বেসিক ইলেকট্রিসিটি

আজকে আমাদের আলোচনার বিষয়-বেসিক ইলেকট্রিসিটি

বেসিক ইলেকট্রিসিটি

 কারেন্ট, ভোল্টেজ, রেজিস্ট্যাল সম্পর্ক :

ওহমের সূত্র মতে

১. কোনো নির্দিষ্ট তাপমাত্রায় যদি কোনো বৈদ্যুতিকপরিবাহীর মধ্যে দিয়ে কারেন্ট প্রবাহিত হয় তবে ঐ কারেন্ট পরিবাহী দু’প্রান্তের বিভব পার্থক্যের সমানুপাতিক এবং পরিবাহীর রোধের ব্যস্তানুপাতিক । অর্থাৎ IOCV (যখন তাপমাত্রা স্থির থাকে]

২. কোনো বৈদ্যুতিকপরিবাহী দুই প্রান্তের মধ্যবর্তি বিভব পার্থক্য ও পরিবাহীতে প্রবাহিত কারেন্টের অনুপাত উক্ত পরিবাহীর রোধ নির্দেশ করে। অর্থাৎ 1 OC = ধ্রুবক (যখন তাপমাত্রা স্থির থাকে।
কারেন্ট, ভোল্টেজ, রেজিস্ট্যান মধ্যে গাণিতিক সম্পর্ক । কারে ধরা যাক AB পরিবাহীর দুই প্রান্তের বিভব যথাক্রমে

VA ও VA হয় তবে বিভব পার্থক্য হবে Va পরিবাহীর মধ্য দিয়ে প্রবাহিত কারেন্ট যদি I হয় তরে Ta (VA-Va )বা, (VA-VB CI বা, VA-VIR বা, I – VA-VB R =V ধরা হয় তাহলে FR এখানে, R একটি ধ্রুবক। একে পরিবাহীর রোধ বলা হয়।

 

বেসিক ইলেকট্রিসিটি

 

 কারেন্ট, ভোল্টেজ, রেজিস্ট্যান্স একককারেন্ট:

ইলেকট্রন বা চার্জ প্রবাহের হারকেই কারেন্ট বলে। অর্থাৎ একক সময়ে কোনো একটি পরিবাহীর প্রস্থচ্ছেদের মধ্য দিয়ে যে পরিমাণ ইলেকট্রন বা চার্জ প্রবাহিত হয়, তাকে কারেন্ট বলে। যদি কোনো পরিবাহীর যে কোনো প্রস্থচ্ছেদ দিয়ে ক সময়ে খ পরিমাণ চার্জ প্রবাহিত হয়, তাহলে কারেন্ট অ্যাম্পিয়ার কারেন্টকে দ্বারা প্রকাশ করা হয় এবং এর একক অ্যাম্পিয়ার কারেন্ট প্রবাহের দিক ইলেকট্রন বা চার্জ প্রবাহের বিপরীত দিকে ধরা হয়।

কারেন্টের প্রকারভেদ : প্রবাহ অনুসারে কারেন্টকে দুই ভাগে ভাগ করা যায় যথা-

ক) ডাইরেক্ট কারেন্ট

খ) অল্টারনেটিং কারেন্ট

ভোল্টেজ : কোনো পরিবাহীর মধ্য দিয়ে কারেন্ট প্রবাহের জন্য যে বৈদ্যুতিকচাপ প্রয়োগ করা হয়, তাকে ডোস্টেজ বলে । অন্যভাবে বলা যায়, অসীম দূরত্বে অবস্থিত কোনো বিন্দু হতে বৈদ্যুতিক বলের বিরুদ্ধে যে কোনো বিন্দুতে একক ধনাত্মক চার্জকে আনতে যে পরিমাণ কাজ করতে হয়, তাকে বৈদ্যুতিক চাপ বা ভোল্টেজ বলা হয় ।

