আজকে আমাদের আলোচনার বিষয় -অটোমোটিভ ওয়ার্কশপের নিরাপত্তা
অটোমোটিভ ওয়ার্কশপের নিরাপত্তা
Safety in Automotive Workshop
অটোমোটিভ ওয়ার্কশপের নিরাপত্তার উদ্দেশ্য (Objectives of Safety in Atomotive Workshop ) :
যে প্রতিষ্ঠানে শ্রমিক, কর্মচারী এবং কর্মকর্তার সমন্বয়ে একদল (কমপক্ষে ১০ জন) লোকের নিয়মতান্ত্রিক সমাবেশ ঘটে এবং যেখানে উৎপাদন বা প্রশিক্ষণের প্রয়োজনে বহুবিধ যন্ত্র, যন্ত্রাংশ থাকবে সে প্রতিষ্ঠানকে ওয়ার্কশপ বলে।
আর এই ওয়ার্কশপে যখন অটোমোটিভ ইঞ্জিনের বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষা ও পর্যালোচনা, মেরামত ও রক্ষণাবেক্ষণ সংক্রান্ত যাবতীয় বিষয় নিয়ে কাজ করে, তখন তাকে ‘অটোমোটিভ ওয়ার্কশপ’ বলে । এরূপ ওয়ার্কশপে প্রবেশ হতে শুরু করে সকল প্রকার কাজ শেষ করার পর ওয়ার্কশপ ত্যাগ করা পর্যন্ত কতকগুলো বিধিনিষেধ মেনে চলতে হয়। এ বিধি নিষেধগুলোকে ওয়ার্কশপ নিরাপদ কার্যবিধি বা নিয়মকানুন বলে ।
বিধিগুলো অবহেলা করলে দুর্ঘটনা ঘটবে। এ দুর্ঘটনার পরিমাণ নিচের দুটি অংশে বিভক্ত :
(ক) শ্রমিকদের অসতর্কতাজনিত দুর্ঘটনা, যার পরিমাণ আন্তর্জাতিকভাবে ৭৫% ভাগ ।
খ) মালিকদের ত্রুটিজনিত দুর্ঘটনা যার পরিমাণ ২৫% ভাগ ।
সতর্কতার শ্রেণিবিন্যাস : শিল্পকারখানার আকারের উপরই সতর্কতার প্রকারভেদ নির্ভর করে। সার্বিক বিবেচনার ভিত্তিতে একে চার ভাগে ভাগ করা যায় ।
(ক) সাধারণ সতর্কতা (General safety precautions )
(খ) পোশাকজনিত সতর্কতা (Cloth safety precautions )
(গ) যন্ত্রপাতির সতর্কতা (Equipment safety precautions )
(ঘ) কর্মশালায় কর্মজনিত সতর্কতা (Workshop’s work safety precautions )
সাধারণ সতর্কতা বর্ণনা :
(ক) ওয়ার্কশপ সম্পর্কে সাধারন ধারণা থাকা দরকার ।
(খ) বিনা অনুমতিতে প্রবেশ করা নিষেধ।
(গ) নতুন প্রবেশকারীর জন্য ওয়ার্কশপের পরিচিত বা অপরিচিত কোনো কিছুতেই হাত না দেওয়া ।
(ঘ) অপ্রয়োজনে কোনো যন্ত্রপাতি পরিচালনা করা যাবে না ।
(ঙ) কোনো যন্ত্র বা বিষয় নিয়ে কৌতুক করা যাবে না । (চ) শারীরিক ও মানসিক অসুস্থাবস্থায় কর্মশালায় প্রবেশ নিষেধ ।
(ছ) ক্রোধান্বিত অবস্থায় কর্মশালায় প্রবেশ নিষেধ ।

পোশাক ও শারীরিক সতর্কতা :
(ক) কর্মশালায় অপরিষ্কার পোশাক পরিধান করা যাবে না ।
(খ) ঢিলেঢালা (Loose) পোশাক অবশ্যই অনিরাপদ ।
(গ) পাঞ্জাবি ও শাড়ি জাতীয় পোশাক কর্মশালায় পরিত্যজ্য।
(ঘ) শ্রমিককে অবশ্যই অ্যাপ্রন (Apron) ব্যবহার করতে হবে ।
(ঙ) বুট বা জুতা পরিধান করতে হবে ও স্যান্ডেল পরিহার করতে হবে ।
