ইলেকট্রোডের প্রকারভেদ

ইলেকট্রোডের প্রকারভেদ – পাঠটি “অটোমোবিল ইঞ্জিনিয়ারিং” বিষয়ের “শীট মেটাল ফিটিং, ওয়েল্ডিং-ডেনটিং ও পেইন্টিং” পাঠের অংশ।  ইলেকট্রোড দুই প্রকার—যথা (ক) আবৃত ইলেকট্রোড (খ) অনাবৃত ইলেকট্রোড।

ইলেকট্রোডের প্রকারভেদ

 

ইলেকট্রোডের প্রকারভেদ | শীট মেটাল ফিটিং, ওয়েল্ডিং-ডেনটিং ও পেইন্টিং | অটোমোবিল ইঞ্জিনিয়ারিং

আর্ক ওয়েল্ডিং-এর উন্নতিসাধনকল্পে অনেক রকম অধাতুর রাসায়নিক দ্রব্যের একটি মোটা প্রলেপ মেটাল রডের উপর দেওয়া হয়। এর উপকারিতা অনেক। এই আবরণকে ফ্লাক্স বলে। এটি সাধারণত ম্যাগনেসিয়াম, ক্যালসিয়াম, সিলিকন এবং বিভিন্ন ধরনের আঠার সংমিশ্রণে তৈরী করা হয়। এই ফ্লাক্স ওয়েল্ডিং-এর সময় গলিত ধাতুর উপর একটি আবরণ সৃষ্টি করে থাকে।

 

ইলেকট্রোডের প্রকারভেদ | শীট মেটাল ফিটিং, ওয়েল্ডিং-ডেনটিং ও পেইন্টিং | অটোমোবিল ইঞ্জিনিয়ারিং

 

ফলে খোলা বাতাস হতে অক্সিজেন বা অন্য কোন পদার্থ ঐ গলিত ধাতুর সাথে মিশ্রিত হতে পারে না। গলিত ধাতুর ভিতরে যাতে কোন প্রকার ময়লা না থাকতে পারে তাও ফ্লাক্স নিশ্চিত করে থাকে এবং জোড়াকে মজবুত করে থাকে। আর্ক -ওয়েল্ডিং-এ যেসব ইলেকট্রোড ব্যবহার করা হয় তা দুই ভাগে বিভক্ত যথা : (ক) কার্বন ইলেকট্রোড (খ) মেটাল ইলেকট্রোড। ইলেকট্রোডের ব্যাস সাধারণত ১/১৬ থেকে ৩/৮ দৈর্ঘ্য এবং ১৪ থেকে ১৮ হয়ে থাকে। বিভিন্ন প্রকার কাজের জন্য বিভিন্ন ধরনের ইলেকট্রোড ব্যবহৃত হয়। যেমন :

 

ইলেকট্রোডের প্রকারভেদ | শীট মেটাল ফিটিং, ওয়েল্ডিং-ডেনটিং ও পেইন্টিং | অটোমোবিল ইঞ্জিনিয়ারিং

 

(ক) মাইল্ড স্টীল ইলেকট্রোড, (খ) ফ্যারোক্র্যাফট ইলেকট্রোড, (গ) ম্যাংক্রফট ইলেকট্রোড, (ঘ) ‘ব্রোনজয়েড ইলেকট্রোড, (ঙ) জরডিয়ান ইউনিভার্সেল ইলেকট্রোড, (চ) হার্ডফেসিং ইলেকট্রোড, (ছ) ফ্যারোস্পীড ইলেকট্রোড (জ) নিকরেক্স ইলেকট্রোড।

 

আরও দেখুনঃ

 

1 thought on “ইলেকট্রোডের প্রকারভেদ”

Leave a Comment