যদি Q কুলম্ব চার্জ স্থানান্তরের জন্য W জ্বল কার্যসম্পাদন করতে হয় তাহলে বৈদ্যুতিকচাপ, V, ভোল্ট । বৈদ্যুতিক চাপকে V দ্বারা প্রকাশ করা হয়। এর ব্যবহারিক একক ভোল্ট । একে বৈদ্যুতিক বিভব বলা হয়ে থাকে ।
রেজিস্ট্যান্স: পরিবাহীর মধ্য দিয়ে কারেন্ট প্রবাহের সময় পরিবাহী পদার্থের যে ধর্ম বা বৈশিষ্ট্যের কারণে তা বাধাপ্রাপ্ত হয়, তাকে রেজিস্ট্যান্স বা রোধ বলে।

আবার কারেন্ট প্রবাহে বাধা দেয়ার উদ্দেশ্যে যে ডিভাইস তৈরি করা হয় তাকে বলা হয় রেজিস্ট্যান্স । যদি কোনো পরিবাহীর মধ্য দিয়ে ভোল্ট বৈদ্যুতিক চাপে অ্যাম্পিয়ার কারেন্ট প্রবাহিত হয়, তাহলে
রেজিস্ট্যান্স R= ওহম ।

রেজিস্ট্যান্সকে R দ্বারা প্রকাশ করা হয়। এর একক ওহম।

 

বেসিক ইলেকট্রিসিটি

 

 ম্যানুয়াল এবং ডিজিটাল অ্যাডোমিটার

ম্যানুয়াল অ্যানালগ অ্যাডোমিটারের গঠন বর্ণনা কোথাও কাজ করতে একজন বৈদ্যুতিক কারিগরের জন্য অ্যামিটার, ভোল্টমিটার, ওহম মিটার- এই তিনটি মিটারের প্রয়োজন পড়ে। কিন্তু একটি লোকের আনুষঙ্গিক যন্ত্রপাতিসহ এই তিনটি মিটার বহন করে কাজ করা বাস্তবিকই অসুবিধাজনক। যে মিটার তিনটি ইউনিটের কাজ পর্যায়ক্রমে করতে পারে তাকে অ্যাডোমিটার বলে।

অর্থাৎ যে মিটারের সাহায্যে কারেন্ট বা অ্যাম্পিয়ার, পটেনশিয়াল ডিফারেন্স বা ভোল্টেজ ও রেজিস্ট্যান্স বা ওহম মাপা যায় তাকে অ্যাডোমিটার বলে। অ্যাডোমিটার নামকরণ হয়েছে উল্লিখিত তিনটি বৈদ্যুতিক ইউনিটের নামের প্রথম অক্ষর নিয়ে। যেমন A = অ্যাম্পিয়ার, V= ভোল্ট, O = ওহম। একটি মাত্র মিটার দিয়ে একাধিক বৈদ্যুতিক ইউনিট মাপা যায় ।

এজন্য একে মাল্টিমিটারও বলে। চিত্রে একটি মাল্টিমিটারের ছবি দেওয়া হলো। এ মিটারের পয়েন্টারের চতুর্দিকে ভিন্ন ভিন্ন ভাগে যথাক্রমে বামদিকে এসি ভোল্টেজ রেঞ্জ 10,100,500 1000 ও দেওয়া আছে। উপরের ভাগে রেজিস্ট্যান্স মাপের জন্য যথাক্রমে  দেওয়া আছে। ডান দিকের ভাগে ডিসি ভোল্টেজের রেঞ্জ যথাক্রমে চিত্র ২২.২ ম্যানুয়েল বা অ্যানালগ অ্যাডোমিটার ভোল্ট দেওয়া আছে । নিচের দিকে ডিসি কারেন্ট মাপার জন্য যথাক্রমে 500 মাইক্রো অ্যাম্পিয়ার 10 মিলি অ্যাম্পিয়ার ও 20 মিলি অ্যাম্পিয়ার দেওয়া আছে।