চ) হাফ হাতা টাইট শার্ট পরা উচিত ।
(ছ) লম্বা খোলা চুল বর্জনীয়।
(জ) হাতের ও পায়ের নখ নিয়মিত কাটা ও পরিষ্কার রাখতে হবে ।
(ঝ) বোতাম ছেঁড়া ও অতিমাত্রায় ঝুলানো ছেঁড়া পোশাক কর্মশালায় শৃঙ্খলার পরিপন্থী ।
(ঞ) গগল্স ব্যবহার করতে হবে (বিশেষ ক্ষেত্রে)।
ট) হেলমেট ব্যবহার করতে হবে (বিশেষ ক্ষেত্রে)।
(ঠ) হ্যান্ড গ্লোভস পরতে হবে (বিশেষ ক্ষেত্রে)।
যন্ত্রপাতির সতর্কতা :
(ক) যন্ত্রপাতির সাথে পরিচিত হয়ে তার নাম জানতে হবে ।
(খ) যন্ত্রপাতির ব্যবহার ও কার্যপদ্ধতি জানতে হবে ।
(গ) কাজে ব্যবহারযোগ্য যন্ত্রপাতি ও টুলস বাছাইয়ের জ্ঞান থাকতে হবে ।
(ঘ) যন্ত্রপাতি সযত্নে ও সতর্কতার সাথে পরিচালনা করতে হবে ।
(ঙ) যন্ত্র চালু করার সময় খেয়াল রাখতে হবে যেন তা পরিচালনায় অন্য কারও ক্ষতি না হয় ।
(চ) ধারালো যন্ত্রপাতি সাবধানে রাখতে হবে ।
(ছ)কোনো প্রকার যন্ত্রপাতির অপব্যবহার করা যাবে না ।
(জ) সর্বদা শিক্ষকদের পরামর্শ অনুযায়ী যন্ত্রপাতি পরিচালনা বাঞ্ছনীয় ।
কর্মশালায় কর্মজনিত সতর্কতা :
(ক) সর্বাগ্রে কারখানা সম্পর্কে জ্ঞান থাকতে হবে ।
(খ) কারখানায় সজ্জিত সকল বা সম্ভাব্য পরিমাণ যন্ত্রপাতির পরিচালনা জ্ঞান থাকতে হবে ।
(গ) কারখানায় চলাচল ও কথাবার্তাজনিত ভদ্রতা বজায় রাখা বাঞ্ছনীয় ।
(ঘ) নিরাপত্তামূলক পোশাক পরিধান করে কাজ শুরু করতে হবে ।
(ঙ) অজ্ঞাত ঝুলন্ত তার (Wire) স্পর্শ করা যাবে না ।
(চ) নতুন কারখানায় বিনা অনুমতিতে কোনো যন্ত্র পরিচালনা করা যাবে না ।
অটোমোটিভ ওয়ার্কশপের নিরাপত্তা
(ছ) কার্য সম্পাদনের টেবিল, ভাইস প্রভৃতি শৃঙ্খলার সাথে সাজিয়ে ও পরিষ্কার-পরিছন্নভাবে রাখতে হবে ।
(জ) অগ্নিনির্বাপক যন্ত্রসহ অন্যান্য নিরাপত্তামূলক যন্ত্র ও দ্রব্যের। ঔষধ ব্যবহার বিধি জানতে হবে ।
(জ) কারখানায় ধূমপান পরিহার করা উচিত ।
(ঞ) বিশেষজ্ঞ ব্যতীত যন্ত্রপাতি পরিচালনা ও ত্রুটিমুক্ত করনের প্রচেষ্টা করতে হবে।
(ট) ওয়ার্কশপ ত্যাগের সময় বাতি, ফ্যান, যন্ত্র, দরজা, জানালা অবশ্যই বন্ধ করতে হবে। তবে স্বল্প আে ও বাতাস চলাচলের ব্যবস্থা রাখতে হবে ।
প্রাথমিক চিকিৎসা :
কারখানার যে অংশে যে প্রকৃতির দুর্ঘটনা ঘটার আশঙ্কা থাকে সেক্ষেত্রে সে ধরনের প্রাথমিক চিকিৎসার ব্যবস্থা থাকবে । নিচের সরঞ্জাম দ্বারা প্রাথমিক চিকিৎসা বক্স (Aid box) সংরক্ষণ করতে হবে ।
১. বিপি ব্লেড (BP Blade) দুটি।
২. বিপি হ্যান্ডেল (BP Handle) একটি ।
৩. ছোট কাচি (Small scissors) সার্জিক্যাল একটি ।
