ই এফ. আই ইঞ্জিন পদ্ধতি

ই এফ. আই ইঞ্জিন পদ্ধতি – পাঠটি “অটোমোবিল ইঞ্জিনিয়ারিং” বিষয়ের “অটোমোবাইলের ইতিহাস” পাঠের অংশ। ইহাকে আমরা ইলেকট্রোনিকস ফুয়েল ইনজেকশন পদ্ধতি বলতে পারি। ইহাকে পেট্রোল ইনজেকশন পদ্ধতিও বলা হয়ে থাকে। আধুনিক বিশ্বে প্রায় সকল বিলাসবহুল মোটরযানে এই পদ্ধতি ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত হচ্ছে। এই পদ্ধতিতে প্রধানত ইনলেট মেনিফোল্ডের সাহায্যে ইঞ্জিনে প্রবাহিত বাতাসের মধ্যে ইনজেক্টেরের সহায়তায় চাপযুক্ত পেট্রোল পাম্প করে কুয়াশাচ্ছন্ন অবস্থায় বাতাসের সাথে মিশ্রিত করে দেওয়া হয় (Atomized state)

ই এফ. আই ইঞ্জিন পদ্ধতি

 

ই এফ. আই ইঞ্জিন পদ্ধতি | অটোমোবাইলের ইতিহাস | অটোমোবিল ইঞ্জিনিয়ারিং

 

এই পদ্ধতি যদিও ব্যয়বহুল তবুও সর্বাধুনিক মোটরযানে ব্যবহার করা হচ্ছে ইঞ্জিনে বেশী শক্তি পাওয়ার জন্য, তৈল খরচ কমাবার জন্য, ধোয়ামুক্ত পরিবেশের জন্য এবং দহনকার্য সুসম্পন্ন হওয়ার জন্য। এই পদ্ধতি পেট্রোল ইঞ্জিনে কারবুরেটরের পরিবর্তে ব্যবহৃত হচ্ছে। এই পদ্ধতিতে যে পাম্পটি ব্যবহার করা হয় তা সাধারণত থেকে বার অথবা ৩০ থেকে ৭৫ পাউন্ড চাপ প্রতি বর্গইঞ্চি অথবা ১১ হতে .১৭ কেজি/সে: মি: ক্ষমতা সম্পন্ন হয়। সাধারণ কারবুরেটর থেকে .এফ. আই পদ্ধতির উপকারিতা সুবিধাসমূহ নিয়ে আলোচনা করা হলো।

 

ই এফ. আই ইঞ্জিন পদ্ধতি | অটোমোবাইলের ইতিহাস | অটোমোবিল ইঞ্জিনিয়ারিং

 

() কম ক্ষতি দূষিত পোড়া গ্যাস নির্গমন নিয়ন্ত্রণ করে।

() কম জ্বালানি খরচ।

() ইঞ্জিনে অধিক ক্ষমতা উৎপাদন।

() সব সিলিন্ডারে সমপরিমাণ জ্বালানি তৈল সরবরাহ নিশ্চিতকরণ এবং নির্বিঘ্নে ইঞ্জিন পরিচালনা।

() ইঞ্জিনে ধাক্কা প্রতিরোধ (Anti-knock) নিশ্চিত করে।

() বাতাস জ্বালানি তৈলের মিশ্রণকে স্বয়ংক্রিয়ভাবে নিয়ন্ত্রণ করে থাকে।

() ইঞ্জিন কার্বনমুক্ত রাখে।

 

ই এফ. আই ইঞ্জিন পদ্ধতি | অটোমোবাইলের ইতিহাস | অটোমোবিল ইঞ্জিনিয়ারিং

 

আরও দেখুনঃ

 

1 thought on “ই এফ. আই ইঞ্জিন পদ্ধতি”

Leave a Comment