া; উক্ত চুক্তিবহির্ভূত যাত্রীগণ স্বতন্ত্র ভাড়া দিলেও উক্ত উদ্দেশ্যে গাড়িটি পথিমধ্যে থামিবে না। একটি মোটর-ক্যাবও এই সংজ্ঞাভুক্ত।
(৭) “বাক” কথাটি দ্বারা রাস্তার সীমারেখাও বুঝায়, তাহা ফলক প্রস্তাব দ্বারা চিহ্নিত করা হউক বা না হউক।
(৮) মোটর-যান প্রসঙ্গে “ব্যবসায়ী” অর্থ প্রস্তুতকারক, নির্মাতা সংযোজকের কর্তৃত্বপ্রাপ্ত এজেন্ট বা সংস্থান যাহারা মোটর-যান বা উহার খুচরা অংশসমূহের ব্যবসায় করে এবং প্রস্তুতকারক, নির্মাতা বা সংযোজকের অনুকূলে অন্য যেকোন কার্যাদি সম্পন্ন করে।
(৯) “চালক” বা “ড্রাইভার” কথাটির মধ্যে যে ব্যক্তি গাড়িটি চালাইবার কার্যে নিযুক্ত থাকে সেই ব্যক্তি এবং যেক্ষেত্রে কোন ভিন্ন ব্যক্তি গাড়ির নিয়ন্ত্রক হিসাবে কাজ করে সে ব্যক্তিও অন্তর্ভুক্ত।
(১০) “ড্রাইভিং লাইসেন্স” অর্থ নির্দিষ্ট কোন একটি মোটর-যান যা কোন নির্দিষ্ট শ্রেণীর মোটর-যান চালাইবার জন্য কোন নির্দিষ্ট ব্যক্তিকে কর্তৃত্ব প্রদান করিয়া কোন উপযুক্ত কর্তৃপক্ষের দ্বারা প্রদত্ত দলিল।
(১১) “এক্সপ্রেস যানবাহন” অর্থ এমন একটি মোটর-যান যাহা ভাড়া বা পারিতোষিকের বিনিময়ে যাত্রী বহনের জন্য ব্যবহৃত হয় বা যাত্রী বহনের উপযোগী করিয়া রাখা হয় এবং প্রত্যেক যাত্রীর জন্য পৃথকভাবে কমপক্ষে কুড়ি মাইলের জন্য ভাড়া লওয়া হয়। এইরূপ গাড়ি থামিবার একটি স্থান হইতে কুড়ি মাইলের কম দূরবর্তী কোন স্থানে যাত্রী উঠাইবার জন্য থামিবে না, অবশ্য যদি যানবাহন কমিটি অন্যরূপ বিধান না করে।
(১২) “ভাড়া” বলিতে সিজন-টিকিট বাবদ বা চুক্তিবদ্ধ যানবাহনের ভাড়া বাবদ প্রদানযোগ্য অর্থও বুঝাইবে।
(১৩) “মালপত্র” বলিতে জীবিত মানুষ ব্যতীত জীব-জন্তু এবং (সাধারণত যানবাহনের সহিত ব্যবহৃত সরঞ্জামাদি ব্যতীত) যাহা কিছু একটি যানবাহনে বহন করা হয় সেইগুলি সমস্তই বুঝাইবে, কিন্তু কোন মোটর গাড়িতে বা মোটর গাড়ির সহিত সংযুক্ত ট্রলারে বাহিত ব্যক্তিগত গটিরী বোঝা বা ব্যক্তিগত ব্যবহার্য জিনিসপত্র এবং যাত্রীবাহী গাড়িতে ভ্রমণরত যাত্রীদের অনুরূপ পাটরী-বোঝা বুঝাইবে না ।
(১৪) “মালবাহী যানবাহন” অর্থ যে মোটরযান মালপত্র বহনের জন্য নির্মাণ বা প্রস্তুত করা হয়, অথবা যে মোটরযান উক্তরূপে নির্মাণ বা প্রস্তুত করা হয় নাই, কিন্তু কেবলমাত্র মাল বহনের জন্য বা যাত্রী এবং তৎসহ মালপত্র বহনের জন্য। ব্যবহৃত হয়।