৪. ডেটল/স্যাভলন ছোট বোতল একটি ( ছোটখাটো কাটা/ছেঁড়ার ক্ষেত্রে প্রযোজ্য)।
৫. ভুলা (Cotton) দুই ইঞ্চি, চার ইঞ্চি দুটি করে ।
৬. সার্জিক্যাল পজ ছয় প্যাকেট।
৭. রোলার গজ (ব্যান্ডেজ) ২, ৪, ৬ এর ২টি করে রোল।
৮. টিংচার আয়োডিন ১ হতে ২ আউন্স একমাত্র চামড়া উঠে বা ছিঁড়ে গেলে খুব সামান্য রক্তক্ষরণ হ ব্যবহার করা যাবে । পুড়ে গেলে পোড়া চামড়ায় কোনোক্রমেই তা ব্যবহার করা যাবে না ।
৯. নিওবক্রিন অয়েন্টমেন্ট ( Neo bacrine ointment) সামান্য পরিমাণ ক্ষতের ক্ষেত্রে ব্যবহার করা যাবে
১০. বিভাসিন (Bivacyn) অয়েন্টমেন্ট সামান্য পরিমাণ ক্ষতের ক্ষেত্রে ব্যবহারযোগ্য।
১১. ভার্যাজিন ক্রিম (Darmazen) সাধারণত পুড়ে গেলে (বৈদ্যুতিক শক ব্যতীত) পোড়া চামড়া নরমাল স্যালাইন ০.৯% সোডিয়াম ক্লোরাইডযুক্ত জীবাণুমুক্ত দ্রবণ দ্বারা ক্ষতস্থানে লাগাতে হবে ।
১২. সুজাটুলি (Sufratule) ছয় প্যাকেট। পোড়া বা ক্ষতস্থানে ডার্মাজিন ক্রিম লাগানোর পর প্যাকেট হতে সুম্ৰাটুলি বের করে লাগিয়ে দিতে হবে ।
১৩. ব্যথানাশক প্যারাসিটামল বড়ি ৫০০ মি. গ্রাম ১০টি ।
১৪. অ্যান্টাসিড (অম্লনাশক) বড়ি ১০টি ।
১৫. নরমাল স্যালাইন ৫০০ সি. সি. একটি ব্যাগ ।
অটোমেকানিক্স-এর নিরাপত্তা (Safety of Auto Mechanics) :
অটোমেকানিক্স-এর নিরাপত্তাসমূহ নিম্নরূপ-
১. আঁটসাঁট পোশাক ও অ্যাপ্রন ব্যবহার:
অটোমোটিভ কারখানায় কাজ করার জন্য আঁটসাঁট পোশাক ও অ্যাপ্রন ব্যবহার করতে হবে মেশিনে কাপড় জড়িয়ে যাওয়ার ভয় থাকে না এবং পোশাকে ময়লা লাগতে পারে না।
২. গ্রাইন্ডিং কাজের পূর্বে চোখে গগল্স ব্যবহার :
গ্রাইন্ডিং করার সময় যাতে চোখের মধ্যে লোহার টুকরা (Iron chips) না ঢোকে, সেজন্য চোখে গগলস এবং মাথায় হেলমেট ব্যবহার করতে হয় ।
৩. পায়ে জুতা ব্যবহার :
ভারী যন্ত্রাংশ বহনের সময় তা হঠাৎ পায়ে পড়ে দুর্ঘটনা ঘটতে পারে । সেজন্য এ কারখানায় কাজ করার সময় পায়ে জুতা পরিধান করতে হবে। এটা বৈদ্যুতিক শক থেকেও মেকানিকস প্রশিক্ষণার্থীকে রক্ষা করে থাকে।
৪. কারখানার মেঝেতে দাহ্য পদার্থ না ফেলা :
কারখানার মেঝেতে পেট্রোল, ডিজেল, প্যারাফিন, কেরোসিন, তেল প্রভৃতি ফেললে তা থেকে অগ্নিকাণ্ড ঘটতে পারে । তাই এদিকে সতর্ক দৃষ্টি রাখা অবশ্যক এবং দাহ্য পদার্থ পড়লে তা সঙ্গে সঙ্গে পরিষ্কার করা কর্তব্য।
৫. কারখানার কর্মস্থলে গ্রীজ, মবিল প্রভৃতি না ফেলা:
গ্রীজ ও মবিল পিচ্ছিলকরণ পদার্থ। তাই এগুলো কারখানার কর্মস্থলে ফেলা ঠিক নয়; এতে দুর্ঘটনা ঘটার সম্ভাবনা থাকে। এদিকে সতর্ক দৃষ্টি দিয়ে মেঝে পরিষ্কার রাখতে হয়।
