দামি গাড়ি আরও দামি : বৃহস্পতিবার বিকাল ৩টায় জাতীয় সংসদে ২০২২-’২৩ অর্থবছরের জন্য ৬ লাখ ৭৮ হাজার ৬৪ কোটি টাকার প্রস্তাবিত বাজেট উত্থাপন শুরু করেন অর্থমন্ত্রী।
প্রস্তাবিত বাজেটে ২০০১ সিসি থেকে ৩০০০ সিসি পর্যন্ত গাড়ির সম্পূরক শুল্ক ২০০ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ২৫০ শতাংশ করা হয়েছে। ৩০০১ সিসি থেকে ৪০০০ সিসি পর্যন্ত গাড়ির সম্পূরক শুল্ক ৩৫০ শতাংশ থেকে ৫০০ শতাংশ করা হয়েছে। তবে ৪০০০ সিসি এর ঊর্ধ্বের গাড়ির সম্পূরক শুল্ক আগের মতোই অর্থাৎ ৫০০ শতাংশই রাখা হয়েছে।
[ দামি গাড়ি আরও দামি ]
দেশে এনে যেসব গাড়ি সংযোজন করা হয় বাড়তে পারে সেসব গাড়ির দামও। এসব সংযোজিত ২০০১ সিসি থেকে ৩০০০ সিসি পর্যন্ত গাড়ির সম্পূরক শুল্ক ১০০ থেকে বাড়িয়ে ১৫০ শতাংশ করা হয়েছে। ৩০০১ সিসি থেকে ৪০০০ সিসি পর্যন্ত গাড়ির সম্পূরক শুল্ক বাড়ানো হয়েছে ৫০ শতাংশ। আগের ৩০০ শতাংশ থেকে এটি বেড়ে হয়েছে ৩৫০ শতাংশ। ৪০০০ সিসি এর ঊর্ধ্বে এ ধরনের গাড়ির সম্পূরক শুল্কও বাড়ানো হয়েছে ১৫০ শতাংশ। এ ক্ষেত্রে সম্পূরক শুল্ক ৩৫০ থেকে ৫০০ শতাংশ করা হয়েছে।
“মধ্যবিত্তরা যে সব গাড়ি ব্যবহার করেন, অর্থাৎ ১৫০০ সিসি থেকে ২০০০ সিসি পর্যন্ত, সেসব গাড়ির শুল্ক অপরিবর্তিত রাখার প্রস্তাব করা হয়েছে প্রস্তাবিত বাজেটে। শুল্ক বাড়বে ২০০১ সিসি থেকে ৩০০০ সিসি এবং ৩০০১ থেকে ৪০০০ সিসি পর্যন্ত গাড়ির, যেগুলোর দাম কোটি টাকার উপরে।“
হাইব্রিড গাড়ির সম্পূরক শুল্কও বেড়েছে। এর মধ্যে ২০০১ সিসি থেকে ২৫০০ সিসি পর্যন্ত হাইব্রিড গাড়ির শুল্ক ৪৫ থেকে ৬০ শতাংশ করা হয়েছে। ২৫০১ সিসি থেকে ৩০০০ সিসি পর্যন্ত গাড়ির সম্পূরক শুল্ক ৬০ থেকে বেড়ে হয়েছে ১০০ শতাংশ। ৩০০১ সিসি থেকে ৪০০০ সিসি পর্যন্ত গাড়ির সম্পূরক শুল্ক ১০০ থেকে ১৫০ শতাংশ হয়েছে। ৪০০০ সিসির ঊর্ধ্বের হাইব্রিড গাড়ির সম্পূরক শুল্ক ৩০০ থেকে ৩৫০ শতাংশ হয়েছে।
এ ছাড়া গণপরিবহণে বাণিজ্যিকভাবে ব্যবহৃত মাইক্রোবাসের সম্পূরক শুল্ক ২০ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ৩০ শতাংশ করার প্রস্তাব করা হয়েছে।
বাড়তি শুল্কহার কার্যকর হলে এসব ব্রান্ডের গাড়ির দাম দেশীয় বাজারে বেড়ে যাবে।
এদিকে, গাড়ি আমদানিকারকদের সংগঠন বারভিডা বলেছে, দেশে ১৫০০ থেকে ২০০০ সিসির গাড়ির ব্যবহার প্রায় ৮০ শতাংশ, যা, সাধারণত মধ্যবিত্তরা কিনে থাকেন।
গাড়ি আমদানিকারকদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ৩০০০ সিসি থেকে ৪০০০ সিসির গাড়ি দেশে খুব কমই আমদানি হয়। ৩০০০ সিসির একটি গাড়ির দাম ১ কোটি ২০ থেকে ৩০ লাখ টাকা। আর ৪০০০ সিসির গাড়ির দাম ৪ কোটি টাকার ওপরে।
বারভিডার সাবেক সভাপতি আব্দুল হামিদ শরিফ নিউজবাংলাকে বলেন, ‘মধ্যবিত্তদের ব্যবহার করা গাড়ির দাম বাড়ার কথা নয়। তবে গণপরিবহণে ব্যবহৃত মাইক্রোবাসের সম্পূরক শুল্ক বাড়ানো ঠিক হয়নি। এতে করে গণপরিবহণ খাতে নেতিবাচক প্রভাব পড়বে।’
আরও পড়ুন:
4 thoughts on “দামি গাড়ি আরও দামি”