(১৫) “ভারী মোটরযান” অর্থ এমন এমন একটি যাত্রী বা মালবাহী যানবাহন বোঝাই অবস্থায় যাহার রেজিস্ট্রিকৃত ওজন ১৪,৫০০ পাউন্ডের অধিক, অথবা এমন একটি মোটর গাড়ি, ট্রাক্টর, রোড রোলার বা লোকোমটিভ, বোঝাইবিহীন অবস্থায় বাহার ওজন ১৪,৫০০ পাউন্ডের অধিক।
(১৫ক) পরিবহনযান প্রসংগে “হেলপার-কাম-ক্লিনার” অর্থ চালক বা কন্ডাক্টরকে তাহার কার্য সম্পাদনে সহায়তাকল্পে এবং মোটরযান সাফ করিবার জন্য কোন ব্যক্তিকে বুঝাইবে।
(১৬) “ছেদ-বিন্দু” (ইন্টারসেকশন) বলিতে সর্বসাধারণের ব্যবহার্য দুইটি বা ততোধিক রাস্তা যেখানে পরস্পরকে ছেদ করিয়াছে সেখানে দাগ কাটিয়া সীমাবদ্ধ করা স্থানকেও বুঝায়।
(১৭) “পঙ্গুলোকের বহন” অর্থ এমন একটি মোটরযান, বোঝাই না করা অবস্থায় যাহার ওজন পাঁচ হন্দরের অধিক নহে এবং যাহা একজন দৈহিক বিকলাঙ্গ বা পঙ্গু ব্যক্তির ব্যবহারের জন্য বিশেষভাবে পরিকল্পিত ও নির্মিত হইয়াছে এবং কেবলমাত্র অনুরূপ ব্যক্তি বা অনুরূপ ব্যক্তির জন্যই ব্যবহৃত হয়।
(১৮) “লাইসেন্স কর্তৃপক্ষ” বলিতে অত্র অধ্যাদেশের অধীনে প্রণীত প্রবিধানমালায় বিনির্দিষ্ট লাইসেন্স মঞ্জুরকারী কোন অফিসার অথবা কর্তৃপক্ষকে বুঝাইবে ।
(১৯) “হাল্কা মোটরযান” অর্থ এমন একটি যাত্রীবাহী বা মালবাহী মোটরযান বোঝাই অবস্থায় যাহার রেজিস্ট্রিকৃত ওজন ৬,০০০ হাজার পাউন্ডের অধিক নহে, অথবা এমন একটি মোটর গাড়ি বা ট্রাক্টর, বোঝাই না করা অবস্থায় যাহার ওজন ৬,০০০ পাউন্ডের অধিক নয়।
(২০) “লোকোমটিভ” অর্থ এমন একটি মোটরযান, যাহা (ঢাকা ঘুরাইবার জন্য প্রয়োজনীয় সরঞ্জামাদি ছাড়া) কোন বোঝা বহনের জন্য নির্মিত হয় নাই, এবং বোঝাই না করা অবস্থায় যাহার ওজন ১৬,০০০ পাউন্ডের অধিক; কিন্তু রোডরোলার এই সংজ্ঞার অন্তর্ভুক্ত নহে।
(২১) মোটরযান প্রসঙ্গে “প্রস্তুতকারক বা নির্মাতা” অর্থ এমন কোন প্রতিষ্ঠান যেখানে মোটরযানের কোন একটি একাধিক প্রধান অংশ বা সকল অংশ নির্মিত হয় এবং কোন নির্দিষ্ট একটি মার্কাযুক্ত মোটরযানের সম্পূর্ণ চেসিস নির্মিত হয়, তাহাতে বডি সংযুক্ত করা হউক বা না হউক, এবং যেক্ষেত্রে সেই প্রতিষ্ঠান উহার নির্মিত পণ্যের সকল অধিকার সংরক্ষিত রাখে।
(২২) “মাঝারী মোটরযান” অর্থ এমন একটি মোটরযান যাহা মোটর সাইকেল, পঙ্গুলোকের বাহন, হালকা মোটরযান অথবা রোডরোলার নহে।
(২২ক) “মাইক্রোবাস” বলিতে যাহা চালক ব্যতীত অন্যূন আটজন এবং অনধিক পনেরজন যাত্রী বহনের জন্য নির্মিত প্রস্তুতকৃত অথবা ব্যবহৃত এমন কোন মোটরযানকে বুঝাইবে।
(২৩) “মিনিবাস” অর্থ এমন একটি মোটরযান যাহা ড্রাইভার ব্যতীত অনধিক ত্রিশজন লোক বহনের উপযোগী করিয়া নির্মিত, প্রস্তুত বা ব্যবহৃত হয়।