৬. কারখানার পর্যাপ্ত আলো বাতাসের ব্যবস্থা রাখা :
কারখানার কর্মস্থলে পর্যাপ্ত আলোর ব্যবস্থা রাখা আবশ্যক । অন্যথায় কর্মরত মেকানিকস অথবা প্রশিক্ষণার্থীর চোখের ক্ষতি ও কাজের মান খারাপ হয়। পরিবেশ ভালো রাখার জন্য কারখানায় জানালা, গেট, ভেন্টিলেশন, নির্গমন পাখা বৈদ্যুতিক পাখা প্রভৃতির ব্যবস্থা রাখা আবশ্যক ।

মেশিন-এর নিরাপত্তা (Safety of Machine):
১. কারখানার সচল ও কার্যকরী যন্ত্রপাতি রাখা অটোমোটিভ কারখানায় ব্যবহৃত টুলস, ইক্যুইপমেন্টস, ইঞ্জিন, বৈদ্যুতিক মোটর, জেনারেটর প্রভৃতি সচল ও কার্যকর অবস্থায় রাখা আবশ্যক । অন্যথায় কারখানার কার্যক্রম ব্যাহত হয় ।
২. হাইড্রোলিক লিফটের সঙ্গে ধারক স্ট্যান্ড ব্যবহার মোটরযানে হাইড্রোলিক লিফটে উত্তোলনের পর যানের নিচে নিরাপত্তার সঙ্গে কাজ করতে হলে যানের নিচে ধারক স্ট্যান্ড ব্যবহার করতে হবে । অন্যথায় হাইড্রোলিক ফ্লুইড লিকেজের কারণে দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।
৩. কারখানার যন্ত্রপাতির নাম ও চালানোর নির্দেশাবলি লিখে রাখা অটোমোটিভ কারখানায় অবস্থানরত সকল যন্ত্রপাতির নাম। নামফলকে লিখে রাখা দরকার এবং তৎসঙ্গে চালানোর বিবরণ লিখে রাখলে সামান্য অদক্ষ ব্যক্তিও নিয়ম জেনে যন্ত্রপাতি সঠিকভাবে চালাতে পারেন ।
৪. যন্ত্রপাতি নিরাপত্তা গার্ড ব্যবহার বৈদ্যুতিক পাখা, বেল্ট চলিত যন্ত্রাদি, ঘূর্ণায়মান ঢাকা, ড্রিল যন্ত্র প্রভৃতির উপরে নিরাপত্তা ঢাকনা দেওয়া আবশ্যক । অন্যথায় খোলা যন্ত্রে দুর্ঘটনা ঘটার সম্ভাবনা থাকে ।
৫. কারখানার বৈদ্যুতিক খোলা তার না রাখা অটোমোটিভ কারখানায় বিভিন্ন বৈদ্যুতিক যন্ত্রপাতিতে সংযুক্ত বৈদ্যুতিক লাইনে কখনও খোলা তার রাখা ঠিক নয় । এতে হাত, পা সংযুক্ত হলে দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।
৬. ভারী ইঞ্জিন স্থানান্তর কাজে ড্রেন ব্যবহার কারখানায় অবস্থিত ভারী ইঞ্জিন এবং অন্যান্য বানি বা যাত্রংশ স্থানান্তরকরণে সর্বদা হাতের সাহায্যে না করে স্থানান্তর উপযোগী ক্রেন ব্যবহার করা যুক্তিযুক্ত। অন্যথায় এর দ্বারা দুর্ঘটনার ঘটার সম্ভাবনা থাকে। চেসিস থেকে ইঞ্জিন নামাতেও এটি ব্যবহার করা উচিত।
৭. কারখানার নির্দিষ্ট স্থানে যন্ত্রপাতির অবস্থান নিশ্চিত করা কারখানায়, হাইড্রোলিক লিফট, উচ্চচাপের পাম্প টেস্টার, কানেকটিং রড, রড টেস্টার, ক্র্যাংক শ্যাফট প্রাইভার, ইঞ্জিনের খোলা যন্ত্রাংশ ও ইঞ্জিন প্রভৃতি প্রত্যেকটি যন্ত্র বা যন্ত্রাংশ নির্দিষ্ট স্থানে সংস্থাপন অথবা ৰত্নসহকারে সংরক্ষণ করা দরকার। অধিকাংশ দুর্ঘটনা এতে ঘটার সম্ভাবনা থাকে না।
