ইলেকট্রোডের ব্যবহার

ইলেকট্রোডের ব্যবহার – পাঠটি “অটোমোবিল ইঞ্জিনিয়ারিং” বিষয়ের “শীট মেটাল ফিটিং, ওয়েল্ডিং-ডেনটিং ও পেইন্টিং” পাঠের অংশ।

ইলেকট্রোডের ব্যবহার

(ক) মাইল্ড স্টীল ইলেকট্রোড:

এ ইলেকট্রোড ডি.সি এবং এ. সি—দুই ধরনের কারেন্টের সাহায্যে ব্যবহার করা যায়। এটি দ্বারা পাইপ, গ্যাসপাইপ, ট্যাঙ্ক ওয়েল্ডিং করা হয়। দুটি

ইলেকট্রোডের ব্যবহার | শীট মেটাল ফিটিং, ওয়েল্ডিং-ডেনটিং ও পেইন্টিং | অটোমোবিল ইঞ্জিনিয়ারিং

 

পদার্থের মুখোমুখি ওয়েল্ডিং-এর জন্য এই জাতীয় ইলেকট্রোড বিশেষভাবে ব্যবহৃত হয়। এটি বিভিন্ন সাইজ ও দৈর্ঘ্যের হয়ে থাকে। এর দৈর্ঘ্য ৩০০ হতে ৩৮০ মি.মিটার হয়ে থাকে। ব্যাস (সাইজ) সাধারণত এর ২.৫ মি. মিটার হতে ৫ মি.মিটার হয়ে থাকে। সাইজ ছোট হলে বিদ্যুৎ কম লাগে এবং সাইজ বড় হলে বিদ্যুৎ বেশী লাগে। এতে সাধারণত ৬০ থেকে ২০০ অ্যাম্পিয়ার বিদ্যুৎ সরবরাহ দরকার হয়।

 

ইলেকট্রোডের ব্যবহার | শীট মেটাল ফিটিং, ওয়েল্ডিং-ডেনটিং ও পেইন্টিং | অটোমোবিল ইঞ্জিনিয়ারিং

 

(খ) ফ্যারোক্র্যাফট ইলেকট্রোড:

এই জাতীয় ইলেকট্রোড এ.সি ও ডি.সি দুই ধরনের বিদ্যুতের সাহায্যে ব্যবহার করা যায়। এর সাহায্যে এলয় স্টীল, কাস্ট আয়রন, মাইল্ড স্টীল, মাঝারি ও উচ্চ-কার্বন স্টীলের যন্ত্রপাতি ইত্যাদি সহজে ওয়েল্ডিং করা যায়। যেসব স্থানে মেশিনিং দরকার যেসব স্থানে এই ইলেকট্রোড দিয়ে ওয়েল্ডিং না করাই শ্রেয়। এদের ব্যাস (সাইজ) ২.৫ থেকে ৫ মি.মি. হয়ে থাকে এবং দৈর্ঘ্য ৩০০ থেকে ৩৮০ মি.মি. হয়ে থাকে। বিদ্যুৎ সরবরাহ সাধারণত ৬০ থেকে ২৫০ অ্যাম্পিয়ার হয়ে থাকে।

 

ইলেকট্রোডের ব্যবহার | শীট মেটাল ফিটিং, ওয়েল্ডিং-ডেনটিং ও পেইন্টিং | অটোমোবিল ইঞ্জিনিয়ারিং

 

 (গ) ফ্যারোস্পীড :

এই জাতীয় ইলেকট্রোড প্রায় সব কাজে ব্যবহার করা চলে। এটি দিয়ে বাস, ট্রাক, বেবীটেক্সির বডি তৈরী এবং দরজা, জানালা, স্টীলের আসবাবপত্র, গেট, গ্রীল, রিক্সা এবং সাইকেলের বিভিন্ন যন্ত্রাংশ সুচারুরূপে ওয়েল্ডিং করা যায়। এর দৈর্ঘ্য ৩৫০ হতে ৪৫০ মি.মি. হয়ে থাকে এবং ব্যাস ২.৫ থেকে ৫ মি.মি. হয়ে থাকে। বিদ্যুৎ-প্রবাহ ৬০ থেকে ২৫০ পর্যন্ত বৃদ্ধি পায়।

 

আরও দেখুনঃ

 

Leave a Comment