(২৪) “মোটর-ক্যাব” অর্থ এমন একটি মোটরযান যাহা ভাড়া বা পারি– তোষিকের বিনিময়ে ড্রাইভার ব্যতীত অনধিক ছয় জন লোক বহনের উপযোগী করিয়া নির্মিত, প্রস্তুত বা ব্যবহৃত হয়
(২৫) “মোটর কার” অর্থ এমন একটি মোটরযান যাহা পরিবহনযান, লোকোমটিভ, রোড রোলার, ট্রাক্টর, মোটর সাইকেল, মিনিবাস অথবা পঙ্গুলোকের বাহন নয়।
(২৬) “মোটর সাইকেল” অর্থ দুই চাকাবিশিষ্ট এমন একটি মোটরযান, বোঝাইবিহীন অবস্থায় যাহার ওজন একটি অতিরিক্ত চাকা সংযুক্ত এবং মোটরযানের সহিত সংযুক্ত করিবার উপযোগী সাইড কারের বোঝাইবিহীন অবস্থায় ওজনসহ ১,২০০ পাউন্ডের অধিক নয় ।
(২৭) “মোটরযান” অর্থ কোন যন্ত্রচালিত যান যাহা রাস্তায় ব্যবহারের জন্য প্রস্তুত করা হয় এবং যাহার চালিকাশক্তি কোন বাহিরের বা ভিতরের উৎস হইতে সরবরাহ হইয়া থাকে, যাহার সহিত বডি সংযুক্ত হয় নাই এমন চেসিস এবং ট্রলারও এই সংজ্ঞার অন্তর্গত; কিন্তু সংস্থাপিত রেলের উপর চলাচল করে বা কেবলমাত্র মালিকের প্রাঙ্গণে ব্যবহৃত হয় এমন কোন যান এই সংজ্ঞাভুক্ত হইবে না।
(২৮) “অপেশাদার ড্রাইভার” অর্থ এমন একজন ড্রাইভার যে কাহারও বেতনভোগী কর্মচারী না হইয়া কোন হালকা মোটরযান চালায়, অথবা পরিবহন যান ভিন্ন অন্যান্য ধরনের মোটরযান চালায়।
(২৯) “অপেশাদারী ড্রাইভিং লাইসেন্স” অর্থ এমন একটি ড্রাইভিং লাইসেন্স যাহা কাহারও বেতনভোগী কর্মচারী না হইয়া কোন হালকা মোটরযান চালাইবার অথবা পরিবহনযান ভিন্ন অন্যান্য ধরনের মোটরযান চালাইবার কর্তৃত্বদান করিয়া কোন উপযুক্ত কর্তৃপক্ষ দ্বারা নির্দিষ্ট কোন ব্যক্তিকে প্রদত্ত হয় ।
(৩০) “মিনিবাস” অর্থ এমন কোন মোটরধান সাহা ড্রাইভার ব্যতীত ত্রিশজনের অধিক লোক বহনের জন্য নির্মিত, প্রস্তুত বা ব্যবহার করা হয়।
(৩১) “একমুখী যানবাহন চলাচল” অর্থ যানবাহনসমূহকে কোন রাস্তা একদিকে চলিবার জন্য নিয়ন্ত্রণ করা।
(৩২) “মালিক” বলিতে কোন মোটরযান যে ব্যক্তির দখলে আছে সে নাবালক হইলে তাহার অভিভাবককেও বুঝাইবে, এবং যে মোটরযান কিস্তিতে মূল্য পরিশোধের চুক্তির অধীনে ক্রয় করা হইয়াছে, সেইক্ষেত্রে চুক্তি অনুসারে উক্ত মোটরযান যে ব্যক্তির দখলে আছে তাহাকে এবং পাওয়ার অব এটনীপ্রাপ্ত ব্যক্তিকেও বুঝাইবে।
(৩৩) “পার্কিং এলাকা” অর্থ উপযুক্ত কর্তৃপক্ষ দ্বারা নির্ধারিত এমন স্থানসমূহ যেখানে অনির্দিষ্টকালের জন্য বা কোন নির্দিষ্ট সময়ের জন্য মোটরযান দাঁড়াইয়া থাকিতে পারে।