৮. সবার আগে নিরাপত্তা রক্ষা করা : যে কোনো কাজ করার পূর্বে সে কাজের জন্য উপযুক্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে । তাহলে কারখানা অথবা যে কোনো স্থানে কাজের সময়, আগে ও পরে কখনই দুর্ঘটনা ঘটতে পারে না। অটো শপের সামনে অথবা ভিতরে সকলের নজরে পড়ে এমন স্থানে ‘নিরাপত্তা প্রথম’ (Sefty First) কথাটি লিখে রাখতে হবে ।
৯. নিয়ম না জেনে কোনো যন্ত্র না চালানো কারখানা অথবা বসতবাড়ি যেখানেই হোক না কেন, সকল যন্ত্র চালুর একটা ধারাবাহিক নিয়ম আছে । তাই নিয়ম না জেনে কারখানার কোনো যন্ত্রাদি চালু না করা, এমনকি না জেনে যন্ত্রপাতিতে হাত দেয়াও উচিত নয় । অন্যথায় সমূহ বিপদ ঘটার আশঙ্কা থাকে ।

প্রশ্নমালা-২
অতি সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন :
১. যে প্রতিষ্ঠানে কমপক্ষে ১০ জন লোকের সমন্বয়ে উৎপাদন সম্পর্কিত যন্ত্র যন্ত্রাংশ থাকবে সে প্রতিষ্ঠানকে কী বলে?
২. ওয়র্কশপে নিরাপদে কাজ করার বিধি নিষেধগুলোকে কী বলে ?
৩. দুর্ঘটনার পরিমাণ কয়টি অংশে বিভক্ত?
৪. প্রাথমিক চিকিৎসা কী?
৫. কারখানায় পর্যাপ্ত পরিমাণ কী রাখা প্রয়োজন?
৬. কারখানায় প্রত্যেকটি যন্ত্র/যন্ত্রাংশ নির্দিষ্ট স্থানে সংরক্ষণ করা দরকার কেন ?
৭. সবার আগে কী রক্ষা করা দরকার ?
৮. কারখানায় বৈদ্যুতিক তার খোলা রাখলে কী হতে পারে?
৯. গ্রাইন্ডিং কাজের পূর্বে চোখে কী ব্যবহার করা হয়?
১০. কারখানার কর্মস্থলে গ্রিজ, মবিল ফেলে রাখলে কি হতে পারে ?
সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন :
১. সতর্কতার শ্রেণিবিন্যাস বলতে কী বোঝায়?
২. সাধারণ সতর্কতাগুলো কী কী?
৩. মেকানিক্স এবং নিরাপত্তা বলতে কী বোঝায় ?
৪. অটোমোটিভ ওয়ার্কশপের মেকানিক্সের নিরাপত্তা নিয়মাবলি কী কী?
৫. নিয়ম না জেনে কোনো যন্ত্র না চালানো ঠিক না কেন ?
৬. কারখানায় যন্ত্রপাতির নাম ও চালানোর নির্দেশাবলি লিখে রাখা প্রয়োজন কেন?
৭. আঁটসাঁট পোশাক ও অ্যাপ্রন ব্যবহার বলতে কী বোঝায় ?
৮. কারখানার মেঝেতে দাহ্য পদার্থ ফেলা উচিত নয় কেন?
রচনামূলক প্রশ্ন :
১. অটোমোটিভ ওয়ার্কশপের নিরাপত্তার উদ্দেশ্য আলোচনা কর ।
২. প্রাথমিক চিকিৎসা বক্স সংরক্ষণের সরঞ্জামের তালিকা কর।
৩. পোশাক ও শারীরিক সতর্কতা সম্পর্কে বিস্তরিত আলোচনা কর ।
৪. যন্ত্রপাতির সতর্কতাগুলো কী কী আলোচনা কর ।
৫. কর্মশালায় কর্মজনিত সতর্কতাগুলো লেখ ।
আরও দেখুন :