কাটআউট ভোল্টেজ পরীক্ষা নিয়ে আজকের আলোচনা। এই পাঠটি “অটোমোবিল ইঞ্জিনিয়ারিং” বিষয়ের “চার্জিং ও স্টার্টিং পদ্ধতি” বিভাগের একটি পাঠ।
কাটআউট ভোল্টেজ পরীক্ষা
সার্কিটের তারগুলিতে সর্বাধিক কারেন্ট থাকে যা তাদের মধ্য দিয়ে যাওয়ার অনুমতি দেওয়া হয়। এই সর্বোচ্চ মান অতিক্রম করা হলে, তারগুলি অতিরিক্ত উত্তপ্ত হবে এবং নিরোধক পুড়িয়ে ফেলবে, বা এমনকি আগুনও ঘটাবে। এই ধরনের দুর্ঘটনা এড়াতে, উচ্চ প্রতিরোধ ক্ষমতা এবং কম গলনাঙ্ক সহ একটি ফিউজ সার্কিটে সিরিজে সংযুক্ত থাকে, যা সাধারণত সীসা-অ্যান্টিমনি অ্যালয় দিয়ে তৈরি। যখন একটি অত্যধিক বিদ্যুৎ প্রবাহিত হয়, তখন ফিউজটি আরও তাপ উৎপন্ন করবে।
এই পরীক্ষার জন্য ভোল্টমিটার, অ্যাম্পেয়ার মিটার, চিত্রানুসারে সংযোগ করতে হবে। এমতাবস্থায় ইঞ্জিনের দ্রুতি বৃদ্ধি করতে হবে যাতে জেনারেটরের ভোল্টেজ বৃদ্ধি পায়। এই সময় লক্ষ্য রাখতে হবে কন্ট্রাক্ট বিন্দু কত ভোল্টেজে বন্ধ হয় অর্থাৎ ব্যাটারীকে চার্জ করতে আরম্ভ করে। ভোল্টমিটারের ১২ ভোল্ট দেখানো সত্ত্বেও যদি কন্ট্রাক্ট বিন্দু বর্তনী পূর্ণ না করে তাহলে সমন্বয় করে স্প্রিং পোস্ট বাঁকা করে অথবা সমন্বয় স্ক্রু মুচড়ে স্ক্রু কন্ট্রাক্ট বিন্দু নির্দিষ্ট ভোল্টেজে স্থাপন করতে হবে।
জেনারেটরের দ্রুতি কমে গেলে কম বিদ্যুৎ প্রবাহের জন্য অথবা উল্টা বিদ্যুৎ প্রবাহের জন্য কন্ট্রাক্ট বিন্দু খুলে যাবে। অনেক সময় বিন্দুতে ময়লা থাকলে সমন্বয়ে অসুবিধা হয়। তাই বিন্দু ভালভাবে পরিষ্কার করার দরকার হয়।
৮.৭ (ঙ) চিত্রানুসারে সংযোগ সাধনের পর জেনারেটরের বেগ বৃদ্ধি করে দেখতে হবে যে, ভোল্টেজ রেগুলেটরের কন্ট্রাক্ট বিন্দু ১০-১২ ভোল্টেজে বন্ধ হয় কিনা। যদি না হয় তবে বিন্দুর ফাঁক সমন্বয় করে নির্দিষ্ট বোল্টেজে বন্ধ হওয়ার ব্যবস্থা করতে হবে যাতে নির্দিষ্ট ভোল্টেজের বেশী সরবরাহ না হতে পারে।
আরও দেখুনঃ
- গিয়ার বক্স বা ট্রান্সমিশন
- পাওয়ার ট্রান্সমিশন পদ্ধতি
- তাপমাত্রা ইণ্ডিকেটর
- কুলিং এবং ট্রান্সমিশন পদ্ধতি
- ক্লাচের প্রকারভেদ
- মোটরগাড়ি শিল্প
3 thoughts on “কাটআউট ভোল্টেজ পরীক্ষা”