(৩৪) “পথচারী” অর্থ এমন সকল লোক যাহারা সর্বসাধারণের ব্যবহার্য সড়ক বা জনপথে পায়ে হাঁটিয়া চলে।
(৩৫) “পথচারী পারাপার” বলিতে সর্বসাধারণের ব্যবহার্য রাস্তার সেই অংশ বুঝায় যাহা পথচারীদের রাস্তা পার হইবার জন্য উপযুক্তরূপে চিহ্নিত করিয়া দেওয়া হয় এবং যেইস্থানে একাধিক রাস্তা পরস্পরকে অতিক্রম করিয়াছে তাহার পার্শ্ববর্তী পায়ে চলিবার স্থানেও ইহার অন্তর্ভুক্ত।
(৩৬) “পারমিট” অর্থ এমন একটি দলিল যাহা কোন পরিবহনযান দ্রুতগামী যানবাহন, চুক্তিবদ্ধ যানবাহন বা সাধারণ যানবাহন হিসাবে ব্যবহার করিবার ক্ষমতা দিয়া কোন উপযুক্ত কর্তৃপক্ষ দ্বারা প্রদত্ত হয় অথবা সেই যানবাহনের মালিককে উক্ত যানবাহন ব্যক্তিগত যানবাহন হিসাবে বা সর্বসাধারণের ব্যবহার্য যানবাহন হিসাবে ব্যবহারের কর্তৃত্ব দিয়া প্রদত্ত হয়।
(৩৭) “নির্ধারিত” অর্থ এই অধ্যাদেশ অনুসারে প্রণীত প্রবিধানমালা দ্বারা নির্ধারিত।
(৩৮) “প্রাইভেট কেরিয়ার” অর্থ এমন একটি পরিবহনযানের মালিক যাহা সর্বসাধারণের পরিবহনযান নহে এবং যে মালিক কেবল এমন মালপত্র বহনের জন্য যানবাহনটি ব্যবহার করে যাহা তাহার নিজ সম্পত্তি, অথবা এমন যানবাহনের মালিক যাহা তাহার এমন ব্যবসার উদ্দেশ্যে প্রয়োজন যাহা পরিবহন ব্যবসায় নহে, অথবা যে ৫১ ধারার (২) উপধারায় নির্দিষ্ট কোন উদ্দেশ্যে যানবাহনটি ব্যবহার করে।
(৩৯) “প্রাইভেট সার্ভিস যান” অর্থ এমন কোন মোটরযান যাহা ড্রাইভার ব্যতীত আটজনের অধিক লোক বহনের জন্য নির্মিত বা প্রস্তুত এবং যাহা মালিকের পক্ষ হইতে তাহার ব্যবসায় সম্পর্কিত কাজে এবং বিনা ভাড়ায় লোক বহনের জন্য ব্যবহৃত হয়, কিন্তু এমন কোন মোটরযান এই সংজ্ঞাভুক্ত নহে যাহা কোন ব্যবসায় প্রতিষ্ঠানের সহিত সম্পর্ক নাই এমন কেবলমাত্র এমন সরকারী প্রয়োজনে ব্যবহৃত হয়।
(৪০) পেশাদার ড্রাইভার” অর্থ এমন একজন ড্রাইভার যে বেতনভোগী কর্মচারী হিসাবে কোন পরিবহনযান, বা ভারী মোটরযান, বা মাঝারী মোটরযান অথবা যে কোন মোটরযান চালাইয়া থাকে।
(৪১) “পেশাদারী ড্রাইভিং লাইসেন্স” অর্থ বেতনভোগী কর্মচারী হিসাবে কোন পরিবহনযান বা ভারী মোটরযান বা মাঝারী মোটরযান অথবা যে কোন গাড়ি চালাইবার কর্তৃত্বদান করিয়া উপযুক্ত কর্তৃপক্ষ দ্বারা নির্দিষ্ট ব্যক্তিকে প্রদত্ত লাইসেন্স।