উপরের ডায়ালে দুটি লাইনে যথাক্রমে উপরের লাইনে ওহমের এবং নিচের লাইনে ভোল্ট অথবা কারেন্টের স্কেল দেওয়া আছে। ওহম মিটারের কাঁটা অ্যাডজাস্ট করার জন্য ডানদিকে একটি চিহ্নিত নব আছে, যা ঘুরিয়ে কাঁটা পয়েন্টে মিলাতে হয়। পৃথকভাবে ভোল্টমিটার, অ্যামমিটার ও ওহমমিটার যেভাবে ব্যবহার করার নিয়ম বর্ণনা করা হয়েছে, সেভাবেই এ মিটার ব্যবহার ও চালনা করতে হবে।

অর্থাৎ রেজিস্ট্যান্স মাপার সময় পয়েন্টার ডান দিকে, এসি ভোল্টেজ মাপার সময় পয়েন্টার উপর দিকে, ডিসি কারেন্ট মাপার সময় ডানে নিচের দিকে ও ডিসি ভোল্টেজ মাপার সময় পয়েন্টার বাম দিকে নিচে থাকবে। ডিজিটাল অ্যাডোমিটারের গঠন ও কার্যপ্রণালি বর্ণনা : এটি এমন এক ধরনের মিটার যা সরাসরি সংখ্যাসূচক অক্ষরে সমাধান দিতে পারে।

এর ইনপুট ইম্পিড্যান্স খুব বেশি। এই মিটার ব্যবহারকারী শুধুমাত্র ফাংশন সুইচ সিলেক্ট করে পাঠ নিয়ে থাকেন। এটি সাধারণত অটো রেঞ্জিং, অটো-পোলারিটি এবং অটোজিরো ব্যবস্থা সম্বলিত হয়ে থাকে। ডিজিট বা ইউনিট ব্যবহার করে যে মিটার রিডিং নেয় তাকে ডিজিটাল মিটার বলে। বৈদ্যুতিক মিটার যা ইলেকট্রনিক পরিমাপক যন্ত্র অ্যানালগ মিটারের সিগন্যালকে ডিজিটাল রূপান্তরের জন্য ডিজিটাল মিটারে একটি কনভারটার থাকে একে ডিজিটাল মিটারের প্রাণ বলে ।

প্রথমে ইনপুট অ্যানালগ সিগন্যাল সমতুল্য ডিজিটালে রূপান্তরিত করে এবং তারপর এটি দৃশ্যমান করে। বিভিন্ন মিটারে এই কনভারটার বিভিন্ন নীতিতে কাজ করে। এর সাহায্যে খুব দ্রুত রিডিং নেওয়া যায়। এটি সঠিক পাঠ প্রদর্শন করে এবং সাধারণত অটো- জিরো সংবলিত হয়ে থাকে।

 

বেসিক ইলেকট্রিসিটি

 

প্রশ্নমালা- ২২

অতি সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন

১. কারেন্ট কী?

২. ডোস্টেজ কী?

৩. রেজিস্ট্যান্স কী?

৪. ওহমের সূত্রটি লেখ ।

৫. কারেন্ট, ভোল্টেজ ও রেজিস্ট্যান্স সম্পর্কে অথবা ওহমের সূত্রটি বর্ণনা কর ।

৬. কারেন্ট, ভোল্টেজ, রেজিস্ট্যান্স সংজ্ঞাসহ একক লেখ।

রচনামূলক প্রশ্ন :

১. ম্যানুয়াল বা অ্যানালগ এবং ডিজিটাল অ্যাডোমিটারের কার্যপ্রণালি বর্ণনা কর।

২. কারেন্ট, ভোল্টেজ, রেজিস্ট্যান সম্পর্কে যা জানো লেখ।

আরও দেখুন :

Leave a Comment