Site icon অটোমোটিভ গুরুকুল [ Automotive Gurukul ], GOLN

ওভার স্ট্রোক ইঞ্জিনের উপকারিতা ও অপকারিতা

ওভার স্ট্রোক ইঞ্জিনের উপকারিতা ও অপকারিতা – পাঠটি “অটোমোবিল ইঞ্জিনিয়ারিং” বিষয়ের “অটোমোবাইলের ইতিহাস” পাঠের অংশ।

ওভার স্ট্রোক ইঞ্জিনের উপকারিতা ও অপকারিতা

 

ওভার স্ট্রোক ইঞ্জিনের উপকারিতা:

() এই জাতীয় ইঞ্জিনে পিস্টন সিলিন্ডারের মধ্যে ঘর্ষণ কম হয় ফলে পিস্টন চলাচলে সহজ এবং শক্তি অপচয় কম হয়।

() ক্র্যাঙ্ক শ্যাফট বিয়ারিং এর উপর ভর (Load) কম পড়ে কারণ কানেকটিং রড এর কেন্দ্রাতীক চলাচল কম হয়।

() ইহাতে ইঞ্জিনের উচ্চতা কমে যায়, ফলে বনেট (Bonnet) এবং বডি কর্মে সূচারুতা আসে এবং খরচ কমে।

 

 

ওভার স্ট্রোক ইঞ্জিনের অপকারিতা:

() আজবের দিনে স্বল্পদৈর্ঘ্য স্ট্রোক ইঞ্জিনের সবচেয়ে বড় অপকারিতা হচ্ছে বায়ুমণ্ডল দূষিতকরণ। নির্গত পোড়া গ্যাসসমূহে মধ্যে অপ্রজ্বলিত অবস্থায় হাইড্রোকার্বন বেশী থাকে। যাহা প্রচুর পরিমাণে কার্বন মনঅক্সাইড (CO) তৈরীতে সাহায্য করে থাকে। ইহা মানবদেহের জন্য খুবই ক্ষতিকর গ্যাস। ইহার মূল কারণ হচ্ছে স্বল্পদৈর্ঘ্য স্ট্রোক ইঞ্জিনে জ্বালানি দহনকার্য সময় খুব কম পাওয়া যায়।

অর্ধদহনকৃত জ্বালানিতে কার্বন মনঅক্সাইড দ্রুত বেশী পরিমাণে নির্গত হয়। কিছু কিছু উন্নত দেশে পরিবেশ উন্নয়নের লক্ষ্যে অর্থাৎ কার্বন মনঅক্সাইড গ্যাস কমানোর লক্ষ্যে ইঞ্জিন উৎপাদনকারীগণ লম্বা স্ট্রোক ইঞ্জিন (Long-stroke engine) তৈরী করছেন।

 

 

রাসায়নিক সঠিক মিশ্রণ (Chemically correct mixture ) :

ইঞ্জিন চালু আছে কিন্তু কোন বোঝা বা ভর ইঞ্জিনের উপর নেই। এমতাবস্থায় ওজনের ভিত্তিতে (By weight) বাতাস পেট্রোলের অনুপাত হচ্ছে ১৫ : ১। এটাই হচ্ছে রাসায়নিক সঠিক মিশ্রণ। কারণ এই অনুপাতের মিশ্রণ সঠিক সম্পূর্ণভাবে পুড়ে যায় এবং কার্বন ডাইঅক্সাইড (CO-) এবং পানি (HO) সৃষ্টি হয়। অর্থাৎ একজস্ট পাইপ দিয়ে কার্বন ডাইঅক্সাইড গ্যাস এবং পানি বের হয়ে আসবে। মিশ্রণের অনুপাত সঠিক হলে এবং দহন ক্রিয়া কার্যকরীভাবে সম্পাদিত হলে টেইল পাইপ দিয়ে পানি বের হয়ে আসতে দেখা যায়। ইঞ্জিনে কি যায় এবং কি বাহির হয় :

 

 

আরও দেখুনঃ

 

Exit mobile version