(৪২) “পাবলিক কেরিয়ার” অর্থ এমন একটি পরিবহনযানের মালিক যে ভাড়া বা পারিতোষিকের বিনিময়ে যেকোন সময় সর্বসাধারণের ব্যবহার্য যেকোন স্থানে কোন চুক্তির শর্ত অনুযায়ী বা অন্যভাবে অপর কোন ব্যক্তির কোন মালপত্র বা কোন শ্রেণীর মালপত্র বহন করে বা বহনের দায়িত্ব গ্রহণ করে; যে ব্যক্তি বা ব্যক্তিসমষ্টি বা সমিতি বা কোম্পানি এমন অপর ব্যক্তিবৃন্দের মাল পরিবহনে নিয়োজিত যে ব্যক্তিগণ উপরোক্ত ব্যক্তি, ব্যক্তিসমষ্টি, সমিতি বা কোম্পানির মালপত্র পরিবহনের সহিত সম্পৃক্ত, তাহারাও এই সংজ্ঞাভুক্ত।
(৪৩) “সর্বসাধারণের ব্যবহার্য স্থান” অর্থ কোন সড়ক, রাজপথ বা অন্য কোন স্থান, তাহা সর্বসাধারণের চলাচলের জন্য নিযুক্ত হউক বা না হউক, সেখানে সর্বসাধারণের প্রবেশাধিকার আছে, এবং এমন কোন স্থান বা গাড়ি থামিবার স্থান যেখানে যাত্রীবাহী গাড়ির যাত্রী আরোহণ বা অবরোহণ করে, তাহাও এই সংজ্ঞাভুক্ত ।
(৪৪) “পাবলিক সার্ভিস যান” অর্থ এমন কোন মোটরযান যাহা ভাড়া বা পারিতোষিকের বিনিময়ে যাত্রী বহনের জন্য ব্যবহৃত হয় বা ব্যবহারের জন্য প্রস্তুত করা হয়, এবং মোটর-ক্যাব, চুক্তিবদ্ধ যানবাহন, জরুরী যানবাহন, স্টেজযুক্ত যানবাহন এবং মোটর-ক্যাব রিকশাও এই সংজ্ঞাভুক্ত।
(৪৫) কোন গাড়ির প্রসঙ্গে “রেজিস্ট্রিকৃত এক্সেল ওজন” অর্থ এমন এক্সেল ওজন যাহা সেই এক্সেলের জন্য অনুমোদনযোগ্য হিসাবে রেজিস্ট্রিকারী কর্তৃপক্ষ দ্বারা সার্টিফিকেটপ্রাপ্ত ও রেজিস্ট্রিকৃত।
(৪৬) কোন গাড়ির প্রসঙ্গে “রেজিস্ট্রিকৃত বোঝাই অবস্থার ওজন” অর্থ সেই গাড়ির জন্য অনুমোদনযোগ্য গাড়ি ও বোঝার মোট ওজন যাহা রেজিস্ট্রিকারী কর্তৃপক্ষ দ্বারা সার্টিফিকেটপ্রাপ্ত ও রেজিস্ট্রিকৃত।
(৪৭) “নিবন্ধন কর্তৃপক্ষ” বলিতে চতুর্থ পরিচ্ছেদের অধীনে প্রবিধানমালায় বিনির্দিষ্ট মোটরযান রেজিস্ট্রিকরণের নিমিত্ত কোন অফিসার অথবা কর্তৃপক্ষকে বুঝায় ।
(৪৮) “রুট” অর্থ কোন একটি মোটরযান উহার চলাচল পথের একপ্রান্ত হইতে অপরপ্রান্ত পর্যন্ত চলিবার সময় যে নির্দিষ্ট জনপথ অতিক্রম করে।
(৪৯) “নিরাপদ এলাকা” অর্থ কেবলমাত্র পথচারীদের চলাচলের জন্য রাস্তার যে অংশ বিশেষভাবে সংরক্ষিত করা হয় যেন যাহা বিজ্ঞপ্তির চিহ্ন দ্বারা এমনভাবে চিহ্নিত করিয়া রাখা হয় এবং সর্বদাই সহজে দৃষ্টিগোচর হয়।
(৫০) “নীরব এলাকা” অর্থ উপযুক্ত কর্তৃপক্ষ দ্বারা বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে শব্দ সংকেতের ব্যবহার কড়াকড়িভাবে নিষিদ্ধ বলিয়া ঘোষিত এলাকা বা স্থান ।
(৫১) “স্টেজ ক্যারেজ” অর্থ এমন মোটরযান যাহা ড্রাইভার ব্যতীত ছয়জনের অধিক লোক বহনের উপযোগী করিয়া নির্মিত বা প্রস্তুত করা হয় এবং যাহা প্রত্যেক যাত্রীর নিকট হইতে স্বতন্ত্রভাবে সমগ্র যাত্রাপথের জন্য বা পথের কোন পর্যায় পর্যন্ত ভাড়া বা পারিতোষিকের বিনিময়ে যাত্রী বহন করে।
