পজেটিভ ও নেগেটিভ টার্মিনাল চেনার উপায় নিয়ে আজকের আলোচনা। এই পাঠটি “অটোমোবিল ইঞ্জিনিয়ারিং” বিষয়ের “বৈদ্যুতিক পদ্ধতি” বিভাগের একটি পাঠ।
পজেটিভ ও নেগেটিভ টার্মিনাল চেনার উপায়
ব্যাটারীতে নেগেটিভ (-) এবং পজেটিভ (+) এই দুই ধরনের টার্মিনাল থাকে। পজেটিভ টার্মিনাল পোস্ট দেখতে কিছুটা মোটা হয়ে থাকে। অনেক সময় লাল রং দ্বারা ক্রস চিহ্ন দেওয়া হয়। আবার কখনও কখনও যোগ (+) চিহ্ন দেওয়া থাকে। লিটমাস পেপার দ্বারা পরীক্ষা করে পজেটিভ টার্মিনাল বের করা যায়। লিটমাস পেপার পজেটিভ টার্মিনালের উপর ধরলে রঙের পরিবর্তন হবে কিন্তু নেগেটিভ টার্মিনালের ক্ষেত্রে তা হবে না।
নেগেটিভ ও পজেটিভ টার্মিনাল থেকে দুইটি তার একটি পানি ভর্তি গ্লাসে ২”-৩” ব্যবধানে ডুবিয়ে রাখলে কিছুক্ষণ পরে দেখা যাবে যে নেগেটিভ তারটি থেকে বুদবুদ বের হচ্ছে। বুদবুদ বের হতে দেরী হলে পানিতে একটু লবণ মিশ্রিত করলেই দ্রুত বুদবুদ বের হবে।
ভেন্ট প্লাগে ছিদ্র থাকার প্রয়োজনীয়তা
ব্যাটারীতে প্রতিটি সেলে একটি করে ভেন্ট প্লাগ থাকে। এই ভেন্ট প্লাগসমূহের প্রতিটিতে একটি করে ছিদ্র থাকে। ব্যাটারী যখন চার্জ হয় তখন ব্যাটারীর মধ্যে একটি ক্ষতিকারক গ্যাসের সৃষ্টি হয়। এই গ্যাস ভেন্ট প্লাগের ছিদ্র পথে বের হয়ে যায়। সবসময় এই ভেন্ট প্লাগের ছিদ্রগুলি পরিষ্কার রাখতে হয়
৬ ভোল্টের দুইটি ব্যাটারীর সিরিজ ও সমান্তরাল সংযোগ
- (ক) ৬ ভোল্টের দুইটি ব্যাটারী সিরিজ কানেকশনে ১২ ভোল্ট হয়।
- (খ) ব্যাটারী সিরিজে কানেকশন দিলে ভোল্ট বাড়ে। অ্যাম্পেয়ার ঠিক থাকে।
- (গ) ব্যাটারী সমান্তরাল সংযোগ করলে ভোল্ট ঠিক থাকে। অ্যাম্পেয়ার বেড়ে যায়।
- (ঘ) নেগেটিভ ও পজেটিভ টার্মিনাল সংযোগ করলে সিরিজ সংযোজন হয়।
- (ঙ) পজেটিভ টার্মিনাল ও পজেটিভ টার্মিনাল অথবা নেগেটিভ টার্মিনাল ও নেগেটিভ টার্মিনাল সংযোগ করলে সমান্তরাল সংযোজন হয়।
আরও দেখুনঃ
- এককের বিভিন্ন পদ্ধতি | মেট্রিক পদ্ধতি
- হাইড্রলিক ব্রেকের যন্ত্র পরিচিতি
- ডুয়েল অথবা স্প্লিট ব্রেকিং পদ্ধতি
- মাস্টার সিলিন্ডার খোলা এবং লাগানো
- হুইল সিলিন্ডার লাগানোর নিয়ম
- মোটরগাড়ি শিল্প
3 thoughts on “পজেটিভ ও নেগেটিভ টার্মিনাল চেনার উপায়”