(৫২) “ট্রাক্টর” অর্থ এমন মোটরযান যাহা (উহার যন্ত্র পরিচালনের জন্য ব্যবহৃত সরঞ্জাম ব্যতীত) কোন ভাড়া বহনের জন্য নির্মিত নয়; কিন্তু রোড রোলার এই সংজ্ঞার বহির্ভূত।
(৫৩) “ট্রাফিক সাইন” বলিতে মোটরযানসমূহের ড্রাইভারদের অবগতি, পরিচালনা ও নির্দেশনার জন্য ব্যবহৃত সকল প্রকার সংকেত সতর্কতামূলক নির্দেশসংযুক্ত খুঁটি, নির্দেশিকা-সংযুক্ত খুঁটি এবং অন্যান্য কৌশলাদিও বুঝাইবে।
(৫৪) “ট্রেলার” অর্থ সাইড-কার ব্যতীত অন্য যেকোন প্রকার যানবাহন যাহা একটি মোটরযান দ্বারা টানিয়া লওয়া হয় বা টানিয়া লইবার উদ্দেশ্যে নির্মিত হয়।
(৫৫) “পর্যটন যান” অর্থ এমন একটি চুক্তিবদ্ধ যানবাহন, মোটর-ক্যাব, মোটর কার বা বাস যাহা সরকার কর্তৃক সরকারী গেজেটে বিজ্ঞপ্তি প্রচারের মাধ্যমে নির্দেশিত নিয়মানুসারে নির্মিত বা প্রস্তুত করা হয় এবং সজ্জিত, রক্ষিত ও চালিত হয়, অথবা যে যানবাহনের জন্য এই মর্মে পারমিট মঞ্জুর করা হয় যে উহা একটি পর্যটনযান।
(৫৬) “পরিবহন কমিটি” অর্থ এই অধ্যাদেশের ৫৪ ধারা অনুসারে গঠিত কোন যানবাহন কমিটি।
(৫৭) “পরিবহনযান” অর্থ সর্বসাধারণের ব্যবহার্য যান, ব্যক্তিগত ব্যবহার্য যান, পর্যটনযান, মালবাহীযান, বাস এবং কেবলমাত্র কৃষিকার্যে ব্যবহৃত লোকোমটিভ বা ট্রাক্টর ভিন্ন অন্যান্য প্রকার লোকোমটিভ ও ট্রাক্টর।
(৫৮) “বোঝাইবিহীন অবস্থায় ওজন” অর্থ একটি যানবাহন বা ট্রলারের এমন ওজন, সেই যানবাহন বা ট্রলার কার্যরত থাকা অবস্থায় উহার সহিত যে সকল ব্যবহৃত হয় সেগুলির ওজন যাহার অন্তর্ভুক্ত কিন্তু ড্রাইভার বা পরিচালকের ওজন যাহার বহির্ভূত; এবং যেইক্ষেত্রে বিকল্প খুচরা অংশ বা বঙি ব্যবহৃত হয় সেইক্ষেত্রে যানবাহনটির বোঝাইবিহীন অবস্থায় ওজন অর্থ উহার সর্বাধিক ভারী বিকল্প খুচরা অংশ বা বডিসহ ওজন ।
(৫৯) “ওজন” অর্থ একটি যানবাহন কোন সমতলে অবস্থানকালে যানবাহনটির চাকাগুলি দ্বারা সর্বমোট যে ওজন সেই সমতলে নিপতিত হয়। (৬০) “শ্রমিক” বলিতে চালক, কন্ডাক্টর এবং হেলপার-কাম-ক্লিনারকে বুঝাইবে।
আরও দেখুন:
- এককের বিভিন্ন পদ্ধতি | মেট্রিক পদ্ধতি | অটোমোবিল ইঞ্জিনিয়ারিং
- মোটরযান- আইন | সূচিপত্র
- অটোমোবিল ইঞ্জিনিয়ারিং | সূচিপত্র
- গাড়ি কেনার আগে যা ভাবতে হবে
- গাড়ি বিক্রয় চুক্তিনামা [ Car Sales Deed, Agreement ]
- মোটরগাড়ি শিল্প
7 thoughts on “মোটরযান এর প্রাথমিক বিষয়াদি | মোটরযান আইন”